চিত্তরঞ্জন থেকে পরপর বাইক চুরির আন্তঃরাজ্য গ্যাংকে ধরলো আরপিএফ, ঝাড়খন্ডে চলছে আরও তল্লাশি অভিযান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন::১১ জুন।।
চিত্তরঞ্জন থেকে পরপর বাইক চুরির আন্তঃরাজ্য গ্যাংকে পাকড়াও করল আর পি এফ। আরপিএফ-এর বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগ এই সাফল্য অর্জন করেছে। ধরা পড়েছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার কারমাটারের বিকাশ কুমার পন্ডিত (৩০) এবং নাসিরুদ্দিন আনসারী (২৮)। উল্লেখ্য, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ট্রাকশন মোটর স্ট্যান্ড থেকে পরপর তিনটি বাইক চুরি হয়ে যায়। বাইকগুলি চুরি হয়েছিল এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ, মে মাসের ৫ তারিখ এবং জুন মাসের ২ তারিখে। কারখানার স্ট্যান্ড থেকে এইভাবে বাইক চুরির ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। দুষ্কৃতিদের ধরার জন্য আরপিএফ ৭ জন দুঁদে কর্মী অফিসারকে নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করে গভীর তদন্তে নামে। সরাসরি খোঁজ-খবরের পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তারা দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করেন। তদন্তে নেমে তারা জানতে পারেন ঝাড়খন্ড থেকে বাইক চুরির একটি চক্র এই কাজ করে চলেছে। সূত্র মারফত তারা জানতে পেরেছিলেন আজ সকালে আবারও হানা দেবে দুষ্কৃতীরা। এরপরই কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় আরপিএফ ওৎ পাতে। এর ফলেই আজ ১১ জুন সকালের দিকে চিত্তরঞ্জন থেকে বাইক চুরি করতে এসে আরপিএফের হাতে ধরা পড়ে যায় বিকাশ ও নাসিরুদ্দিন। তাদের কাছ থেকে একটি "মাস্টার কি" উদ্ধার হয়। ওই মাস্টার কি দিয়ে হিরো কোম্পানির যে কোনো বাইক আনলক করে ফেলতো দুষ্কৃতীরা বলে জানা গেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরপর আরপিএফ জানতে পারে কারমাটারেরই এক ব্যক্তি তাদের চুরির বাইকগুলি কিনতেন। এরপর আরপিএফ ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কারমাটারে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। যদিও সেটি চিত্তরঞ্জন থেকে চুরি করা নয় বলেই বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। চিত্তরঞ্জন থেকে চুরি হওয়া বাইকগুলি উদ্ধারের জন্য ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় আরপিএফের বিশেষ দল তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে বলে জানা গেছে। আরপিএফের বড়সড় এই সাফল্যের পর চিত্তরঞ্জন থেকে বাইক চুরির আতঙ্ক অনেকটাই দূর হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। চিত্তরঞ্জন পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে। তারাও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।@প্রান্তভূমি
সিসিএসের ডিরেক্টর্স পদে ৯-০ জয়ী লেবার ইউনিয়ন::প্রেস বিজ্ঞপ্তি মুম্বাই ট্রেন দুর্ঘটনা, চিত্তরঞ্জনে কোয়ার্টার্স বরাদ্দ নিয়ে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১১ জুন।।
সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (সিসিএস)-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের ৯ টি আসনেই লেবার ইউনিয়ন সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হলেন। সিসিএস পরিচালনায় তাদের বিরুদ্ধ পক্ষ বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের একটি আসনও পায়নি । সিসিএসের ডিরেক্টর্স পদে এলেন অসীম মোহন ব্যানার্জি, সমীর কুমার দাস, বিল্ব মুর্মু, জয়দীপ ব্যানার্জি, অরিজিৎ দত্ত, রুপান চৌধুরী, বিদ্যাসাগর পাসোয়ান, শান্তা ঘোষ, সুপর্ণা রায়। ১০ জুন এদের অভিনন্দন জানিয়ে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে গত ৭২ বছরের মতোই এই বোর্ডও স্বচ্ছতার সঙ্গে সিসিএস পরিচালনার কাজ করবে।
এদিকে এদিনই অন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেবার ইউনিয়ন জানিয়েছে চিত্তরঞ্জনে 'কোয়ার্টার্স অ্যালটমেন্ট'- এর ক্ষেত্রে কর্মীর সিনিওরিটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে মহাপ্রবন্ধক বৈঠকে জানিয়েছেন।
এদিন আরও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সি আই টি ইউ। তাতে সর্বভারতীয় এই ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তপন সেন সি আই টি ইউ-র পক্ষ থেকে মুম্বাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। ৯ জুন মুম্বাইয়ের থানে জেলায় দুটি মুখোমুখি লোকাল ট্রেনের দরজায় ঝুলতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ধাক্কায় একাধিক যাত্রীর মৃত্যু ও বহু যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় রেলের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। বলা হয়েছে রেল চলাচলের ক্ষেত্রে আবশ্যিক চাহিদাগুলির দিকে নজর না দিয়ে অযথা বুলেট ট্রেনের মত অত্যধিক ব্যয় সাপেক্ষ প্রকল্পে বহু অর্থ ব্যয় করে দেওয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
.

.
মারণ রোগ সিলিকোসিসের খোঁজে শিবির বিশ্ব পরিবেশ দিবসে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৬ জুন।।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মরণ রোগ সিলিকোসিস নির্ণয় শিবির অনুষ্ঠিত হলো সালানপুর ব্লকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ এই শিবিরের আয়োজন করে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার বিনয় রায়। ৫ জুন ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাঁশকেটিয়া গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত এই শিবিরে মোট ৩১ জন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। মূলত এখানকার কলকারখানায় কর্মরত মানুষজনই এই শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৬ জনের কফের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ১৬ জনের এক্সরে করানো হয়েছে। এরা সিলিকোসিসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতেই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পাথরের সূক্ষ্ম গুঁড়ো, ধুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহের মধ্যে প্রবেশ করে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। শুরু হয় ঘুষঘুষে জ্বর এবং একঘেয়ে কাশি। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত উঠে আসে এবং তাতে পাথরের গুঁড়ো পাওয়া যায় । সচেতন না হলে এই উপসর্গ আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ডেকে আনে। ইতিমধ্যেই সালানপুর ব্লক সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একাধিক ব্যক্তির সিলিকোসিসে মৃত্যু ঘটেছে। জেলা প্রশাসন এই মারণ রোগ আটকাতে ক্রমাগত ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সালানপুর ব্লকের পাথর খাদান, ক্র্যাশার অধ্যুষিত দেন্দুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় সিলিকোসিস নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিনের শিবির থেকে নেওয়া নমুনা জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে ব্লকে নতুন করে আরো কেউ এই মারন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার কিংশুক সমাদ্দার, স্টাফ নার্স বনানী চৌধুরী, সিএইচও পূর্ণিমা মন্ডল, সিএইচএ চন্দনা মাজি, আশাকর্মী রমা সেন, পদ্মা মন্ডল।।@প্রান্তভূমি
এই প্রথম ঐতিহাসিক পিএনএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো সিএলডব্লুতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ৫ জুন।।
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ইতিহাসে এই সর্বপ্রথম স্বীকৃত ইউনিয়নের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বৈঠক পি এন এম বা পার্মানেন্ট নেগোসিয়েটিং মেশিনারি অনুষ্ঠিত হলো। ৪ জুন সি এল ডব্লুর কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই বৈঠকে লেবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কুড়িটি নির্দিষ্ট দাবি আলোচনার জন্য রাখা হয়। তার মধ্যে ১২টি দাবি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয় এবং প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনার পর সেগুলি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় লাগু করার বিষয়ে সম্মত হন দুই পক্ষই । সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী যন্ত্রাংশ চিত্তরঞ্জনেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি, শহরের আবাসন এবং কারখানায় ছাদ মেরামতি সহ সিভিল কাজের গতি বৃদ্ধি, কারখানার মধ্যে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটার উপযোগী বিশেষ ট্রায়াল রেল লাইন তৈরি, ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩ সালের আগে যাদের স্ক্রিনিং হয়েছে সেই সব কর্মীদের এনপিএস থেকে ওপিএসে নিয়ে যাওয়া, কেজি হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন কেনা সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া, যে কোন যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা জারি এবং মেনে চলা, সমস্ত ঠিকা কর্মীকে পরিচয়পত্র দেওয়া ও সিএলডব্লুর উদ্যোগে তাদের জন্য পিএফ এবং ইএসআই সুবিধার ব্যবস্থা করার মত বিষয়গুলি নিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং লেবার ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের মধ্যে মৌখিক সম্মতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম পিএনএম বৈঠক প্রসঙ্গে লেবার ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ১৯৬৮ সাল থেকে তাদের পূর্বসুরীরা গোপন ব্যালটে ইউনিয়নের স্বীকৃতির মাধ্যমে কর্মীদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত নানা পথ পেরিয়ে ২০২৪ সালে গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বীকৃত ইউনিয়নের মান্যতা আদায় করে লেবার ইউনিয়ন।
এই প্রথম অনুষ্ঠিত পিএনএম বৈঠক নিয়ে সিএলডব্লুর জনসংযোগ বিভাগ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কর্মীদের নানান বিষয় এবং সমস্যা নিয়ে যৌথভাবে রেল কর্তৃপক্ষ ও স্বীকৃত ইউনিয়নের আলোচনার জন্য এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। এদিন বৈঠকের শুরুতে সংস্থার সিপিও রঞ্জন মহান্তি সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যৌথ আলোচনায় সমস্যা সমাধানের এই ফোরাম আগামী দিনে কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সংস্থার মহাপ্রবন্ধক বিজয় কুমার। বৈঠকে সিএলডব্লুর সমস্ত বিভাগের প্রধানেরা এবং লেবার ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।@প্রান্তভূমি
কেবলসে এলো সিআইএসএফ:: ঘাঁটি গাড়তে চলেছে সিআরপিএফের সঙ্গেই!

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ৫ জুন।।
হঠাৎই হিন্দুস্তান কেবলস পরিদর্শনে আজ ৫ জুন সকালের দিকে সিআইএসএফের এক প্রতিনিধি দল এসে উপস্থিত হন। জানা গেছে এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সিআইএসএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট অশোক ঝা। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকাই তিনি হিন্দুস্তান কেবলস অফিসে চলে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন একাধিক ক্যামেরাম্যান, নথিপত্র লেখালেখির জন্য উপযুক্ত এক আধিকারিক সহ অন্য দুই সহযোগী। তারা হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আর এন ওঝার অনুপস্থিতিতে শহরের কয়েকটি এলাকা নিবিড়ভাবে পরিদর্শন করেন। জানা গেছে তারা কারখানা সংলগ্ন মালবাহালের দিকের ফাঁকা মাঠ, সিকিউরিটি ব্যারাক, কারখানার পাশের ফুটবল গ্রাউন্ড, আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডের পাশে কেবলসের আর অ্যান্ড ডি বিল্ডিং, প্রশাসনিক ভবন, পরিত্যক্ত কারখানা ইত্যাদির ছবি তোলেন এবং সেগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই তারা ফিরে যান বলে জানা গেছে। সিআইএসএফের এই পরিদর্শনের ফলে সম্ভাবনা জেগেছে হিন্দুস্তান কেবলসের প্রায় ৯৪৭ একর জমিতে এককভাবে সিআরপিএফ তাদের কর্মকান্ডের বিস্তার না ঘটিয়ে সিআইএসএফকেও জমি দেবে। সম্ভাবনা জেগেছে লোয়ার কেশিয়া থেকে অজয় নদ পর্যন্ত অংশটিতে সিআরপিএফ এবং রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন অফিস বিল্ডিং এলাকা থেকে লোয়ার কেশিয়া পর্যন্ত সিআইএসএফ তাদের কব্জায় নেবে। আজ সিআইএসএফ-এর প্রতিনিধি দল পরিদর্শনকালে হিন্দুস্তান কেবলসের জমির মানচিত্র মেলে ধরে বিভিন্ন পয়েন্ট উল্লেখ করছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন। কোথায় তাদের নজরদারি টাওয়ার গড়ে তোলা হবে, কোথায় প্যারেড গ্রাউন্ড তৈরি হবে, কোথায় আবাসন ব্যারাক গড়ে উঠবে তা নিয়ে ম্যাপ ধরে ধরে কথা বলছিলেন বলে শোনা গেছে। এতেই সম্ভাবনা জেগেছে হিন্দুস্তান কেবলসকে দ্রুত দুটি নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী তাদের প্রয়োজনে কাজে লাগাবে বলে।
যদিও আগাম কোন সংবাদ না দিয়েই সিআইএসএফের এই আগমনকে আবারো চমক বলেই উল্লেখ করেছেন হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির সম্পাদক সুভাষ মহাজন।
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে একাধিকবার সিআরপিএফ-এর পরিদর্শনের পর হিন্দুস্তান কেবলসের জমি নিয়ে দিল্লিতে ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং ভারী শিল্প দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে সিআরপিএফের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মূলত কেবলসের পড়ে থাকা জমিতে কোথায় কতটা অবৈধ দখলদারি এবং কত জমি ফাঁকা পড়ে আছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য আদান প্রদান হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের মধ্যে। ২০১৭ সালে হিন্দুস্তান কেবলসের প্রায় ৬০ একর এলাকা বিভিন্নভাবে দখলদারির মধ্যে ছিল বলে জানা গিয়েছিল।
আজ সিআইএসএফের প্রতিনিধি দল বার্নপুরে ফিরে যাওয়ার আগে শীঘ্রই আবার পরিদর্শনে আসার কথা জানিয়ে গেছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।@প্রান্তভূমি
দশাবতার তাস সংরক্ষণে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়কে অনুদান ব্রিটিশ মিউজিয়ামের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৫ জুন।। রাঢ় বাংলার অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, দশাবতার তাস সংরক্ষণে এগিয়ে এল চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্রিজার্ভেশন অব কালচারাল হেরিটেজের গবেষক-অধ্যাপকেরা। অনুদানের হাত বাড়িয়ে দিল লণ্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামও। দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড.ত্রিদিব সন্তপা কুণ্ডুর উৎসাহে কলেজের একটি গবেষক দল, ইতিহাস বিভাগের ড. শ্রেয়সী চৌধুরী, ইংরাজী বিভাগের ড. শ্রাবণী বসু এবং সেন্টারের গবেষক অয়ন কুণ্ডু কিছু দিন ধরে গবেষণা শুরু করেন দশাবতার তাস নিয়ে - যা আজ বিলুপ্ত হবার মুখে। তাঁরা বিষ্ণুপুরে ক্ষেত্রসমীক্ষাও করেন। সেই গবেষণা ও ক্ষেত্রসমীক্ষার উপর নির্ভর করে তাঁরা একটি গবেষণা প্রকল্প পাঠান ব্রিটিশ মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে চলা এন্ডেঞ্জার্ড মেটিরিয়াল নলেজ প্রোগ্রামে (ইএমকেপি), যারা লুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে উৎসাহ দিতে অনুদান দিয়ে থাকেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল এই প্রকল্পকে নির্বাচিত করেছেন অনুদান দেবার জন্য। এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রায় ১৫০০০ পাউন্ড অনুদান দেবে কলেজকে। এই প্রকল্পের মূল্যায়ণ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করেছেন।
আশা করা যায় এই প্রকল্প রূপায়িত হলে রাঢ়বাংলার এই লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।@প্রান্তভূমি
.

.
পকেট থেকে মোবাইল হাপিস হতেই ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব ১.৭০ লক্ষ টাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৪ মে।।
সবজি বাজারে গিয়ে পকেট থেকে হাপিস হয়ে গিয়েছিল মোবাইলটি। জানতে পারার পরেই সচেতন ওই ব্যক্তি মোবাইল নম্বর বন্ধ করার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এরপরও তাকে বিলক্ষণ চমকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট থেকে কয়েক ধাপে প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা গায়েব করে দিল সাইবার অপরাধির দল। এমনই দুঃখজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার মহাবীর কলোনির বাসিন্দা অরূপ ভট্টাচার্য। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার প্রাক্তন এই কর্মীর তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকেই গায়েব হয়েছে টাকা। এ বিষয়ে ৩ জুন রাতেই আসানসোল সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অরূপ বাবু। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। অরূপ বাবু জানান, ১ জুন রবিবার সকাল ন'টা নাগাদ তিনি রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় সবজি বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার পকেট থেকে মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পারার পরেই তিনি সকাল ১১ টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর বিএসএনএল কার্যালয়ে গিয়ে তার মোবাইল সিম কার্ড লক করান। পুরনো নম্বর ফিরে পেতে নতুন সিমের জন্যেও আবেদন জানান। সে সময় বিএসএনএল কার্যালয়ে থেকে তাকে বলা হয়েছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মোবাইল নম্বর চালু হয়ে যাবে। কিন্তু একদিন পরেও তা না হওয়ায় ৩ জুন তিনি ওই কার্যালয়ে আবার যান। এ সময় তাকে বলা হয় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সিমটি চালু করা যায়নি, তবে আজ চালু হয়ে যাবে। এরপরেই অরূপ বাবু রূপনারায়ণপুর স্টেট ব্যাংক এবং চিত্তরঞ্জন স্টেট ব্যাংকে তার একাউন্টগুলির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য পৌঁছান। কিন্তু ব্যাংকে পাশবই আপডেট করতেই তার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তিনি জানতে পারেন বিএসএনএল অফিস থেকে তার সিম কার্ডটিকে চালু করা মাত্রই পেনশন একাউন্টসহ মোট তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে সেদিনই ধাপে ধাপে প্রায় এক লাখ সত্তর হাজার টাকা গায়েব করে দিয়েছে দুষ্কৃতিরা। এমনকি ইউপিআই-এর মাধ্যমে ফোন রিচার্জও করেছে তার অ্যাকাউন্ট থেকে। অরূপ বাবু বলেন, তার একটি একাউন্টে এটিএম কার্ড সুবিধাও নেই, তবুও সেখান থেকে টাকা তুলে নিয়েছে সাইবার চক্রী। এই ঘটনায় বিধ্বস্ত অরূপবাবুর আক্ষেপ, মোবাইল গায়েব হওয়ার পরে পরেই তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেন, বিএসএনএল কার্যালয়ে সিমকার্ড লক করান। তারপরেও কিভাবে তার একাউন্ট থেকে এই বিপুল অর্থ দুষ্কৃতীরা হাতিয়ে নিতে পারল তা বিস্ময়কর। তার কাছে কোন ওটিপি বা মেসেজ কিছুই আসেনি, যদিও তার ফোন চালু না থাকায় তা আসার কথাও ছিল না। তার আবেদন, ঘটনার দিনেই তিনি সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন, তারা যেন তার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন। অরূপ বাবু বলেন, তার স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন, কন্যা বাইরে থাকেন; তিনি একাই থাকেন রূপনারায়ণপুরের বাড়িতে। এই অবস্থায় মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লকে জল সরবরাহের বহু পাইপ চুরির অভিযোগে তোলপাড়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ৩ জুন।।
নানান সমস্যায় জর্জরিত সালানপুর ব্লকের জল সরবরাহ ব্যবস্থা এবার পাইপ চুরির সম্মুখীন হল। ফলে "জল স্বপ্ন" কবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন যে পাইপলাইন পাতা হচ্ছে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে অন্যতম দীপ কনস্ট্রাকশনের মালিক সন্দীপ রুদ্র আজ ৩ জুন সালানপুর থানার অন্তর্গত কল্যানেশ্বরী ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন কাজের জন্য রাখা ৩৩ টি পাইপ গায়েব হয়ে গেছে রাস্তার পাশ থেকে। ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাঁশকেটিয়া থেকে সিধাবাড়ি মোড় পর্যন্ত পাইপ লাইন পাতার জন্য ৫০ টি ডিআই পাইপ আনা হয়েছিল। আরো ৩০ টি পাইপ সেখানে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সন্দীপবাবু লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন তিনটি গাড়িতে চাপিয়ে মোট ৫০ টি ৫.৫ মিটার করে লম্বা পাইপগুলি পিএইচই'র কল্যানেশ্বরী স্টোর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে ৩ জুন সন্ধ্যায় তিনি জানান, ২৮ মে এই পাইপগুলি তিনটি ট্রাকে চাপিয়ে স্টোর থেকে এনে রাস্তার ধারে রাখা হয়েছিল। ১ জুন সকালে কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা তাকে জানান যে ৩৩ টি পাইপ উধাও হয়ে গেছে। সন্দীপ বাবুর আশঙ্কা ৩১ মে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ভোর তিনটের মধ্যে এগুলি চুরি করা হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিধাবাড়ি বাঁশকেটিয়া এলাকায় রাস্তার কাজের জন্য আগের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে প্রায়ই ওই এলাকায় জল সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছিল। সেজন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ গুলির পরিবর্তে নতুন করে ডিআই পাইপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু অস্বাভাবিক এই চুরির ঘটনায় এখন তাকে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে হলো। তিনি বলেন যথেষ্ট বড় এবং ভারী পাইপগুলি কিভাবে চুরি হলো তা যথেষ্ট চিন্তার। জনবহুল এলাকায় এমন চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কল্যানেশ্বরী পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কবে কখন কিভাবে এসব পাইপ রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন। এ প্রসঙ্গে দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রকাশ মাজি বলেন চুরির বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো সে সম্বন্ধে তারা কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। অন্যদিকে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং বলেন চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি ট্রাককে চিহ্নিত করা গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। আল্লাডি এলাকায় সেটির গতিবিধি নজরে এসেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
বিশ্ব সাইকেল দিবসে অভিযান রূপনারায়ণপুর থেকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ৩ জুন।।
প্রা:প্র:: বিশ্ব সাইকেল দিবসের অভিযানে মুখ হয়ে উঠল ছোট্ট দেবরূপ মজুমদার। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রূপনারায়ণপুরের দেবরূপ অন্য সকলের সাথেই সমানতালে পাল্লা দিয়ে রূপনারায়ণপুর থেকে দেন্দুয়া এবং ফিরতি পথে রূপনারায়ণপুর পর্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে সাইকেল চালালো। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাইকেল আরোহী তপন নাথের উদ্যোগে আজ ৩ জুন বিশ্ব সাইকেল দিবস পালিত হলো এই ভাবেই। এদিন সকাল সাড়ে সাতটায় রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে এলাকার সাইকেলপ্রেমী এবং পরিবেশ সচেতন বহু ব্যক্তি একত্রিত হন। এই ব্যতিক্রমি অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রূপনারায়ণপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তি বাসুদেব মন্ডল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বর্ষীয়ান গোপীনাথ হাজরা এবং অন্যান্যরা। অভিযানের শুরুতেই সকলের হাতে ঠান্ডা জলের বোতল তুলে দেন সুজয় শেঠ, প্রশান্ত মন্ডল। দেন্দুয়ায় সাইকেল অভিযাত্রীদের স্বাগত জানান দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রকাশ মাজি। এ প্রসঙ্গে তপন নাথ বলেন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সাইকেলের তুলনা নেই। তার আহ্বান, সপ্তাহের প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে যেন সকলেই সাইকেল চালান। গোপীনাথ হাজরা বলেন ছোটখাটো প্রয়োজনে অবশ্যই সাইকেল নিয়ে বের হওয়া উচিত, তাতে সমস্ত ধরনের দূষণ থেকে এই পৃথিবীকে মুক্ত রাখা যায়। বাসুদেব মন্ডল রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে একটি সাইকেল ক্লাব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। হরিশংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন সাইকেল কিভাবে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। তিনি বলেন সাইকেলের তিনটি অংশের স্প্রিং আমাদের শরীরের ভারকে মাটিতে নামিয়ে দেয়, ফলে সাইকেল চালালে শরীরের ক্ষতি হয় না বরং নানান ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সাইকেল দিবস উপলক্ষে আজকের এই অভিযান যেমন ব্যতিক্রমি তেমনই অতি প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেন প্রান্তভূমির সম্পাদক অভয় মন্ডল। দশ কিলোমিটারব্যাপি এই অভিযানে চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর সহ সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৫০ জন উৎসাহী মানুষ অংশ নেন।@প্রান্তভূমি
মুহুর্মুহু বজ্রপাত, চিত্তরঞ্জনে মৃত্যু যুবকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২ জুন।।
বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল তরতাজা যুবক ঋষভ বিভূতির (২৪)। ঋষভের বাবা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী কমল কুমার বিভূতি । আমলাদহি বাজারে তার অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান আছে। তাদের বাড়ি মিহিজাম কিশোরী গলিতে। জানা গেছে দিন ১৫ যাবৎ ঋষভ তার বন্ধুদের সঙ্গে চিত্তরঞ্জন কর্নেল সিং পার্ক এলাকার মাঠে ক্রিকেট খেলার জন্য যেতেন। আজকেও অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। হঠাৎই আকাশ কালো করে মেঘ উঠলে তারা সেখানে একটি টিনের চালার তলায় আশ্রয় নেন। এ সময়ে বিকট আওয়াজ করে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের অভিঘাতে লুটিয়ে পড়েন ঋষভ, বিবেক কুমার, অভিনব কুমার, গৌতম কুমার এবং কে প্রণীত অভিনব। সন্ধে ৬ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের সকলকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু অচেতন ঋষভের আর জ্ঞান ফেরেনি। অন্য ৪ যুবককে আই সি ইউ থেকে আপাতত সাধারণ বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, তাদের অবস্থা বিপদমুক্ত বলেও জানা গেছে। আকস্মিক এই ঘটনায় একেবারে শোকে পাথর হয়ে গেছেন অত্যন্ত ভালো মানুষ বলে পরিচিত কমল কুমার বিভূতি। তার একমাত্র পুত্রের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া সমগ্র চিত্তরঞ্জন এবং মিহিজাম এলাকায়। পরিচিতজনেরা ঝড় জল জল উপেক্ষা করেই চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে ছুটে গেছেন। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ সোমনাথ কুমার দাস জানিয়েছেন আজ বিকেলে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে ২৮ টি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী এলাকা হিন্দুস্তান কেবলসেও চারটি বজ্রপাত হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন এ সময় ফাঁকা জায়গায় কিংবা জলাশয়ের ধারে বা গাছের নিচে থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। চেষ্টা করতে হবে পাকা বাড়ির মধ্যে থাকার।@প্রান্তভূমি
মে মাসে ইঞ্জিন উৎপাদনে নজির ডানকুনির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২ জুন।।
প্রা:প্র:: এক মাসে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১৮ টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন উৎপাদন করে নজির সৃষ্টি করল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শাখা ডানকুনি। মে মাসে "ইলেকট্রিক লোকো এসেম্বলি এন্ড এনসিলারি ইউনিট অফ চিত্তরঞ্জন লোকোমোডি ওয়ার্কস" ডব্লু এ জি-৯ এইচ সি ধরণের ১৮ টি ইঞ্জিন উৎপাদন করেছে, যা এখানকার এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৬ টি এক মাসে ( নভেম্বর ২০২৪) ইঞ্জিন উৎপাদনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই সাফল্যের জন্য চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহাপ্রবন্ধক বিজয় কুমার সমগ্র ডানকুনি ইউনিটের কর্মী আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে ডানকুনি ইউনিট মোট ১৫৬ টি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদন করেছিল।@প্রান্তভূমি
আসানসোলে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করতে এসে ধৃত মুঙ্গেরের কারবারি, বাজেয়াপ্ত বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ২ জুন।।
মুঙ্গের থেকে আসানসোলে এক ঝাঁক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে এসে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে গেল কুখ্যাত অস্ত্র কারবারি মহম্মদ ফিরদৌস আলম ওরফে লাড্ডু। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার মধ্যে আছে দুটি নাইন এমএম পিস্তল এবং দুটি ম্যাগাজিন, সেভেন এম এম দুটি পিস্তল এবং চারটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি সিঙ্গল শট পাইপগান, ১৪ টি তাজা কার্তুজ। ধৃত অস্ত্র কারবারি লাড্ডুর বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার মফঃস্বল থানা এলাকার মির্জাপুর ওয়ার্ধা গ্রামে। আপাতত ধৃত অস্ত্র কারবারি এস টি এফ- এর অভিযোগক্রমে আসানসোল উত্তর থানায় (কেস নম্বর ২৪১/২৫) অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত হয়ে আসানসোল আদালতের নির্দেশক্রমে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অত্যন্ত চিন্তাজনক তথ্য পুলিশ উদ্ধার করেছে। ধৃত ফিরদৌস আলম এস টি এফ আধিকারিকদের জানিয়েছে যে সে অনেকদিন ধরেই আন্ত:রাজ্য অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ হাতিয়ার এবং কার্তুজ সরবরাহ করেছে। সে এই হাতিয়ার সরবরাহ চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য বলে নিজেকে উল্লেখ করেছে। আন্ত:রাজ্য এই অস্ত্র সিন্ডিকেট গ্রাহকদের কাছে অর্থের বিনিময়ে যেকোনো ধরনের অস্ত্র পৌঁছে দেয় বলে লাড্ডু এসটিএসকে জানিয়েছে। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই এস টি এফ আসানসোল সহ এই রাজ্যের কোথায় কোথায় কাদের কাছে অস্ত্র পৌঁচেছে তার খোঁজে গভীর তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের এসটিএফের আধিকারিক সৌমাল্য আইচের কাছে ৩০ মে বিকাল চারটে নাগাদ গোপন সূত্রে সংবাদ আসে যে মুঙ্গের থেকে এক কুখ্যাত অস্ত্র কারবারি আসানসোলে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে আসছে। সংবাদ পেয়েই এসটিএফ অত্যন্ত সক্রিয় হয় এবং দ্রুত একটি দল গঠন করে এলাকায় নেমে পড়ে। আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় ওৎ পেতে থাকাকালীন রাত প্রায় পৌনে বারোটার সময় সূত্র মারফত তারা জানতে পারেন মুঙ্গের থেকে অস্ত্র কারবারি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসানসোলের কোন একটি জায়গায় বাস থেকে নামবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট ভাবে এসটিএফ জানতে পারে আসানসোল উত্তর থানা এলাকার আসানসোল-গৌরান্ডি রোডের উপর পলাশডিহার কাছে এইচপি পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি এলাকায় ওই কারবারি বাস থেকে নামবে এবং তারপর স্থানীয় এজেন্ট তাকে অন্যত্র নিয়ে যাবে। এসটিএফ টিম এই সময় কালীপাহাড়ির কাছে অপেক্ষা করছিল , সেখান থেকে তারা দ্রুত পেট্রোল পাম্পের কাছে চলে আসে এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে তাদের গাড়ি লুকিয়ে রেখে অস্ত্র কারবারির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ব্যক্তি সেখানে বাস থেকে নামে, যার মাথায় একটি ব্যাগ দেখা যায়। গোপন সূত্র মারফত এসটিএফ এই ব্যক্তি সম্বন্ধে সুনিশ্চিত হয় এবং তাকে হঠাৎ করেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, মাত্র একদিন আগেই ধানবাদের কাছে একটি বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস পায় পশ্চিমবঙ্গের এসটিএফ এবং ঝাড়খণ্ডের এটিএস। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধারের পাশাপাশি পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। ওই কারখানায় অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করতো কুলটি ডিশেরগড়ের বাসিন্দা আশ মহম্মদ।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এই রাজ্যে বেআইনি অস্ত্রের চাহিদা ততই বেড়ে চলেছে। এর ফলে অবৈধ অস্ত্র কারবারিদের রমরমাও দেখা যাচ্ছে। যদিও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের আগে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে এইসব অবৈধ অস্ত্রের রমরমায়।@প্রান্তভূমি
.

.
সালানপুর ব্লকের ৩১ জন বিএলও'কে দায়িত্ব থেকে সরানো হলো

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৩০ মে।। সালানপুর ব্লকে ১৪৫ জন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারের মধ্যে ৩১ জনকেই পরিবর্তন করে দেওয়া হল। ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত এবং আরো কার্যকরী করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের ফলেই এমন পদক্ষেপ করতে হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুটা হলেও অসুবিধায় পড়তে হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। কারণ পুরনোরা এই কাজের সঙ্গে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন, নতুনদের তা বুঝে নিতে কিছুটা সময় লাগবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে সরকারি বা আধা সরকারি কর্মীরাই বি এল ও'র দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সেজন্য তেরোটি নির্দিষ্ট ক্যাটেগরির উল্লেখও করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলির মধ্যে আছেন শিক্ষক শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আমিন, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি, ভিলেজ লেভেল ওয়ার্কার্স, ইলেকট্রিসিটি বিল রিডার্স, পোস্টম্যান, অক্সিলারি নার্স/ মিডওয়াইভস, হেলথ ওয়ার্কার্স, মিড ডে মিল ওয়ার্কার্স, কন্ট্রাক্ট টিচার্স, কর্পোরেশন ট্যাক্স কালেক্টর এবং ক্লারিক্যাল স্টাফ। এতদিন এর বাইরেও সেলফ হেল্প গ্রুপ সার্ভিস প্রোভাইডার, প্রাণী মিত্র, বিভিন্ন রিসোর্স পার্সনেরা বি এল ও'র দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু এখন আর তারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। জানা গেছে, শুধুমাত্র বারাবনি বিধানসভা এলাকা থেকেই ৪৯ জন বি এল ও'কে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। এদের মধ্যে সালানপুর ব্লকে ৩১ এবং বারাবনি ব্লকে ১৮ জন আছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে একমাত্র আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিধানসভাতেই বেশ কয়েকজন করে বিএলও'কে সরানো হয়েছে। বারাবনি ছাড়াও জামুড়িয়ায় ২১, পাণ্ডবেশ্বরে ১৭, আসানসোল উত্তরে ১৪, কুলটিতে ৪, রানীগঞ্জের ৩, দুর্গাপুর পশ্চিমে ২ এবং দুর্গাপুর পূর্বে ১ জন বিএলও'কে সরানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
অবৈধ অস্ত্র কারখানার হদিশ, যৌথ অভিযানে বাংলা ঝাড়খন্ড এসটিএফ এটিএস, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ৩০ মে।।
ধানবাদে চলছিল অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা। আর সেই কারখানায় পিস্তল তৈরির জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করা হতো কুলটি এলাকার আশ মহম্মদের মাধ্যমে। ২৮ মে ধানবাদের এই মিনি গান ফ্যাক্টরিতে অভিযানের কয়েকদিন আগেই সে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল পৌঁছে দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই আশ মহম্মদকেই ২০২১ সালের ২৩ মে বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানার বরাকরে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাকা চেকিং চলাকালীন। সে সময় ধৃত আশ মহম্মদের কাছ থেকে ২৭ টি ৭ এম এম পিস্তল এবং ৪৬ টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ আশ মহম্মদের ডিসেরগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং তার বাড়ির বেসমেন্ট বা মাটির নিচের ঘরে চলতে থাকা অবৈধ অস্ত্র কারখানার হদিশ পায়। সেই কারখানা থেকেও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেই থেকেই পুলিশের নজরে থাকা আশ মহম্মদ জেল থেকে বের হয়ে আবার একই কারবারে নেমে পড়ে। এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল ধানবাদে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়ার মাধ্যমে। এই মুহূর্তে বিহারের কোনো জায়গায় আশ মহম্মদ লুকিয়ে আছে বলে পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ আছে।
উল্লেখ্য, ২৮ মে সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এস টি এফ) এবং ঝাড়খন্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) যৌথভাবে ধানবাদের সিঙ্গরা বস্তির বাসিন্দা বছর ৪৫-এর মুর্শিদ আনসারীর ঘরে তল্লাশি চালায়। সে সময় সেখানে পাঁচ ব্যক্তি দেশী পিস্তল তৈরীর কাজে নিযুক্ত ছিল। অভিযানে মুরশিদ আনসারীসহ ধরা পড়ে যায় বিহারের মুঙ্গের জেলার মফঃস্বল থানা এলাকার মহম্মদ সাবির আনসারী (৩০), মহম্মদ মোস্তফা ওরফে মুস্সু( ৪২), মহম্মদ পারভেজ উরফে রিঙ্কু (৩০), মহম্মদ মিস্টার (৩৫)। এরপরই পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এই কারবারের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরার জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ টিম পাঠিয়েছে। ধানবাদের এই অস্ত্র কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির নানান সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে আছে চারটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, আটটি ব্যারেল, ২৮ টি অর্ধনির্মিত ম্যাগাজিন, ৯ টি কেএফ ৭.৬৫ তাজা কার্তুজ, অর্ধনির্মিত দশটি দেশী পিস্তল সহ একাধিক ড্রিল মেশিন, রিসেল স্প্রিং, গ্রাইন্ডার মেশিন, হাতুড়ি, ছেনি, বিভিন্ন ধরনের মোবাইল, ট্রেনের টিকিট, হ্যাকসো ব্লেড, রাউন্ড ফাইল ইত্যাদি।
অস্ত্র কারখানা থেকে ধৃতেরা জানিয়েছেন যে সেখানে কুলটি ডিসেরগড়ের বাসিন্দা আশ মহম্মদ বিভিন্ন কাঁচামাল নিয়মিত সরবরাহ করতেন। ফলে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার মহুদা থানা এলাকার সিংরা বস্তির সঙ্গে নাম জুড়ে গেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ডিসেরগড়েরও। উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগে রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন ঝাড়খন্ড সীমানা ঘেঁষা চিতল ডাঙ্গায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার হদিস পেয়েছিল পুলিশ। সেখানেও মুঙ্গের থেকে অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী লোকজন এসে ঘাঁটি গেড়েছিল। পরবর্তী সময়ে পুলিশ জানতে পেরেছিল রূপনারায়ণপুর থেকে সেই জাল ছড়িয়েছিল ঝাড়খন্ড বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে। এবার সালানপুর থানার পড়শী কুলটি থানা এলাকায় অস্ত্রের কারবারি ও সরঞ্জাম সরবরাহকারীর হদিস পাওয়ায় এলাকায় এখনো যে বেআইনি অস্ত্রের কারবার চলছে তা প্রকাশ্যে এলো।@প্রান্তভূমি
মানুষের অখাদ্য রেশনের আটাও সরকারি পরীক্ষায় "ওকে", ক্ষোভ সালানপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মে::
"মানুষের অখাদ্য" রেশনের আটাও সরকারি পরীক্ষাগারে সঠিক বলে পাশ করে গেল। কোয়ালিটি কন্ট্রোলের এমন নমুনায় হতবাক সালানপুর ব্লকের রেশন গ্রাহকেরা। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, যে আটা গুণমান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল তা সরকারি স্তরে সংগ্রহ করা হয়েছিল রেশন ডিলারের কাছ থেকে। ভুক্তভোগী রেশন গ্রাহকেরা চাইছেন হয় তাদের কাছ থেকে আটা নেওয়া হোক কিংবা তাদের উপস্থিতিতে রেশন ডিলারের কাছ থেকে আটা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হোক । কিন্তু এর কোনোটিই করা হয়নি। ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন রেশন থেকে পাওয়া আটা কোন মানুষ খেতে পারেন না। সেগুলি অবধারিত গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন তারা। কারণ সেই আটায় বালি কাঁকর সহ অন্যান্য অখাদ্য এতটাই মেশানো থাকে যে তা মানুষের মুখে ওঠে না। বারবার এই অভিযোগ পাওয়ার পর সালানপুর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেশনের আটার গুণমান পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সকলকে আশ্চর্য করে দিয়ে যে রিপোর্ট পাঠানো হয় তা হল - কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্টে সেই আটা উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই রিপোর্ট সালানপুর ব্লকের রেশন গ্রাহক অমরনাথ মাহাতো, সাদ্দাম হোসেন সহ অনেক জনের কাছেই পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের ফুড এন্ড সাপ্লায়ার্স বিভাগের ইনফরমেশন /গ্রিভান্স সিস্টেম। এরপরই রেশন গ্রাহকদের অভিযোগেরও অপমৃত্যু ঘটিয়ে তা "ক্লোজ" করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অভিযোগ সারবত্তাহীন, আটার গুণমান ঠিক আছে - তাই এ নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দেওয়া হলো। কিন্তু এই ঘটনায় যারপরনাই হতবাক অভিযোগকারীরা । তারা বলছেন প্রকাশ্যে প্রশাসনের সকলেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে আটার গুণমান সঠিক নয়, অথচ পরীক্ষাগারে কি করে সেই আটা গুণমান উত্তীর্ণ হয়ে গেল! তাহলে রেশন থেকে বালি পাথর পোকামাকড় ভর্তি আটা খাওয়াই কি এখানকার মানুষের ভবিতব্য? এই প্রশ্ন তুলে তারা বলেছেন আবার তারা একই অভিযোগ সরকারের কাছে জানাবেন এবং এবার যাতে সঠিক পদ্ধতি মেনে পরীক্ষা করা হয় তা নিশ্চিত করবেন। এ বছরের মার্চ মাসে ব্লকের বিভিন্ন এলাকার রেশন গ্রাহকেরা একযোগে রেশন সামগ্রীর খারাপ গুণমান নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। খাদ্য সরবরাহ বিভাগের গ্রিভান্স সেলে জানানো সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হতেই অভিযোগকারীরা যাতে তাদের অভিযোগ তুলে নেন সে জন্য অনেককেই লোভ দেখানো হয়েছিল, এমনকি ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু কেউ তাদের অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপরই রেশন ডিলারের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। গ্রাহকদের দাবি, রেশন ডিলারের কাছ থেকে তাদের যে আটা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েই পরীক্ষা করতে হবে। তবেই সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে । কারণ গোপনে প্রায় সবাই - সে রেশন ডিলারই হোক কিংবা গ্রাহক মেনে নেন যে রেশন থেকে পাওয়া আটার রুটি খাওয়া যায় না। সেই আটা গরুর খাদ্য হিসেবে তারা ব্যবহার করেন। কেউ কেউ বেশি দামে সেই আটা বিক্রি করে দেন। তারপরও কি করে এমন অখাদ্য আটা ল্যাবরেটরি থেকে "ওকে" হয় তা যথেষ্ট বিষ্ময়কর । যদিও ডিলারদের সাফ কথা যে, তারা যেভাবে যেমন কোয়ালিটির সামগ্রি পান সেটাই গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন। তাদের কাছে সীল করা প্যাকেটে আটা পাঠানো হয় আটা কল থেকে। নতুন করে সেই প্যাকেট ডিলারের ঘরে আর খোলা হয় না। রেশন গ্রাহকদের অভিযোগ - তাহলে কি আটা কল গুলির সঙ্গেই যোগসাজশ করে এমন কাণ্ড চালানো হচ্ছে? কিন্তু বিষয়টি যে এখানেই থেমে থাকবে না তা রেশন গ্রাহকদের কথাতেই পরিষ্কার হয়েছে - তারা জানিয়েছেন যতদিন না তারা "ন্যায়" পাচ্ছেন ততদিন থামবেন না।@প্রান্তভূমি
দশদিন পর চিত্তরঞ্জনের জলাশয় থেকে উদ্ধার মৃত রবিরঞ্জনের সাইকেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২৭ মে।।
অঘটনের দশ দিন পর চিত্তরঞ্জনের জলাশয় থেকে উদ্ধার হল রবিরঞ্জন সিংয়ের ব্যাটারি চালিত সাইকেলটি। আজ ২৭ মে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ফতেপুর ও সিমজুড়ির মাঝের জলাশয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় মাঝিরা অংশ নেন। জলাশয়ের প্রতিটি অংশে তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। নৌকা, মাছ ধরার জাল, কাঁটা ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে খোঁজ চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দুপুর একটা নাগাদ সাইকেলটির খোঁজ পাওয়া যায়। জানা গেছে সিমজুড়ি থেকে ফতেপুরের দিকে আসার পথে ডানদিকের জলাশয়ে রবিরঞ্জনের দেহের খোঁজ পাওয়া গেলেও সাইকেলটি উদ্ধার হয়েছে বাঁদিকের জলাশয় থেকে। পুলিশের অনুমান সম্ভবত তীব্র ঝড়ে জলের গতির সঙ্গে সাইকেলটি স্থির থাকতে পারেনি। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করে জানতে পারে যে রবিরঞ্জনের সঙ্গে একটি ব্যাগ এবং নীল-টুপি ছিল। যদিও এদিনের তল্লাশিতে সেই টুপি এবং ব্যাগের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ১৭ মে শনিবার চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত অঞ্চলে বিকেলের দিকে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। সেদিনই নিখোঁজ হন রবিরঞ্জন। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে, সেদিন রবিরঞ্জন তার কাজ শেষে টিফিনের সময় সাইকেল নিয়ে সিমজুড়ির দিকে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টি সিসিটিভির ফুটেজেও পুলিশ দেখতে পেয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সিমজুড়ি থেকে ফেরার পথে ঝড় জলের কবলে পড়ে রবিরঞ্জন জলাশয়ে পড়ে গেলেন কিনা তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। অন্যদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার পেটে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে তার মৃত্যু হল সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে মৃতের দাদা রাহুল রঞ্জন সিং তার ভাইয়ের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর উল্লেখ করে পুলিশের কাছে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। চিত্তরঞ্জন পুলিশ সমস্ত বিষয়ে নজর রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন শহরের নিরাপত্তায় আরও ৮০০ সিসি ক্যামেরা, ইন্ডোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড, জিম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ২৭ মে।। চিত্তরঞ্জন রেল শহরের সার্বিক উন্নয়ন এবং কারখানার উন্নতি সাধনে ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। এই খবর জানিয়েছেন সিআরএমসি'র সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং। আজ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিআরএমসি/ এনএফআইআর/ আইএনটিইউসি'র পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমারের সঙ্গে প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ শহরের ২৮ টি ক্লাব সংগঠন উচ্ছেদের যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা পুনরায় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহাপ্রবন্ধক। এছাড়াও শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো আঁটো সাঁটো করার জন্য শহরজুড়ে অতিরিক্ত ৮০০ সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি সমস্ত স্ট্রিট লাইট মেরামতি করা হবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এখন শহর জুড়ে প্রায় চারশো সিসি ক্যামেরা আছে বলে জানা গেছে। এরই সঙ্গে কোয়ার্টার্স বরাদ্দ করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কোয়ার্টার্স মেরামতি ও নিকাশি ব্যবস্থা মজবুত করার উপরে জোর দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন, চিত্তরঞ্জন রেল শহরে দ্রুত একটি ইনডোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড এবং দুটি জিম গড়ে তুলবে রেল। এর ফলে রাত্রে খেলাধুলার সুবিধা বিস্তৃত হবে। জিমগুলি রেলের পরিচালনায় বিনা ব্যয়ে রেল কর্মী ও তাদের পরিবারের লোকজন ব্যবহার করতে পারবেন বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকের শুরুতেই ইন্দ্রজিৎ বাবুরা মহাপ্রবন্ধকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন শহরের এরিয়া কমিটি গুলির নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরও দীর্ঘদিন ভাইস ওয়ার্ডেনদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর স্থগিত ছিল। কিন্তু মহাপ্রবন্ধক শ্রী কুমার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে অচলাবস্থা কাটিয়েছেন - সেজন্য তাকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
উচ্ছেদের নোটিশ পুনর্জন্ম ভবনেও! ৫ দিন পর পিছু হটলো রেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ২৩ মে।
উনচল্লিশ বছর আগে চিত্তরঞ্জন শহরে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর তৈরি করে শুরু হয়েছিল পথ চলা। তখন কেউ ভাবতেই পারেননি সেই সংস্থাই একদিন চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের নির্ভরতার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠবে। মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে পাবে দেশ বিদেশের নানান স্বীকৃতি। সেই সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির গোড়াপত্তন ১৯৮৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজার সংলগ্ন কস্তুরবা গান্ধী বিদ্যালয়ের সামনে হয়েছিল। কার্যালয়ের নামকরণ হয় পুনর্জন্ম ভবন। শিল্পাঞ্চল তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী এই সংস্থা রক্তদান, চক্ষুদান, দুঃস্থদের চোখের ছানি অপারেশন সহ নানান কাজে আত্মনিয়োগ করে। মানুষের প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার , মেডিক্যাল বেড, ক্র্যাচ, হুইলচেয়ার, ওয়াকার, আইসব্যাগ সহ প্রাসঙ্গিক সমস্ত কিছুই যোগান দিতে থাকে এই সংস্থা। এই সংস্থার উদ্যোগেই ২০০৩ সালে প্রথম শুরু হয় সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত রক্তদান শিবির। রক্তদান আন্দোলনে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যা ছিল অনুসরণীয় উদ্যোগ। ২০২১ সালে শহীদ দিবস উপলক্ষে মহিলা পরিচালিত রক্তদান উৎসবে ১০৮ জন মহিলা রক্তদান করেছিলেন। সেই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল। সরকারিভাবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল শ্রেষ্ঠ সংস্থার। সংস্থার উপদেষ্টা সোমনাথ দাস বলেন বর্ধমান জেলা প্রেস ক্লাব ২০০২-০৩ সালে সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটিকে শ্রেষ্ঠ অর্গানাইজেশনের পুরস্কার দিয়েছে, ২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে এই সংস্থা, ২০২১ সালে পায় ইন্টারন্যাশনাল লাইফ সেভার এ্যওয়ার্ড। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটিকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু এমনই উপকারী একটি সংস্থাকেও শহর থেকে উচ্ছেদের নোটিশের কবলে পড়তে হয় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেই। সম্প্রতি চিত্তরঞ্জন শহর থেকে যে ৩২ টি ক্লাব ও সংস্থাকে ৬০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছিলেন তার মধ্যেই ছিল পুনর্জন্মভবনও। কিন্তু এই নোটিশের পরেই ব্যাপক বিস্ময় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সব মহলেই। সোমনাথ বাবু বলেন, ১৯৯৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছিল। ২০০০ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল তাদের কার্যালয় সংলগ্ন জায়গাটিকে পাকাপাকিভাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য। রেলমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, একই আবেদন পাঠিয়েছিলেন রেল বোর্ডের কাছেও। রেল বোর্ড সেই আবেদন পেয়ে সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজারকে ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। যদিও ইতিবাচক কিছু ঘটেনি। শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। এতসবের পরেও ১৯ মে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন পুনর্জন্ম ভবনে বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে দেন এটিকে ভেঙে দেওয়া হবে বলে। তবে এই বিজ্ঞপ্তি পেয়ে বসে থাকেন নি সংস্থার সদস্যরা। তারা যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত তুলে ধরার পরিকল্পনা করেন। সোমনাথ বাবু আক্ষেপের সুরে বলেন, শহরে কোন ভিআইপি বা ভিভিআইপিএলে প্রশাসন থেকে তাদের চিঠি দিয়ে পরিষেবা চাওয়া হয় এবং তারা সমস্ত রকম সাহায্যও করে থাকেন। সোমনাথ বাবু বলেন, এখনো পর্যন্ত এই সোসাইটি ২৬ হাজার ৯১৯ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করেছে, পাঁচ হাজার পাঁচশো চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছে, ২১৯ জনকে চক্ষুদান করেছে। বিভিন্ন সময়ে রক্ত বিজ্ঞান, রক্ত দান বিষয়ে পড়ুয়াদের শিক্ষাদান, থ্যালাসেমিয়া শিবির, মানুষকে রক্তদান সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে ধারাবাহিকভাবে সচেতন করার পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ডে তারা তাদের পরিষেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরপরও তাদের সংস্থাকে উচ্ছেদ করার নোটিশ অন্যান্য সংস্থার মতোই পেতে হলো যা অত্যন্ত মর্মাহত করেছে সকলকে। তবে শেষ পর্যন্ত আজ ২৩ মে বিকেল পাঁচটা নাগাদ রেল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পুনর্জন্মভবনে এসে উচ্ছেদের নোটিশ সরিয়ে নেওয়া হয়। সোমনাথ বাবু বলেন, আপাতত পুনর্জন্ম ভবন উচ্ছেদ করা হবে না বলে রেল প্রশাসন তাদের জানিয়েছেন। এই সংবাদে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত এলাকার সমাজকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষের মধ্যে।@প্রান্তভূমি
পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার ২৪ নাবালক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২২ মে।।
এবার পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হলো ১৩ জন নাবালককে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে উদ্ধার করা হয়েছিল আরও ১১ জনকে। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পাচারকারীদের দুষ্ট চক্র থেকে রেহাই পেল ২৪ জন নাবালক। আসানসোল রেল স্টেশনে এদের উদ্ধার করে আরপিএফ এবং তারপর জিআরপির হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনা জশিডি-তাম্বারাম উইকলি সুপারফাস্ট ট্রেনে। ২১ মে বিকেল চারটে নাগাদ ট্রেনটি আসানসোলে ঢোকামাত্রই তৎপর হয়ে ওঠে আরপিএফ। সহযোগিতায় থাকে জিআরপি। স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে প্রতিটি কামরায় তল্লাশি চলতে থাকে। গোপন সূত্রে সংবাদ এসেছিল যে, বিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে পয়সার লোভ দেখিয়ে কম বয়সীদের ভিন রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। তল্লাশি চালাতে গিয়ে ট্রেনের চারটি জেনারেল কামরায় দেখা যায় বেশ কয়েকজন কম বয়সী যাত্রী আছে যাদের সঙ্গে কোন অভিভাবক নেই। এরপরই ট্রেন থেকে মোট ২৪ জনকে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে আনা হয় এবং তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় আধার কার্ড অনুযায়ী ১৩ জন কম-বয়সী ১৮'র নিচে। আরপিএফ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ১১ জন এজেন্ট এই ১৩ জন কম বয়সিকে চেন্নাই নিয়ে যাচ্ছিল অতিরিক্ত আয়ের লোভ দেখিয়ে। এরপর এই ১৩ জনকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে সঁপে দেওয়া হয়, সেখান থেকে তাদের বীরভূমের একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। পাচারকারীদের আদালতে তোলা হয়। ঠিক একই ভাবে ১৪ মে ১১ জন নাবালককে উদ্ধার করে আর পি এফ। আসানসোল স্টেশনে সেদিন মোট ৩২ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করে পাঁচজন পাচারকারীকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেদিন ১১ জন নাবালককে চেন্নাইয়ে পাচার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল আসানসোল রেল স্টেশনে। উল্লেখ্য, মানব পাচার আটকাতে আরপিএফ এবং জিআরপি চূড়ান্ত সতর্ক আছে। জানা গেছে পাচার হতে চলা এইসব নাবালকদের বাড়ি জামুই, মুঙ্গের, বাঁকা, দেওঘর, দুমকা ইত্যাদি এলাকায়। তাদের পারিবারিক অবস্থা যথেষ্ট কষ্টকর। এইসব পরিবারের কম বয়সীদের চেন্নাইয়ে থাকা-খাওয়া সহ অতিরিক্ত আয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিনিময়ে বড় অংকের কমিশন নেয় এজেন্টরা। কিন্তু এরপর ওইসব কম বয়সীদের জীবনের উপর কি অবস্থা নেমে আসে সে সম্বন্ধে কোন খোঁজ খবর রাখে না এজেন্টরা। ফলে অনেকেই দিনরাত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কোনক্রমে ডাল ভাতের জোগাড় করে সেখানে । কোন কোন ঠিকেদার এদের কাজ করিয়ে এদের হাতে পয়সা না দিয়ে তাদের বাড়িতে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে বাড়ির লোকেরা কিছুটা টাকার মুখ দেখলেও ভিন রাজ্যে এইসব কম বয়সীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তার কারণ তাদের হাতে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পাচারের স্রোত রোখার জন্য আরপিএফ এবং জিআরপি কোমর বেঁধে নেমেছে।@প্রান্তভূমি
খুন করে চিত্তরঞ্জনের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল রবিকে - অভিযোগ দাদার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ২২ মে।।
প্রা:প্র:: বন্ধুরা ষড়যন্ত্র করে রবিরঞ্জন সিং( ২৭)- কে হত্যা করেছে বলে চিত্তরঞ্জন থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের পরিবার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রবিরঞ্জনের ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু - যারা চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর, সালানপুর ব্লকের জিতপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই অভিযোগের ফলে রবিরঞ্জনের মৃত্যু- রহস্য নতুন মোড় নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিত্তরঞ্জন থানা রবি রঞ্জনের দাদা রাহুল রঞ্জন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১)/ ৬১(২)/ ২৩৮ ধারায় মামলা রুজু করে (কেস নম্বর ১৫/২৫) তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য, ১৭ মে শনিবার বিকেলে চিত্তরঞ্জন সহ সমগ্র এলাকায় ভয়ংকর ঝড়-বৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে অন্ধকার নেমে আসে। ঐদিনই বিকেল চারটে থেকে মিহিজামের বাসিন্দা রবিরঞ্জনের মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া যায় বলে তার দাদা জানিয়েছেন। পরের দিন ১৮ মে চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর ও সিমজুড়ির মধ্যবর্তী জলাশয়ে রবি রঞ্জনের দেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু দেহ উদ্ধার হলেও রবিরঞ্জন যে ব্যাটারি চালিত সাইকেল নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন সেই সাইকেল উদ্ধার হয়নি। এরফলেই সন্দেহ দানা বাঁধে এবং শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে ২০ মে সন্ধ্যায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন যে রবিরঞ্জনকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে রবিরঞ্জনের পেটে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। রাহুল বাবুর অভিযোগ, তার ভাইকে অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে সম্ভবত জলাশয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও একটি মহল মনে করছিল যে তীব্র ঝড় বৃষ্টির মধ্যে রবিরঞ্জন সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে পড়ে যেতে পারেন। কিন্তু তাহলে তার সাইকেলটিও সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাওয়া যেত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে রবিরঞ্জনের ওইসব বন্ধুরা প্রায়ই একসাথে মিলিত হতেন এবং গল্পগুজব খাওয়া-দাওয়া করতেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। পুলিশ দ্রুত এই মৃত্যুরহস্যের কিনারা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ, রবিরঞ্জনের পকেট থেকে পাওয়া মোবাইলের কল ডিটেইলস রেকর্ড সহ সম্ভাব্য সমস্ত নথি যাচাই করছে।@প্রান্তভূমি
রক্তদানে রেকর্ড গড়লো সালানপুর থানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ::২১ মে।। বিরক্তিকর ঘামঝরা গরমের মধ্যেই অত্যন্ত সফল রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত সালানপুর থানা। "উৎসর্গ" নামাঙ্কিত এই শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (কুলটি) জাবেদ হোসেন। তিনি বলেন পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি রক্তদানকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। কমিশনারেটের সব থানাতেই এই উদ্যোগ আন্তরিকতার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ সবসময়ই সমাজকে সবদিক দিয়ে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। এই কাজে সকলকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসিপি'র সাথে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, এসিপি ট্রাফিক সৌরভ চৌধুরী, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য,কল্যাণেশ্বরীর ওসি লালটু পাখিরা, আসানসোল ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ডাক্তার সনজিত চ্যাটার্জি। এক অর্থে সালানপুর থানার উদ্যোগে আজকের এই রক্তদান শিবির পুলিশ প্রশাসনের কাছে উদাহরণ হয়ে রইল। কারণ, আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংককে পুষ্ট করার জন্য এই থানা যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে ১০৭ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন। রক্ত দাতাদের মধ্যে দশজন মহিলা। কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার মধ্যে একটি শিবির থেকে এই পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। সকাল ১১ টা থেকে শিবির শুরু হয়ে শেষ হতে হতে দুপুর গড়িয়ে যায়। একদিকে ঘর্মাক্ত গরম, অন্যদিকে আকাশ কালো করে ঝড়-বৃষ্টির আগমনের মধ্যেই থানা চত্বরে রক্তদাতাদের লাইন পড়ে যায়। তাদের দেখভাল করার জন্য থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের সঙ্গেই অন্যান্যরা সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সমাজকর্মী দুর্গাশঙ্কর চ্যাটার্জি, বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, অভয় মন্ডল প্রমুখ। শিবির সংগঠনায় সহযোগিতা করে থানার অন্তর্গত দুটি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকেরাও।@প্রান্তভূমি
নতুন উদ্যোগের মধ্যেই হিন্দুস্তান কেবলসে সভা পুনর্বাসন সমিতির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মে::
একদিকে যখন ঘনঘন পর্যবেক্ষণ এবং কাগজপত্র তৈরীর কাজ এগিয়ে চলেছে সিআরপিএফের হাতে হিন্দুস্তান কেবলসের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য, অন্যদিকে তখন পুনর্বাসন সমিতি এখানে নতুন শিল্প চেয়েও দাবি জানিয়েছে স্থানীয়দের কাজে নিযুক্তি, কেবলসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও ঠিকা কর্মীদের বকেয়া মেটানোর বিষয়ে। আজ, ২০ মে সকালে কারখানার অফিস গেটের সামনে বেশ কিছু মানুষজন হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির ব্যানারে একত্রিত হন এবং মূলত তিনটি দাবি জানান। হিন্দুস্তান কেবলসের জমিতে নতুন শিল্প, যাবতীয় বকেয়া মেটানো এবং স্থানীয়দের কাজের দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মহাজন, কল্যাণ বাল্মিকী, স্নেহময় মাজি । এরপর তারা কেবলস অফিসে গিয়ে আধিকারিক আর এন ওঝার হাতে এই দাবি পত্র তুলে দেন। দাবি পত্রটি হিন্দুস্তান কেবলসের সিএমডি'র উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে এসে সুভাষ মহাজন বলেন, সিআরপিএফের পরিদর্শন নিয়ে তাদের বলার কিছু নেই। এখানে শিল্প হলে প্রতিটি মানুষই তাকে সমর্থন জানাবেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার যে কোন নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিদর্শনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন বলে সুভাষবাবু অভিযোগ করেন। তিনি বলেন এলাকার উন্নয়নে শিল্প হোক সে নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। পুনর্বাসন সমিতি বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
সামডি থেকে অপহৃত এক নাবালিকা::২ মাসে ৩১ টি অপহরণের অভিযোগে উদ্বেগ কমিশনারেটে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মে:: আত্মীয়ের বিয়েতে মামাবাড়িতে এসে অপহৃত হয়ে গেল এক নাবালিকা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সালানপুর থানার অন্তর্গত সামডি গ্রামে। এই বিষয়ে সালানপুর থানায় দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে এফ আই আর ((কেস নম্বর ৮০/২৫), ধারা ১৩৭ (২)/ ৩৫১(২)/ ৩(৫)) দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম ফুচন খান ও লক্ষ্মীকান্ত খান। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার অন্তর্গত কুন্ডহিত থানা এলাকার নগরি গ্রামের ওই নাবালিকা কন্যা সালানপুর থানার অন্তর্গত সামডি গ্রামে তার মামার বাড়িতে এসেছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। এখান থেকেই ওই নাবালিকাকে কুণ্ডহিত থানা এলাকার বেলডাঙা গ্রামের ফুচন এবং লক্ষ্মীকান্ত অপহরণ করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার বাবা। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, ১৩ মে তার মেয়ে সামডিতে এসেছিল। ১৬ তারিখ তিনি খবর পান যে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি বদ মতলবে তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। কোনক্রমে অভিযুক্ত লক্ষ্মীকান্তের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে ফোন করলে তাকে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় হুমকি দেওয়া হয় বলে পুলিশকে নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় এফ আই আর রুজু করেছে। এদিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হারে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে একাধিক নাবালিকার অপহরণের ঘটনা সামনে আসছে বলে জানা গেছে। মাত্র দু মাসে এডিপিসি'র বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ৩১ টি নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৩৬ টি এফ আই আর রুজু হয়েছে, যার মধ্যে 31 টিই নাবালিকা অপহরণের মতো চিন্তাজনক অভিযোগ। এই দুই মাসে কুলটি থানা এলাকায় ৬টি, আসানসোল দক্ষিণ থানায় ৩টি, রানীগঞ্জ থানায় ৪টি, সালানপুরে ২টি, অন্ডালে ৩টি, আসানসোল উত্তরে ৭টি, ফরিদপুরে ২টি, বারাবনিতে ১টি এবং পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকায় ১টি অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে। পরের মাসগুলিতেও অপহরণের এই ধরনের ঘটনা লিপিবদ্ধ হচ্ছে থানায়। এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে ওয়াকিবহালমহল মনে করছেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার আল্লাডি পঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে 10 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তদন্তে নেমে সেদিন বিকেলেই অপহৃতকে উদ্ধার করে। ধরা পড়ে যায় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত চক্রীরা। কিন্তু বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে বলে ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে নাম জড়ালো আসানসোলের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ২১ মে।।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে আসানসোলের এক যুবকের পোক্ত যোগসূত্রের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্র জানিয়েছে ওই যুবকের নাম সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। তার বাবা বাপ্পাজিৎ ভট্টাচার্য একসময় আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। তারা থাকতেন আসানসোলের অভিজাত এলাকা সেনরেলে রোড সংলগ্ন নব অনন্যা কমপ্লেক্সে। তবে ওই আবাসনের সভাপতি কাজী জয়নাল আবসার এবং সচিব প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডি পুলিশকে জানিয়েছেন ওই পরিবারটি প্রায় তিন বছর ধরে ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন। বছরখানেক আগে তারা আবাসন ছেড়ে চলে যান। সারমেয়-প্রিয় ওই যুবক সৌম্যদীপ তার বাবা ও বোনের সঙ্গে এখানে থাকতেন। প্রায়ই তিনি পিঠে ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের হতেন। আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে মেলামেশা বিশেষ করতেন না। তারা ভাবতেন বাইরে কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন ওই যুবক। কিন্তু দেশবিরোধী কার্যকলাপ এবং পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এখন পুলিশি হেফাজতে থাকা ইউটিউবার জ্যোতির সঙ্গে ওই যুবকের বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই কমিশনারেটের পুলিশ খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে। কিভাবে জ্যোতির সাথে সৌম্যদীপের যোগাযোগ গড়ে উঠলো, কতটা ঘনিষ্ঠতা তাদের মধ্যে ছিল, কি কি তথ্য তারা আদান-প্রদান করেছেন সেই সবই এখন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খোঁজ করছে পুলিশ। এই বিষয়টিতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে আসানসোল জুড়ে। ওই আবাসন সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন এবার থেকে এখানে কেউ ভাড়া নিয়ে এলে তাকে অবশ্যই আগে পুলিশি ভেরিফিকেশন করিয়ে আসতে হবে, তা না হলে কাউকেই ভাড়ায় থাকতে দেওয়া যাবে না। এই বিষয়টি প্রত্যেকটি আবাসনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলে ওয়াকিবহালমহল মনে করছেন। কারণ দেশবিরোধী কার্যকলাপ এবং পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সঙ্গে আসানসোলের নাম জড়িয়ে যাওয়া যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলে সকলেই মনে করছেন। ইতিমধ্যেই জ্যোতি মালহোত্রার পাশাপাশি তার একাধিক সঙ্গীকেও ধরা হয়েছে। এবার তাহলে কি সৌম্যদীপকেও পুলিশ ধরবে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ জ্যোতির সাথে তার ছবি ভাইরাল হওয়া যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনের জলাশয় থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।।১৮ মে::
আজ ১৮ মে বিকেলে চিত্তরঞ্জনের জলাশয় থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। শহরের ফতেপুর থেকে সিমজুড়ি কালী মন্দিরের দিকে যেতে জলাশয়ের মধ্যে বিকেলে দেহটি ভেসে থাকতে দেখেন পথ চলতি মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ, আরপিএফ, এ্যাম্বুলেন্স সহ দেহ উদ্ধারে নামেন । জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম রবিরঞ্জন সিং (২৭)। তার বাড়ি মিহিজাম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায়। তবে বহুদিন তারা চিত্তরঞ্জনের সিমজুড়ি এলাকায় রেল আবাসনে বসবাস করতেন। রবি রঞ্জনের বাবা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে অবসর নেওয়ার পর তারা মিহিজামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। রবিরঞ্জনের দাদা রাহুল সিং এখন চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় কর্মরত। তিনি জানান অবিবাহিত রবিরঞ্জন সিএলডব্লুতে ঠিকেদারের মালপত্র সরবরাহের কাজ করতেন। ১৭ মে শনিবার রবি রঞ্জন সকাল ন'টায় ঘর থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। অন্যের ব্যাটারি চালিত একটি সাইকেল নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বলে রাহুল বাবু জানান। কিন্তু এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেন নি। বাড়ির লোকজন তার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে আজ ১৮ মে বিকেলে এই দুঃসংবাদ পাওয়া যায়। জলাশয়ের ধারে উপস্থিত রাহুল বাবু তার ভাইয়ের দেহ শনাক্ত করেন। এরপরই কান্নার রোল ওঠে সেখানে। চিত্তরঞ্জন পুলিশ আসানসোল জেলা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে মৃত রবিরঞ্জনের পকেটে তার মোবাইল ফোনটি ছিল, তবে হাতে একটি কাপড়ের টুকরো ধরা ছিল; মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অনুমান, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে যে জলাশয়ে রবিরঞ্জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে এখন মানুষ ডুবে যাওয়ার মত জল নেই। পুলিশ সমস্ত দিকই মাথায় রাখছে বলে জানিয়েছেন চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি।@প্রান্তভূমি
এবার শহরের সব ক্লাব উচ্ছেদে চিত্তরঞ্জনে নোটিশ, বিরোধিতায় সিআরএমসি

#প্রান্তভূমি ১৭ মে।। চিত্তরঞ্জন থেকে ৩২ টি ক্লাবঘর উচ্ছেদ করতে চায় রেল, প্রবল বিরোধিতা সিআরএমসি'র
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
প্রা:প্র:: অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে সমস্ত ক্লাব উচ্ছেদ করার সংকল্প করেছে রেল প্রশাসন। ১৫ মে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থাকা অনুমোদনহীন ক্লাব গুলির কার্যকলাপের ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগ রেল প্রশাসনের কাছে জমা পড়েছে। সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখেই রেল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে শহরের সমস্ত অননুমোদিত ক্লাব ঘর ভেঙে ফেলতে হবে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেই দায়িত্ব না নিলে নির্ধারিত সময়ের পরে আইনানুগ ব্যবস্থা রেল নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং সমস্ত শহরবাসীর পক্ষে আজ ১৭ মে সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর প্রতিলিপি দিয়েছেন আরপিএফের আইজির কাছে। ইন্দ্রজিৎ বাবু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে শহরে ক্লাব গুলির বিভিন্ন অবদানের কথা বলেছেন। করোনার সময়ে ক্লাব সদস্যদের অক্লান্ত পরিষেবার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন শহর থেকে ৩২ টি ক্লাবঘর সম্পূর্ণ ধুলিস্যাৎ করে দিলে চিত্তরঞ্জনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংকট দেখা দেবে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে নতুন কোন উপায়ের সন্ধান করার অনুরোধ জানিয়েছেন ইন্দ্রজিৎ বাবু।@প্রান্তভূমি
মুহুর্মুহু বজ্রপাত, ৭০ কিঃমিঃ বেগে ঝড়ে বিপর্যস্ত রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন:: সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখীর সম্মুখীন সালানপুর ব্লক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।।১৭ মে:: ইদানিং কালের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী কালবৈশাখীর সম্মুখীন হল রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন সহ ঝাড়খন্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সমগ্র সালানপুর ব্লক জুড়েই। বিকেল চারটে নাগাদ শুরু হয়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। আবহাওয়াবিদ সোমনাথ কুমার দাস জানাচ্ছেন মধ্য ঝাড়খণ্ডের মালভূমি থেকে প্রচন্ড শক্তিশালী এই কালবৈশাখীর উৎপত্তি হয়। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৫৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার। সালানপুর ব্লকে আজ বিকেলে ১৬০ টিরও বেশি বজ্রপাত হয়েছে বলে সোমনাথ বাবু জানাচ্ছেন। ভয়ংকর ঝড়ে বহু বাড়ির জানালা স্রেফ খড়কুটোর মত ভেঙে উড়ে গেছে। চিত্তরঞ্জন থেকে রূপনারায়ণপুর কল্যাণগ্রাম সর্বত্র অগুন্তি গাছ ভেঙে পড়েছে, এমনকি শিকড় শুদ্ধ উপড়ে গেছে। সমগ্র এলাকা বিকেল চারটে থেকেই সম্পূর্ণ নিষ্প্রদীপ হয়ে আছে। জানা গেছে চিত্তরঞ্জন এর ৩৫ নম্বর রাস্তা, ৩২ নম্বর রাস্তার ৬/বি আবাসন ইত্যাদি এলাকায় বহু পুরনো গাছ গোড়া শুদ্ধ উপড়ে পড়েছে। রূপনারায়ণপুরের ইয়ুথ ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা, রাজেশ্বরী ইন সংলগ্ন এলাকা, কল্যাণগ্রাম-৪ এলাকা, সামডি রোডের শান্তশ্রী পল্লী এলাকা, আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডের উপর হন্ডা শোরুমের সামনে বহু গাছ ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ বিভাগ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজে নেমেছে। সর্বক্ষণ এই কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিপ্লব মণ্ডল নিজে। অন্যদিকে একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝুলে আছে। জানতে পারা মাত্রই সেগুলি মেরামতির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ছুটে যাচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে বিগড়েছে তাতে কত ঘন্টা পর অবস্থা স্বাভাবিক হয় তা কেউই বলতে পারছেন না। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও কখন স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রূপনারায়ণপুরের একটি আবাসনে জানালার দুটি পাল্লা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে উড়ে গেছে। বহু ঘরে ঝড়ের তোড়ে জল ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, সমাজকর্মী এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ও রাজনৈতিক কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে আজ রূপনারায়ণপুরে সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে ধন্যবাদ জানাতে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে তাণ্ডবের নমুনা সামনে থেকে দেখে বিস্মিত হয়ে গেছেন এলাকার লোকজন। তারা বলছেন প্রকৃতি যেন হঠাৎ করেই মারাত্মক ক্ষেপে উঠেছিল। যদিও এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ সোমনাথ কুমার দাস আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিলেন একেবারে নির্দিষ্ট সময় ধরে যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কালবৈশাখীর সঙ্গেই প্রচুর বৃষ্টি এবং বজ্রপাত চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে হবে । সেই অনুযায়ী তিনি সকলকে সতর্ক করে পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এবার ঘন ঘন কালবৈশাখীর এই পরিস্থিতি এলাকায় সৃষ্টি হবে বলে তিনি অনুমান করছেন।@প্রান্তভূমি
আধাসামরিক বাহিনীর হাতেই কি যাচ্ছে কেবলস! একসপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিদর্শন সিআরপিএফ ডিআইজির, হলো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।।১৪ মে::
বন্ধ হিন্দুস্তান কেবলসের জমিতে নতুন উদ্যোগ গড়ে ওঠার তোড়জোড় আরো জোর কদমে এগিয়ে চলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষের প্রথম পরিদর্শনের (৭ মে) ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় দ্বিতীয় পরিদর্শন এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে গেল আজ ১৪ মে। আজকেও সিআরপিএফ-এর ডিআইজি নাদিম আহমেদ আনসারি নিজে এই বৈঠকের জন্য হিন্দুস্তান কেবলসে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুজন কমান্ড্যান্ট এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। ছিলেন অস্ত্রধারী নিরাপত্তা রক্ষীরাও। তারা হিন্দুস্তান কেবলসের জমি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতেই এখানকার আধিকারিক আর এন ওঝার সঙ্গে বৈঠক করেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন ডিআইজির সঙ্গে আসা প্রতিনিধি দলের কয়েকজন আধিকারিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরার সাহায্যে কেবলসের বিভিন্ন জায়গার ছবি ও ভিডিও তোলেন। ডিআইজি নিজে যখন কেবলসের অফিসে বৈঠকে ব্যস্ত তখন তার প্রতিনিধিরা কেবলসের প্রশাসনিক ভবন, আর এন্ড ডি বিল্ডিং, ঊর্বশী সিনেমা হল, গেস্ট হাউস, হাই স্কুল, শালিমার এলাকা, হাসিপাহাড়ির মাঠ, আইটিআই সহ বিভিন্ন এলাকার ভিডিওগ্রাফি করেন। লোয়ার কেশিয়ার পিছনের দিক থেকে একেবারে অজয় নদ পর্যন্ত এলাকা বিশেষভাবে খুঁটিয়ে দেখেন তারা। এর ফলে মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই এখানকার জমিতে সিআরপিএফ তাদের বড় কোন উদ্যোগ তৈরির পরিকল্পনাকে রূপ দিতে চলেছে। সরকার সিআরপিএফকে সমগ্র হিন্দুস্তান কেবলস নেওয়ার জন্যই আগ্রহ দেখিয়েছে বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও আধা সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিজ্ঞ মহল বলছেন - তারা নিজেদের প্রশিক্ষণ শিবির, ব্যারাক ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গেই নিজস্ব স্কুল আবাসন ট্রেনিং গ্রাউন্ড হাসপাতাল বাজার ইত্যাদি পরিকাঠামো পাঁচিল ঘেরা জায়গার ভেতরে গড়ে তোলে। এখানেও তেমনটাই হলে লোয়ার কেশিয়া থেকে অজয় নদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ফাঁকা জমি উপযুক্ত হবে। কারণ রূপনারায়ণপুর থেকে কল্যাণগ্রাম পর্যন্ত হিন্দুস্তান কেবলসের ছড়িয়ে থাকা এলাকায় নানাভাবে জবরদখল এবং অবৈধ নির্মাণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে রয়েছে। পরিত্যক্ত আবাসন গুলিতেও মানুষ মাথা গুঁজেছেন। কেবলসের জমিতেই একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ফাঁড়ি, সিনেমা হল সহ নানান পরিকাঠামো রয়েছে যেগুলি হাতে পেতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে। তাই ফাঁকা জমিতে সিআরপিএফ তাদের কার্যক্রম শুরু করলে খুব একটা অসুবিধার সম্মুখীন তাদের হতে হবে না বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। এছাড়াও প্রয়োজনে হাসিপাহাড়ির মাঠ, আইটিআই সংলগ্ন মাঠ, হাই স্কুলের মাঠ, কেবলস কারখানার বিশাল জমিও তারা ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে কল্যাণগ্রাম অঞ্চলের সামান্য বাড়ি এলাকা এবং কেবলস কলোনির ভেতরে থাকা বিভিন্ন বাজার উৎখাতের বিষয়ে কেবলস কর্তৃপক্ষ আইনি জয় পেয়েছেন। ধাপে ধাপে সেই সব এলাকাতেও সিআরপিএফ তাদের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু এখনই কাজ শুরু করতে চাইলে রাজ্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তারা ফাঁকা জমিতে নিজেদের পরিকল্পনা রূপায়িত করতে পারেন বলেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
এদিকে আজকের বৈঠকে ঠিক কি বিষয়ে আলোচনা হলো এবং তার অগ্রগতি কি হলো তা নিয়ে কেবলস কর্তৃপক্ষ এবং সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে তারা এখানকার জমি ঠিক কি অবস্থায় আছে, এখনই ব্যবহার করতে চাইলে কোথায় কতটা জমি তারা পেতে পারেন সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি ঘটেছে। অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দল আজ সকাল ১১ টা থেকে দু'ঘণ্টারও বেশি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। হিন্দুস্তান কেবলসের ঘাড়ে এখন কি কি দায়বদ্ধতা আছে সে সম্বন্ধেও সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল হতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের আধা সামরিক বাহিনীর এই দৌড়ঝাঁপ দেখে মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই হিন্দুস্তান কেবলসে নতুন কিছু হতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সম্প্রতিক সময়ে দেশের কোন প্রতিষ্ঠান এতটা আগ্রহ হিন্দুস্তান কেবলসকে নিয়ে দেখায়নি, যা মাত্র একসপ্তাহে দেখিয়েছে সিআরপিএফ।@প্রান্তভূমি
ব্ল্যাক লিস্টে অকেজো আধার কেন্দ্রগুলি, নতুন নির্দেশ না মানায় চিত্তরঞ্জন থেকে মিহিজাম ভোগান্তি চরমে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মে:: এপ্রিলের শুরু থেকেই বন্ধ হয়ে আছে চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর, মিহিজামের আধার কেন্দ্রগুলি। ফলে দিনের পর দিন মানুষ হয়রান হয়ে ফিরে আসছেন কোন পরিষেবা না পেয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন অকেজো করে দেওয়া হলো এই অঞ্চলের সব ক'টি আধার কেন্দ্র তা নিয়ে স্পষ্ট জবাব নেই কোথাও। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে প্রান্তভূমির প্রতিনিধি জানতে পারলেন বিশেষ এক কারণ। এবং তাতেই প্রশ্ন উঠেছে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্যই কি এই পদক্ষেপ আধার কর্তৃপক্ষের?
জানা গেছে দেশে আধার পরিচয়পত্রকে আরো নির্ভরযোগ্য এবং প্রতারণামুক্ত করার জন্য প্রত্যেক আধার কেন্দ্রে "স্ট্যাটিক আই পি" বাধ্যতামূলক করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সংক্ষেপে ইউআইডিএআই। সম্প্রতি এই বিষয়ে ইউ আই ডি এ আই -এর আঞ্চলিক শাখা আসানসোল থেকে একটি নির্দেশ জারি করে ৩১ মার্চের মধ্যে আধার কেন্দ্রগুলিকে এই স্ট্যাটিক আই পি নিতে বলা হয়েছিল। তা না হলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের পরও স্ট্যাটিক আই পি না থাকায় চিত্তরঞ্জনের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, চিত্তরঞ্জন হেড পোস্ট অফিস, আমলাদহি পোস্ট অফিস, বিএসএনএল কার্যালয় এবং মিহিজাম ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আধার কেন্দ্রগুলি অকার্যকরী করে দেওয়া হয়েছে 4 এপ্রিল থেকে। যদিও খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় চিত্তরঞ্জন বিএসএনএল কার্যালয়ে স্ট্যাটিক আই পি আছে, কিন্তু সিস্টেম "ডি-রেজিস্ট্রশন" হয়ে গেছে । ফলে এই কেন্দ্রটি ব্ল্যাকলিস্টে চলে গেছে। হোয়াইট লিস্ট হলে তবেই মেশিন চালু হবে বলে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। একইভাবে বন্ধ হয়ে আছে অন্যান্য কার্যালয়গুলিরও আধার যন্ত্র।
এখন প্রশ্ন হল "স্ট্যাটিক আই পি" কি? এটি হলো এমন একটি আইপি ঠিকানা যা একটি ডিভাইসে নির্ধারিত হয় এবং স্থির থাকে। এটি অপরিবর্তনীয় ঠিকানা প্রদান করে। এই স্ট্যাটিক আইপি'র সাথে যুক্ত থাকে একটি কম্পিউটার - যা স্থানান্তর করা যায় না। আধার নবীকরণ, তথ্য সংযোজন বিয়োজন সবই এই বিশেষ কম্পিউটার থেকেই করতে হবে। কিন্তু আগে এই কম্পিউটার যত্রতত্র নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে বাড়িতে বসেও আধার কার্ড বানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে ঠিকানা বিকৃত বা পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড সংযোগের সাথে স্ট্যাটিক আইপি থাকলে তবেই আধারের কাজ করা যাবে। সমান্তরাল সংযোগ বা প্যারালাল কানেকশন করা যাবে না। এখন দেখার শিল্পাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের আধার আপডেট সংক্রান্ত সমস্যা কখন দূর হয়!@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনকে গর্বিত করলেন আরপিএফ আধিকারিক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১১ মে।।
যাত্রী সুরক্ষা সহ নিজের কাজে দক্ষতা এবং দেশের সেবায় সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত থাকার জন্য গর্বের পুরস্কার এল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা আরপিএফের কাছে। আরপিএফ এবং আরপিএসএফ-এর আধিকারিকদের মধ্যে সারাদেশে ২০২৪ সালে যে ২০১ জন মর্যাদাপূর্ণ ডিজি প্রতীক চিহ্ন ও প্রশংসাপত্র লাভ করছেন তাদের মধ্যে চিত্তরঞ্জনের তিন সুদক্ষ আরপিএফ আধিকারিক আছেন। তারা হলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিং, ইন্সপেক্টর প্রবীর কুমার দত্ত এবং কনস্টেবল সৌরভ কুমার। ৮ মে এই খুশির খবর এসে পৌঁছেছে চিত্তরঞ্জনে। রেলের সম্পত্তির রক্ষা, যাত্রী সুরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ এইসব আধিকারিকেরা সমগ্র সি এল ডব্লুকেই গর্বিত করলেন বলে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন উল্লেখ করেছেন। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন ডিজি প্রশংসাপত্র ও প্রতীক চিহ্নের প্রাপক এই তিন আধিকারিক অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠলেন। রেল প্রশাসনের পাশাপাশি এরা চিত্তরঞ্জন রেল সুরক্ষা বলের দক্ষতা এবং সম্মানকে অত্যন্ত উচ্চে প্রতিষ্ঠিত করলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
নির্বাচনের ২ বছর পর ভাইস ওয়ার্ডেন পাচ্ছে চিত্তরঞ্জন রেল শহর, বিজ্ঞপ্তি জারি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মে:: দীর্ঘ দু'বছর পর চিত্তরঞ্জন রেল শহরের নির্বাচিত ভাইস ওয়ার্ডেনরা দায়িত্বভার পেতে চলেছেন। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আজ চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন জারি করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে আগামীকাল ১০ মে শহরের আটটি এরিয়ার নির্বাচিত ভাইস ওয়ার্ডেনরা তাদের এরিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। যেসব ভাইস ওয়ার্ডেন দায়িত্বভার নেবেন তারা হলেন - শ্যামল গোপ এরিয়া ১, সৌগত ভট্টাচার্য এরিয়া ২, বিদ্যুৎ কুমার দাস এরিয়া ৩, মৃণাল কান্তি গুহ এরিয়া ৪, সুরেন্দ্রকুমার ঝা এরিয়া ৫, সুদীপ কুন্ডু এরিয়া ৬, আনন্দ কুমার সিং এরিয়া ৭, রাজেন্দ্র কুমার এরিয়া ৮।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল এরিয়া কমিটির নির্বাচন হয়েছিল শহরজুড়ে। তারপর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ভাইস ওয়ার্ডেন নির্বাচন হয় ১৭ মে ২০২৩ সালে। কিন্তু নির্বাচিত ভাইস ওয়ার্ডেনদের হাতে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হচ্ছিল না। ফলে শহরবাসীকে বিভিন্ন পরিষেবা পেতে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। কিন্তু কেন এই অব্যবস্থা? কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এসসিএসটি এ্যসোসিয়েশনের পক্ষে ভাইস ওয়ার্ডেন পদে সংরক্ষণের দাবি জানানো। সংরক্ষণের দাবি নিয়ে এ্যসোসিয়েশন আইনি লড়াই এবং এস সি এস টি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়। এইসব প্রক্রিয়ার ফলে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ভূতপূর্ব দুই জেনারেল ম্যানেজার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমারের সক্রিয়তায় শেষ পর্যন্ত আজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। এ বিষয়ে এসসি এসটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সুভাষ চন্দ্র ব্রহ্ম বলেন তারা আজকেও এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজারের সাথে দেখা করেন। কিন্তু জেনারেল ম্যানেজার তাদের জানান এই নির্বাচন যেহেতু অনুষ্ঠিত হয়ে আছে তাই এক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু করা যাবে না, কিন্তু পরবর্তী সময়ে মহিলা ও এস সি এস টি সংরক্ষণ নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হবে। এই কথা শুনে তারা বলেন বিষয়টি এসসিএসটি চেয়ারম্যানকে তারা জানাবেন এবং আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং রেল কর্তৃপক্ষের আজকের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসী যে অসুবিধায় ভুগছিলেন তা দূর হলো। ভাইস ওয়ার্ডেনদের যাতে দ্রুত দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে তারা জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, বুঝিয়ে বলেছিলেন সমস্ত বিষয়। অবশেষে জট কাটায় তিনি খুশি বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন - কার ব্যর্থতায় প্রায় দু বছর দেরি হয়ে গেল দায়িত্বভার পেতে তা মনে রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন এরপর এমন কোন সিদ্ধান্ত কেউ যাতে না নেন যার ফলে এই প্রক্রিয়া আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তিনি নির্বাচিত ভাইস ওয়ার্ডেনদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন এর ফলে শহরবাসী উপকৃত হবেন।@প্রান্তভূমি
.
.jpg)
.
উচ্চ মাধ্যমিকে ব্লক-সেরা অর্পিতা::সু-ফল চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম ও আছড়া যজ্ঞেশ্বরের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৮ মে::
উচ্চমাধ্যমিকে অত্যন্ত ভালো ফল করল সালানপুর ব্লকের পরীক্ষার্থীরা। মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল যথেষ্ট আশা ব্যাঞ্জক। ব্লকে মাধ্যমিকে যেখানে পাশের হার ছিল প্রায় ৬১ শতাংশ সেখানে উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার প্রায় ৮৪ %। নম্বর প্রাপ্তিতেও যথেষ্ট উজ্জ্বল এখানকার পড়ুয়ারা। এবার মাধ্যমিকের মতোই উচ্চমাধ্যমিকেও সমস্ত পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুলের। এই স্কুলেরই কলা বিভাগের ছাত্রী অর্পিতা চক্রবর্তী ৪৬৬ নম্বর পেয়ে ব্লকের সেরা হয়েছে। অন্যদিকে আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের ফলাফলও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এই স্কুলেরই পরীক্ষার্থী ব্লকে দ্বিতীয় হয়েছে। সে হলো কলা বিভাগের সুজয় কুম্ভকার, প্রাপ্ত নম্বর ৪৫২। এছাড়াও তৃতীয় স্থানে আছে এই স্কুলেরই দুজন পরীক্ষার্থী - কলা বিভাগের সুমিতা কুম্ভকার এবং বিজ্ঞান বিভাগের অজয় কুমার মিত্র। এদের দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৪২।
এবার সালানপুর ব্লক থেকে ৪৬৬ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯১ জন।
স্কুল হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকেরা হল - চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুল অর্পিতা চক্রবর্তী ৪৬৬, চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি গার্লস হাই স্কুল সাইমা মন্ডল ৪২৯, চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাই স্কুল শিরিন সরকার ৪১৮, আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন সুজয় কুম্ভকার ৪৫২, আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুল মীনা ভান্ডারি ২৫৮, এথোড়া শ্রীশচন্দ্র ইনস্টিটিউশন সোমনাথ দে ৪৩৬।
উত্তীর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। এইসব পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি পরবর্তী পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায়। তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা অর্ধেন্দুবাবু বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের মত শক্ত পরীক্ষায় ব্লকের ছাত্র-ছাত্রীরা যে ফলাফল করেছে তা যথেষ্ট আশা ব্যাঞ্জক। এছাড়াও সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান, সহসভাপতি ভোলা সিং এবং চিত্তরঞ্জন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ব্যানার্জি। আগামী দিনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে যে কোন ধরনের সহযোগিতা বিধায়কের নির্দেশে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে রাজধানী বন্দেভারত সহ ১৮ টি ট্রেনের স্টপেজ চেয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ ইন্দ্রজিৎ সিং

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মে:: চিত্তরঞ্জনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপেজ চেয়ে এবার সরাসরি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হলেন শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। ৬ মে তিনি এনএফআইআর-এর সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরেছেন। জানা গেছে, হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত, হাওড়া-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস সহ মোট ১৮ টি ট্রেনের স্টপেজ চিত্তরঞ্জনে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আরও যেসব ট্রেন হাওড়া-দিল্লি মেন লাইন হয়ে চিত্তরঞ্জনের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে অথচ এই স্টেশনে দাঁড়ায় না তেমন ট্রেনগুলির উল্লেখ করেছেন ইন্দ্রজিৎ বাবু। সেগুলি হল টাটা-জয়নগর এক্সপ্রেস, রউরকেল্লা-জয়নগর এক্সপ্রেস, কলকাতা-সীতামারি এক্সপ্রেস, কলকাতা- অমৃতসর এক্সপ্রেস, শালিমার-পাটনা দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-রক্সৌল এক্সপ্রেস, কলকাতা- পাটনা গরীব রথ, কলকাতা-গাজীপুর এক্সপ্রেস, অঙ্গ এক্সপ্রেস, হাওড়া- নিউদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস, কলকাতা-দ্বারভাঙ্গা এক্সপ্রেস, উপাসনা, কলকাতা- নাঙ্গাল ড্যাম, অনন্যা এক্সপ্রেস, পুরী-জয়নগর এবং বেঙ্গালুরু-জশিডি এক্সপ্রেস। এ প্রসঙ্গে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেছেন এশিয়ার বৃহত্তম রেল কারখানা সিএলডব্লুর কর্মী ও তাদের পরিবার এবং বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশনের পরিষেবা নিয়ে থাকেন। অথচ দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ধরার জন্য ৩০ কিলোমিটার দূরের আসানসোলে যেতে হয়। এতে অনেক সময় নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় মানুষজনকে। দিনের পর দিন এই অসুবিধা ভোগ করে চলেছেন চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর, মিহিজাম, জামতাড়া সহ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। অথচ হাওড়া-দিল্লি মেন লাইন চলে গেছে চিত্তরঞ্জন স্টেশনের ওপর দিয়েই। তাই এখানে দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির স্টপেজ অবিলম্বে যাতে দেওয়া হয় তার দাবি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আকারে জানানো হলো। তিনি বলেন এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশা করছেন তারা।@প্রান্তভূমি
উপর্যুপরি চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত চিত্তরঞ্জনবাসী:: রেলকর্মীই জড়িত বাইক চুরিতে!

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মে:: চুরি থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না চিত্তরঞ্জন রেল শহরে। একের পর এক চুরির ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন রেল কর্মী ও তাদের পরিবার। সম্প্রতি আরো কয়েকটি চুরির ঘটনা সামনে আসায় আতঙ্ক চেপে বসেছে। জানা গেছে শহরের হিল কলোনি এলাকার ১১ নম্বর রাস্তায় পাশাপাশি দুটি কোয়াটার্স ২১ এ এবং ২১ বি- তে একাধিকবার চুরির চেষ্টা হয়েছে। এখানে থাকেন রেল কর্মী কুমার দেবু ও প্রলয় ঘোষ। তারা জানিয়েছেন আবাসনে লোকজন থাকা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে প্রথমে ২৬ এপ্রিল পাঁচিল টপকে চোরেরা ঢোকে এবং বাড়ির ব্যবহার করা বালতি, মোটর বাইকের তেল ইত্যাদি চুরি করে পালায় । ৫ মে আবার সেখানে চোরেরা হানা দেয়। এবার বাড়ির উঠোনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার - যার মধ্যে একটি গ্যাসপূর্ণ ছিল নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করলে পিছনের দিকে ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে ২৬ এপ্রিল চুরি হওয়া একটি বালতি খুঁজে পান । অন্যদিকে অক্ষয় তৃতীয়ার পরের দিন ১ মে শহরের হাসপাতাল কলোনির জলাধার সংলগ্ন কালী মন্দিরের দান বাক্স চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও মন্দিরের সাউন্ড বক্স চুরি করে পালায় দুষ্কৃতিরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই চিত্তরঞ্জন থানা এবং আরপিএফ সক্রিয়তা দেখিয়ে তদন্তে নামে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ এখনো ধরা পড়েনি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ট্রাকশন মোটর গেট বাইক স্ট্যান্ড থেকে সম্প্রতি যে বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে তাতে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গেছে বলে জানা গেছে। যদিও সেই অভিযুক্ত এখনো অধরাই আছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎই কেবলসে এলেন সিআরপিএফের ডিআইজি, ইঙ্গিত অন্য সম্ভাবনার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মে:: দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎই হিন্দুস্তান কেবলস পরিদর্শনে এলেন সিআরপিএফের ডিআইজি নাদিম আহমেদ আনসারি। তার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এবং মেশিনগান কার্বাইনের মত অতি ক্ষমতাশালী অস্ত্রধারী নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন। আজ, ৭ মে সকালে দুটি গাড়িতে এই প্রতিনিধি দল হিন্দুস্তান কেবলসে এসে পৌঁছায়। এরপর এখানকার আধিকারিক আর এন ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে পরিত্যক্ত কেবলস উপনগরীর সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তারা। একেবারে সুনির্দিষ্ট ম্যাপ ধরে ধরে তারা বিভিন্ন মৌজা ঘুরে দেখেন, এমনকি পৌঁছে যান কেবলসের সীমানায় বয়ে যাওয়া অজয় নদের তীর পর্যন্ত। ঢোকেন ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হওয়া বন্ধ কারখানার ভেতরেও। সরেজমিন পর্যবেক্ষণ শেষে কেবলসের প্রশাসনিক ভবনে তারা বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে মনে করা হচ্ছে এবারের এই পরিদর্শন কোনমতেই রুটিন পরিদর্শন নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয়তায় কোন বড় উদ্যোগ হিন্দুস্তান কেবলসের মাটিতে রূপ পাবে বলে আশা করছেন তারা। যদিও এই পরিদর্শনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির সম্পাদক সুভাষ মহাজন । তিনি বলেন রাজ্যে নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে। এ সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এইসব লোক দেখানো পরিদর্শন করা হচ্ছে। তবে এখানে কোন উদ্যোগ গড়ে উঠলে স্থানীয় মানুষের চাকরির দাবিকে প্রাধান্য দেওয়ার যে কথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেছেন সেদিকে তাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে বলে শ্রী মহাজন উল্লেখ করেন। যদিও আজকের পরিদর্শনের পর যে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পর্যায়ে দাখিল করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে তাতে আশা জাগছে কেবলসের মাটিতে নতুন কিছু হওয়ার। যেহেতু সিআরপিএফের ডিআইজি নিজে এই এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন তাতে সম্ভাবনা জাগছে আধা সামরিক বাহিনী বা দেশের সেনাবাহিনীর উপযুক্ত কিছু গড়ে ওঠার। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দুস্তান কেবলসের আওতায় ৯৪৭ একর জমি আছে। তারমধ্যে বাজার, আবাসন এলাকা, কারখানা বাদ দিয়েও অন্ততপক্ষে প্রায় 550 একর জমি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত পড়ে আছে। কল্যাণগ্রাম সহ কয়েকটি এলাকায় কেবলসের জমি দখলের যে মামলা চলছিল সেগুলিতেও কেবলস কর্তৃপক্ষ আদালতে জয়লাভ করেছেন। বাজার উচ্ছেদ নিয়ে ইতিমধ্যেই কেবলসের হাতে আদালতের নির্দেশ নামাও আছে। তবে পড়ে থাকা কোয়ার্টার্স এবং অন্যত্র বেশ কিছু মানুষ মাথা গুঁজেছেন। গজিয়ে উঠেছে দোকানপাটও। কেবলসের জমিতে ডিএভি, বিএসএনএল, আইটিআই প্রতিষ্ঠান থাকা নিয়েও একাধিক পর্যবেক্ষণ হয়েছে। কিন্তু ডিফেন্সের মতো বড় কোন উদ্যোগ এখানে এলে অনুমতিহীন দখলদারি কোন অসুবিধা ঘটাতে পারবে না বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। আজকের পরিদর্শনের পর ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত যে, এখানে জমি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করে বড় কোন উদ্যোগ সংঘটিত করা হবে। কারণ আজ ডিআইজি শ্রী আনসারি এখানকার অবৈধ দখলদারি, জলাশয়, লোক ঢুকে থাকা কোয়ার্টার্স সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছেন প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে। কিন্তু অতীতেও একাধিকবার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে পরিদর্শন হলেও তার ফল কিছুই ফলেনি, তাই কিছু না হওয়া পর্যন্ত এখানকার মানুষজন কোন কিছুকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে বেজে উঠলো যুদ্ধকালীন সাইরেন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ৭ মে।।
গৌরাঙ্গ ঘোষ:: চিত্তরঞ্জনে বেজে উঠলো আপৎকালীন সাইরেন। এই সাইরেন বিপদ ঘনিয়ে এলে একরকম, আবার সমস্ত বিঘ্ন কেটে গেলে অল ক্লিয়ার সাইরেন আর এক প্রকার। এই সবেরই হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেওয়া হলো সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষার লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতে এই ধরনের লাগাতার কার্যক্রম শুরু করল সিভিল ডিফেন্স। আজ, ৭ মে দেশব্যাপী এই কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে চিত্তরঞ্জনে দেশবন্ধু বালক ও বালিকা এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সুরক্ষা মহড়া করলেন সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের সামনে এদিন আক্রমণের সময় এবং অল ক্লিয়ার সাইরেন যেভাবে বাজানো হয় তা হাতে-কলমে দেখানো হলো। ইন্সপেক্টর এম কে সিংহ জানান সিভিল ডিফেন্সের লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানো, সম্পত্তির ন্যূনতম ক্ষতি এবং শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বজায় রাখা। বোম পড়ার সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিংয়ের নিচের তলায় আশ্রয় নিন। ফাঁকা জায়গায় থাকলে মুখে রুমাল গুঁজে, দুই কানে দুই আঙ্গুল দিয়ে সোজা মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আক্রমণের সাইরেন বাজলে বাড়ি ও অন্যান্য জায়গার আলো নিভিয়ে একেবারে অন্ধকার করে দিন। হাতের কাছে টর্চ, মোবাইল চার্জার, জল, শুকনো খাবার ইত্যাদি রাখুন। আতঙ্কের কোন কারণ নেই, গুজব ছড়াবেন না। এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। এছাড়াও সুরক্ষাবিধিগুলি হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন। সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর এম কে সিংহ, শুভেন্দু বিশ্বাস, ভূপেন্দ্র সিংহ, নারায়ণ সাউ, রাকেশ পান্ডে, শরৎচন্দ্র মাহাতো, রাজেশ কুমার সিংহ, রবি মন্ডল, সুভাষ প্রসাদ, রমাকান্ত মন্ডল, অজয় রাম, জে এন শর্মা এবং আর কে প্রসাদ।@প্রান্তভূমি
প্রথমবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেই ইতিহাস গড়লো সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মে::
প্রথমবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেই ইতিহাস গড়লো সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন। রূপনারায়ণপুর নান্দনিক হলে আয়োজিত এই শিবিরকে ঘিরে সমগ্র ব্লকের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ এবং উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল তা এক কথায় অভূতপূর্ব। এই বিষয়টিকেই তুলে ধরে শিবিরে উপস্থিত আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন প্রশাসনিক স্তরে অত্যন্ত সফল রক্তদান শিবিরের আয়োজনে পথ দেখালো সালানপুর। এভাবেই জেলা ও মহকুমা প্রশাসন এবং আসানসোল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গেই জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। আজকের শিবিরে ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল। শিবিরের আয়োজনে সমগ্র ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতি উপস্থিত হয়েছিল নান্দনিক হলে। নান্দনিকের প্রবেশ পথেই চেয়ার টেবিল নিয়ে রক্ত দাতাদের নাম নথিভুক্ত করার কাজে আগুয়ান হয়েছিলেন ব্লক ইনফরমেশন অফিসার শুভাশিস রায়। ভেতরে একের পর এক টেবিলে রক্তদাতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি বিষয় দেখার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন সমগ্র ব্লক প্রশাসনের কর্মী আধিকারিকেরা। হাত মেলায় ব্লকের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রক্তদাতা সংস্থাগুলি। রক্তদানে এগিয়ে আসেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান কর্মীরা, রক্ত দিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি স্তরের কাজে যুক্ত মহিলা পুরুষ। সকাল থেকে শিবিরের যাবতীয় দিক খেয়াল রেখে শেষে রক্ত দিলেন সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, যুগ্ম বিডিও সৌরভ কুমার, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র। তারা যখন রক্তদান করছেন তখন তাদের ঘিরে উৎসাহ দিচ্ছেন আসানসোল ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, ব্লক স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, স্বাস্থ্যকর্মী রুমেলি দাস, সমাজকর্মী তপন মাহাতা সহ সকলেই। উৎসবের আকার নেওয়া এদিনের রক্তদান শিবিরে বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার বিনয় রায়, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী মুকুল উপাধ্যায়, ভোলা সিং, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, দেবদাস চ্যাটার্জি, যুগ্ম বিডিও শ্রেয়া নাগ, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ উৎপল কর, সাংবাদিক দীনবন্ধু মণ্ডল, উৎপল কর, প্রান্তভূমির সম্পাদক অভয় মন্ডল প্রমুখ। সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের এই শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংক। এদিন অন্ততপক্ষে দেড়শো ইউনিট রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১০৬ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়। শারীরিক অসুবিধা ও তাৎক্ষণিক নানান কারণে বহু মহিলা রক্তদানে ইচ্ছুক হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মত রক্ত দিতে পারেননি। তা না হলে এ দিনের শিবির ব্লকের রক্তদানের ইতিহাসে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেত। তবে অস্বস্তিকর গরমকে মাথায় নিয়েও যেভাবে এই শিবির থেকে ১০৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহীত হলো তা অত্যন্ত আনন্দের বলে উল্লেখ করেন ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি এবং বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীরা নতুন আতঙ্কের শিকার, কারখানার স্ট্যান্ড থেকে উধাও বাইক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মে।। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রেল কারখানা চিত্তরঞ্জনের কর্মীরা এখন এক নতুন আতঙ্কের শিকার। কারখানার বাইক স্ট্যান্ড থেকে কার কখন বাইক চুরি হয়ে যাবে সেই আশঙ্কা চেপে বসছে তাদের মনে। সম্প্রতি কারখানার অন্যতম ব্যস্ত ট্রাকশন মোটর গেটের স্ট্যান্ড থেকে তিনটি বাইক চুরির অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক চুরির ঘটনাটি ঘটলো আজ, ৫ মে। কারখানার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার জন্য স্ট্যান্ডে গিয়ে রেল কর্মী সুবীর চক্রবর্তী দেখতে পান তার বাইকটি উধাও। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আরপিএফ-কে জানালে তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করতে উদ্যোগী হন। সহযোগিতার জন্য আরপিএফ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যাওয়া হয় সুবীর বাবুকে। তবে, কারখানার গেট লাগোয়া এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাইক রাখার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ শেড তৈরি করলেও তার নিরাপত্তার জন্য ভাবনা-চিন্তা করেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বাইক স্ট্যান্ডগুলির টেন্ডার করে আগ্রহী ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে তুলে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগেও এখান থেকে রেল কর্মীদের বাইক চুরি হয়েছে। তা নিয়ে সরব হওয়ার পর সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হলো, কিন্তু চুরি আটকানো গেল না। ট্রাকশন মোটর গেট ছাড়াও টাইম অফিস গেট সহ সর্বত্রই ঝুঁকির মুখে বাইক রেখে কারখানায় ডিউটিতে ঢুকতে হয় কর্মীদের। এখন দেখার, সিসি ক্যামেরার ছবি এবার চোরকে ধরে দিতে পারে কি না!@প্রান্তভূমি
মাধ্যমিকে সালানপুর ব্লক-সেরা রাতুল:: স্কুল-ভিত্তিক ফল একনজরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২ মে।।
মাধ্যমিকে সালানপুর ব্লকের সর্বোচ্চ নম্বর পেল চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুলের ছাত্র রাতুল পোদ্দার । তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৪। ব্লকের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে এই স্কুলেরই পরীক্ষার্থী দীপাঙ্কিত মন্ডল, সে পেয়েছে ৬০৪ । তৃতীয় স্থানে আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অন্তরা কর্মকার, তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৭। ৯০.৫৭% নম্বর পেয়ে ব্লকের সর্বোচ্চ স্থানে থাকা রাতুল চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাসিন্দা। তার মা পলি পোদ্দার এবং বাবা মিন্টু কুমার পোদ্দার। ছেলের সাফল্যে গর্বিত সিএলডব্লু কর্মী মিন্টু বাবু বলেন, রাতুলের ফলাফল আরো অনেকটাই ভালো হতো যদি বাংলায় সে আরো একটু বেশি নম্বর পেতো। রাতুলের প্রাপ্ত নম্বরগুলি হল - বাংলায় ৭০, অংকে ১০০, ইংরেজিতে ৯১, ভূগোলে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৯০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৫ এবং ইতিহাসে ৯৪।
এবার দেখে নেওয়া যাক এলাকার স্কুলগুলির ফলাফল এক নজরে::
*চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুল - মোট পরীক্ষার্থী ৭৪, পাশ ৭৪, সর্বোচ্চ ৬৩৪ রাতুল পোদ্দার। *চিত্তরঞ্জন পঞ্চম পল্লী হাইস্কুল - মোট ৩৪, পাশ ৩২, সর্বোচ্চ ৫৩৩ রাহুল গরাই। *চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি গার্লস হাইস্কুল - মোট ৯৫, পাশ ৬২, সর্বোচ্চ ৪৭২ রিয়া পাল। *চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুল - মোট ১৮৫, পাশ ১২৩, সর্বোচ্চ ৪৮৯ হিমাংশী কুমারী। *চিত্তরঞ্জন দশম শ্রেণী হাইস্কুল (বিবেকানন্দ)- মোট ১৭, পাশ ১৫, সর্বোচ্চ ৩২৯ জয়ন্তী ধীবর। *আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন - মোট ৩১২, পাশ ১৭৫, সর্বোচ্চ ৫৮৬ রূপম পাল। *আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুল - মোট ৩৬৬, পাশ ১৯৮, সর্বোচ্চ ৫৯৭ অন্তরা কর্মকার। *কল্যানেশ্বরী হাই স্কুল - মোট ১৪১, পাশ ৬৫। *এথোড়া শ্রীশচন্দ্র ইনস্টিটিউশন - মোট ১১২, পাশ ৭৮, সর্বোচ্চ ৫৩২ অতসী পাল। *ডিভিসি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল লেফ্ট ব্যাঙ্ক - মোট ৬৮, পাশ ৬৭, সর্বোচ্চ ৪৬২ অরিজিৎ দেয়াশী।। বারাবনি ব্লকের *গৌরাংডি আর কে এস ইনস্টিটিউশন - মোট ৩৮৭, পাশ ২৬০, সর্বোচ্চ ৫৭৭ শিবপ্রিয় চার।
মাধ্যমিকে এই অঞ্চলের সমস্ত সফল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। প্রত্যেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা অর্ধেন্দু রায়।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা, শুয়ে থাকা ব্যক্তিকে অচৈতন্য করে ভয়ঙ্কর চুরি, প্রশ্নে রেল শহরের নিরাপত্তা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ মে:: চিত্তরঞ্জন রেল শহর এখন এক কথায় দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। এতদিন ফাঁকা কোয়াটার্সে চুরির ঘটনা ঘটছিল, এবার আবাসনের মধ্যে লোক থাকা সত্ত্বেও ভয়ঙ্কর চুরির ঘটনা ঘটে গেল। চিত্তরঞ্জনের ৪৩ নম্বর রাস্তার ৭-এ আবাসনে গতরাতে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। আবাসনটি আরপিএফ ব্যারাক সংলগ্ন কাঙ্গোই পাহাড়ঘেঁষা এরিয়া ফাইভ অঞ্চলে। এই আবাসনের বাসিন্দা অশোক ভট্টাচার্য চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ১৬ নম্বর শপের কর্মী। তিনি রূপনারায়ণপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। গতকাল অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সেই ফ্ল্যাটে তার গৃহপ্রবেশের পুজো হয়। রীতি অনুযায়ী ওই রাতে অশোক বাবুরা ফ্ল্যাটেই ছিলেন। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জনের কোয়ার্টার্সে থাকার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন। সেই ব্যক্তি যথারীতি রাতের বেলায় ওই কোয়াটার্সে ছিলেন। আজ সকালে অশোক বাবুরা রূপনারায়ণপুরের ফ্ল্যাট থেকে কোয়ার্টার্সে গিয়ে দেখেন বাইরের গেটে তালা দেওয়া থাকলেও কোয়ার্টার্সের দরজা খোলা। তারা কোনক্রমে পাঁচিল টপকে কোয়ার্টার্সে ঢুকে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় ভেতরে তাদের পরিচিত ব্যক্তিটি পড়ে আছেন। আর ঘরের সমস্ত কিছু তছনছ করেছে দুষ্কৃতীর দল। খাট আলমারি ড্রেসিং টেবিল সহ সমস্ত সম্ভাব্য জায়গা তারা ওলট-পালট করেছে। আলমারি ভেঙে কিছু সোনার গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়েছে বলে অনুমান। এছাড়াও ল্যাপটপটিকে আবাসনের বাগানেই তারা ফেলে গেছে। উল্লেখ্য, ৪৩ নম্বর রাস্তার ৭-এ আবাসনে অশোক বাবুরা থাকলেও পাশের তিনটি কোয়ার্টার্স বি সি ডি ফাঁকা পড়ে আছে । ফাঁকা সেই কোয়াটার্সগুলি জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। কিন্তু কোয়াটার্সের ভেতরে লোক থাকা সত্ত্বেও দুঃসাহস দেখিয়ে চোরেরা যে কান্ড ঘটিয়েছে তাতে অবাক অশোক বাবু। দরজার ছিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে সম্ভবত কোন কিছু স্প্রে করে রাতে শুয়ে থাকা ব্যক্তিটিকে অচৈতন্য করে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সংবাদ পেয়েই চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ এবং আরপিএফ সেখানে যায়। তারা সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। যদিও পাঁচিলঘেরা আধুনিক এই রেল শহর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মোড়া। শহরের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে ২৪ ঘন্টা আরপিএফের পাহারা। আইজি রাঙ্কের আধিকারিক এখানে দায়িত্বে আছেন। মাত্র কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য রাজ্য পুলিশের একটি পূর্ণাঙ্গ থানা আছে। যার দায়িত্বে আছেন ইন্সপেক্টর ইনচার্জের মত আধিকারিক। তবুও একের পর এক রোমহর্ষক চুরির ঘটনায় সকলেই বিস্মিত। রেলকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে আছেন। তারা চাইছেন যে কোন প্রকারে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক। নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। এ বিষয়ে পুলিশ ও রেল প্রশাসনের আরও সক্রিয়তার দাবি করেছেন শ্রমিক নেতা রাজীব গুপ্তও।@প্রান্তভূমি
.

.
দলছুট পাখিকে পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী মহকুমা শাসক, সঙ্গী হলেন ডিএফও সহ বনবিভাগ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩০ এপ্রিল::
একটি বৃহদাকার পাখিকে বিপদজনক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তার মনোমতো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিল বন দপ্তর। আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জ বন বিভাগের এই তৎপরতার সঙ্গেই যুক্ত হল আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের আগ্রহ। জানা যায় বার্নপুরে হীরাপুর থানার কাছে ২৯ এপ্রিল স্থানীয়রা একাকী একটি বড়সড়ো পাখিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যান। তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে কয়েকজনকে জানান। তাদের কাছ থেকেই এই পাখির বিষয়টি মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ডক্টর অনুপম খানকে অনুরোধ করেন। এরপরই দ্রুত ওই পাখিটিকে আসানসোল রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ শিকদার সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার করেন। আজ সেই পাখিটিকে রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন বৃহৎ জঙ্গলাকীর্ণ জলাশয়ের ধারে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে পাখিটির নাম হাড়গিলে। এছাড়াও এটি মদনটাক নামেও পরিচিত। এই পাখি সাধারণত জলাশয় থেকে পুঁটি মাছ সহ অন্যান্য ছোট মাছ এবং পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। যদিও খাওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা বাছ-বিচার করে না এই মদনটাক পাখি। রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ শিকদার বলেন পূর্ণবয়স্ক পাখিটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। কোন কারনে পাখিটি একা হয়ে গিয়েছিল। তাই কিছুটা মনমরা হয়ে বসে ছিল। তবে সার্বিক সক্রিয়তায় এটিকে উদ্ধার করে প্রকৃতির মধ্যে ফিরিয়ে দিতে পারায় তিনি আনন্দিত । এ বিষয়ে মহাকুমা শাসক এবং ডিএফও'র উদ্যোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মদনটাক পাখি চিত্তরঞ্জন সহ এই এলাকার অন্যত্রও দেখা যায়। রূপনারায়ণপুর রেঞ্জ অফিসের এক কর্মী বলেন কিছুদিন আগে চলবলপুর থেকে একটি মদনটাক পাখিকে তারা উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন। এই কাজে সাধারণ মানুষ যাতে বন বিভাগের পাশে থাকেন সেই আবেদন জানিয়েছেন রেঞ্জ অফিসার শ্রী শিকদার।@প্রান্তভূমি
দেন্দুয়া মোড়ে দুর্ঘটনা, ক্ষোভের আঁচে স্তব্ধ যান চলাচল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ এপ্রিল:: যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সেটাই ঘটতে চলেছিল আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডের উপর দেন্দুয়া মোড়ে। শিবমন্দিরের কাছে মালবাহী ডাম্পারের তলায় প্রায় চাপা পড়ছিলেন এক বাইক আরোহী ও তার সন্তান। তারা দেন্দুয়ার বাসিন্দা। এমনিতেই যানজটে অস্থির দেন্দুয়াবাসী এই ঘটনায় একেবারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুরু হয়ে যায় পথ অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ দেন্দুয়া মোড় অবরুদ্ধ থাকায় চিত্তরঞ্জন, আসানসোল এবং কল্যাণেশ্বরীর দিকে যাতায়াত সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, কল্যাণেশ্বরীর ওসি লাল্টু পাখিরা, কুলটি ট্রাফিক গার্ড ওসি। তারা পরিস্থিতি সামাল দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। ক্ষুব্ধ মানুষজন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসিএল বনজেমারির এজেন্ট দীনেশ প্রসাদের কার্যালয়ে পৌঁছে যান। এ বিষয়ে দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রকাশ মাজি বলেন, আজ দুটি প্রাণ কোনক্রমে রক্ষা পেয়েছে। এই ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখে মানুষজন আর স্থির থাকতে পারেন নি। তাদের দাবি, সালানপুর ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে স্থির হওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসিএলের ডাম্পার রাত ৯ টা থেকে সকাল ছটা পর্যন্তই চলাচল করুক। কারখানার মালবাহী ট্রাক কল্যাণেশ্বরী হয়ে জাতীয় সড়ক ধরে চলাচল করুক। এছাড়া অন্য কোন সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবেন না। যদিও, বিষয়টি নিয়ে ২ মে শুক্রবার আবার আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে কড়া নিরাপত্তায় চলছে সিসিএসের নির্বাচন:: কার্যতঃ সীল শহরের সীমানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২৯ এপ্রিল।।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিত্তরঞ্জনে সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি বা সিসিএস-এর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এজন্য আছে ৩১ টি বুথ। মোট ভোটার ৬৩০০ জন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে শ্রীলতা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ ও পশ্চিম আমলাদহি প্রাথমিক স্কুল প্রাঙ্গণ যা এখন ওবিসি গ্রাউন্ড নামে পরিচিত - সেখানে। শ্রীলতায় ১৫ টি এবং ওবিসি গ্রাউন্ডে ১৪ টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। এছাড়াও ডানকুনি এবং কলকাতা স্টোরে একটি করে বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য আরপিএফ এবং পুলিশের বিশেষ দল কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের কাজে একাধিক ইন্সপেক্টর সহ ৩০ জন আরপিএফ এবং চিত্তরঞ্জন থানার ৪ অফিসার ও মহিলা পুলিশ কর্মী সহ ১৮ জন পুলিশ মোতায়েন আছেন। ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে চিত্তরঞ্জনের বাইরে থেকে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সমস্ত পকেট গেট এবং প্রধান তিনটি যাতায়াতের পথ ১, ২ ও তিন নম্বর গেটে ব্যাপক নজরদারি রেখেছে আরপিএফ। ভোট গ্রহণের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন ১১৪ জন কর্মী। এবার সি সি এস-এর পরিচালন সমিতি বা বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স নির্বাচনে মূলত লড়াই হচ্ছে লেবার ইউনিয়ন ও সি আর এম সি সমর্থকদের মধ্যে। তারা ৩১ টি করে আসনেই প্রার্থী দিয়েছেন। তবে লেবার ইউনিয়নের ৩১-টির মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী আছেন সংগ্রামী শ্রমিক মঞ্চের। এছাড়াও এই নির্বাচনে আছেন কর্মচারী সংঘের ৬ জন প্রার্থী। মোট ৩১ টি আসনের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত তিনটি এবং এস সি/এস টি সংরক্ষিত ৬ টি আসন আছে। সকাল থেকেই ভোট দাতারা উৎসাহের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ চলছে বলে প্রান্তভূমির সংবাদদাতা জানিয়েছেন। এদিকে ভোটদাতাদের আঙ্গুলে বিশেষ ধরণের কালি লাগানোর যে চল আছে তা এই ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে না, মূলত ভোটদাতারা নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর করে ব্যালট পেপার নিচ্ছেন এবং ভোট দান করছেন। আঙুলে কালি লাগানোর দাবি জানানো হলেও সমবায় নির্বাচনে সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় না জানিয়ে কর্তৃপক্ষ সেই দাবি খারিজ করেছেন। আজকেই ফলাফল ঘোষণা হবে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জেমারিতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২৭ এপ্রিল।।
জাতীয় পতাকা হাতে তিন কিলোমিটার মৌন মিছিলে পা মেলালো একরত্তি বালক। অভিভাবকের হাত ধরে তারও চোখে যেন আগুন জ্বলছে। আজ জ্ঞান মঞ্জরি চ্যারিটেবল এডুকেশনাল সোসাইটির উদ্যোগে সালানপুর ব্লকের জেমারি সিরিশবেড়িয়া অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে আল্লাডি মোড় ঘুরে আবার এই মৌন মিছিল আয়ুষ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন অঞ্চলে গিয়ে শেষ হয়। বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের আলোয় এরপর হাতে হাতে জ্বলে ওঠে মোমবাতি। গাছের নিচে জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে শতাধিক মানুষ শপথ নেন এই দেশকে, এই সমাজকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখার জন্য সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল চেয়ে। নীরবতাই আজ বিক্ষোভ জানানোর সবচেয়ে সঙ্ঘবদ্ধ উপায় বলে উল্লেখ করেন সোসাইটির সম্পাদক শেখ ওয়াসিম ভুট্টো। তিনি বলেন সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম হয় না, সীমানা হয় না। তারা সবসময় সর্বত্র মানবতার শত্রু । কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যেভাবে ২৬ জন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে ২২ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তা অমানবিকতার সমস্ত নজিরকে ছাড়িয়ে গেছে । এইসব ঘৃণ্য ঘাতকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। তারই কথার রেশ ধরে প্রান্তভূমি পত্রিকার সম্পাদক অভয় মন্ডল বলেন পহেলগাঁওয়ে নরসংহারের পর সারা দেশ এমনকি বিশ্বের মানুষ যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন তাতে এই সমাজ অনেকটাই আশ্বস্ত। কিন্তু যারা এই মানবতাবিরোধী কাজ করেছে তাদের শাস্তি না দিলে দেশের মানুষ শান্তি পাবে না। একই কথা বলেন সমাজকর্মী অরূপ কুমার পাল, গৌরচন্দ্র তেওয়ারি, দীনেশ মন্ডল, শচীন নাগ, সিন্টু মণ্ডল সহ উপস্থিত সকলেই। সামাজিক সংগঠন জ্ঞান মঞ্জরি চ্যারিটেবল এডুকেশনাল সোসাইটির এই উদ্যোগ সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে বিশেষ সাড়া ফেলে। বহু মানুষ আজকের এই মৌন মিছিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পা মেলান।@প্রান্তভূমি
বহিষ্কৃত বংশগোপাল, সিপিআইএম বলছে গুরুতর নৈতিক অবক্ষয় ও দীর্ঘ সময় ধরে সংশোধনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ এপ্রিল:: শেষ পর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কারই করে দেওয়া হলো শিল্পাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী নেতা বংশ গোপাল চৌধুরীকে। এ সম্পর্কে সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক যে কারণ দেখিয়ে বংশ গোপালকে বহিষ্কার করেছেন তা হল - "দীর্ঘ সময় ধরে সংশোধনের চেষ্টা করার পরেও সংশোধিত না হওয়ায়, পার্টির রাজ্য কমিটির অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি (আইসিসি)'র সুপারিশক্রমে গুরুতর নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে পার্টির পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য বংশ গোপাল চৌধুরীকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হলো।" ৬৫ বছর বয়সী এই বাম নেতার বহিষ্কারে শিল্পাঞ্চলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর রত্না দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এই বহিষ্কারকে অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। রত্না দাস গত নভেম্বরে সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ এনেছিলেন যে বংশগোপাল চৌধুরী তাকে হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছেন। তার অভিযোগ ছিল গভীর রাতে বংশগোপাল মেসেঞ্জারে তাকে অশ্লীল বার্তা পাঠাতেন। এ ব্যাপারে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বংশগোপাল বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি ওই মহিলাকে চেনেন না। কিন্তু রত্না দাস বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত বিভিন্নভাবে প্রচার ও চাপ বজায় রাখেন। এ বিষয়ে বংশগোপাল সে সময় মন্তব্য করেছিলেন যে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বিষয়টি দেখছেন এবং প্রকাশ্যে কিছু না বলার জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। সময়মতো তিনি সাংবাদিক বৈঠকে সমস্ত বিষয়টি খোলসা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে নানান তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়েই বিভিন্নভাবে উঠে আসছিল যে, বংশগোপাল চৌধুরীকে এ জন্য শাস্তি দেবে দল। শেষ পর্যন্ত তাইই হল এবং তাকে একেবারে দল থেকেই বহিষ্কার করে দেওয়া হলো। উল্লেখ্য, রানীগঞ্জের বাসিন্দা বংশগোপাল ছাত্র রাজনীতি থেকেই একেবারে প্রথম সারির বাম রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি 1987 থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। এরপর ২০০৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। বহু সরকারি এবং দলীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বংশগোপাল। পশ্চিম বর্ধমান জেলা সি আই টি ইউ'র সম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন এ ডি ডি এ'র চেয়ারম্যান হিসেবেও। তার সময়েই গড়ে উঠেছিল হিন্দুস্তান কেবলসের বুকে নজরুল সেন্টিনারি পলিটেকনিক। স্ত্রী, দুই পুত্র নিয়ে সংসারী বংশগোপালের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যৌন বার্তার এই অভিযোগকে ঘিরে দ্বিধা বিভক্ত জেলার বাম রাজনৈতিক মহল। তবে রাজ্যের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। যদিও তরুণ বাম নেতৃত্ব বলছেন রাজ্য তথা জেলায় সর্বপরিচিত এইরকম মুখ খুবই কম আছে, তাই আগামী দিনে বংশগোপালের অভাব অনুভূত হবে সিপিআইএম পার্টিতে।@প্রান্তভূমি
পহেলগাঁও সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবি তৃণমূলের, আক্রমণ বিজেপিকেও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২৫ এপ্রিল।।
শুধু বড় বড় কথা বললেই হবে না, এবার সরাসরি "এ্যাকশন" নিতে হবে। দোষীদের দ্রুত বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে - এই দাবি জানিয়ে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করল সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। নিহতদের স্মরণে আজ ২৫ এপ্রিল বিকেলে রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা মোড় থেকে ডাবর মোড় পর্যন্ত বিশাল এক মৌন মিছিল আয়োজিত হয়। এই মিছিলে ব্লকের সর্বস্তরের মানুষজন যোগ দেন। মিছিল শেষে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ২৬ জন পর্যটকের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়। এরপর প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান, সহ-সভাপতি ভোলা সিং, আইএনটিটিইউসি ব্লক সভাপতি মনোজ তেওয়ারি, মহিলা নেত্রী অপর্ণা রায়, জিৎপুর-উত্তররামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুরজিৎ মোদক, প্রাক্তন প্রধান তাপস চৌধুরী। বক্তারা বলেন পাকিস্তানি মদতে অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। এই জঘন্য ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই হবে। এরই সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা দেশের আর কোথাও যাতে না ঘটে তার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ে সেনা মোতায়েন থাকলেও কেন এখন সেই ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছিল! পরে সাংবাদিকদের সামনে মহঃ আরমান বলেন, ২০১৪'র পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে অন্তত ৩৭ টি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। ছত্রিশগড় সহ বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী হামলা হয়েছে। বহু মৃত্যু দেখতে হয়েছে দেশকে। মনিপুর উত্তপ্ত হয়েছে, প্রাণ গেছে নিরীহ মানুষের।কুম্ভ মেলায় পুন্যার্থীরা প্রাণ দিয়েছেন। নোটবন্দীর পর সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভাঙেনি, মরেছে দেশের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতি। এরপরও বড় বড় ভাষণ দেওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করতে পারেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু এবার দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারকে বড় রকমের কিছু পদক্ষেপ করতেই হবে বলে তারা দাবি জানান।@প্রান্তভূমি
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ ২ মে:: পর্ষদ দিল মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২৫ এপ্রিল।।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে চলেছে ২ মে। পরীক্ষা নেওয়া শেষ হয়েছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। ফলে প্রায় ৭০ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বিষয়ে ২৪ এপ্রিল পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন ২ মে সকাল ন'টায় পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করবেন। সকাল ৯ঃ৪৫ মিনিটে এই ফলাফল ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। সকাল ১০ টা থেকে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প অফিসগুলি থেকে এলাকার স্কুলগুলি মাধ্যমিকের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবে ওই দিনই। ফলাফল জানার জন্য পর্ষদ নির্দিষ্ট আটটি ওয়েবসাইট এবং চারটি মোবাইল অ্যাপের উল্লেখ করেছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। সংবাদের সঙ্গেই সেইসব ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের হদিশ দেওয়া হলো।@প্রান্তভূমি
.

.
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় দিনের ব্যস্ততম সময়ে সভা আসানসোলের কেন্দ্রস্থলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ এপ্রিল:: দিনের ব্যস্ততম সময়ে আসানসোলের মূল জায়গায় মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় সভাকে ঘিরে চরম বিপাকে পড়লেন সাধারণ মানুষজন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তাহাফুজ ওয়াকফ কমিটির ডাকে এই সভা সকাল দশটা থেকে শুরু হয়। সভা শেষ করার সময় দুপুর একটা পর্যন্ত নির্দিষ্ট থাকলেও তা চলে প্রায় দুটো পর্যন্ত। আসানসোল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জি টি রোডের হটন রোড মোড় সংযোগস্থলে এই প্রতিবাদ সভার জন্য চার্চের কাছে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। এই সভাকে ঘিরে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্তের পাশাপাশি সকাল থেকেই হটন রোড থেকে স্টেশন রোড যাওয়ার রাস্তায় পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল অন্যান্য দিকেও। বিভিন্ন জায়গার মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা এই প্রতিবাদ সভায় শামিল হয়েছিলেন। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বক্তারা বলেন এই আইন তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। এই আইন ভারতের সংবিধানেরও পরিপন্থী। মুসলিমরা এই আইন কখনোই মেনে নেবেন না। দিনের ব্যস্ততম সময়ে একেবারে সিটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে জিটি রোডকে কেন্দ্র করে এই সভার জন্য সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হলেও পুলিশের বক্তব্য হল যে তারা যান চলাচল সহ অন্যান্য ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে মুসলিম নেতারা কোন শব্দ উচ্চারণ করেন নি বলে পথে বের হওয়া মানুষজন মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
সিআইএসএফ হেড কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা, চরম উত্তেজনা রূপনারায়ণপুর সীমান্তে; চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৪ এপ্রিল ::
বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তের ডোমদহ কাশিডাঙ্গা ধাঙ্গুড়ি অঞ্চলে একের পর এক দুষ্কর্মের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বাংলার সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ায় এবং ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানার আয়ত্বের বাইরে থাকায় এখানে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততটা জোরদার নয়। এরই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। গতকাল ২৩ এপ্রিল রাত ৯ টা নাগাদ এখানেই গুলিতে খুন করা হয়েছে সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল সুনীল পাসোয়ানকে (৪৫)। সুনীলবাবু বোকারোর ফুসরায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মিহিজামের বরাইপাড়া এলাকায়। হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার ডোমদহ উপর পাড়া এলাকায়। এখানেই কিছুদিন আগে জমি কিনেছিলেন সুনীল বাবু। সেই জমিতে বাড়ি তৈরির প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছিল। জানা গেছে ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় জনা পাঁচেক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন সুনীল বাবু। তারা সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন বলেও পুলিশের অনুমান। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা ওই এলাকায় যাওয়ার আগে ডোমদহর সরকারি মদের দোকানের কাছে থাকা একটি দোকান থেকে কিলোখানেক মুরগি কেনেন। ঘটনাস্থল ডোমদহ সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে শুনশান জায়গায়। এখানেই গুলি চলে এবং সুনীল বাবুর মাথার পিছনের দিকে কানের পাশে গুলি লাগে। বিষয়টি জানতে পেরেই মিহিজাম থানা এবং সালানপুর ও রূপনারায়ণপুর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছুটে আসেন এসিপি কুলটি জাবেদ হোসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুনীল বাবুদের সঙ্গে থাকা এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করে পুলিশ। কিন্তু কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল, কেইবা গুলি চালালো, কেনই বা সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত সুনীল পাসোয়ানকে খুন হতে হলো সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানাচ্ছেনা পুলিশ । তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক, মদের বোতল ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ এসিপি কুলটি জাবেদ হোসেন বলেন তিনি নিজে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টির দেখভাল করছেন। তবে এখনো পর্যন্ত বলার মত বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি। আরো কিছুটা সময় পুলিশকে দিতে হবে। মিহিজাম থানার ওসি বিবেকানন্দ দুবে এই ঘটনায় সমস্ত দিকে দুই রাজ্যের পুলিশের সমন্বয়ের উপর জোর দেন। তিনি বলেন দ্রুতই এই ঘটনার কিনারা হবে। সুনীল বাবুর মর্মান্তিক এই পরিণতিতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তার স্ত্রী ও দুই পুত্র। এদিকে আজ ২৪ এপ্রিল সকালেও পুলিশের বিশাল বাহিনী ওই এলাকায় যায় এবং দিনের আলোয় সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে। গতরাতে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোথায় কিভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
.

.
গ্রীষ্মে ব্লাড ব্যাংকের আকাল মেটাতে এগিয়ে এল জেমারি রেলগেট ব্যবসায়ী সমিতি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ এপ্রিল :: গরমের সময় ব্লাড ব্যাংকে চলছে রক্তের আকাল। এইরকম মুহূর্তে জেমারি রেলগেট ব্যবসায়ী সমিতি পরিচালিত জীবন জ্যোতি'র উদ্যোগে স্থানীয় দুর্গা মন্ডপ প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হল। ২১ এপ্রিল শিবিরকে ঘিরে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত বিশ্বজিৎ হালদারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিবির শুরু হয়।
এদিন শিবিরে ২২ জন রক্তদান করেন। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে শিবিরটি সম্পন্ন হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংগৃহীত হয়। শিবির পরিচালনার জন্য সুব্যেন্দু নাথ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেন। শিবিরে রক্তদান করেছেন পাপ্পু দাস, জীবন সরেন, পরিমল নাথ, সুশান্ত মণ্ডল, অভিষেক তেওয়ারি, উৎপল কেওড়া, নীলকান্ত সাধু, গৌতম কুম্ভকার, রবি সিং, অশোক দাস, সুমিতা মণ্ডল, মানিক পাল, মীর জায়েদ আলম, নবীন পাল, আরিফ মহম্মদ, মহম্মদ বাবু আনসারি, নিতাই শর্মা, চন্দন মন্ডল, রঞ্জিত কুম্ভকার, তাপস পাল, অরূপকুমার পাল, প্রবোধ পাল।@প্রান্তভূমি
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুতে কেঁপে উঠলো চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ এপ্রিল:: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ংকর নরসংহারের ঘটনায় কেঁপে উঠলো রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন। কারণ এখানকার প্রতিষ্ঠিত একাধিক ভ্রমণ সংস্থা বহুদিন ধরেই ভ্রমণার্থীদের কাশ্মীর বেড়াতে নিয়ে যান। এবারও অক্টোবর থেকেই সেই যাতায়াত শুরু হয়েছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মাত্র একদিন আগেই কাশ্মীর থেকে ফিরেছেন এই অঞ্চলের ৩০ জনের একটি দল। এই ঘটনায় তাদের ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া "শুভেচ্ছা ভ্রমণ" সংস্থার তত্ত্বাবধায়কেরা শিউরে উঠছেন। কোন কারনে একটি দিন দেরি হয়ে গেলে কি ভয়ংকর পরিণতির সম্মুখীন তাদের হতে হতো সেই কথা ভেবে। তারা বলছেন এতদিন জম্মু-কাশ্মীর সফরের মধ্যে পহেলগাঁওয়ে পৌঁছে গেলে তারা নিজেদের সবচেয়ে সুরক্ষিত ভাবতেন। কিন্তু সবকিছু বদলে গেল। অন্তত আগামী দু'বছর কাশ্মীরে যাওয়ার কথা চিন্তা করা অসম্ভব বলে তারা মনে করছেন। একই কথা শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পরিচিত ভ্রমণ সংস্থা "ট্রাভেল এক্স" কর্তৃপক্ষেরও। তাদেরও একটি দল ১৪ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু ২০০৩ থেকে অন্তত ৩০ বার কাশ্মীর ভ্রমণে এই অঞ্চলের মানুষজনকে নিয়ে যাওয়া এই সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে আগামী দু'বছর তারা কোনভাবেই কাশ্মীর ভ্রমণের সূচি তাদের তালিকায় রাখবেন না। কাপুরুষের মত যেসব জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের প্রাণ নিলো সেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে তারা বলেন, এবছর মার্চ মাস থেকেই কাশ্মীর ভ্রমণের ব্যাপক ঢেউ উঠেছিল। সেখানকার কোন হোটেলের একটি রুমও খালি ছিল না। কিন্তু ২২ এপ্রিলের ঘটনা সমস্ত কিছু বদলে দিল। এই এলাকার আরেকটি প্রতিষ্ঠিত ভ্রমণ সংস্থা "ট্রাভেল প্ল্যানার"-এর পক্ষ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণে যাওয়া একটি দল এখনো শ্রীনগরের হোটেলে আছেন। ১৮-১৯ এপ্রিল তারা পহেলগাঁও ঘুরে এসেছেন। এখন শ্রীনগরে কারফু জারি হয়েছে। কিন্তু ফেরার ট্রেন ধরার তাড়া আর ভূস্বর্গের অস্থির পরিস্থিতি তাদের অস্থির করে রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ট্রাভেল প্ল্যানারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে ২০০৫ থেকে কাশ্মীরে পর্যটক নিয়ে যাওয়ার সূত্রে সেখানকার সমস্ত রকম পরিস্থিতির তারা মুখোমুখি হয়েছেন। একমাত্র ২০০৭ সালে একটি পশ্চিমবঙ্গের দল ও আরেকটি গুজরাটের পর্যটকদের বাসের উপর হামলা হলেও তার পরবর্তী সময়ে কখনোই পর্যটকেরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হননি। কারণ সাধারণ ধারণা ছিল উগ্রপন্থীরা সরকারি নিরাপত্তা বিভাগের উপরে হামলা চালালেও কখনোই পর্যটকদের ক্ষতি করে না। এবার সেই ধারণাও বদলে গেল। ভরসার জায়গাটা চলে গেল। ট্রাভেল প্ল্যানার কর্তৃপক্ষ বলছেন আগামী পাঁচ বছর কাশ্মীরের ট্যুর নিয়ে তাদের যথেষ্ট ভাবতে হবে। তবে ২২ এপ্রিলের হামলায় তিন বাঙালি পর্যটকের প্রাণ গেলেও চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর অঞ্চলের ভ্রমণপ্রিয় মানুষজনকে সেই আতঙ্কের মুখোমুখি হতে হয়নি এটুকুই যা সান্ত্বনা।@প্রান্তভূমি
জাতীয় সড়কে এ্যাসিড বোঝাই ট্যাঙ্কার উল্টে বিপত্তি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ এপ্রিল:: বিহার থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে 19 নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টে গেল একটি হাইড্রোক্লোরিক এ্যসিড বোঝাই ট্যাঙ্কার। এরফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র ধোঁয়া এবং গ্যাসের কটূ গন্ধে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসানসোল এবং বর্ধমানের দিকে যাতায়াতকারী জাতীয় সড়কের দুটি দিকেই যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়। যদিও এই দুর্ঘটনার ফলে হতাহতের কোন খবর নেই বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুর মুচিপাড়া সংলগ্ন উড়ালপুলের কাছে। আজ সকালে এই ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশ এবং দমকলে সংবাদ দেন। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দমকলের ইঞ্জিনের সঙ্গেই এলাকায় পৌঁছে যায় ভারী ক্রেন। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত গ্যাসের ট্যাংকারটিকে ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, হাইড্রোক্লোরিক এ্যসিড হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ। তীব্র কটূ গন্ধের এই গ্যাস বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি নানান শিল্প প্রক্রিয়াকরণে কাজে লাগে। লোকালয়ে এই গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে নানান স্বাস্থ্য-সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এদিন ঘটনার পরে পরেই পুলিশ ও দমকল বাহিনী স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়ায় বড় অঘটন কিছু ঘটেনি।@প্রান্তভূমি
ল্যাবরেটরিতে বিষ্ফোরণের জেরে মৃত্যু অধ্যাপকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ এপ্রিল:: ল্যাবরেটরিতে বিস্ফোরণের জেরে আগুনে ঝলসে মারা গেলেন অধ্যাপক। তবে জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন এক ছাত্র। অস্বাভাবিক এই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-তে। উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল থার্মিট ওয়েল্ডিং নিয়ে পরীক্ষাগারে গবেষণায় রত ছিলেন অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক (64) এবং এন আই টি'র ছাত্র আকাশ মাঝি। হঠাৎই পরীক্ষাগারে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ঝলসে যান এই দুজন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুর্গাপুর গান্ধী মোড়ের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রায় ৭০% দগ্ধ অধ্যাপক বসাকের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হয়ে ওঠায় তাকে রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এন আই টি কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন যে কোনো মূল্যেই তারা অধ্যাপক বসাককে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তুলবেন। এরপর থেকে দিল্লিতেই ভেন্টিলেশনে রেখে তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল করে আজ ২১ এপ্রিল তিনি প্রয়াত হন। তার প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুর্গাপুর এন আই টি-তে। উল্লেখ্য, নিজের বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক এই এন আই টিরই ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি এখানে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ছিল অবসর নেওয়ার কথা। এরই মধ্যে কিছুদিন তিনি দুর্গাপুর এন আই টি'র ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেছেন। সিটি সেন্টার রিকল পার্কের বাসিন্দা অধ্যাপক বসাক এনআইটির একজন কর্মনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে।@প্রান্তভূমি
ডিএভি'র নতুন অধ্যক্ষ ডঃ পুনম সিং

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ২১ এপ্রিল।।
হিন্দুস্তান কেবলস ডিএভি পাবলিক স্কুলের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত ডক্টর পুনম সিং। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড মেডালিস্ট ডক্টর সিং অর্গানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার সুদীর্ঘ শিক্ষক জীবনে ২৫ বছর শিক্ষকতার পাশাপাশি কুড়ি বছর ধরে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করছেন। ছত্রিশগড় রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি দক্ষতার সঙ্গে তার গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন রাজস্থান কোটায়। ৯ এপ্রিল এখানে যোগ দেওয়ার পর আজ ২১ এপ্রিল থেকে পুরোদমে তিনি স্কুলের পরিবেশ, পরিকাঠামো এবং শিক্ষাদানের বিষয়গুলি নিয়ে জোর কদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রান্তভূমির সম্পাদক অভয় মন্ডলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি জানান অবিলম্বে এখানকার একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুলেই বিশেষ কোচিং শুরু হচ্ছে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সি এ কোর্সের যাবতীয় প্রশিক্ষণ স্কুলেই দেওয়ার বিষয়ে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল ডক্টর সিং বলেন, অতিরিক্ত অর্থ এবং সময় ব্যয় করে পড়ুয়াদের কোচিং নেওয়ার জন্য বাইরে ছুটতে হয়। এবার সেই অসুবিধা আর থাকবে না। ইতিমধ্যেই সায়েন্স আর্টস এবং কমার্সের প্রায় ১৮০ জন পড়ুয়া বিশেষ কোচিংয়ের জন্য তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে বলে জানা গেছে। প্রিন্সিপাল বলেন, তার দীর্ঘ শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি এই বিষয়টিকে পরিচালনা করবেন। পরবর্তী সময়ে অষ্টম শ্রেণী থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিশেষ এই কোচিংও চলতে থাকবে বলে তিনি জানান। এই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও আধুনিকতা আনার জন্য প্রতিটি ক্লাসে স্মার্ট বোর্ড, কম্পিউটার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে মানসিকভাবে উন্নত থাকতে পারে সেজন্য স্কুল পরিসরে আরো গাছ লাগানো, সবুজ ঘাসের এলাকা বৃদ্ধি করা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পড়ুয়াদের পরীক্ষাভীতি কাটিয়ে ওঠা ও মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন অধ্যক্ষ বলেন, তার লক্ষ্য হলো এই স্কুলের প্রতিটি পড়ুয়াকে সব দিক দিয়ে সুযোগ্য করে তোলা।@প্রান্তভূমি
ফিল্মি কায়দায় রূপনারায়ণপুর থেকে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ এপ্রিল:: রূপনারায়ণপুরের ভরা বাজারে দিনের আলোয় একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করল চিত্তরঞ্জনের রেল রক্ষী বাহিনী। রূপনারায়ণপুরের ওই বাসিন্দা সি শ্রীবাস্তব চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ভেতর থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরিতে অভিযুক্ত। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় লুকনোর জন্য হেলমেট পরে ১৫ এপ্রিল কারখানার ভেতরে ঢুকে যান। এরপর যন্ত্রাংশ চুরি করে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। যদিও কারখানার আনাচে কানাচে বসানো সিসিটিভি ফুটেজে সর্বক্ষণ নজর থাকে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মী আধিকারিকদের। এদিকে কারখানার একটি নির্দিষ্ট বিভাগে যন্ত্রাংশ কম থাকায় সন্দেহ দানা বাঁধে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের। এরপরই সুনির্দিষ্টভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে হেলমেট পরিহিত ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। খোঁজখবর নিয়ে তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তি কারখানার কর্মী নন। এরপরই জোরদার তদন্ত শুরু হয় এবং রূপনারায়ণপুরে তার খোঁজ মেলে। সেই মত আজ ১৯ এপ্রিল সকালে তার বাড়িতে হানা দেয় আরপিএফ। কিন্তু বিপদ বুঝে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে সন্তর্পণে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু নাছোড় আরপিএফ রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে থেকে তাকে রীতিমতো ধাওয়া করে ধরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন এ সময় আরপিএফকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। ওই অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা এক মহিলা আর পি এফকে বাধা দেবার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আরপিএফ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। জানা গেছে কর্মী সেজে ভিড়ের মধ্যে ওই ব্যক্তি আগেও কারখানার ভেতরে ঢুকে যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। এবার যাতে ওই ব্যক্তি কড়া শাস্তির মুখে পড়ে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছে আরপিএফ।@প্রান্তভূমি
৩১ লক্ষ টাকা তছরুপের দায়ে সালানপুর থানায় অভিযোগ বিডিও'র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগে সালানপুর থানায় এফ আই আর দায়ের হল। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন সালানপুর ব্লক প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত হয়েছেন জিতপুর উত্তররামপুর এলাকার "আদর্শ সংঘ মহিলা মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেড"-এর ২ জন কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার। তারা হলেন সংঘনেত্রী যিনি ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য চেকে স্বাক্ষর করার অধিকারী বাসন্তী সরেন এবং তার সহযোগী রাসমণি বেসরা। বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের অত্যন্ত স্বল্প সুদে ঋণদানের জন্য যে টাকা অভিযুক্ত সংঘকে দেওয়া হয়েছিল তার পুরোটাই তারা কাউকে না দিয়েই আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পারার পরেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্তে পুলিশ যে সহযোগিতা চাইবে তা ব্লক প্রশাসন থেকে করা হবে। জানা গেছে, ২০১৭ সালে এই আদর্শ সংঘ মহিলা মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেড গঠিত হয়। এরপর ভারত সরকারের প্রকল্প "জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন" বা এন আর এল এম ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকা দেয় এই সংঘকে। এই অর্থ স্থানীয় স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের আর্থিক উন্নয়নে বার্ষিক ৬ থেকে ৯ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেওয়ার কথা। এছাড়াও হতদরিদ্র পরিবারগুলির অবস্থা ফেরানোর জন্য বিনা সুদে টাকা ধার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্লক মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট লাগাতার অডিট করে দেখতে পায় কো-অপারেটিভের ক্যাশ বইয়ের সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টের নথিপত্রে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২২ সালের স্ট্যাটুটরি অডিট রিপোর্টও খতিয়ে দেখে ব্লক প্রশাসন বুঝতে পারেন তহবিল ব্যবহারের কোন নথিই সঠিক নয়। বলতে গেলে এ সংক্রান্ত কোনো নথিপত্রই তারা পাননি। একাধিক তদন্তে টাকা তছরুপের বিষয়টি সামনে আসায় চলতি মাসে বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস সালানপুর থানায় অভিযোগ (কেস নং - ৫৮/২৫) দায়ের করেন। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাসন্তী সরেন এবং রাসমণি বেসরাকে অভিযুক্ত করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২)/ ৩১৮ (৪)/ ৩১৬(২)/ ৩১৬ (৫) এবং ৬১(২) ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত এক কর্তা বলেন গরীব মানুষকে সহযোগিতার জন্য সরকার যে অর্থ দিয়েছিল তার পুরোটাই আত্মসাৎ করে নেওয়ার এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সদস্যদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে, নিজেদের জীবিকা অর্জনে প্রকল্প গড়ে তুলতে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন এই অর্থ ব্যয় করে, কিন্তু সেই অর্থ প্রাপকের কাছে না গিয়ে সংঘের নেত্রী ও তার সহযোগী আত্মসাৎ করেছেন এই অভিযোগ সামনে আসায় প্রশাসন অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিয়েছে। বাকি কাজ পুলিশকে করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে এই বিষয়টি নিয়ে আছড়া পঞ্চায়েত এলাকার একটি কমিউনিটি হলে বৈঠক চলাকালীন চূড়ান্ত অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল এই সংঘের সঙ্গে জড়িত সদস্যাদের। টাকা তছরুপের বিষয়টি সে সময় উঠে এলেও ঘটনাটি পরবর্তী সময়ে ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু এবার বিডিও এফআইআর করায় ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
অজয় নদে তীব্র বিষ্ফোরণ পাথর কারবারীদের::বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ক্ষতির আশঙ্কা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: অজয় নদে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর তোলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসলো চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। তাদের আশঙ্কা অতি ভারি মাত্রার এই বিস্ফোরণের জেরে নদ সংলগ্ন চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শ্মশানের চিমনি এবং চুল্লির ঘর যে কোন মুহূর্তে এই বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে রেল প্রশাসনের নির্দেশে আরপিএফ আধিকারিকেরা আজ ১৮ এপ্রিল ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন বলে জানা গেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সকাল দুপুর রাত সবসময়ই প্রয়োজনমতো অজয় নদের একেবারে বালির মধ্যে ডিনামাইট জাতীয় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মূল্যবান পাথর তুলে নেওয়া হচ্ছে। নদীগর্ভ থেকে সেই পাথর পরিবহনের জন্য অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণের জেরে নদীগর্ভে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সব গর্ত জলে ভরে গেলে সমূহ বিপদে পড়বেন নদীতে স্নান করতে যাওয়া কিংবা হেঁটে নদী পারাপারকারী মানুষজন। নদীগর্ভ থেকে পাথর তুলে নেওয়ায় নদীর গতিপথ যেমন অবিন্যস্ত হচ্ছে তেমনই সেখানে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার মাইতি বলেন তিনি অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরপিএফকে নির্দেশ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন সংশ্লিষ্ট ভূমি দপ্তর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জানতে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটিকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের আওয়াজ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও শুনতে পাওয়া যায় বলে চিত্তরঞ্জনের এক বাসিন্দা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন মৃতদেহ চুল্লিতে দাহ করার জন্য নিয়ে গিয়ে তারা ওই বিস্ফোরণের প্রায় মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন থানার আইসি ইসমাইল আলি বলেন ঘটনাস্থল কোথায় পড়ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য অবিলম্বে পুলিশ তদন্ত করবে। এদিকে জানা গেছে বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় যাতে কোন বিপত্তি না হয় সেজন্য পাথর কারবারীরা ওই এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু চিত্তরঞ্জন শহর ঘেঁষা অজয় নদের ধারে অবস্থিত বৈদ্যুতিক চুল্লিতে বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে অহরহ মৃতদেহ দাহ করার জন্য লোকজন আসেন। তারা যে কোন সময় জখম হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এক শ্মশান যাত্রী।@প্রান্তভূমি
.

.
দুদিন কালবৈশাখী বাধা হলেও রূপনারায়ণপুর বই মেলায় বিক্রি ছাড়ালো ৬ লক্ষ টাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৭ এপ্রিল।।
বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে প্রায় দুটি দিন। তারপরও রূপনারায়ণপুর সুভাষ গ্রামীণ বইমেলায় এবছর বই বিক্রি এবং বইপ্রেমীদের সংখ্যা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক ছিল। এবার বই বিক্রির পরিমাণ প্রায় সওয়া ৬ লক্ষ টাকা। কম করেও ৮০০০ মানুষ বইমেলায় প্রবেশ করেছেন। ৮ থেকে ১৬ এপ্রিল নির্ধারিত ৯ টি দিনের মধ্যে ১৪ এপ্রিল বিকেল থেকে নাগাড়ে ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রকাশকেরা তাদের স্টল খুলতেই পারেননি। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল সন্ধের পর ঝড় বৃষ্টি থামলেও বইমেলামুখো হওয়ার সাহস পাননি পুস্তকপ্রেমী মানুষজন। তার মধ্যেই ঐদিন প্রায় ১০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। তবে বিক্রির হিসেবে শেষ দুটি দিনে ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ এবং ১৬ এপ্রিল প্রায় সওয়া লাখ টাকা করে বই বিক্রি হয়েছে। ৮ এপ্রিল উদ্বোধনের দিনেই বই বিক্রি হয়েছিল ৪৯ হাজার টাকার। বইমেলার আয়োজক সংস্থা পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়া ইয়ুথ ক্লাব বইমেলাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এলাকার প্রায় প্রতিটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যের প্রবেশপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন। কালবৈশাখীর দুর্যোগ সত্ত্বেও বিক্রি-বাটার পরিমাণ নিয়ে প্রকাশকেরাও সন্তুষ্ট।@প্রান্তভূমি
বদলি হলেন এলাকায় ছাপ রেখে যাওয়া ডিএভি'র জনপ্রিয় অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৬ এপ্রিল।।
হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলকে এক অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছিলেন এই স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার। এবার শ্রী মজুমদারকে এখান থেকে বদলি করে দায়িত্ব দেওয়া হল মেজিয়ার ডিভিসি এমটিপিএস-ডিএভি'র। খুব কম সময়ের কার্যকালের মধ্যে সঞ্জয়বাবু রূপনারায়ণপুর ডিএভির সার্বিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। মজবুত শিক্ষাদানের পাশাপাশি স্কুলকে কেন্দ্র করে নানান সামাজিক কর্মকান্ড তার সময়ে এলাকায় বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে স্কুল ভবনের সংস্কারের পাশাপাশি স্কুল সংলগ্ন অঞ্চলকে স্কুলের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছিল। স্কুলের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে তার এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্কুলের উচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বৌদ্ধিক মহল। স্কুলের উন্নয়নে স্থানীয় অন্যান্য ডিএভি স্কুল এবং এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নানান সামগ্রী সহযোগিতা হিসেবে তিনি চেয়ে-চিন্তে জোগাড় করেছিলেন বলে জানা গেছে। পড়ুয়াদের লেখাপড়ার একঘেয়েমি থেকে মুক্ত করতে তার নানান পদক্ষেপ অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল । বিশেষ করে মানুষের মনে দাগ কেটেছে ডান্ডিয়া ফেস্ট, রঙ্গোলি এবং নৃত্য প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম। রাজ্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুল সামাজিক অবদানের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উজ্জ্বল সংস্থা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে, যখন তৎকালীন অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদারের প্রচেষ্টায় যক্ষা রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য যোগানোর দায়িত্ব নেয় এই স্কুল। এই মহান উদ্যোগের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এই স্কুলকে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এলাকার একটি অগ্রণী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সঞ্জয়বাবুর হাত ধরে ডিএভি ধারাবাহিকভাবে সামাজিক অবদান রেখে গেছে। যেমন বৃদ্ধাশ্রমে একাধিকবার আবাসিকদের শীতবস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য দেওয়া; এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, কুষ্ঠ কলোনিতে গিয়ে মানুষের সেবায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের সেবায় নিয়োজিত করা তার সময়েই দেখা গেছে। এছাড়াও জোনাল স্পোর্টস মিট আয়োজন, ডিএভি জাতীয় ক্রীড়ায় এই স্কুলের সাফল্য অভিভাবকদের সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রত্যক্ষ করেছেন। স্কুলের ছেলেমেয়েরা যাতে সকলেই ভালো ফলাফল করতে পারে সেজন্য নানান চিন্তাভাবনা করেছিলেন শ্রী মজুমদার। আমরা জানতে পেরেছি যেসব ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার দিক দিয়ে কিছুটা দুর্বল তাদের বাড়িতে বাড়িতে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পাঠিয়ে তাদের পড়াশোনায় নিয়োজিত রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। তার এই অনুসরণকারী পদক্ষেপের সংবাদ প্রান্তভূমি সহ অন্যান্য জাতীয় স্তরের সংবাদপত্রে স্থান পেয়েছিল। তার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে বহু অভিভাবক তার সাথে দেখা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, পরিবেশ নির্মল রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় গাছের চারা রোপন, স্কুলে রক্তদান উৎসব আয়োজন সমস্ত কিছুই ছাত্রছাত্রীদের কাছে নতুন এক দিক খুলে দিয়েছিল। স্কুলের প্রাক্তনী যারা এখন কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রশাসক, কেউবা সাংবাদিক বা আরো বড় কোন পদে আসীন তাদের স্কুলে এনে বর্তমান পড়ুয়াদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে শ্রী মজুমদারের প্রচেষ্টা ছিল লক্ষ্যণীয়। এ হ্যানো অধ্যক্ষের বদলিতে মন খারাপ চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস সালানপুরের। তবে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ডিএভি একটি অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সারাদেশে বহু যুগ ধরে এই প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াকে জীবনে প্রতিষ্ঠা এনে দিচ্ছে। সেই কাজে তিনি একজন সৈনিক মাত্র। তার লক্ষ্য, এই স্কুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই যেন ভালো থাকেন সেই প্রচেষ্টা জারি রাখা। তিনি যেখানেই থাকুন সেই কাজ আজীবন করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
দেন্দুয়ার যানজট নিরসনে বিডিও অফিসে বৈঠক, ইসিএলকে এক সপ্তাহ সময় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরের; বিকল্প রাস্তা তৈরির প্রস্তাব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ এপ্রিল:: আসানসোল- চিত্তরঞ্জন রোডের উপর দেন্দুয়া মোড়ের অভূতপূর্ব যানজট নিয়ন্ত্রণে পাকাপাকি ব্যবস্থা নিতে আজ সালানপুর বিডিও অফিসে অতি গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের পৌরহিত্যে এই বৈঠকে অংশ নেন- ইসিএল বনজেমারির এজেন্ট দীনেশ প্রসাদ, সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির নিরাপত্তা আধিকারিক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, তৃণমূল নেতা মুকুল উপাধ্যায়, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, কুলটি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইনচার্জ সৌরভ চৌধুরী, কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ওসি লাল্টু পাখিরা, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং, দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রকাশ মাজি, সালানপুর পঞ্চায়েতের পক্ষে ফুচু বাউরি। বৈঠকে মুকুল উপাধ্যায় বলেন এখন সালানপুর ব্লকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে দেন্দুয়ার যানজট। এই জট ছাড়ানোর জন্য পাকাপাকিভাবে ব্যবস্থা নিতেই হবে। দীর্ঘ আলাপ আলোচনায় উঠে আসে যে, মূলত ইসিএল-এর কয়লাবাহী ডাম্পার, বড় বড় ট্রাক, ট্রেলার চলার জন্যই যানজটে বিপর্যস্ত হচ্ছে দেন্দুয়া মোড়। সেজন্য ইসিএলকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাত ন'টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত তারা কয়লা পরিবহনকারী বাহন চালাক। দিনের বেলায় সকাল সাতটা থেকে রাত্রি ন'টা পর্যন্ত এইসব ভারী বাহনের জন্য "নো এন্ট্রি" ব্যবস্থা কড়া হাতে কার্যকরী করবে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও দেন্দুয়া শিল্প তালুকের মূলত দুটি বড় কারখানা থেকে মালবাহী ট্রাক দেন্দুয়া মোড় হয়ে যাতায়াত করে। সেগুলিকেও কল্যানেশ্বরী হয়ে জাতীয় সড়ক ধরার ব্যবস্থা করবে ট্রাফিক পুলিশ। এরই সঙ্গে ই সি এল কর্তৃপক্ষকে মুকুল উপাধ্যায় একটি বিকল্প রাস্তা তৈরীর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ধুন্দাবাদ মোড় থেকে ডানদিকে খুদিকা হয়ে মেলেকোলা এলাকার জাতীয় সড়ক পর্যন্ত একটি নিজস্ব রাস্তা তৈরি করুক ই সি এল। তাহলে ডালমিয়া সাইডিংয়ে যাতায়াতের জন্য কোনভাবেই দেন্দুয়া এলাকা প্রভাবিত হবে না। দেন্দুয়া মোড়কে ঘিরে যেভাবে দিনের পর দিন যানজট বেড়ে যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষ মারাত্মক অসুবিধায় পড়ছেন জানিয়ে এদিনের বৈঠক থেকে ই সি এল কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে কোনোভাবেই দিনের বেলায় তাদের কয়লাবাহী বাহন চলতে দেওয়া হবে না বলে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক উভয় স্তর থেকেই পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বনজেমারির এজেন্ট শ্রী প্রসাদ অবিলম্বে ইসিএলের উচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও তিনি বলেন দিনের বেলায় কয়লা পরিবহন করতে না দিলে তাদের কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। কিন্তু এই বিষয়টিতে বিডিও শ্রী বিশ্বাস সহমত পোষণ করেননি। বৈঠক থেকে উঠে আসে যে, এখন দৈনিক প্রায় ৬০০ খেপ কয়লাবাহী ডাম্পার দেন্দুয়া মোড় হয়ে চলাচল করে। ইসিএল কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা চলতি আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ করে দেওয়ায় কয়লাবাহী বাহনের সংখ্যা হাজার ছুঁয়ে যাবে। এত চাপ আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডের উপর নেওয়া কোন মতেই সম্ভব নয় বলে সকলেই উল্লেখ করেন। সালানপুর এরিয়ার কেন্দ্রীয় সাইডিং বনজেমারিতে হওয়ায় সমস্ত কোলিয়ারীর কয়লা এখানে এসে জমা হওয়ার পর তা অন্যত্র পাঠানো হয়। এই কাজ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাবে । সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বিকল্প রাস্তা তৈরীর প্রস্তাব ইসিএল যাতে দ্রুত কার্যকর করে সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে চাপ দেন মুকুল উপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। তারা বলেন দেন্দুয়া মোড়কে কোনভাবেই আর যানজটে ফেলা যাবে না। তার জন্য এক সপ্তাহ সময় ই সি এলকে বরাদ্দ করা হয়েছে। বৈঠকের কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট আশাবাদী মহম্মদ আরমান বলেন এই ব্যবস্থা যে কোন মূল্যেই কার্যকরী করতেই হবে। তিনি বলেন গতকাল পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে রূপনারায়ণপুরে এসে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।@প্রান্তভূমি
চাকরিহারা শিক্ষকদের নির্যাতনের প্রতিবাদে থানায় ডেপুটেশন কংগ্রেসের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: অভূতপূর্বভাবে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। চাকরিহারা এইসব শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা আন্দোলন করতে গিয়ে ডিআই অফিসের সামনে যেভাবে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার প্রতিবাদে সারা রাজ্যে আজ থানাগুলিতে ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি করল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এবং চিত্তরঞ্জন থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। রূপনারায়ণপুরে সালানপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অংশুমান মাহাতা সহ সর্বজিত সিনহা ও অন্যান্যরা ওসি অরুনাভ ভট্টাচার্যের হাতে প্রতিবাদ পত্র তুলে দেন। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ পত্রের প্রতিলিপি চিত্তরঞ্জন পুলিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন এস কে শাহি সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ পত্রে বলা হয়েছে ডিআই অফিসের সামনে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর পুলিশ যে নির্মম আচরণ করেছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। এমনকি অনশনরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে গিয়ে সহানুভূতি দেখাতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সহ অন্যান্যদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে পুলিশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব পুলিশকে বলেছেন সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মদিনের প্রাক্কালে তারা পুলিশকে মনে করিয়ে দিতে এসেছেন যাতে পুলিশ কোন দলের প্রতি নয়, একমাত্র সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তাদের সঠিক কর্তব্য পালন করেন।@প্রান্তভূমি
মৌমাছির মুহুর্মুহু দংশনে বিপর্যস্ত চিত্তরঞ্জন ৩ নং গেট, হাসপাতালে ভর্তি ৬, গুরুতর জখম ১

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৩ এপ্রিল।।
আজ সকাল থেকেই চিত্তরঞ্জনে প্রবেশের প্রধান দরোজা তিন নম্বর গেট এলাকায় মৌমাছির মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত হচ্ছেন পথচারীরা। এপর্যন্ত চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে মৌমাছির দংশনে গুরুতর জখম হয়ে ৬ ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রত্যেককেই আইসিইউ- এ রাখতে হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাকে চিত্তরঞ্জন থেকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলেও বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। আজ সকাল ১১ টা নাগাদ তিন নম্বর গেট এলাকায় মৌমাছির ব্যাপক আক্রমণে বহু পথচারী রাস্তায় পড়ে ছটফট করছিলেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান আর পি এফ এবং স্থানীয় মানুষজন। পরবর্তী সময়ে মৌমাছির আক্রমণের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে পারাপার করা মানুষজন আবার মৌমাছির আক্রোশের শিকার হন। তাদের মধ্যে আমলাদহি বাজারের বহু পুরনো ব্যবসায়ী স্বস্তিক ঘড়ি ঘরের মালিক সুশীল দাস। সুশীলবাবু দোকান বন্ধ করে কল্যাণগ্রাম ২/৩ এলাকায় রামকৃষ্ণপল্লীর বাড়িতে ফেরার পথে মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়েন। এই আক্রমণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে তাকে বাঁচানোর জন্য সহজে কেউ এগিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। বেশ কিছুক্ষণ তিনি অসহায়ের মত মৌমাছির দংশন সহ্য করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত অচৈতন্য হয়ে যান। এ সময় সেখান দিয়ে পার হওয়া সমাজকর্মী ছাত্রনেতা মিঠুন মন্ডল অন্যান্যদের সহযোগিতায় সুশীল বাবুকে কোনক্রমে উদ্ধার করে কেজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা দ্রুত তার শরীর থেকে মৌমাছির হুল বের করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন। তবে তার মুখ মাথা এবং শরীরের সমস্ত অংশে যেভাবে হুল ফুটে আছে তা যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
.

.
মাত্র ২ জন পড়ুয়া নিয়ে চলছে একটি গোটা হাইস্কুল! শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষিকাদের বদলির দাবিতে সোচ্চার সিআরএমসি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ এপ্রিল:: একেবারে যাকে বলে উলট পুরাণ - সম্পূর্ণ সেটাই ঘটে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের একটি স্কুলে। সিনিয়র বেসিক স্কুল চিত্তরঞ্জন নামের এই হাইস্কুলটি রাজ্য সরকার পরিচালিত। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সারা রাজ্যে যখন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়ে হাহাকার করছেন, স্কুলগুলি চরম সমস্যায় পড়েছে শিক্ষক শিক্ষিকা না থাকায় - সেখানে চিত্তরঞ্জন সিনিয়র বেসিক স্কুলে মাত্র নামকাওয়াস্তে দুজন পড়ুয়া থাকলেও এখানে রয়ে গেছেন ৭ জন টিচার ও একজন ক্লার্ক। যদিও চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং পশ্চিম বর্ধমানের জেলা স্কুল পরিদর্শককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন এই স্কুলে ১৩ জন টিচার এবং একজন ক্লার্ক আছেন যাদের আক্ষরিক অর্থেই কোন কাজ নেই। এদের অবিলম্বে এখান থেকে অন্যত্র বদলি করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজ ১২ এপ্রিল ইন্দ্রজিৎ বাবু সেই চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দাবি করেছেন এই স্কুলের অবস্থা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে। ইন্দ্রজিৎ বাবুর দাবি এইসব টিচাররা দিনের পর দিন কোন কাজ না করেই মোটা অংকের বেতন নিচ্ছেন যা সরকারি কোষাগারের অপচয়। চিঠিতে তার অভিযোগ এই স্কুলে মিড ডে মিল ব্যবস্থাও চালু আছে, কিন্তু তার প্রশ্ন - সেই মিড ডে মিল কে খায়! এই বাবদ ধার্য অর্থই বা কোথায় যায়!
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা অর্ধেন্দু রায় বলেন, তারা এই বিষয়ে একাধিকবার ডেপুটেশন দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। সেই ডেপুটেশনের ভিত্তিতে ডিআই বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য এসআই চিত্তরঞ্জনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এস আই স্কুলে গিয়ে সমস্ত কিছু দেখে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। এরপর ডিআই নিজেও স্কুলটি দেখে যান। পরবর্তী সময়ে ডিআই তার রিপোর্ট উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেন বলে মাস পাঁচেক আগে অর্ধেন্দু বাবুরা জানতে পেরেছিলেন, কিন্তু তারপর আর কিছুই হয়নি। অর্ধেন্দু বাবু বলেন সরাসরি মিড ডে মিলের ব্যবস্থা এখানে ছিল না। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে সালানপুর বিডিও থাকাকালীন তপন সরকার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রান্না করা খাবার এই স্কুলে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি বলেন এখানকার টিচারদের কাছাকাছি মহিলা সমিতি, আছড়া রায় বলরাম বা কল্যানেশ্বরী হাইস্কুলে বদলি করে দিলে ওই স্কুলগুলির শিক্ষকের ঘাটতি কমতো, অন্যদিকে এই
স্কুলটিকে পাশাপাশি কোনো স্কুলের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে যে কজন পড়ুয়া সেখানে ছিল তারাও প্রাণ ফিরে পেতো। কিন্তু কোন কিছুই হয়নি । উল্টে এখানকার টিচাররা অলসভাবে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ঘটনা অত্যন্ত অস্বস্তিকর বলে তিনিও মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, চিত্তরঞ্জন রেল শহরের অত্যন্ত নামকরা স্কুল ডি ভি গার্লস হাই স্কুলের ভেতরের একটি অংশে রাজ্য সরকারের পরিচালনায় এই স্কুলটি চলছে। কিন্তু এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখানকার টিচারদের অন্যত্র বদলি করে সেখানকার শিক্ষক শিক্ষিকার ঘাটতি মেটাতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। অর্ধেন্দু বাবু বলেন এখন দশম শ্রেণীতে পাঠরত মাত্র দুজন পড়ুয়া আছে। তাদের স্কুলে আসার কোন ঠিক ঠিকানাই থাকে না। অন্যদিকে ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন এইসব টিচারদের এই স্কুলটিতে রেখে দিয়ে বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ। দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন শ্রী সিং।@প্রান্তভূমি
দেন্দুয়া মোড়কে যানজট মুক্ত করতে ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদিক সম্মেলন তৃণমূলের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ এপ্রিল:: দেন্দুয়াকে যানজট মুক্ত করতে এবার আসরে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। কিভাবে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডের উপর এই এলাকার অভূতপূর্ব যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই বিষয়ে আজ হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান। ছিলেন সহ-সভাপতি ভোলা সিং এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র। শ্রী আরমান বলেন এই অঞ্চলের যানজটে এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আসানসোল যাতায়াতের ক্ষেত্রে দিনে এক থেকে দুই ঘন্টা এই দেন্দুয়া মোড়ে আটকে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়া, অফিসযাত্রী, অ্যাম্বুলেন্স সহ সমস্ত ধরনের বাহন ও মানুষকে। এই পরিস্থিতি শেষ করার জন্য ইতিমধ্যেই বহু সংগঠন আবেদন নিবেদন করেছে। সেইসবের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বারাবনির বিধায়কের কাছে দরবার করেছেন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে ১৬ এপ্রিল সালানপুর বিডিও অফিসে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানান শ্রী আরমান। তিনি বলেন ওই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে ই সি এল-এর বনজেমারি সাইডিং যাতে অতি দ্রুত ডালমিয়ায় সরে যায় সেই কাজ অবিলম্বে শেষ করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় শিল্প তালুকে মালপত্র বহনকারী যেসব ট্রাক ট্রেলার ডাম্পার দেন্দুয়া মোড় হয়ে যাতায়াত করছে সেগুলিকে পুলিশ যাতে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কল্যানেশ্বরী বাইপাস হয়ে জাতীয় সড়কে ওঠে তার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দিনের বেলায় দেন্দুয়া মোড় হয়ে কোনো বড় ট্রাক যাতে যেতে না পারে সেজন্য নো এন্ট্রি কঠিনভাবে অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও কোলিয়ারীর ডাম্পার অবশ্যই রাত দশটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত যেন চলাচল করে সেজন্য দিনের বেলায় তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই বিষয়গুলি অনুসরণ করলে দেন্দুয়া মোড় যানজট মুক্ত হবে বলে এদিন সাংবাদিকদের জানান তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কথা প্রসঙ্গে জানা যায় চৌরঙ্গী থেকে ঝাড়খন্ড পর্যন্ত ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের বিষয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার কাজ শুরু হতে চলতি বছরের শেষাশেষি লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে এই কাজের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট দিল্লিতে গেছে। সেখানে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে অর্থ মঞ্জুর করার পর টেন্ডার হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে শ্রী আরমান উল্লেখ করেন। তিনি বলেন কোনভাবেই দেন্দুয়া মোড়কে আর যানজটে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন এই বীভৎস অবস্থায় যাদের জন্য পড়তে হচ্ছে তাদের উদ্যোগ নিতে হবে এই রাস্তাটিকে চলাচলের উপযুক্ত করে রাখার জন্য। তিনি বলেন 16 এপ্রিল এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তারা দৃঢ় বিশ্বাসী।@প্রান্তভূমি
বন্ধ ফ্ল্যাটে দুঃসাহসিক চুরি রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১১ এপ্রিল।।
রূপনারায়ণপুরে আবার চুরির ঘটনা ঘটলো। এবার বন্ধ ফ্ল্যাটে। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কয়েক হাত দূরেই হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর শিবানী অ্যাপার্টমেন্টে ১০ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটেছে। সম্ভবত চুরির বিষয়টি ঘটানো হয়েছে দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা ছ'টার মধ্যে। ফলে দিন দুপুরে এমন ঘটনায় ভয়ানক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাট নাম্বার এস-১'এর বাসিন্দা সুমিতা ব্যানার্জি ৯ এপ্রিল জামশেদপুরে তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। গতকাল ১০ এপ্রিল সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা তাকে জানান যে তার ফ্ল্যাটের তালা ভাঙ্গা এবং দরজা হাওয়ায় দুলছে। এরপর প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে দেখেন শাবল জাতীয় কিছু দিয়ে তালা ভাঙ্গা হয়েছে, তারপর ইন্টারলক ভেঙে চোরেরা ভেতরে ঢুকেছে। খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যাতেই রূপনারায়ণপুর পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে। এদিকে আজ ১১ এপ্রিল সুমিতাদেবী এবং তার জামাতা অভিরূপ জামশেদপুর থেকে ফিরে ফ্ল্যাটের অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যান। তারা দেখেন প্রত্যেকটি ঘরের সমস্ত আলমারি খাট ড্রেসিং টেবিল অন্যান্য বাক্স একেবারে ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ভেতরের ঘরে টেবিলের ওপর একটি পিঠে-ব্যাগ ফেলে গেছে দুষ্কৃতীরা। যার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি লোহা কাটার যন্ত্র, শাবল, স্ক্রু ড্রাইভার ইত্যাদি রাখা ছিল। এছাড়াও ওই ব্যাগের মধ্যে ধানবাদের একটি গয়নার দোকানের একাধিক খালি বাক্স, জামতাড়ার ঠিকানা দেওয়া এক যুবক ও এক যুবতীর প্যান কার্ড আধার কার্ড এটিএম কার্ড পেনশন তোলার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি ওই ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল। এই বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে রূপনারায়ণপুর পুলিশের এক আধিকারিক সুশীল কিস্কু সেখানে গিয়ে সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা ভোলা সিং। তিনি পুলিশকে শক্ত হাতে এই ঘটনার কিনারা করার আবেদন জানান। এদিকে একেবারে মেন রোডের উপর এমন চুরির ঘটনায় নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ওই ফ্ল্যাটে কোন সিসি ক্যামেরা না থাকায় পুলিশের পক্ষে তদন্তে কিছুটা অসুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাশেই একটি রাজনৈতিক দলের অফিসের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরার ছবি তাদের সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে সুমিতা দেবীর জামাতা অভিরূপ বলেন প্রাথমিকভাবে তারা বুঝতে পারছেন ঘরে থাকা কিছু সোনার অলংকার এবং কিছু অর্থ চোরেরা নিয়ে গেছে। তবে সমস্ত ঘরদোর লন্ডভন্ড হয়ে থাকায় এখনো তারা বুঝতে পারছেন না কি গেছে আর কি আছে। এই ঘটনায় তারা মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন সুমিতাদেবী। অন্যান্য বাসিন্দারা থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে এমন দুষ্কর্ম ঘটানোর সাহস কি করে পেল তা তিনি ভেবে পাচ্ছেন না।প্রতিবেশী ধ্রুব সেনগুপ্ত বলেন গতকাল বিকেলে কালবৈশাখী শুরু হয়েছিল। বৃষ্টির গতিপ্রকৃতি দেখার জন্য এক বাসিন্দা বারান্দায় বের হলে দেখতে পান সুমিতা দেবীর ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং দরজাটি হওয়ার দাপটে দুলছে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেখানে ছুটে গিয়ে বুঝতে পারেন ভয়ংকর কিছু ঘটেছে। এই ঘটনায় তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত বলে উল্লেখ করেন। কারণ তারা বলেন বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তারা দেখেছেন ওই ফ্ল্যাটে তালা লাগানো ছিল, কিন্তু সন্ধে ছ'টা নাগাদ সেই তালা ভাঙ্গা থাকায় তাদের ধারণা বিকেলের মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গুরুত্বসহকারে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় আবার দুর্ঘটনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ এপ্রিল:: চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় আবার দুর্ঘটনার শিকার হলেন এক কর্মী। ট্র্যান্সফর্মারে কাজ করতে গিয়ে ৯ এপ্রিল ঝলসে গেলেন সাজন কুমার (৪৪)। তিনি সিএলডব্লুর ইআরএস বিভাগের কর্মী। জানা গেছে, ট্র্যান্সফর্মারে সংস্কার কাজ চলাকালীন হঠাৎই একটি অংশ ফেটে যায় এবং তার আগুনে সাজন বাবুর হাত মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ তীব্র আগুনে ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কেজি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
.

.
গ্রীষ্মে জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে মহকুমা শাসকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, পিএইচই'র সঙ্গেই দায়িত্ব নেবে ইসিএল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: চলতি গ্রীষ্মে আসানসোল মহকুমার কোন এলাকাতেই যাতে পানীয় জলের সমস্যা না থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দিল প্রশাসন। যেসব এলাকায় এখনো পাইপলাইনে জল পৌঁছাচ্ছে না সেখানে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য আজ, ৯ এপ্রিল আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে মহকুমা শাসক শ্রী ভট্টাচার্যের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন ইসিএলের সমস্ত এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারেরা, সমস্ত বিডিও, পিএইচই'র আধিকারিকেরা এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা। বৈঠক প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক বলেছেন যেসব এলাকায় জল সরবরাহের প্রয়োজন হবে তা মেটাতে ইসিএল এবং পি এইচ ই উদ্যোগী হবে। জানা গেছে অন্যান্য বছরের গ্রীষ্মকাল গুলিতে পি এইচ ই যে পরিমাণ ট্যাঙ্কার জল সরবরাহের জন্য দিত তা এবছর কম করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি দেখা দেয়। পিএইচই'র বক্তব্য, অনেক জায়গাতেই পাইপলাইনে জল সরবরাহ করা হচ্ছে তাই সেখানে ট্যাঙ্কার পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু জল সরবরাহ সর্বত্র এখনো চালু না হওয়ায় ট্যাঙ্কারের গুরুত্ব যথেষ্টই রয়ে গেছে। ফলে যেখানে পিএইচই'র পক্ষে জলের ট্যাংকার দেওয়া সম্ভব হবে না সেসব জায়গায় যাতে ই সি এল উদ্যোগ নেয় তার ব্যবস্থা এদিন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সালানপুর ব্লকের অন্ততপক্ষে ছয়টি পঞ্চায়েত - সামডি, কল্যা, ফুলবেড়িয়া-বোলকুন্ডা, আছড়া, বাসুদেবপুর-জেমারি, দেন্দুয়া ইসিএলের এলাকায় পড়ছে। এইসব পঞ্চায়েতের যেসব অঞ্চলে পানীয় জলের তীব্র সংকট আছে সেখানে যাতে ইসিএল ট্যাংকার পাঠানোর ব্যবস্থা করে তা দেখবে প্রশাসন। জানা গেছে বাসুদেবপুর-জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় পুরো অঞ্চল, রূপনারায়ণপুরের বড়ো এলাকা, জিতপুর উত্তররামপুর পঞ্চায়েতের নামোকেশিয়া সহ অন্যান্য এলাকা এখনো পাইপ লাইনের জল ঠিকমতো পায় না। গত গ্রীষ্মে সালানপুর ব্লকে জল সমস্যা মেটানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টি করে ট্যাংকার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে হতো। এমনও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল যে কোন কোন দিন ৩০০ টাকার জল পাঠাতে হতো। তবে এবার সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমবে বলে আশা করছেন ব্লক প্রশাসন। কারণ বহু জায়গাতেই নতুন পুরনো পাইপলাইন মিলিয়ে পানীয় জলের সরবরাহ চলছে। যদিও এ বিষয়ে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি কর্তৃপক্ষ মনে করছেন সর্বত্র পাইপ লাইনে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ চালিয়ে যেতেই হবে। এই বিষয়ে যাতে পি এইচ ই'র সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট এলাকার ইসিএল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেন তা নিশ্চিত করতেই মহকুমা শাসকের এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
চাকরিহারা শিক্ষকরা তালা ঝোলালেন ডিআই অফিসে, বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল আসানসোল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের পর আজ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে করিডোরে বসে শ্লোগান দিচ্ছেন । এর আগে শনি মন্দির থেকে শুরু করে বিরাট একটি মিছিল এসবি গরাই রোড ধরে সুকান্ত ময়দানে পৌঁছায়। তবে এই প্রচন্ড গরমে এবং চাকরি হারানোর উদ্বেগের মধ্যে একাধিক শিক্ষক রাস্তাতেই বেহুঁশ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বিক্ষুব্ধ চাকরিহারা শিক্ষকদের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশি ব্যবস্থাও আঁটোসাটো করা হয়েছে। র্্যপিড অ্যাকশন ফোর্স, পুলিশ এলাকায় মজুত করা হয়েছে। বিক্ষোভরত শিক্ষকরা ক্রমাগত শ্লোগান দিতে দিতে বলেন, ডিআই অফিসে তারা কোন কাজ হতে দেবেন না। অবিলম্বে তাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করে হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা বলেন আদালত এবং সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পরিষ্কার রাস্তা বের করুন। তাদের দাবি দুর্নীতি যারা করেছেন তারা শাস্তি পান, কিন্তু শিক্ষকদের সাজা দেওয়া চলবে না। তারা বলেন তারা যোগ্য বলেই এতদিন শিক্ষকতা করেছেন, স্কুলে গেছেন; আজ বেতন বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবেন না। ডি আই এই বিষয়ে কেন চুপ সেই প্রশ্ন তুলে তারা বলেন তাদের কাছে ডিআইকেই জবাবদিহি করতে হবে।@প্রান্তভূমি
চার অপহরণকারীকে সালানপুর থানা থেকে পাঠানো হলো আদালতে, অপহৃতের ফোন থেকেই মুক্তিপণ দাবি হাতিয়ার হয় পুলিশের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: দীর্ঘদিন পর রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি অঞ্চলে আবার অপহরণের আতঙ্ক দেখা দিল। তবে পুলিশের অতি সক্রিয়তায় অপহরণকারীরা ধরা পড়েছে এবং অপহৃত ব্যক্তি কোনরকম মুক্তিপণ না দিয়েই রেহাই পেয়েছেন। ৮ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর আজ ৯ এপ্রিল সকালে ধৃত চার অপহরণকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর সালানপুর থানা থেকে তাদের আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ধরা পড়েছে ঝাড়খন্ড মিহিজামের হরিপাড়ার বাসিন্দা মনীশ কুমার, সুরজ সাউ এবং হিল রোডের বাসিন্দা অভিষেক দাস (২০) ও কুশবেদিয়া ধোবি পাড়ার বাসিন্দা কার্তিক ধীবর (৩০)। এদের মধ্যে কার্তিক ও অভিষেক পুলিশের খাতায় দাগি আসামি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে। চিত্তরঞ্জন ও মিহিজাম থানায় খুন লুটপাটের একাধিক অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে। সেই সব অভিযোগে এরা জেলে গিয়ে জামিনে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। চিত্তরঞ্জন নর্থ মার্কেটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি টাকা ছিনতাই, এক ব্যক্তিকে খুন করে তার গাড়ি লুট ইত্যাদির অভিযোগ এদের মাথার উপর আছে। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে এদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই অপহরণ কান্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার গভীর তদন্ত শুরু করবে। এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে গতকাল সকালে কালীপাথরের ব্যবসায়ী শামসুল আনসারি (৫৩)'কে বোলেরো গাড়িতে অপহরণ করার পর চিত্তরঞ্জন ফতেপুর, সালানপুর ব্লকের আছড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। আছড়া সংলগ্ন কোনো এক কালীমন্দির চত্বরে তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করানোও হয়েছিল, সেখানে স্থানীয় কোন এক ব্যক্তি অপহরণকারীদের সঙ্গে দেখা করে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে জামুড়িয়া থানার চুরুলিয়া বীরকুলটি শ্মশান এলাকায় পৌঁছে অপহরণকারীরা শামসুল বাবুকে মুড়ি চপ খেতে দিয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। তবে শামসুল বাবুর ফোন থেকেই তার বাড়িতে মুক্তি পন চেয়ে ফোন করাই কাল হলো অপহরণকারীদের। পুলিশ অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে মোবাইল নম্বর অনুসরণ করে তাদের ধরে ফেলে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি স্থানীয় মানুষজন বিশেষ আস্থা প্রকাশ করেছেন।@প্রান্তভূমি
অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার ৪ ঘন্টার মধ্যেই, ধৃত ৪ অপহরণকারীকে হেনস্থার চেষ্টা রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৮ এপ্রিল।।
স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে অপহরণকারীদের থানায় ঢোকাতে ব্যাপক বেগ পেতে হয় পুলিশকে। যদিও অপহরণের সংবাদ পাওয়ার মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে অপহৃতকে উদ্ধার করে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত প্রায় নতুন বোলেরো গাড়িটি (ডব্লু বি ৩৮ বিবি ৪৬৭৫)। পুলিশের হেফাজতে চার অপহরণকারী। জানা গেছে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত আল্লাডি পঞ্চায়েত এলাকার কালীপাথরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শামসুল আনসারী (৫০) আজ ৮ এপ্রিল সকালে নিজের বাইকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সকাল সাড়ে আটটা ন'টা নাগাদ তিনি যখন চিত্তরঞ্জনের পাইপ লাইন ঘেঁষা রাস্তায় ডোমদহর দিকে যাচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎই একটি গাড়ি তার পথ আটকায় এবং তাকে জোর জবরদস্তি সেই গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। এরপর সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ শামসুল বাবুর ছেলের মোবাইলে মুক্তিপণ দাবি করে ফোন আসে। বাড়ির লোকজন বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান এবং পুলিশের কাছে সাহায্য চান। ঘটনার কিনারা করতে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য পাশাপাশি থানাগুলির সহযোগিতায় একটি দল গড়ে তদন্তে নামেন। মোবাইল ট্র্যাক করে অপহরণকারীদের গতিবিধি আঁচ করে বেলা প্রায় তিনটে নাগাদ পুলিশ পৌঁছে যায় বারাবনি থানার চুরুলিয়া বীরকুলটি শ্মশান এলাকায়। দূর থেকে অপহরণকারীদের গাড়িটি দেখতে পায় পুলিশ। এরপর সেখানে পুলিশের গতিবিধি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পুলিশের বিশাল বাহিনী তাদের ধরে ফেলে। গাড়ি থেকে আহত শামসুল বাবুকে উদ্ধার করা হয়। এরপর দুটি ভাগে তাদের সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এদিকে সকাল থেকেই স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি নজরে রেখেছিলেন। তারা রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়ে অপহরণকারীদের ওপরে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও রূপনারায়ণপুর পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে অপহরণকারীদের নির্বিঘ্নে গাড়ি থেকে নামিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনা প্রসঙ্গে অপহৃত শামসুল বাবু বলেন তাকে নানান জায়গায় ঘুরিয়ে, মাঝে মাঝেই শরীরে আঘাত করে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি অপহরণকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও তিনি আশঙ্কা করেন। তিনি বলেন অপহরণের সময় ৫-৬ জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত চারজন তাকে আটকে ঘিরে রেখেছিল। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ নির্দিষ্ট করে কিছু জানায় নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ধৃত চারজন অপহরণকারীর সকলেই বাংলা ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের মিহিজিমের বাসিন্দা। তাদের বয়স কুড়ি থেকে পঁচিশের মধ্যে। টাকার জন্যই এই অপহরণ কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
হেলদি বিগিনিংস হোপফুল ফিউচার-বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে স্কুলে শিবির প্রখ্যাত প্রাক্তনীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন, চিত্তরঞ্জন প্রসাদ।। আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। হিন্দুস্তান কেবলসের আরতি সুধা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র দিনটির গুরুত্ব বুঝে "হেলদি বিগিনিংস, হোপফুল ফিউচার" এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে । কেবলস পুরনো কলোনি বেসিক স্কুলে আজ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এই প্রাথমিক স্কুলে দীর্ঘদিন হেড দিদিমণি ছিলেন আরতি কোলে। তাঁর স্মৃতিতে এই আরতি সুধা চিকিৎসা কেন্দ্র। যার মূল উদ্যোক্তা আরতি দিদিমণির পুত্র বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরভ কোলে। এদিন চিকিৎসা শিবিরে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ তন্ময় বিশ্বাস, ডাঃ অর্কপ্রভ পাল, ডাঃ রাজনীল গাঙ্গুলি। প্রথমে আরতি কোলে দিদিমণির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী ভোলা সিং, ডাঃ সৌরভ কোলে, বর্তমান স্কুলের হেড দিদিমণি সুতপা সাহা, সুভাষ মহাজন প্রমুখ। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ট্যাবলেট, আয়রন ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়। এদিন এই স্কুলের বহু প্রাক্তনীও শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। আজকের দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হবে শ্রমিক মঞ্চে বিকাল ৫ টায়। সহযোগিতায় থাকছে হিন্দুস্তান কেবলস (পরিবার মাটির টানে), এইচসিএল পুনর্বাসন সমিতি, উজ্জীবন ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি, অ্যাডভান্স হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন (কলকাতা)। @প্রান্তভূমি
মাটিতে মিশে গেল ইস্কোর পাঁচটি কুলিং টাওয়ার, রয়ে গেল শুধু ইতিহাস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৬ এপ্রিল::
প্রায় ১০০ বছর ধরে আকাশের বুকে মাথা উঁচিয়ে থাকা বার্ণপুর ইস্কোর পাঁচটি বিশালকায় কুলিং টাওয়ার এক নিমেষে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল। আজ বেলা বারোটা নাগাদ মাটিতে মিশে গেল আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পরিচিতির এই ইমারতগুলি। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আজ ৬ এপ্রিল ইস্কোর পাঁচটি কুলিং টাওয়ার বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ভেঙে ফেলা হবে। সেই মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞেরা একেবারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় এগুলি মাটিতে মিশিয়ে দিলেন। কারখানার সীমানা পাঁচিল থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে থাকা পাঁচটি কুলিং টাওয়ারের গায়ে আগেই বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষবারের মতো আজ বেলা বারোটা বেজে বারো মিনিটে সতর্কীকরণ সাইরেন বেজে ওঠে। এরপর ১০ থেকে উল্টোদিকে গণনা শুরু হয় এবং গণনা শূন্যে নেমে আসতেই এক লহমায় টাওয়ারগুলি হাড়গোড় ভেঙে পড়ে যাওয়ার মত মাটিতে মিশে গেল। ১২:১৫ মিনিটেই সমস্ত কাজ শেষ। এই কাজে প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বাঙালি শিল্পপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং তার পুত্র স্যার বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের শিল্প সাফল্যের অন্যতম পরিচিতি এই ইস্কো কারখানা। পরবর্তী সময়ে দেশের সরকার এই সংস্থা নিজের হাতে তুলে নেয়। জানা গেছে ১৯২২ সালে এই কুলিং টাওয়ার তৈরি শুরু হয় এবং ১৯৩৬ সালের মধ্যে পরপর পাঁচটি কুলিং টাওয়ার মাথা তোলে। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আর এই ধরনের কুলিং টাওয়ারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে বার্ণপুর আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পরিচিতি হয়ে উঠেছিল এই টাওয়ারগুলি। প্রয়োজনের নিরিখে সেগুলি ভেঙে ফেলায় শিল্পাঞ্চলবাসির মন খারাপ। তবে এত বড় কাজ যে দক্ষতার সঙ্গে সুসম্পন্ন হল তার জন্য সেইল আইএসপি নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবিদার।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে খুন চুরির প্রতিবাদে সভা লেবার ইউনিয়নের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ এপ্রিল :: চিত্তরঞ্জন রেল শহরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি চুরি এবং গৃহবধূ খুন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে বলে প্রতিবাদ সভা করল সি এল ডব্লু লেবার ইউনিয়ন। আজ ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় চিত্তরঞ্জন আর আই সি মোড়ে এক জনসভায় বিভিন্ন বক্তা বলেন , রেল শহরের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। এমনকি সি সি এসের নির্বাচন নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে রেল শহরের বাসিন্দাদের সোচ্চার হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ায় তা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দূরবস্থা প্রকাশ করছে। এরও প্রতিবাদ জানানো হয় সভায়। বক্তব্য রাখেন পলাশ মণ্ডল, অচিন্ত্য সূপকার, বহ্নি ঘোষ, বিজয় যাদব, আবীর ঘোষ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রাজীব গুপ্ত প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন আর এস চৌহান।@প্রান্তভূমি
এবার টার্গেট ৭৭৫ ইঞ্জিন:: চিত্তরঞ্জন শহরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সিআরএমসি দেখা করল জিএমের সাথে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: চলতি ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে ইঞ্জিন উৎপাদনে অত্যুচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জন্য। সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে এখান থেকে ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছে, এবার তার থেকে অনেকটাই বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৭৭৫ টি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন। চিত্তরঞ্জন এবং ডানকুনি মিলিয়ে এই সংখ্যক ইঞ্জিন উৎপাদিত হবে। আজ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা এবং শহরের প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় নিয়ে সিআরএমসি/এনএফআইআর /আই এন টি ইউ সি'র প্রতিনিধিদল সংস্থার মহাপ্রবন্ধক বিজয় কুমারের সাথে দেখা করেন। শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল মহাপ্রবন্ধককে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বলেন, বিশাল সংখ্যক এই ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাতে কর্মীদের নিরাপত্তা এবং ইঞ্জিনের গুণমান বজায় থাকে তা দেখার পাশাপাশি কর্মীদের ৭০ শতাংশ ইনসেন্টিভ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও চলতি বছরের ২৯ মার্চ উৎপাদন শেষ হওয়ার পর কারখানার স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগের কর্মীরা এখনো স্থানান্তরিত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারা যাতে সঠিক বিভাগে স্থানান্তরিত হয় সেই বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজারের ইতিবাচক উদ্যোগ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও আজকের বৈঠকে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ যাতে তৎপর হন সেই দাবি রাখা হয়। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন কারখানার ৯ নম্বর শপের কর্মী প্রদীপ চৌধুরীর স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী কোয়ার্টার্সের মধ্যেই খুন হয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহরবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রেল কর্তৃপক্ষ শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করে কর্মীদের বসবাসের জায়গাগুলিকে যাতে ভয় শূণ্য রাখেন সেজন্য অবিলম্বে মহাপ্রবন্ধকের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। এরই সঙ্গে রেল কর্মীদের স্বাস্থ্যপরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার এই প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন যে, রেলবোর্ড কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নে ২২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এইসব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ইন্দ্রজিত বাবু বলেন জেনারেল ম্যানেজার অবিলম্বে বিষয়গুলি নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ করবেন বলে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লকে ৭ শিক্ষক ১ শিক্ষাকর্মী চাকরি হারাচ্ছেন, জেলায় ৩৪৭ জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের ঘটনায় সালানপুর ব্লকের সাতজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যেতে বসেছে। অর্থাৎ ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন তাতে সালানপুর ব্লকের আট জন চাকরি হারাচ্ছেন। এদের মধ্যে চিত্তরঞ্জন দশম শ্রেণী হাই স্কুলের (বিবেকানন্দ) ২ জন, চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলের ১ জন, এথোড়া শ্রীশচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের ১ জন, আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের ১ জন এবং রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুলের ২ জন টিচার ও ১ জন শিক্ষাকর্মী আছেন বলে জানা গেছে। ঐ শিক্ষাকর্মী রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা হলেও বিবাহ সূত্রে কুলটির শ্বশুরবাড়ি থেকে যাতায়াত করতেন। বিবাহিতা ঐ শিক্ষা কর্মীসহ সকলেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে একেবারে আতান্তরে পড়লেন। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এদের মধ্যে দু'একজনের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেও বাকিদের সম্বন্ধে সে জাতীয় কোন অভিযোগ আসে নি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি চলে যাচ্ছে তাদের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছেন ৩৪৭ জন। সালানপুর ব্লকের পড়শি ব্লক বারাবনির গৌরান্ডী আর কে এস ইনস্টিটিউশনের ৪ জন শিক্ষক এই রায়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। এই স্কুলে ২৬০০ পড়ুয়ার জন্য এই চার শিক্ষককে ধরে সাকুল্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন ৩৯ জন। যা প্রয়োজনীয় শিক্ষকের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু এবার আরো চারজন চাকরি হারানোই এই স্কুল যথেষ্ট অসুবিধায় পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
ফিনাইল হারপিক দিয়ে রক্তের দাগ মোছার চেষ্টা, চুরি নয়-খুনই ছিল প্রধান লক্ষ্য? চিত্তরঞ্জনে নৃশংস ঘটনার গভীরে খোঁজ পুলিশের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: গতকাল চিত্তরঞ্জনে ভয়াবহ খুনের ঘটনার পর আজ সকালে থমথমে পরিবেশ ২৮ নম্বর রাস্তায়। চিত্তরঞ্জন পুলিশ কোয়ার্টার্সটি (৪৬/২ডি) তালা বন্ধ করে রেখেছে। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা সহ যাবতীয় উপায় অবলম্বন করে এই খুনের ঘটনার কিনারায় গভীর তদন্তে নেমেছে। জানা গেছে গতকাল ৩ এপ্রিল বিকেল ও সন্ধ্যের মুখে এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত সঞ্চিতা চৌধুরীর শরীরে কমপক্ষে সাতটি ধারালো অস্ত্রের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। তারমধ্যে গলাতেই তিনটি আঘাত করা হয়। এছাড়াও পিঠে বুকে এবং হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীর ক্ষত করা হয়েছে। সম্ভবত মৃত্যু নিশ্চিত করতেই গলায় একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে বলে অনুমান। এই খুনের ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তারা যে অত্যন্ত আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আঘাতের ধরন থেকেই বোঝা যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। তবে খুনি মৃতার পরিচিত হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কোয়ার্টার্সের দরোজাগুলি হাট করে খোলা। সেগুলি ভাঙার কোন চিহ্ন নেই। তাছাড়া খাটের পাশে থাকা একাধিক আলমারি খোলা, সেগুলির তালাও ভাঙা হয় নি। আলমারি থেকে কোনো কিছু চুরি হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট মহলের মনে হচ্ছে না। চুরির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটে নি বলেই তাদের অভিমত। কারণ, দামি ক্যামেরা মোবাইল সবই রয়ে গেছে ঠিকঠাক। সোনার গয়না চুরিরও নিশ্চিত তথ্য প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায় নি বলে জানা গেছে। এরই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কোয়ার্টার্সের মেঝে থেকে রক্তের দাগ মুছতে ফিনাইল হারপিক ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে জলের বালতি। একটি বালতি ছিল অর্ধেক ভর্তি। এই সমস্ত কিছু সামনে আসায় ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এই মৃত্যুর ঘটনায় চুরির বিষয় নেই। তাহলে ভর সন্ধ্যায় জনবহুল রেল কলোনিতে নিজের কোয়ার্টার্সেই কেন খুন হয়ে যেতে হল একজন সাধারণ মহিলাকে? কে খুন করলেন? প্রতিবেশীরা বলছেন তারা কোন কিছু টের পান নি। পুলিশ বলছে তাদের চোখে সন্দেহের উর্ধে কেউ নন। এ বিষয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফল পুলিশের হাতিয়ার হবে। উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল চিত্তরঞ্জন রেলকর্মী প্রদীপ চৌধুরী (কুচা)'র স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী (৫৬) নৃশংসভাবে খুন হন।@প্রান্তভূমি
আজাদ হিন্দের বাসন্তী পুজো ৭১-তম বছরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের সবচেয়ে পুরনো বাসন্তী পুজো । এবার ৭১তম বছর। ১৯৫৬ সালে এই বাসন্তী পুজো শুরু হয়েছিল। চিত্তরঞ্জনের ২৪ নং ও ২৬ নং রাস্তার মাঝে আজাদ হিন্দ ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় এবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বাসন্তী পুজোর উদ্বোধন করা হয় ৩ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বর্ষিয়ান সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং আর পি এফের আই জি সত্যপ্রকাশ ও চিত্তরঞ্জন থানার আই সি শেখ ইসমাইল আলি বাসন্তী পুজোর উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক তমাল রায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সুদেষ্ণা ডান্স গ্রুপ। আজাদ হিন্দ ক্লাবের সভাপতি তাপস চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব চক্রবর্তী জানান, যষ্ঠীর দিনের মতোই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে পুজো প্রাঙ্গণে।@প্রান্তভূমি
ভয়াবহ ঘটনা চিত্তরঞ্জনে, ভর সন্ধ্যায় খুন গৃহবধূ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ এপ্রিল:: ভর সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল চিত্তরঞ্জন রেল শহরে। আজ ৩ এপ্রিল খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গৃহকর্তা ডিউটিতে থাকা অবস্থায় কোয়ার্টারে থাকা স্ত্রী খুন হয়ে গেলেন। জানা গেছে, চিত্তরঞ্জন ২৮ নম্বর রাস্তায় ৪৬/২ডি কোয়ার্টার্সের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরী আজ বিকাল ৪ টার সময় সি এল ডব্লুর ডিউটিতে যান। ঘরে ছিলেন স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী (৫৬)। প্রদীপবাবুদের ছেলে দেবদত্তর কিছুদিন আগে বিয়ে হয়েছে। ছেলে বৌমা বাইরে থাকেন। দেবদত্ত বাবু আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় ঘরে মা-কে ফোন করেন। কিন্তু কোনরকম সাড়া না পেয়ে তিনি ডিউটিরত বাবা প্রদীপ চৌধুরীকে ফোন করে জানান যে মা-এর সঙ্গে কথা হচ্ছে না। কি ব্যাপার তা দেখতে। প্রদীপবাবু ডিউটি থাকে বেরিয়ে কোয়ার্টারে আসেন রাত ৮ টা নাগাদ। তিনি এসে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরের ঘরে সব লণ্ডভণ্ড। বারান্দার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন সঞ্চিতাদেবী। ঘরের তিনটি আলমারি খোলা। বিছানার ওপর গয়নার বাক্স ওল্টানো। বিছানার চাদরে, ঘরের মেঝেতে রক্ত। ঘরের দেওয়াল, মেঝে এবং বিছানায় রক্তের দাগ দেখে অনুমান যে মৃত্যুর আগে যথেষ্ট ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে । ছুরি জাতীয় কোন ধারালো অস্ত্রের আঘাত তার শরীরে করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে চিত্তরঞ্জন পুলিশ ও আর পি এফ এসে পৌঁছেছে। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছেন তারা। প্রদীপবাবু, যাকে তার ঘনিষ্ঠরা কুচা নামে ডাকেন তিনি এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষ সঞ্চালক হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘোষকের ভূমিকা পালন করতেন। তার পরিবারে এমন দুঃখজনক ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহল শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন।
কেবলস রোডকে যানজট মুক্ত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বিডিও, ভাবনা'র সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস

#প্রান্তভূমি ৩ এপ্রিল।।
রূপনারায়ণপুরকে যানজট সহ অন্যান্য সমস্যার হাত থেকে রেহাই দিতে বিডিও'র হস্তক্ষেপ দাবি করে সামাজিক সংগঠন "ভাবনা"র পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হল। আজ ৩ এপ্রিল সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি নিয়ে ভাবনার সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ বিডিও'র সাথে কথা বলেন। এই বৈঠকে বিডিও'র সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন দুই যুগ্ম বিডিও এবং সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র এবং ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। আলোচনা শেষে বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন অবিলম্বে হিন্দুস্তান কেবলস রোডকে যানজট মুক্ত রাখার জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হবে যাতে দিনের বেলায় এই রাস্তায় তাদের মাল বহনকারী বিশালকায় যানবাহনগুলি চলাচল না করে। রেলের যন্ত্রাংশ পরিবহনকারী ভারী গাড়ি এবং ডাম্পার যাতে রাত দশটার আগে এই রাস্তায় চলাচল না করে তা দেখার জন্য পুলিশকেও বলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও যে ঠিকা সংস্থা প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে নোংরা আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছে সেই সংস্থার লোকজন যাতে প্রতি দু'দিনে একদিন করে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট দেখভালের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিডিও আশ্বাস দেন। এরই সঙ্গে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি প্রতি মাসে যে অর্থ দাবি করা হচ্ছে সেটিও সঠিক কিনা তা পুনরায় বিবেচনা করবে ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলি। এরই সঙ্গে বিডিও জানান বাড়ি ও ফ্লাট থেকে টাক্স আদায়ের পরিমাণ এবং যৌক্তিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ প্রসঙ্গে সরকারি নির্দেশিকায় পরিষ্কার উল্লেখ আছে বলে তিনি জানান। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফ্ল্যাট থেকে কর আদায়ের প্রসঙ্গটি এদিন আলোচিত হলেও সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন মন্তব্য ব্লক প্রশাসন থেকে পাওয়া যায়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি নিয়ম মাফিক সংসদ সভা এবং গ্রাম সভা ডাকলেও তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয় না বলে এদিন অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে নজরদারির প্রয়োজনীয়তা বিডিও মেনে নেন। অন্যদিকে ডাবর মোড় সংলগ্ন দুর্গা মন্দির রোডের মুখেই যেভাবে সর্বক্ষণ নোংরা জল জমে থাকছে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ীরা যাতে নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন তা নিশ্চিত করা হবে বলে ব্লক প্রশাসন এদিন আশ্বাস দিয়েছেন। নো পার্কিং এলাকায় অটো টোটো সহ অন্যান্য গাড়ি যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ আবারো বিডিও'র পক্ষ থেকে করা হবে । এছাড়াও বিডিও জানান খুব দ্রুত জিতপুর-উত্তররামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের নতুন ব্যবস্থা কার্যকরী হতে চলেছে। রূপনারায়ণপুর সহ অন্যান্য অঞ্চলের যাবতীয় নোংরা আবর্জনা সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। রাতভর মারাত্মক গতিতে বীভৎস শব্দ করে যেসব ট্রাক্টর ডাম্পার ছোটাছুটি করে সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সঙ্গে পুলিশকে সমন্বয় রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান বিডিও শ্রী বিশ্বাস। এছাড়াও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা রূপনারায়ণপুর বাজারের উন্নয়নে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথাও এদিন আলোচিত হয়। @প্রান্তভূমি
নাইট ক্রিকেট 'স্মৃতি কাপে' মাঠের বাইরে ক্যাচ ধরে পুরস্কার পেলেন দর্শক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ এপ্রিল :: দ্বিতীয় বার্ষিক "স্মৃতি কাপ-২০২৫" ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হল ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল। হিন্দুস্তান কেবলসের আপার কেশিয়া বা রাঁচি মোড়ে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ক্লাব আয়োজিত এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় মোট ১৪ টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। রাত্রিবেলায় অনুষ্ঠিত হাইস্কুল মাঠে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মা ভবানী কনস্ট্রাকশন। তাদের দেওয়া হয় মাণিক উপাধ্যায় মেমোরিয়াল উইনার্স কাপ এবং নগদ চল্লিশ হাজার টাকা। রানার্স দল হিসেবে প্রিন্স একাদশ পায় অনুজিৎ মজুমদার মেমোরিয়াল রানার্স ট্রফি এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা। সঞ্জীব সিং গিল মেমোরিয়াল ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে হুগলি এভেঞ্জারস। ফাইনাল এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের বিল্টু। ফাইনাল খেলাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু পুরস্কারের সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল। যেমন মাঠের বাইরে দর্শকদের মধ্যে কেউ ক্যাচ ধরলে পাবেন একশত টাকা। ১ এপ্রিল ফাইনালে এরকম ক্যাচ ধরে দুই জন সুনীল যাদব ও অজয় কুমার এই পুরস্কার পেয়েছেন। আবার ফাইনাল খেলায় প্রতি ছক্কার জন্য একশত টাকা করে খেলোয়াড়দের পুরস্কার দেওয়া হয়। খেলা পরিচালনা করেন বিনোদ মাজি, লাবন লায়েক, বিল্টু ধীবর, ভজন সিনহা। স্কোরার ছিলেন বিপ্লব ঘোষ। এদিন পুরস্কার বিতরণ করেন ক্লাব কর্ণধার শ্যামল কীর্তনিয়া, ক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু যাদব।@প্রান্তভূমি
মৌমাছির আক্রমণে চিত্তরঞ্জনে জখম একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ এপ্রিল:: মৌমাছির অতর্কিত আক্রমণে জখম হলেন একাধিক ব্যক্তি। তাদের চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। জানা গেছে আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন জিএম অফিস সংলগ্ন প্রধান সড়কের ওপর এই ঘটনা ঘটে। মৌমাছির আক্রমণে জখম হয়েছেন প্রবীর শিকদার (৫৮) এবং রাজকিশোর প্রসাদ (৫৫)। তারা চিত্তরঞ্জন রেল শহরের সিমজুড়ি ও ১৬ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা। এরা ছাড়াও কর্তব্যরত দুই আরপিএফ মৌমাছির আক্রমণে আহত হন। ক্ষণিকের মধ্যে মৌমাছির দল এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রবীর ও রাজকিশোর বাবু তাদের বাইক রাস্তার মধ্যেই ফেলে রেখে ছটফট করতে থাকেন। আরপিএফ তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে গেলে তারাও আক্রমণের শিকার হন। চারজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।@প্রান্তভূমি
৭০০ ইঞ্জিন! উৎপাদনের এভারেস্টে চিত্তরঞ্জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ এপ্রিল:: সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে উৎপাদনের এভারেস্টে চড়লো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। একটি আর্থিক বছরে ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদন বিশ্বের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন উৎপাদনকারী সংস্থা হিসেবে সিএলডব্লুর স্বীকৃতিকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করলো। কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল বলেছেন রেকর্ড ইঞ্জিন উৎপাদন দেশের রেল চলাচলের ক্ষেত্রে মসৃণতা আনার পাশাপাশি জ্বালানির খরচ কমানো এবং বাতাসে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে পরিবেশকে নির্মল রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরের শেষ কাজের দিন ৩০ মার্চ সাতশোতম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার । তিনি বলেছেন এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর এবং দেশে রেল চলাচলে বৈদ্যুতিকীকরণের ১০০ বছরকে যথাযথভাবে উদযাপিত করার ক্ষেত্রে একটি আর্থিক বছরে ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদন বিশেষ বার্তাবহ হয়ে রইল। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে চিত্তরঞ্জনে ৫৮০ টি রেল ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছিল, সেখানে এ বছর আরও একশো কুড়িটি বেশি ইঞ্জিন উৎপাদন সম্ভব হল। এরমধ্যে চিত্তরঞ্জনে ৫৪৪ টি এবং ডানকুনিতে ১৫৬ টি ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছে। আজ ১ এপ্রিল এই বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিএলডব্লুর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এ কে মাইতি , জেনারেল ম্যানেজারের সেক্রেটারি, জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। সেইসব বিস্তারিত রিপোর্ট ৫ এপ্রিল প্রান্তভূমির মুদ্রিত সংস্করণে পাওয়া যাবে।@প্রান্তভূমি
সিঁড়ির নিচে রিজার্ভার তৈরির সময় বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু দুই কর্মীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৩১ মার্চ।।
বাড়ির সিঁড়ির নিচে পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরির কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের প্রকোপে দুই কর্মীর মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল ইসমাইল এলাকায়। হীরাপুর থানার অন্তর্গত ইসমাইল ৬০ ফুট রাস্তার হোমিওপ্যাথি কলেজ সংলগ্ন অঞ্চলে প্রকাশ বার্নোয়ালের বাড়িতে আজ ৩১ মার্চ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রকাশ বাবু এই বাড়িটি অন্যের কাছ থেকে কিনেছিলেন। আগে থেকে ঐ বাড়িতে থাকা জলের ট্যাঙ্কটিকে এখন সেপটিক ট্যাংকে পরিবর্তিত করার পাশাপাশি সিঁড়ির নিচে নতুন একটি রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছিল। আজ সকালে আসানসোল কর্পোরেশনের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুই ব্যক্তি সেখানে কাজে নামেন। কিন্তু সেই সময়েই দুই কর্মী অজ্ঞান হয়ে রিজার্ভারের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিক এবং ঠিকাদার স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। তারা সকলে মিলে অচৈতন্য ওই দুজনকে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে হীরাপুর থানার পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেড সেখানে পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা পর ওই দুজনকে রিজার্ভার থেকে বের করে আনতে সমর্থ হয়। এরপর দ্রুত তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কাজের জায়গায় বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতিতেই এমন অঘটন বলে সাধারণভাবে সংশ্লিষ্ট মহল আশঙ্কা করছে। যদিও পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে , এজাতীয় অঘটনের বিষয় বার বার সামনে এলেও প্রাথমিক সতর্কতার বিষয়টি কেন মাথায় রাখা হয় নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে জাতীয় কনভেনশন চিত্তরঞ্জনে:: ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক সর্বভারতীয় সিটু নেত্রী হেমলতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ মার্চ::
সরকারি নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে সর্বস্তরে ছোট বড় বাইশটি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে রেল শ্রমিক সংগঠনগুলির কোন ভূমিকা ছিল না। এই বক্তব্য সিটু'র সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতার। তিনি এখানেই থেমে না থেকে মনে করিয়ে দিলেন ৭৪' এর রেল আন্দোলনের পর সরকারের নীতির বিরুদ্ধে আর বড় আন্দোলন হয়নি। এটা আমাদের মনোবলে আঘাত করেছে। তিনি সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় কনভেনশনে অংশ নিয়ে আজ, ৩০ মার্চ বক্তব্য রাখছিলেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে কর্মী সংকোচনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন এই মুহূর্তে রেলে ৩ লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে। নতুন কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে, সিগন্যালিং, লাইন রক্ষণাবেক্ষণে। ভেঙে পড়েছে লোকো পাইলট পরিকাঠামো। লোকো পাইলটদের ১৫-২০ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাজের চাপে অনেক ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটে যাচ্ছে। নিরাপত্তার দিকে সরকারের কোন নজর নেই। ফলে ক্রমশ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঠিকা শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন উদারীকরণ বেসরকারিকরণ শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা তীব্র আকার নিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় কালা কানুন লেবার কোড পাস করিয়ে নিয়েছে, এপ্রিল থেকে যা লাগু হতে চলেছে। তিনি বলেন সিটু দাবি জানিয়েছে ঠিকা শ্রমিকদের ন্যূনতম কুড়ি হাজার টাকা মাসে বেতন সরকারকে দিতে হবে। হেমলতা আরো বলেন বর্তমান সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ইউনিয়নগুলি যখন সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছে, তখন কৌশলে সরকার বিভাজনের তাস খেলছে। ক্ষমতাবলে আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে। যদিও তিনি বলেন শ্রমিকরাই পারবে সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে। তবে এজন্য সবচেয়ে আগে সংগঠনগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ কনভেনশনের শুরুতেই সিটুনেত্রী কে হেমলতা পতাকা উত্তোলন করেন । শহীদ বেদীতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক রাজীব গুপ্ত পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা করেন। দাবিগুলি হল - সমস্ত শূন্যপদ পূরণ, এন পি এস এবং ইউপিএস বাতিল করে ও পিএস চালু করা, ভারতীয় রেলে বেসরকারিকরণ/কর্পোরেটাইজেশন বন্ধ করা, ঠিকা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন দেওয়া এবং কর্মী-অনুকূলে অষ্টম বেতন কমিশন চালু করা। এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন লেবার ইউনিয়নের সভাপতি আর এস চৌহান। কনভেনশন পরিচালনা করেন শ্রী চৌহান এবং অভিরূপ চৌধুরী। কনভেনশনে ৯ টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন। কনভেনশনে সিটুর সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের এস কে জয়সওয়াল, আইসিএফ / ইউ ডব্লু ইউ গার্ডস কাউন্সিলের রাজা রামন, ডি আর ই ইউ সাধারণ সম্পাদক বি হরিলাল সহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কে সি জেমস, নির্মল বড়ুয়া নির্মল মুখার্জি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত শ্রমিক প্রতিনিধিরা।@প্রান্তভূমি
মোথাবাড়ির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির পথ অবরোধ সালানপুর ব্লকের আল্লাডি মোড়ে

#প্রান্তভূমি ২৯ মার্চ।।
মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সালানপুর ব্লকের আল্লাডি মোড়ে পথ অবরোধ করলো বিজেপি। অবরোধকে কেন্দ্র করে বিজেপি সালানপুর ব্লক মণ্ডল-৪'এর নেতা সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসার সৃষ্টি হয়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করার ফলে তৈরি হওয়া যানজটের হাত থেকে এলাকাকে মুক্ত করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেন বিজেপির লোকজন। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝিয়ে সুজিয়ে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে বিজেপি মণ্ডল-৪ সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি বলেন, মালদায় হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে ছিল; কিন্তু এখানে সেই ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের সরাতে বল প্রয়োগ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, হিন্দুরা আক্রান্ত হলে বিজেপি কোনভাবেই চুপ থাকবে না - এটা বুঝতে হবে রাজ্য সরকারের পুলিশকে।@প্রান্তভূমি
গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র সহ যুবক গ্রেপ্তার হোটেল থেকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে সংবাদ এসেছিল ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যে ঢুকে নাশকতার ছক কষেছে দুষ্কৃতীরা । এরপরই অত্যন্ত সন্তর্পণে ২৮ মার্চ রাতে 19 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দামাগড়িয়া এলাকার একটি লাইন হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক যুবককে গ্রেফতার করলো কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। হোটেল থেকে ওই যুবককে আটক করার পর তার কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম রেহান রাজা (২২), বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় বড়সড় কোন দুষ্কর্মের উদ্দেশ্যেই সে লাইন হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল। আজ ২৯ মার্চ তাকে আসানসোল আদালতে তুলে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দিনের আলোয় ছিনতাইবাজের কবলে মহিলা, রূপনারায়ণপুরে বেপরোয়া বাইকবাহিনী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: আর রাতের অন্ধকারে নয়, একেবারে দিনের আলোয় সকাল পৌনে দশটায় রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের কাছে বাইকবাহী ছিনতাইবাজের কবলে পড়লেন এক মহিলা। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কে ওই মহিলা সহ তার স্বামী ও শিশুপুত্র। জানা গেছে সালানপুর কালীতলা এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু মন্ডল তার স্ত্রী টুম্পাদেবী এবং পুত্র বুম্বাকে বাইকে বসিয়ে রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলে আসছিলেন। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ তারা যখন আল্লাডি মোড় পেরিয়ে রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজে পৌঁছান ঠিক সেই সময় পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি বাইকে দুই যুবক তাদের কাছাকাছি এসে হঠাৎই টুম্পা দেবীর গলার হারে টান মারে। এসময় চকিতে টুম্পাদেবী তার গলার হার হাত দিয়ে চেপে ধরেন। এদিকে ঝন্টু বাবু কোনক্রমে তার বাইক ঠিক রেখে চিৎকার শুরু করেন। বাধা পেয়ে ছিনতাইকারীরা রূপনারায়ণপুরের দিকেই ঊর্ধ্বশ্বাসে পালিয়ে যায়। একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন প্রধান সড়কের উপর এই হামলায় অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। এরপর রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি থেকে ঝন্টু বাবুদের সালানপুর থানায় দেখা করার কথা জানানো হয়েছে বলে ঝন্টু বাবু জানান। পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। জানা গেছে হোন্ডা সাইন বাইকে দুই যুবক দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় টুম্পা দেবীর গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে সেই হারটি ছিল নকল সোনার। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছিনতাইবাজদের বেপরোয়া মনোভাব সামনে আসায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্তেরা। তারা বলছেন দিনের আলোতেই যদি প্রকাশ্য রাস্তায় তাদের ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হয়, তাহলে কোন ভরসায় সন্ধ্যা বা রাতে তারা স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে বাইরে বের হবেন। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছে এবং দুষ্কৃতীদের ধরা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।@প্রান্তভূমি
পালিতা কন্যার মতো মানুষ হলেও পরিচারিকার মেয়েই জড়িয়ে গেল বিরাট অঙ্কের চুরিতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: পরিচারিকার মেয়ে হলেও বাড়িতে তাকে পালিতা কন্যার মতোই দেখা হতো। ১১ বছরের কিশোরী থেকে ২২ বছরের যুবতী হয়ে ওঠা সেই কন্যাই ছক কষে বড়সড়ো চুরির ঘটনা ঘটালো বাড়িতে। তবে পুলিশের তৎপরতায় ধরাও পড়ে গেল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। এই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকার আলাউদ্দিন খাঁ বীথিতে। এখানেই থাকেন ইঞ্জিনীয়ার সঞ্জীব কুমার শর্মা। তবে কর্মসূত্রে তাকে ভিন রাজ্যে থাকতে হয়। দুর্গাপুরের বাড়িতে থাকেন সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী নাগমণি শর্মা এবং সঞ্জীব বাবুর বাবা-মা। এই বাড়িতেই ১১ বছরের কিশোরী দীপা শর্মা তার মায়ের সাথে কাজে ঢোকে। ছোট্ট দীপাকে সঞ্জীববাবুর পরিবার পালিতা কন্যার মতই আপন করে নেন। আর যাবতীয় শখ আহ্লাদ মেটানোর পাশাপাশি তাকে মানুষ করার উদ্যোগ নেন। বড় হয়ে দীপা দিল্লিতে কাজে নিযুক্ত হয়। তবে নিজের পরিবারের মতই যোগাযোগ থাকে দুর্গাপুরে সঞ্জীব বাবুর বাড়ির সাথে। ২৭ মার্চ দীপা দুর্গাপুরে ছিল। সেই সময় নাগমণি দেবী দুপুর দুটো নাগাদ কেনাকাটা করার জন্য বাড়ির বাইরে যান। ফিরে এসে দেখেন আলমারি থেকে টাকা পয়সা, গয়নাগাটি, মোবাইল সবকিছু উধাও হয়ে গেছে। বিষয়টি দীপাকে জানালে দীপা কোন কিছু জানে না বলে উল্লেখ করে। এরপরই নাগমণি দেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান আলমারি থেকে পঁচিশ ভরি সোনার গয়না, এক কেজি রুপোর গয়না এবং নগদ দু লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার পুলিশ তদন্তে নেমে বাড়ির কাজের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। আটক করে দীপাকেও। দীপার মোবাইল কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখে। তাতেই পুলিশ সন্ধান পায় দীপা যাদব নামে আর একজন মেয়ের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এই চুরির সঙ্গে দীপা যাদবের যোগাযোগ আছে। এরপর অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দীপা যাদবের মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে দুর্গাপুর রেলস্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ ২৮ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান রেলস্টেশনে দীপা যাদবের ব্যাগ থেকে গয়না টাকা উদ্ধার হয়। তবে বেশ কিছু টাকা সে এটিএম ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়ায় পুরো টাকা তার ব্যাগে ছিল না। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে কালকা মেলে দীপা যাদব দিল্লি চলে যেত বলে পুলিশের আশঙ্কা। জানা গেছে পরিচারিকার মেয়ে দীপা শর্মা দিল্লিতে কাজের সূত্রে দীপা যাদবের সাথে পরিচিত হয়। দিন চারেক আগে দিল্লি থেকে দীপা যাদবকে দুর্গাপুরে ডেকে পাঠায় দীপা শর্মা। সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে এসে ওঠে দীপা যাদব। 27 মার্চ দুপুরে চুরির পর যাবতীয় গয়না টাকা দীপা শর্মা ওই হোটেলে গিয়ে দীপা যাদবের কাছে দিয়ে আসে, তাকে কালকা মেলের টিকিটও কেটে দেয়। পুলিশ দুই বান্ধবীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতার আঁচ পেয়েছে বলে জানা গেছে। সিটি সেন্টারের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই ধরনের হাই প্রোফাইল চুরি আগে হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ঘটনার কিনারা যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ করেছে এবং সমস্ত চুরির মালপত্র উদ্ধার করেছে তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে ডিসি জানিয়েছেন। এদিকে আজ ২৮ মার্চ অভিযুক্ত দুজনকে আদালতে তুললে তাদের দু'দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।@প্রান্তভূমি
হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগকে ঘিরে সালানপুর ব্লকে চাঞ্চল্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্য ধর্মে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হচ্ছে এই অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল সালানপুর ব্লকের সামডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভে শেষ পর্যন্ত ধর্মান্তরকরণের বিষয়টি রূপ পায়নি এবং অভিযুক্তদের স্থানীয় পুলিশ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ঘটনা সূত্রে প্রকাশ যে আজ 28 মার্চ দুপুরের দিকে আসানসোল থেকে ২ জন মহিলা ও একজন পুরুষ সামডি বাউরি পাড়া এলাকায় এসে পৌঁছান এবং সেখানকার কয়েকটি পরিবারকে বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হওয়ার জন্য নানান কথাবার্তা বলেন। অভিযোগ যে ওই পরিবার গুলিকে নানান প্রলোভন দেখানো হয়েছিল হিন্দু ধর্ম থেকে ভিন্ন ধর্মে রূপান্তরিত করার জন্য। যদিও শেষমেষ পাহাড়গোড়া ক্যাম্পের পুলিশ অভিযুক্তদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে সামডি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জনার্দন মন্ডল বলেন হিন্দুদের জোর জবরদস্তি করে কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে অন্য ধর্মে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে শুনেছি, যা একেবারেই উচিত নয়। তিনি বলেন ভালোবেসে স্বেচ্ছায় যে যার নিজের ধর্ম পালন করবেন এটাই কাম্য। অন্যদিকে সামডি পঞ্চায়েত এলাকার সমাজকর্মী স্বপন মন্ডল বলেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তবে গভীরে খোঁজ নিয়ে জানাবেন সঠিক কি ঘটেছিল। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল। তিনি বলেন প্রায় দিনই এমন ঘটনার কথা তার কানে আসে, তবে আজ তিনি বাইরে থাকায় বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পারেননি। অন্যদিকে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন সামডিতে হিন্দুদের ধর্মান্তরকরণের একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগের কথা তিনি শুনেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তবে জানাতে পারবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য পাহাড়গোড়া পুলিশ ক্যাম্প এবং সালানপুর থানায় একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। যদিও ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন অভাবের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই জাতীয় ঘটনা বিভিন্ন এলাকায় ঘটানো হয়। সামডিতে প্রকৃতই কি ঘটেছে তা জানা বিশেষ প্রয়োজন। এই ঘটনার পিছনে রটনা কিংবা রাজনীতির প্রসঙ্গও থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
৩০ বলে ৯৪! মনোরঞ্জনের দাপটে বিডিও ইলেভেন হারিয়ে দিল শিক্ষকদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: মনোরঞ্জন একাই হারিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্রিকেট দলকে। আজ হিন্দুস্তান কেবলস ময়দানে বিডিও ইলেভেন বনাম প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেন ক্রিকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে বিডিও ইলেভেন। তাতেই মাত্র ৩০ বল খেলে ৯৪ রান করেন মনোরঞ্জন। এর মধ্যে তিনি হাঁকিয়েছেন ৯ টি ছয় এবং ৮ টি চার। মনোরঞ্জনের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেনের বোলাররা। পরে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রাইমারি ইলেভেন মাত্র ১০৫ রানেই আটকে যায়। ফলে ৪৭ রানে জয়ী হয় বিডিও ইলেভেন। খেলায় আম্পায়ার ছিলেন অশোক, নিশান্ত এবং সুরজ। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল। বিডিও ইলেভেনের পক্ষে খেলোয়াড় ছিলেন - বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, বিডিএমও মুকেশ ভগৎ, এডিএ রাজর্ষি ব্যানার্জি সহ রাজেশ সিং, তমাল সেন, জয়ন্ত সাধু, রূপনারায়ণ পাত্র, অবিনাশ দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন, মনু, অনীশ, রাহুল।। অন্যদিকে প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেনের পক্ষে ছিলেন - শিক্ষক মোহন মণ্ডল, মনোজিৎ আশ, অজয় মাহাতো, পরিতোষ ভান্ডারী, বিপ্লব মন্ডল, সন্দীপ চার, সমীর কুমার, দেবদাস মাজি, সায়ন্তন সরকার, অভিষেক রায়, সুমন দত্ত, প্রকাশ।@প্রান্তভূমি
গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, থানায় বিক্ষোভ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: গ্রেফতার হয়ে গেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গেছে আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অন্তর্গত কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেন ২৬ মার্চ একটি ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। কুলটির মাজদিয়া পার্কে একটি মেলায় ৫০ ফুট উঁচু নাগরদোলা বসানোর বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। এরপর প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেন সহ তিন জনকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় মানুষজন। আজ ২৭ মার্চ স্থানীয় মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে কুলটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশ বিষয়টিকে সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করে প্রাক্তন কাউন্সিলারকে আদালতে পেশ করে।@প্রান্তভূমি
ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় ঢোকার মুখে গ্রেফতার তিন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: প্রায় ছয় কেজি গাঁজা পচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ঝাড়খণ্ডের তিন যুবক। তারা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বারাবনি থানার পুলিশের হাতে ২৬ মার্চ রাতে ধরা পড়ে। আজ ২৭ মার্চ আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। জানা গেছে গৌরান্ডি থেকে অজয় নদের দিকে যেতে বিন্দুডি মোড়ের কাছে বারাবনি থানার পুলিশ নাকা চেকিং চালাচ্ছিল। সে সময় ঝাড়খণ্ডের নলা থেকে একটি বাইকে ৩ যুবক আসানসোলের দিকে আসছিল। বিশেষ সূত্রে পুলিশের কাছে আগাম সংবাদ ছিল যে এদিন নিষিদ্ধ কিছু পাচার করা হতে পারে। পুলিশ ওই বাইকটি থামিয়ে তল্লাশি করতেই ব্যাগের মধ্যে থাকা ৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা পেয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পৌঁছান বারাবনি থানার ওসি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। গ্রেফতার করা হয় অভয় বাউরি, গণেশ রায় সহ আরো একজনকে।@প্রান্তভূমি
অলীক কুনাট্যরঙ্গে... আজ বিশ্ব থিয়েটার দিবস

মৃদুল শ্রীমানি।।
আজ সাতাশ মার্চ বিশ্ব থিয়েটার দিবসে মনে পড়ুক দীনবন্ধু মিত্রের লেখা নীলদর্পণ নাটকে নীলকর সাহেবের অত্যাচারকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন অধীর মুস্তফী, আর নাটক দেখতে দেখত নাটক দেখছি ভুলে গিয়ে নীলকর সাহেববেশী অভিনেতাকে চটিজুতা ছুঁড়ে মেরেছেন বিদ্যাসাগর। সেই চটি মাথায় নিয়ে অভিনেতা বলছেন, এ আমার সর্বোত্তম পুরস্কার।
বাংলার নাটক দেখতে গিয়ে হাহাকার করে মাইকেল বলছেন, অলীক কুনাট্যরঙ্গে মজে লোক রাঢ়বঙ্গে, নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়। তারপর নিজেই লিখে দিলেন নাটক, শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী। বাঙালির নাট্যসাহিত্যে একটা পালাবদল ঘটে গেল।
নাটকের আরেক পালাবদল ঘটিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রক্তকরবী নাটকে সমাজবদলের এক অসাধারণ বার্তা রইল। ভূমিকম্পদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণসংগ্রহে নামল নাটক রক্তকরবী।
নবান্ন নাটকে বিজন ভট্টাচার্য দেখিয়ে দিলেন ভারতীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্বটাকে। কালোবাজারিরা জজ ম্যাজিস্ট্রেটদের ট্যাঁকে পুরে রেখেছে।
আরেকটি পালাবদল বাদল সরকারের হাতে। নাটক কি করে দেখাতে পারে, দেখালেন তিনি। আর রাস্তায় নেমে নাটক করতে গিয়ে রাজনৈতিক গুণ্ডাদের হাতে নিহত হলেন সফদর হাশমি। নাটক হল্লাবোল। বোল মজুরে হল্লাবোল। নাটক যদি সমাজবদলের লড়াইয়ে ভূমিকা না নিল, তেমন নাটকে আমার কী প্রয়োজন?
শ্রীরামকৃষ্ণ মঞ্চে উঠে আশীর্বাদ করছেন অভিনেত্রী বিনোদিনীকে। বলছেন নাটকে লোকশিক্ষা হয়। সাধারণ মানুষের উত্তরণের পথ আঁকা হোক নাটকে।
চর্যাপদের কবি আমার কানে কানে বলছেন, নাচন্তি বাজিল গায়ন্তি দেবী/ বুদ্ধ নাটক বিষমা হোঈ।
বিশ্ব থিয়েটার দিবস সার্থক হোক।@প্রান্তভূমি
কেবলসের পরিত্যক্ত আবাসন থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

#প্রান্তভূমি ২৭ মার্চ।।
হিন্দুস্তান কেবলস অফিসার্স কলোনির পরিত্যক্ত আবাসন থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল আজ ২৭ মার্চ সকালে। ওই ব্যক্তির বয়স ৬৮ বছর। পাতলা দোহারা চেহারার ওই ব্যক্তির পরনে নীল রঙের জামা এবং কালো প্যান্ট ছিল। নিজের পরনের লুঙ্গি দিয়ে ওই আবাসনের পাখার হুক থেকে তিনি গলায় দেন বলে অনুমান। এই আবাসনটি ডিএভি স্কুল সংলগ্ন হিন্দুস্তান কেবলস ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের ডানদিকে যেখানে এলাকার যাবতীয় আবর্জনা জমা হয় সেই এলাকায়। এক সময় ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে উর্বশী হলের দিকে যাতায়াতের অন্যতম আকর্ষণীয় রাস্তা ছিল এখানেই। আজ সকালে আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু মহিলা মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে সংবাদ পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে মৃতের পকেটে একটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে । আধার কার্ড অনুযায়ী মৃতের নাম মন্টু পাল। তাতে ঠিকানা লেখা রূপনারায়ণপুর সীমান্ত পল্লী। তবে পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মন্টু বাবু তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম লাগোয়া একটি কোয়ার্টারে থাকতেন। তার পুত্র গোবিন্দ পাল পেশায় অটোচালক। তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে ২৫ মার্চ ভোরের দিকে মন্টুবাবু বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
দুরন্ত অভিযানে গ্রেফতার আসানসোলের পাখি ব্যবসায়ী, উদ্ধার একাধিক আফ্রিকান মিউট সোয়ান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ মার্চ:: বাড়িতে নিষিদ্ধ পাখি রেখে গ্রেফতার হয়ে গেলেন এক যুবক। এই অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের হেডকোয়ার্টার কলকাতা থেকে দক্ষ আধিকারিকেরা আসানসোলে এসেছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের নির্বাচিত কিছু আধিকারিককে। তারা একযোগে আজ দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় আসানসোলের বুধা গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালান। সেখানেই উদ্ধার হয় ৮ টি আফ্রিকান মিউট সোয়ান প্রজাতির পাখি। এই পাখি ধরা বা বাড়িতে রাখা কিংবা কেনা বেচা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে আসানসোল রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে। পাখি গুলিকে উদ্ধার করে বর্ধমানের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। এগুলি রাখার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন সৈকত হাজরা (২৬) নামের এক যুবক। তাকে আজ আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন এবং জেল হেফাজতে পাঠান। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আসানসোল বুধা গ্রামের সৈকত লাইসেন্স নিয়ে অন্যান্য পাখি পালন ও ব্যবসা করেন। কিন্তু আফ্রিকান মিউট সোয়ান প্রজাতির পাখি রাখার ক্ষেত্রে কোনো রকম লাইসেন্স তার ছিল না, থাকার কথাও নয়। বিষয়টি গোপনে রাজ্যের বন্যপ্রাণ বিভাগ জানতে পারে। এরপরই কলকাতা থেকে আসানসোলে অভিযান চালানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়। অভিযানের কথা যাতে ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচিত কর্মী আধিকারিকদের এতে সামিল করা হয়। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং নিষিদ্ধ প্রজাতির পাখিগুলিকে উদ্ধার করতে পারা বন দপ্তরের বিশেষ সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ডিভিসির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ মার্চ:: বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রণী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। আন্তর্জাতিক মানের আই এস ও ২৭০০১ শংসাপত্র অর্জন করল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা। ডিভিসি তার কার্য পরিচালনায় সুসংহত নেতৃত্ব, মজবুত সুরক্ষা ব্যবস্থা, ইনফরমেশন টেকনোলজির উন্নতি এবং সহায়তা ও সঠিক নীতি অনুসরণ করে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই শংসাপত্র লাভ করেছে বলে জানা গেছে। কলকাতায় সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমারের হাতে ২৪ মার্চ এই আইএসও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ছ'টিরও বেশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ডিভিসি নিরন্তর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় সুসংহত পদ্ধতি মেনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির চেষ্টা করে চলেছে এই সংস্থা। সম্প্রতি কোডার্মা এবং রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এবার আন্তর্জাতিক আইএসও ২৭০০১ শংসাপত্র ডিভিসির সার্বিক সুনামকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
ইস্পাত উৎপাদনে দেশের সেরা বার্ণপুর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ মার্চ:: দেশের সেরা ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্টের সম্মান পেল বার্নপুরের সেল আইএসপি। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্পোরেট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বার্নপুরকে এই সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেওয়া হল আজ নতুন দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে উৎপাদন থেকে শুরু করে লাভ প্রদান সব ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্বের নজির রেখেছে বার্নপুর আই এস পি। এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে যে গুণমানগুলির বিষয় নজরে রাখা হয় তার সব কটিতেই এই কারখানা অত্যন্ত উচ্চ মান তুলে ধরেছে। বিশেষ করে উচ্চ গুণমানের ইস্পাত উৎপাদন এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শক্তির সঠিক ব্যবহার নজির সৃষ্টি করেছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নতুন দিল্লিতে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই পুরস্কার সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকদের কর্মদক্ষতা ও ইতিবাচক পদক্ষেপের সম্মিলিত অবদান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
পেট্রোল পাম্পে গুলিতে মৃত্যু এক কর্মীর, ছিনতাই টাকা ভর্তি ব্যাগ:: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে উত্তেজনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: পেট্রোল পাম্পে গুলি চালিয়ে এক কর্মীর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। গুলিতে ওই কর্মীর মৃত্যু ঘটেছে। ভয়ানক এই কান্ড ঘটেছে আজ ২৪ মার্চ রাতের দিকে। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার ফতেপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুর-সাহেবগঞ্জ রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত চৌকুন্ডা অঞ্চলের নায়রা পেট্রোল পাম্পে। জানা গেছে আজ রাতের দিকে দুষ্কৃতীরা একটি টিভিএস অ্যাপাচে বাইকে চড়ে পেট্রোল পাম্পে আসে। বাইকে পেট্রোল ভরার বাহানায় সেখানকার কর্মী জনার্দন মাঝিকে কাছে ডাকে । এরপরই জনার্দনের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে হতেই দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়ে দেয়। অন্ততপক্ষে তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গেছে। গুলি সরাসরি জনার্দনের পেটে লাগে। এরপরই জনার্দনের কাছে থাকা টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ৩, এবং তাদের সকলেরই মুখ ঢাকা ছিল। ঘটনার পরেই পাম্পের অন্যান্য কর্মীরা পুলিশকে এবং পাম্পের মালিককে বিষয়টি জানান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ জনার্দনকে প্রথমে ফতেপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামতাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, জনার্দন বিন্দাপাথর থানা এলাকার চড়কাদহ গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ির একমাত্র ছেলে। মৃত জনার্দনের খুড়তুতো ভাই সমীর মাঝি বলেন কয়েকদিন আগেই জনার্দনের অতি নিকট আত্মীয় সতসাল গ্রামের মহেন্দ্র মাহাতো তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল। এদিকে জামতাড়া সদর হাসপাতালে পুলিশের কাছে জনার্দনের পরিবারের লোকেরা সেখানে মহেন্দ্রকে ডেকে আনার দাবি জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের ডাকে মহেন্দ্র জামতাড়া সদর হাসপাতালে পৌঁছালে জনার্দনের পরিজনেরা তার সঙ্গে মারপিটে লিপ্ত হন। এরপরই পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে এবং অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে নিজেদের আয়ত্ত্বে নেয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এই গুলি ছিনতাই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে, খতিয়ে দেখছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ।@প্রান্তভূমি
ইঞ্জিন উৎপাদনে ইতিহাস ডানকুনির:: সিএলডব্লুও দাঁড়িয়ে রেকর্ডের দোরগোড়ায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার একটি ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ডানকুনি ইলেকট্রিক লোকো এসেম্বলি এন্ড এ্যনসিলারি ইউনিট উৎপাদনের নিরিখে চলতি আর্থিক বর্ষে ইতিহাস গড়লো। ২০২৪- ২৫ আর্থিক বছরে ডানকুনি থেকে দেড়শোটি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদিত হল। আজ ২৪ মার্চ দেড়শোতম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করলেন সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার। দেশের প্রতি এই ইঞ্জিনটি উৎসর্গ করে শ্রী কুমার বলেন এখানকার কর্মীদের দক্ষতা এবং কর্মনিষ্ঠা প্রত্যেকের কাছে উদাহরণ হয়ে রইল। তিনি বলেন সিএলডব্লু প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর এবং দেশে রেলের বৈদ্যুতিকরণের ১০০ বছরের ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখল ডানকুনি ইউনিট। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে ডানকুনি ইউনিট ১০১ টি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদন করেছিল। সেখান থেকে এ বছর একেবারে ১৫০ টি রেল ইঞ্জিন উৎপাদন এই সংস্থার কাছে অত্যন্ত গৌরবের। ডানকুনি ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত বেশি ইঞ্জিন উৎপাদন অন্য কোন বছরে সম্ভব হয়নি। এদিকে জানা গেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা চলতি আর্থিক বছরে সর্বমোট ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চলেছে। চলতি মার্চ মাসের ৩০ তারিখ ৭০০- তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
৬ বছর পর আবার চিত্তরঞ্জন বইমেলা এবার শ্রীলতায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। গৌরাঙ্গ ঘোষ:: ২৩ মার্চ:: চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ৩৪-তম চিত্তরঞ্জন বইমেলা শুরু হল। ২৩ থেকে ২৭ মার্চ বইমেলা চলছে। শ্রীলতা হলে এই বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিত্তরঞ্জনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ট্রাকশন মোটর) দীনেশ প্রসাদ শা। পদাধিকার বলে তিনি এই ইনস্টিটিউটের সভাপতিও। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি তথা চিত্তরঞ্জনের ডেপুটি চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এস বি ত্রিপাঠি। চলতি বছরে উড প্যাকার, ছায়া পাবলিকেশন, সঞ্চয়ন প্রকাশন, চৌধুরী ডিস্ট্রিবিউটর, বুক জাংশন, অধ্যয়ন পাবলিকেশন, চিত্রলেখা, রেনু প্রকাশনী, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি সহ স্থানীয় দুটি প্রকাশনী সংস্থা মিলিয়ে মোট 11 টি সংস্থা হাজির হয়েছেন তাদের বইপত্রের পসরা নিয়ে। মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে দুটি বুটিক স্টল এবং ছয়টি ফুড কোর্ট। ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস নন্দী এবং সাহিত্য সম্পাদক সুরজিৎ লোধ জানান বইমেলা মঞ্চে পাঁচ দিনই থাকছে এলাকার খ্যাতনামা শিল্পীদের নানান অনুষ্ঠান, হিন্দি ও বাংলা স্বরচিত কবিতা পাঠ। তারা বলেন বইমেলায় পাবলিশার্সদের আসার সংখ্যা কমে গেছে। হিন্দি বুক স্টলের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে ব্যবস্থা করা হবে। গতবার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। প্রসঙ্গত এর আগে ৩৩-তম বইমেলা হয়েছিল ২০১৮ সালে বাসন্তী ইনস্টিটিউটে। তার আগে ২০১৭ সালে শ্রীলতায়। মাঝে করোনা এবং বিভিন্ন কারণে বন্ধ ছিল বইমেলা। ১৯৭৯ সালে কলকাতার বাইরে প্রথম চিত্তরঞ্জনে বইমেলা শুরু হয়েছিল। তখনকার সঙ্গে এখন তফাৎ অনেক। মোবাইল দূরদর্শনের সাথে পাল্লা দিয়ে কমেছে বই প্রেমীর সংখ্যা বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
ট্রেলারের ধাক্কায় ভেঙে পড়লো রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স কাউন্টার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ মার্চ:: ট্রেলারের ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল টোল ট্যাক্সের টিকিট কাউন্টার। ঘটনা আজ ২৩ মার্চ দুপুর একটা নাগাদ বাংলা- ঝাড়খন্ড সীমান্তে রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স কেন্দ্রে। এদিন কলকাতা থেকে উচ্চ বাতিস্তম্ভ নিয়ে একটি ট্রেলার ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। এই সময় ট্রেলারের পিছনের দিকের অংশ টোল ট্যাক্স আদায়ের কাউন্টারের সঙ্গে কোন কারনে আটকে যায়। এরফলে কাউন্টারটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখন ভেতরে টোল সংগ্রহের কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে তাদের কোন চোট লাগেনি বলে জানা গেছে। জানা গেছে এই ট্রেলারের ( নং এন এল ০১ জি ৮৭৭৫) মালিক টাটার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে রূপনারায়ণপুর পুলিশ সেখানে যায় এবং ট্রেলারটিকে চালকসহ ফাঁড়িতে আটক করে নিয়ে আসে।@প্রান্তভূমি
আপাতত স্থগিত সোম মঙ্গলের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: আগামী ২৪ ও ২৫ মার্চ অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গলবার প্রস্তাবিত ব্যাংক ধর্মঘট আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। এরফলে আজ শনিবার থেকে পরপর চার দিন ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা থেকে অব্যাহতি পেলেন গ্রাহকেরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি প্রবীর মজুমদার বলেন এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে এবং তাতে ধর্মঘটের সমর্থনে যেসব দাবি রাখা হয়েছিল তা নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস পাওয়ায় ধর্মঘট স্থগিত হয়ে গেল। তিনি বলেন ধর্মঘটের জন্য দেশব্যাপী অফিসার এবং কর্মীরা সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছিলেন। জানা গেছে ২১ মার্চ সকাল থেকে এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন বা আইবিএ, ডিএফএস পদাধিকারীরা অংশ নেন। সেন্ট্রাল লেবার কমিশনার নিজে দাবি-দাওয়াগুলি সম্পর্কে নজর রাখার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে ব্যাংকগুলিতে মারাত্মক কর্মী সংকট মেটাতে নতুন নিয়োগ এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন কর্ম দিবস চালুর বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়। দিনভর আলোচনা শেষে সরকার পক্ষের ইতিবাচক মনোভাবের আশ্বাসে ধর্মঘট থেকে বিরত থাকার আপাতত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্মঘট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মনে।@প্রান্তভূমি
সাংসদ তহবিলের অর্থে কলেজে নতুন ভবনের উদ্বোধন করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: সাংসদ কোটার টাকায় চিত্তরঞ্জনে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের ভাষা ভবনের দ্বিতল বর্ধিত হল। নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করলেন আসানসোল লোকসভার সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। 22 মার্চ এই আয়োজন উপলক্ষে সাংসদদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি মুকুল উপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, জেলা পরিষদ সদস্য বেবি মন্ডল, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ব্লক মহিলা তৃণমূল সভাপতি অপর্ণা রায়, ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি ভোলা সিং প্রমুখ। এদিন ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দশটি শ্রেণিকক্ষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুটি আধুনিক শৌচালয়ের উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন এই মুহূর্তে শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, তাই সাংসদের দ্বারস্থ হতে হয়েছে কলেজকে। তবে রাজ্য সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। সাংসদ শ্রী সিনহা বলেন পাশে ছিলাম, পাশে আছি, আগামী দিনেও পাশে থাকব - যে কোনো প্রয়োজনে। কলেজে এই উদ্বোধনী কার্যক্রমের মধ্যেই চিত্তরঞ্জনের আই এন টি ইউ সি/ এন এফ আই আর/ সি আর এম সি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের সাথে বৈঠক হয় সাংসদের। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কয়েক মিনিটের এই বৈঠকে ইন্দ্রজিৎ বাবু এবং নেপাল চক্রবর্তী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার হাল হকিকত সাংসদ তথা রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহাকে জানান। অবিলম্বে চিত্তরঞ্জনে নতুন নিয়োগ, বেসরকারি সংস্থার বরাত কমানো সহ বেশ কিছু দাবি তার কাছে রাখা হয়। সাংসদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনগামী ট্রেলারের ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়লো গাড়ির ওপর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ।। আজ সকাল ১০টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর বাউরি পাড়ার সামনে মূল রাস্তায় ইলেকট্রিক পোল ভেঙে চলন্ত গাড়ির উপরে পড়ে। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আরোহীরা সুস্থ আছেন। এদিন দুর্ঘটনা ঘটে সি এল ডব্লুর ইঞ্জিন বগি বহনকারী ট্রেলারের জন্য। ট্রেলারের ওপরে রেল ইঞ্জিনের বগি চিত্তরঞ্জনে আসছিল। ডাবর মোড় আসার একটু আগে বাউরি পাড়ার সামনে রাস্তার ওপর দিয়ে যাওয়া ইলেকট্রিক তারে ঐ ট্রেলারের ওপরে থাকা ইঞ্জিনের অংশ আটকে যায়। তারে জোরালো টান পড়ায় ইলেকট্রিক পোল ভেঙে পড়ে। ঐ সময় ট্রেলারের পেছনে নিজেদের গাড়ি নিয়ে রূপনারায়ণপুরে দত্ত জুয়েলার্সের সুনীল দত্ত ও তার ছেলে সৈকত দত্ত আসছিলেন। ইলেকট্রিক পোলটির মাথার দিক সরাসরি এসে পড়ে গাড়ির সামনে। গাড়িটির সামনের কাঁচ ভেঙে যায়। মূল রাস্তায় এই দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ জ্যাম হয়। দুই দিকের চলাচল থেমে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও চলে আসেন।
টানা বৃষ্টির মধ্যেই ৭৬ জন রক্ত দান করলেন সম্প্রীতি উৎসব মঞ্চে

#প্রান্তভূমি ২১ মার্চ।।
সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির মধ্যেই এই শিবিরে ৭৬ জন রক্ত দান করলেন। রক্ত দিলেন ব্লকের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, পঞ্চায়েতের কর্মী সদস্য, গৃহবধূ এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মানুষজন। উৎসব কমিটির আয়োজনে এই শিবির সফল করতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বহু স্বেচ্ছাসেবী অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। রক্তদাতাদের উজ্জীবিত করতে শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায়, ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি ভোলা সিং সহ বহু বিশিষ্টজন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সম্প্রীতি উৎসবের এই রক্তদান শিবির অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠল বলে তারা মন্তব্য করেন। শিবিরে একাত্তর জন পুরুষ এবং পাঁচজন মহিলা রক্তদান করেন। উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো এদের মধ্যে ১৮ জন দাতা প্রথমবার রক্ত দিলেন। বাকি ৫৮ জন আগেও রক্ত দিয়েছেন। উৎসব কমিটির সম্পাদক দুর্গাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি না হলে রক্তদাতার সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে যেত। তবুও এর মধ্যে যারা শিবির সফল করতে সরাসরি এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তিনি ধন্যবাদ জানান।@প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: চারদিনব্যাপী সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হলো আজ সন্ধ্যায়। উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি স্থানীয় ব্যক্তিরা। এছাড়াও ছিলেন সালানপুর ব্লকের 11 টি পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা। ছিলেন এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু গুণীজন। বিকেলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আদিবাসী নৃত্য বাদ্য রণপা সহ শোভাযাত্রা রূপনারায়ণপুর এলাকা পরিক্রমা করে। এরপর ইউথ ক্লাব ময়দানের মূল মঞ্চে উদ্বোধনী পর্বে পতাকা উত্তোলন করেন শ্রী উপাধ্যায়। উৎসব কমিটির সম্পাদক দুর্গাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এই সম্প্রীতি উৎসব আয়োজনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। মূল বক্তব্যে বিধান উপাধ্যায় বলেন মানুষে মানুষে সম্প্রীতির ভাব স্বাধীনতার আগে থেকেই বজায় আছে। তা যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই রকম বয়ে চলে - সেই উদ্যোগের অংশই হল এই সম্প্রীতি উৎসব। তিনি বলেন ব্যস্ত জীবনে এই উৎসব প্রাঙ্গণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হোক। এদিন সালানপুর ব্লকের একাধিক পড়ুয়ার হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন
ক্ষেত্রের গুণীজনদের সংবর্ধনা, মেধাবী পড়ুয়াদের সম্মান জ্ঞাপন, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি কৃতি পড়ুয়াদের সম্মান জানানো হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন বিধায়ক সহ অন্যান্য অতিথিবর্গ। এরপর সংগীত, নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। আগামীকাল সকালে উৎসব প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, বিকালে কবি সম্মেলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় খ্যাতনামা শিল্পী গঙ্গাধর তুলিকার সঙ্গীত পরিবেশন হবে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে চুরি আটকে হিরো 'ভালু'

#প্রান্তভূমি ২০ মার্চ।। গৌরাঙ্গ ঘোষ::
কোনও সুরক্ষা বলয় নয়, চিত্তরঞ্জনের আর সাইট এলাকার ৪ নম্বর রাস্তার ৮/বি আবাসনটিকে চুরির হাত থেকে বাঁচালো একটি পথ-কুকুর' ভালু'। ১৭ মার্চ ৮৫ নম্বর রাস্তার ১১/ বি আবাসনের সর্বস্ব চুরি করার পর দুষ্কৃতিরা আর সাইট এলাকার ৪ নম্বর রাস্তার ৮/বি ফাঁকা আবাসনে চুরির উদ্দেশ্যে আসে। সে সময় পাশের ৮/ এ আবাসনের বাসিন্দা সোমা সরকারের কুকুর 'ভালু' অস্বাভাবিক চিৎকার করে দুষ্কৃতিদের দিকে তেড়ে যায়। তার অনবরত চিৎকারে বেরিয়ে আসেন সোমা দেবী। এরমধ্যেই দুষ্কৃতিরা পাশের কোয়ার্টার্সের সামনের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল। সোমা দেবী তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় তারা আই ও ডব্লুর লোক, কাঠের কাজ করে। কিন্তু বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে কেন তারা ঢুকছে সে প্রশ্নের কোন সদুত্তর তারা সোমাদেবীকে দিতে পারেনি। সোমা দেবী বলেন, দুষ্কৃতিরা সংখ্যায় চারজন - দুটি বাইকে চেপে এসেছিল। প্রত্যেকেরই মাথা ঢাকা ছিল হেলমেটে। ভালুর ক্রমাগত চিৎকার এবং মুহুর্মুহু আক্রমণে দুষ্কৃতিরা এ সময় পিছু হটতে শুরু করে। রাস্তার উপর একজন বাইক স্টার্ট করেই রেখেছিল। ভালুর চিৎকার এবং সোমাদেবীর প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে এরপর দ্রুত বাইকে চেপে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতিরা। বড়োসড়ো চুরির হাত থেকে রক্ষা পায় ৮ /বি আবাসনটি।
সোমাদেবী প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে জানান, কুকুরটিকে তারা ৯ বছর আগে রাস্তা থেকে তুলে এনে বড় করেছেন। এখন সে তাদের পরিবারেরই একজন।
৮/বি আবাসনের মালিক গৌতম মহান্তি বলেন, 'আমি গড়বেতা গিয়েছিলাম সপরিবারে, যাকে থাকতে বলেছিলাম সে তার দায়িত্ব পালন করেনি। এক্ষেত্রে কুকুরটি না থাকলে কোনওমতেই চুরি আটকানো যেত না'।@প্রান্তভূমি
হিলটপে গাছ কাটায় বড়ো জরিমানা চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের::বন ও সাধারণ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: বন দফতরের অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটার খেসারত দিতে হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষকে। শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান বন জঙ্গলে ঘেরা হিলটপ অঞ্চল থেকে শাল শিশু সোনাঝুরি ইত্যাদি বহু গাছ বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই কেটে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ৮ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়। রেলের মত সরকারি একটি সংস্থার পক্ষে এই ধরনের অনৈতিক কাজকে সংশ্লিষ্ট মহল একেবারেই সমর্থন করেনি। নানাভাবে গাছ কাটার ঘটনা দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ডঃ অনুপম খানের কাছে পৌঁছালে তিনি আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রূপনারাণপুরস্থিত রেঞ্জ অফিসারকে সরেজমিনে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ পদক্ষেপ না হওয়ায় আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে ডিএফও শ্রী খানকে সক্রিয় হওয়ার জন্য বলেন। এরপর চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কাছ থেকে চিঠি আসে। এবং শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রায় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৬০ টির মত নানা ধরনের গাছ ৮ ফেব্রুয়ারি হিলটপ অঞ্চল থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। অনেক গাছের গুঁড়িশুদ্ধ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, অনেক গাছকেই গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। শীতের বিকেলে সেখানে ঘুরতে গিয়ে মানুষজন নির্বিচারে গাছ কাটার সেই দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ভবিষ্যতে এই একই ঘটনা ঘটালে তখন আর জরিমানা দিয়ে ছাড় পাওয়ার বিষয় থাকবে না, আইনের আওতায় আরো কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে রেলকে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল বলেন বিষয়টি উচ্চ কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপর সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি, তার ফোন থেকে সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যুত্তর 'আই উইল কল ইউ ব্যাক' পাওয়া যায়। বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার চিরঞ্জীব সাহা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান ১৮ মার্চ রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু অর্থ বনবিভাগকে এজন্য দিয়েছেন। অন্যদিকে আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি বেসরকারি সমস্ত সংস্থার সদর্থক উদ্যোগ প্রার্থনা করেছেন।@প্রান্তভূমি
আতঙ্কের শহর চিত্তরঞ্জন:: কোয়ার্টার্সে পড়লো বোম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৯ মার্চ।।
ক্রমশ আতঙ্কের শহরে পরিণত হচ্ছে চিত্তরঞ্জন। বন্ধ ঘরে চুরি, শুনশান রাস্তায় ছিনতাই সহ নানান ঘটনার পর এবার একেবারে কোয়ার্টার্সের ছাদে বোম ছোঁড়ার মত ঘটনা সামনে এলো। ১৮ মার্চ রাত পৌনে দশটা নাগাদ শহরের ছয়েরপল্লী এলাকায় ৩৭ নম্বর রাস্তার ৪৯ / বি কোয়ার্টার্সে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই রেল কর্মীর পরিবার। জানা গেছে এখানে থাকেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ১৯ নম্বর শপের কর্মী সুশান্ত কুমার ঘোষ। ১৮ মার্চ সুশান্ত বাবু নাইট ডিউটিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী, পুত্র এবং ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা বেলি ঘোষ। সিসিটিভির ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে দুটি কম বয়সী ছেলে একটি বাইকে চড়ে ঐ কোয়ার্টার্সের সামনে দিয়ে পার হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই ছেলে দুটি হেঁটে সেখানে ফিরে আসে এবং আগুন জ্বালিয়ে একটি বোম কোয়ার্টার্সের দিকে ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। বিকট শব্দ করে বোমটি ফাটে এবং তীব্র কটূ গন্ধ ও ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যায়। হঠাৎ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কোয়ার্টার্সের ভেতরে থাকা লোকজন। ভয়ে তারা বাইরেও বেরিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছিলেন না। ইতিমধ্যে রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ সুশান্ত বাবু ডিউটি থেকে ফিরে এলে সমস্ত ঘটনা শুনে ছয়ের পল্লীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস ওয়ার্ডেন বাপ্পা কুন্ডুকে ঘটনার কথা জানান। বাপ্পা বাবু সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছান এবং চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ও আরপিএফকে বিষয়টি জানান। জানা গেছে বোমের আঘাতে কোয়ার্টার্সের সামনের দিকের অ্যাসবেসটস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দুষ্কর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার চিত্তরঞ্জনের টোটো চালক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এক টোটো চালককে গ্রেফতার করেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। যে টোটোয় চাপিয়ে এই দুষ্কর্ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেই টোটোটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে গেছে। চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে অভিযুক্ত টোটো চালক পকসো আইনের আওতায় আপাতত আড়াই মাস জেল হেফাজতে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার কন্যাকে এক পরিচিত টোটো চালক নিয়মিত স্কুল এবং টিউশনিতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতেন। ওই টোটো চালককে রেল কর্মীর পরিবার যথেষ্ট ভরসা ও বিশ্বাস করতেন। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন বিকেল তিনটে নাগাদ টিউশনি নিয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সাথে টোটো চালক দুষ্কর্ম করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির শরীরের বিশেষ জায়গায় কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয় এবং তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পুলিশকে জানালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে এবং ১৬ মার্চ অভিযুক্ত ওই টোটো চালককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত টোটো চালক বিবাহিত। সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না ছাত্রীর পরিবারের কেউই। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি বলেন পরিচিত মানুষের গন্ডির মধ্যেই বিশ্বাসহীনতার এই কাজ সমাজের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ সক্রিয় হয় এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন এসব ক্ষেত্রে অযথা মুখ লুকিয়ে না থেকে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সেই সহযোগিতা এক্ষেত্রে পাওয়ায় তিনি ওই পরিবারটিকে ধন্যবাদ দেন। ওই পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দুষ্কর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার টোটো চালক, চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে হাজতে অভিযুক্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এক টোটো চালককে গ্রেফতার করেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। যে টোটোয় চাপিয়ে এই দুষ্কর্ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেই টোটোটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে গেছে। চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে অভিযুক্ত টোটো চালক পকসো আইনের আওতায় আপাতত আড়াই মাস জেল হেফাজতে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার কন্যাকে এক পরিচিত টোটো চালক নিয়মিত স্কুল এবং টিউশনিতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতেন। ওই টোটো চালককে রেল কর্মীর পরিবার যথেষ্ট ভরসা ও বিশ্বাস করতেন। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন বিকেল তিনটে নাগাদ টিউশনি নিয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সাথে টোটো চালক দুষ্কর্ম করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির শরীরের বিশেষ জায়গায় কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয় এবং তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পুলিশকে জানালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে এবং ১৬ মার্চ অভিযুক্ত ওই টোটো চালককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত টোটো চালক বিবাহিত। সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না ছাত্রীর পরিবারের কেউই। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি বলেন পরিচিত মানুষের গন্ডির মধ্যেই বিশ্বাসহীনতার এই কাজ সমাজের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ সক্রিয় হয় এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন এসব ক্ষেত্রে অযথা মুখ লুকিয়ে না থেকে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সেই সহযোগিতা এক্ষেত্রে পাওয়ায় তিনি ওই পরিবারটিকে ধন্যবাদ দেন। ওই পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
এলেন পিএমজি, দীর্ঘ প্রচেষ্টায় স্থানান্তরিত হলো হিন্দুস্তান কেবলস পোষ্ট অফিস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: ভগ্নদশার ঘর থেকে একেবারে ঝাঁ চকচকে অফিসে উঠে এলো হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিস। সুদীর্ঘকাল ঘরে এই পোস্ট অফিস কেবলস নিউ কলোনির একটি কোয়ার্টার্সে চলছিল। কিন্তু কেবলস কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পোস্ট অফিসটিকে সেখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্যোগ আজ ১৯ মার্চ ফলপ্রসূ হলো। পোস্ট অফিসটি উঠে এলো দেশবন্ধু পার্কে হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর যমুনা টুইন্স আবাসনের নিচ তলায়। হাজার বর্গফুটের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সহ এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন পোস্টমাস্টার জেনারেল দক্ষিণবঙ্গ ঋজু গাঙ্গুলি। ছিলেন আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিসেস অংশুমান বেদান্তি, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত সামন্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সমাজসেবী বিজয় সিং সহ অন্যান্যরা। আজ থেকেই পুরনো বিল্ডিংয়ের পরিবর্তে নতুন এই জায়গায় পোস্ট অফিসের কাজকর্ম চালু হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে পোস্টমাস্টার জেনারেল শ্রী গাঙ্গুলি বলেন জনসাধারণকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পোস্ট অফিস আগের চেয়ে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তিনি এদিন সুকন্যা সমৃদ্ধি, মহিলা সম্মান প্রকল্প সহ অন্যান্য প্রকল্পে যারা এই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লগ্নি করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হাতে পাস বই, স্মারক ইত্যাদি তুলে দেন। কথা প্রসঙ্গে প্রান্তভূমির সম্পাদক অভয় মন্ডলকে পোস্টমাস্টার জেনারেল শ্রী গাঙ্গুলি বলেন, শীঘ্রই হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিসে আধার পরিষেবা শুরু করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, যাদের কোন অ্যাকাউন্ট নেই সেই সব ব্যক্তিদের কাছে পোস্ট অফিস পৌঁছে যাবে এবং তাদের অন্তত একটি সেভিংস একাউন্ট পোস্ট অফিসে খোলার উদ্যোগ নেবেন। পোস্ট অফিসে এটিএম চালুর বিষয়েও এ বছরের জুন মাসের পর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এছাড়াও তাকে প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের যে তিনটি গ্রাম - ধাঙ্গুড়ি, ডোমদহ, কাশিডাঙ্গা ঝাড়খন্ড রাজ্যের মিহিজাম পোস্ট অফিসের অন্তর্ভুক্ত রয়ে গেছে সেগুলি কখন এ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে? এর উত্তরে পোস্টমাস্টার জেনারেল বলেন অতিশীঘ্রই বিষয়টি ইতিবাচক রূপ পাবে। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসানসোল ডিভিশনের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট শ্রী সামন্তকে এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তার কাছে দ্রুততার সাথে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যদিও এ বিষয়ে শ্রী সমন্ত বলেন ইতিমধ্যেই বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে, কেন্দ্রীয় ডিরেক্টরেট থেকে কলকাতায় কিছু কাগজপত্র চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে । পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কাছ থেকে সেই সব কাগজপত্র পিএমজি অফিসে পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে কলকাতার এক আধিকারিক নিরন্তর চেষ্টা করছেন বলেও ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আশ্বস্ত করেন পোস্টমাস্টার জেনারেলকে। এ বিষয়ে পোস্টমাস্টার জেনারেল উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বস্ত করেন। হিন্দুস্তান কেবলস, রূপনারায়ণপুর, সালানপুর পোস্ট অফিসে স্থায়ী পিয়ন নিয়োগের বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানা যায়। সবশেষে পোস্টমাস্টার জেনারেল সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন তারা আরো বেশি বেশি করে এই পোস্ট অফিসকে তাদের কাজে ব্যবহার করুন, চিঠি পার্সেল পাঠানোর পাশাপাশি সরকারের নানান লাভজনক প্রকল্পে অর্থ রাখুন। পোস্টমাস্টার জেনারেল ঋজু গাঙ্গুলির ইতিবাচক কথাবার্তা উপস্থিত সকলকেই মুগ্ধ করে।@প্রান্তভূমি
স্তন প্রতিস্থাপন করে নজির আসানসোল জেলা হাসপাতালের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করল আসানসোল জেলা হাসপাতাল। এই প্রথম জেলা হাসপাতালে এক মহিলার স্তন প্রতিস্থাপনের মতো জটিলতর অপারেশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হল। কলকাতার বাইরে কোনো জেলা হাসপাতালে এই ধরনের জটিল ও ব্যয়বহুল অপারেশন সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আশার সঞ্চার হয়েছে। জানা গেছে সালানপুর ব্লকের এক মহিলা তার স্তনে টিউমারের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টিউমারটিকে অপারেশনের মাধ্যমে বাদ দেন। এরপর নিয়মমাফিক বায়োপসি করতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বেঁধেছে। এইসব ক্ষেত্রে মহিলার সুস্থতার জন্য স্তন কেটে বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন চিকিৎসক মহল। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলা তার স্তন বাদ না দিয়ে অন্য উপায় খোঁজার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগ কলকাতার পিজি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীপ্তেন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনা করেন। তিনি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জানান যে এক্ষেত্রে ব্রেস্ট ট্রান্সপ্লান্ট বা স্তন প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে। কিন্তু এই অপারেশন যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তবে আসানসোল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এই ব্যয়বহুল অপারেশনের আর্থিক দায় বহন করতে রাজি হয়। এবং শেষ পর্যন্ত আজ ১৮ মার্চ ডাক্তার দীপ্তেন্দ্র সরকার, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ডাক্তার রণিত রায় ও জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দলের সার্বিক প্রয়াসে এই অপারেশন সম্পন্ন হয়। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তার কারণ স্তন একেবারে বাদ না দিয়ে প্রতিস্থাপন করার মধ্য দিয়ে ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসায় জেলা হাসপাতালের এই সাফল্য অন্যান্যদেরও উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ব্যয়বহুল এই অপারেশন যাতে জেলায় সরকারি ব্যয়ে করা যায় সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
দিন দুপুরে চিত্তরঞ্জনে দুষ্কৃতি তাণ্ডব

#প্রান্তভূমি ১৭ মার্চ।।
এবার দিনে দুপুরে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে চোরেদের তাণ্ডব দেখা গেল। আজ ১৭ মার্চ একই দুপুরে দুটি রেল আবাসনে হানা দিল তারা। এরমধ্যে একটি আবাসনের তালা ভেঙে লুটপাট চালাতে পারলেও আরেকটিতে বিফল হতে হয়েছে দুষ্কৃতীদের। তবে এই ঘটনা আধুনিক এই রেল শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল আবারও। এখানে রাজ্য পুলিশের পূর্ণাঙ্গ থানা, আরপিএফের নজরদারি আইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের অধীনে তবুও কি করে দুষ্কৃতীরা এই দুঃসাহস পাচ্ছে তা নিয়েই বিস্ময় দেখা দিয়েছে।
আজ দুপুর দুটো নাগাদ জানা যায় যে চিত্তরঞ্জন শহরের সিমজুড়ি এলাকার ৮৫ নম্বর রাস্তায় ১১/ বি আবাসনের তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে খাট আলমারি তছনছ করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। এই আবাসনে থাকেন রেল কর্মী বিচিত্র কুমার সিং। তিনি জিএম অফিসে কর্মরত। একসময়ে তিনি আরপিএফে কর্মরত ছিলেন । জানা যায় বিচিত্র বাবু ৮ মার্চ থেকে ছুটিতে আছেন। তিনি তার আবাসন তালা বন্ধ করে পাশের ৮৪ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা রাজেশ সিংকে সেটি দেখাশোনার ভার দিয়ে গিয়েছিলেন। আবাসনের চাবিও দিয়ে গিয়েছিলেন রাজেশ বাবুর কাছে। কিন্তু জানা যায় যে রাজেশ বাবু নিজে না থেকে ওই আবাসন দেখভালের দায়িত্ব কুশবেদিয়া ডাঙ্গালের বাসিন্দা মহেশ গিরিকে দেন। যদিও আরপিএফ এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে আবাসন তালা বন্ধ থাকার বিষয়টি বিচিত্র বাবু তাদের কাছে জানিয়ে যান নি। এদিকে চুরির সংবাদ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে আরপিএফ। সক্রিয় হয় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশও। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে শহরের ৪ নম্বর রাস্তার ৮/ বি আবাসনেও হানা দেয় চোরেরা। এখানে থাকেন রেল কর্মী গৌতম মহান্তি। এই আবাসনটিও তালা বন্ধ ছিল। তবে পাশাপাশি মানুষজনের তৎপরতায় এবং পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয়তায় এখানে চোরেরা ঢুকলেও বিপদ আঁচ করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় রেল শহরের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরের বাসিন্দারা। তারা বলেন একেই রেল কর্মীর সংখ্যা কমছে, দোকান বাজার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কম হয়েছে। এই অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে নিত্যদিন চুরি ডাকাতি হতেই থাকবে। শুধু রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি না করে দিনেও রেল শহরের শুনশান রাস্তায় পুলিশের অতিরিক্ত টহলদারির দাবী জানিয়েছেন তারা।@প্রান্তভূমি
ডাবর ডিসপেনসারি সংলগ্ন পাহাড়ে আগুন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: সালানপুর ব্লকের সামডি অঞ্চলে ইসিএলের ডাবর ওসিপি ডিসপেনসারি সংলগ্ন পাহাড়ে আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক ছোট বড় গাছ। স্থানীয়দের অভিযোগ কিছু ছেলে আজ ১৫ মার্চ সকাল থেকে এখানে ঘোরাফেরা করছিল সম্ভবত কয়লা চুরির উদ্দেশ্যে। তারাই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এখানে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে কোলিয়ারির শ্রমিক নেতা দীনেশলাল শ্রীবাস্তব কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। ঐ এলাকায় বহু শিশু গাছ সহ নানা ধরণের গাছ প্রাকৃতিক উপায়েই বেড়ে উঠেছে। তার অধিকাংশই আজ পুড়ে গেল বলে
স্থানীয়রা জানান। বর্তমান সময়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে পৃথিবীকে রক্ষা করতে আরো অনেক গাছ লাগানোর প্রয়োজন। কিন্তু হচ্ছে উল্টো । তারা আরও বলেন জমি মাফিয়াদের জমি প্লটিংয়ের উদ্দেশ্যে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ আমরা প্রায়শই দেখি। কিন্তু এইভাবে আগুন লাগিয়ে যদি জঙ্গলকে ধ্বংস করা হয় তবে কোটি কোটি টাকা দিয়েও পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না বলে তারা আক্ষেপ করেন। তারা বলেন, সরকারের সাথে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে ফাঁকা জমিতে গাছ লাগিয়ে, জঙ্গল সৃষ্টি করে প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য।@প্রান্তভূমি
রং খেলার পর বন্ধুদের সঙ্গে স্নানে গিয়ে ডুবে মৃত্যু ডিএভি স্কুল-ছাত্রের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। বি প্র ।। ১৫ মার্চ:: আজ সকাল 11টা নাগাদ বছর ১৪'র কিশোর শুভময় তেওয়ারি ( পিতা সুব্রত তেওয়ারি, বাড়ি তেঁতুলিয়া-কন্যাপুর) দোল খেলার পরে কৈলাসধাম নামক পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মারা যায়। সাথে থাকা বন্ধুরা সকলেই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে কিন্তু কেউ সাঁতার কাটতে না জানায় তারা জলে নামার সাহস পায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে এসে বাড়িতে বড়দের খবর দেয় এবং বড়রা গিয়ে দেখেন শুভময় জলে ডুবে গেছে । সেই সময় তারা সেনরালে ফাঁড়িতে খবর দিলে ফাঁড়ির বড়বাবু সাথে সাথে সেখানে পৌঁছান। পুলিশ জেসিবি মেশিন ও স্থানীয়দের চেষ্টায় শুভময়কে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাড়ির একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে তেওয়ারি পরিবার সহ পুরো পাড়া শোকোস্তব্ধ। শুভময় আসানসোল ডিএভি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন স্টেশনে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন স্টেশনে রেলে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই অঘটন ঘটে। রাত আটটা কুড়ি নাগাদ চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে তাকে আনা হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে দু'নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও ডাউন রেল লাইনের মাঝে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পর আরপিএফ তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে কেজি হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়। তার নাম কালাচাঁদ মন্ডল, বাড়ি মিহিজাম কেলাহীতে। সম্ভবত তিনি জামতাড়া থেকে আসছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
দোলের সন্ধ্যায় বাইপাস জাতীয় সড়কে মৃত্যু রূপনারায়ণপুরের যুবকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: বাইপাস জাতীয় সড়কে ভয়ানক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রূপনারায়ণপুরের এক যুবকের। মৃতের নাম সৌমিত্র দাস ওরফে অজয় (৩০)। তার বাড়ি রূপনারায়ণপুর জয়া রিসেপশনের বিপরীত দিকে ইন্ডিয়ান অয়েল পাইপ লাইনের গলি সংলগ্ন এলাকায়। অজয় এবং তার বোন নিশা প্রতিদিনই একই বাইকে রানীগঞ্জে ডিউটিতে যান, আবার একসঙ্গেই ফিরে আসেন। কিন্তু আজ ডিউটি শেষে অজয় তার বোনকে বাসে তুলে দেন এবং নিজে অন্ডাল অঞ্চলে আত্মীয়ের বাড়িতে দেখা করতে যান। সেখান থেকেই রূপনারায়ণপুরে ফেরার পথে জুবিলি মোড় সংলগ্ন গীতাঞ্জলি হোটেলের কাছাকাছি জাতীয় সড়কে তার বাইকে চলন্ত ট্রাক ধাক্কা মারে বলে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন। রক্তাপ্লুত অবস্থায় অজয়কে হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ দোল পূর্ণিমার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনায় রূপনারায়ণপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপনারায়ণপুর থেকে তাদের বাড়ির লোকজন আসানসোল জেলা হাসপাতালে পৌঁচেছেন বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দুষ্কৃতিদের প্রকাশ্য রাস্তায় প্যারেড করালো পুলিশ, জনসাধারণের মন থেকে ভয় দূর করতে অভিনব পদক্ষেপ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: ব্যাপারটা সিনেমার মতো মনে হলেও আসলে কিন্তু সত্যিই ঘটালো পুলিশ। কুখ্যাত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করার পর সাধারণের মধ্যে তাদের নিয়ে যে ভয় আছে তা খতম করার জন্য শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে তাদের প্যারেড করালো। বিস্ময়ের সঙ্গে রাস্তা দুধারে দাঁড়িয়ে মানুষজন সেই দৃশ্য উপভোগ করলেন। তারা দেখলেন যাদের ভয়ে এতদিন তারা মুখ লুকিয়ে থাকতেন আজ সেই দুষ্কৃতিরাই জনগণের কাছ থেকে নিজেদের মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি শহরে। ১৩ মার্চ রাঁচি পুলিশ আমন সাউ গ্যাংয়ের তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের জেলে পাঠানোর আগে মেন রোডে প্যারেড করায়। পুলিশের একমাত্র উদ্দেশ্য, এইসব দুষ্কৃতিদের নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় আছে তা দূর করা। সেজন্যই প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের হাঁটানো হয়। পুলিশ রাঁচি এবং অন্যান্য থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অজয় সিং, সমীর বাগচী ওরফে কাল্লু বাঙালি এবং ওয়াসিম আনসারিকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলায় জড়িত অজয়ের বিরুদ্ধে রাঁচিতেই ১৪ টি মামলা দায়ের হয়েছে। কাল্লু বাঙালি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত চারটি করে মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল গুলি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে রাঁচি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে পুলিশের একটি মহল বলছে অপরাধীদের আইনত শাস্তির পাশাপাশি তাদের প্রকাশ্যে এইভাবে হীনবল করে দিতে পারলে দুষ্কর্মের মাত্রা অনেকটাই কম হবে। এদের নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় আছে তাও উধাও হবে। এমন পদক্ষেপ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এলাকাগুলিতেও হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে অনেকেই মনে করেন।@প্রান্তভূমি
.

.
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে আসানসোল মেন মার্কেট থেকে সরে যাচ্ছে হোলসেল বাজার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ মার্চ:: শীঘ্রই আসানসোল হোলসেল মার্কেটের তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন স্থানীয় মানুষজন। প্রতিদিন রাত ন'টা থেকে পরের দিন সকাল ন'টা পর্যন্ত জিটি রোডের ধারে আসানসোল মেন মার্কেটের মধ্যে এই হোলসেল বাজার পথচারী, সমস্ত ধরনের গাড়ি ঘোড়ার চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করে। রাতভর হৈচৈ, দূষণে জেরবার হয় এলাকা। নিত্য যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে । এবার এই হোলসেল বাজার কালিপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল জেলা প্রশাসন। বিষয়টিতে সম্পূর্ণ সহমত হলো আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ ১২ মার্চ এই বিষয়ে জেলাশাসক এস পোন্নামবলমের সভাপতিত্বে জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গেই অংশ নেন আসানসোল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এবং মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপে ৩০ জন ফল ব্যবসায়ীকে পাইকারি বাজার থেকে কালিপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার জন্য লটারি করা হবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই ৩০ জনকে আসানসোল মেন মার্কেট এলাকা থেকে কালীপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করা হবে। পরবর্তী ধাপে সবজি ও মাছের পাইকারি বাজারকে কালীপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হবে। আগেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন এবং আসানসোল কর্পোরেশন যৌথভাবে এই বিষয়টিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করেছেন। আসানসোল মেন মার্কেট অঞ্চলে কোনভাবেই এইসব পাইকারি বাজার আর চলতে দেওয়া হবে না বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
ওসির আবাসন, মহিলা ব্যারাক গড়ে উঠলো রূপনারায়ণপুরে:: রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে নবনির্মিত ভবনের সূচনায় পুলিশ কমিশনার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ১২ মার্চ।।
এতদিন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে ওসির দায়িত্ব নিয়ে কোনো আধিকারিক এলে তার প্রথম কাজ হতো একটি মনের মত বাসস্থানের খোঁজ করা। সব সময় যে তা পাওয়া যেত তেমনটাও নয়। কারণ রূপনারায়ণপুর ওসির নিজস্ব কোন আবাস এতদিন গড়ে ওঠেনি। ফলে স্থানীয় এলাকাতেই কোন ঘর বা ফ্লাট তাকে ভাড়ায় নিতে হতো। এছাড়াও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থানার পাশাপাশি ফাঁড়িতেও ২৪ ঘন্টা ডিউটিতে থাকতে হচ্ছে মহিলা পুলিশ কর্মীদের। পুরুষ পুলিশ কর্মীদের জন্য ফাঁড়ি চত্বরে ব্যারাক থাকলেও মহিলা কনস্টেবলদের থাকার জন্য ভরসা ছিল বাইরের ভাড়া নেওয়া ঘর। এই অসুবিধা বুঝে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য। বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ যোগান এসিপি পশ্চিম সন্দীপ কাররা। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যেই সার্বিক উদ্যোগে ফাঁড়ি চত্বরেই তৈরি হলো মহিলা কনস্টেবলদের থাকার জন্য ব্যারাক এবং ওসির নিজস্ব আবাসন। আজ ১২ মার্চ এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আইপিএস সুনীল কুমার চৌধুরী। ছিলেন ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম সন্দীপ কাররা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কুলটি জাবেদ হোসেন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ট্রাফিক কুলটি জোন সৌরভ চৌধুরী, চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি ও রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, কল্যানেশ্বরীর ওসি লাল্টু পাখিরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পুলিশ কর্মী, আধিকারিক, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং সংশ্লিষ্টদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে এই ব্যারাক এবং ওসির আবাসনের উদ্বোধন হলো। যাকে সাধুবাদ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার শ্রী চৌধুরী বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক প্রয়োজনে সব সময় পুলিশ সরাসরি এগিয়ে আসে, আজকের রক্তদান শিবির তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন সকলে মিলেমিশে ভালো কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরিত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কমিশনার বলেন বিষয়টি উচ্চ স্তরে বিবেচনাধীন আছে। এদিন শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি। তিনি পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুব্রত দাস।
জমি টাকার বিবাদেই সবক শেখাতে গুলি বিনয়কে:: বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত এখন দুষ্কর্মের মুক্তাঞ্চল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম কানগোই মেন রোডে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। চলন্ত বাইক থেকে ৭ মার্চ দুপুরে পিছন থেকে গুলি করা হয়েছিল বিনয় যাদবকে (৪৫)। পিঠের দিক থেকে গুলি লেগে পাঁজরে আটকে গিয়েছিল বিনয়ের, সে এখন দুর্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনার সঙ্গে জমি এবং টাকার বিবাদ জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়েছে শান্তনু মাহাতো (৩২), রাহুল রাজ (১৮) এবং সুমিত গুপ্তা (২০)। জামতাড়ার ডি এস পি আনন্দ বিকাশ লঙ্গুরি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন এরা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে বিনয় শান্তনুর কাছ থেকে নেওয়া এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা শোধ করছিল না। অন্যদিকে রাহুলকেও নানান অছিলায় গালিগালাজ করত বিনয়। এই সব ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তারা একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র রচনা করে এবং সবক শেখানোর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিনয়ের উপরে হামলা চালায়। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি তাজা কার্তুজ, মোবাইল এবং পালসার বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অভিযুক্ত এক নাবালকের নবনির্মিত বাড়ির সামনের ঝোপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এছাড়াও পালসার বাইকটিকেও সেই ঘরে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পরেই ৭ মার্চ বাইক নিয়ে সুমিত গুপ্তা এবং রাহুল রাজ মুখ ঢেকে ফেরার হয়ে যায়। সেই ছবি এলাকার সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, সুমিতের নামে মিহিজাম থানায় আগেও অস্ত্র আইনে মামলা (১০/২০২৫) রুজু হয়েছিল। এদিকে, ৩০ জানুয়ারি হাসিপাহাড়ি রেল গেটের কাছে ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজে যুক্ত রাহুল সিংকে (২৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত গোবিন্দ যাদবকেও (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে। অভিযুক্ত গোবিন্দর অস্থায়ী ঠিকানা রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন হলুদকানালিতে। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা বিহারের জমুই জেলার মল্লেপুরে। ধৃত অন্যান্যরা মিহিজাম এবং রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে থাকলেও তাদেরও স্থায়ী ঠিকানা বিহারের নালন্দা, ছাপরা ও জমুই জেলায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত অঞ্চল দুষ্কৃতিদের মুক্ত ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এর আগে মিহিজাম শাস্ত্রী নগরের বাসিন্দা নন্দলাল যাদব (৪০ )কে তার ঘরে ঢুকে দুষ্কৃতিরা গুলি করে হত্যা করেছিল। তার শরীরে তিনটি গুলি লাগে। সেই ঘটনার কিনারা এখনো হয়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কড়া পুলিশি পদক্ষেপের অভাবে দুষ্কর্ম ঘটিয়ে সহজেই দুই রাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। ভীতিজনক এই অবস্থা থেকে এলাকাকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তারা।। @প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে এই প্রথম জটিল অপারেশন করা হল আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: বিশেষ পদ্ধতিতে জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করল চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল। এই প্রথম শিল্পাঞ্চলের অন্যতম উন্নত এই হাসপাতালে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে এক রোগিনীর ইউটেরাস এবং ওভারি শরীর থেকে বাদ দেওয়া হল। ৫২ বছর বয়সী ওই মহিলা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং দিন কয়েক পরেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে আগেও ইউটেরাস ওভারি বাদ দেওয়ার জন্য অপারেশন এই হাসপাতালে হত কিন্তু সেই সবই ওপেন সার্জারি বা শরীর কেটে করতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম ওপেন সার্জারি না করে ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে তা করা হলো। জানা গেছে রূপনারায়ণপুর নিবাসী এক রেল কর্মীর স্ত্রী রক্তক্ষরণ জনিত নানান উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কেজি হাসপাতালে ডাক্তার মানিক কুমারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডাক্তার বাবু বুঝতে পারেন অপারেশন ছাড়া সুস্থতার পথে ফেরা যাবে না। এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে তিনি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওপেন সার্জারি না করে ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে তা করার জন্য উদ্যোগী হন। এবং এই প্রথম কেজি হাসপাতালে এই অপারেশন সফল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই অত্যন্ত আনন্দিত। ফলে ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখটি চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।@প্রান্তভূমি
গ্রামের ঝোপে নীল গাই! হরিণ ভেবে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ, সতর্ক বন বিভাগ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১০ মার্চ।।
শহর লাগোয়া গ্রামের ছোটখাটো ছায়াঘেরা জঙ্গলে একটি হরিণের মতো প্রাণীকে ঘুরতে দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে। তারা প্রাণীটির ছবি মোবাইল বন্দী করার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন। তবে বন বিভাগের কর্মীরা বলছেন সেটি সম্ভবত হরিণ নয়। বড় চেহারার এই প্রাণীটি নীল গাই হতে পারে বলে তাদের অনুমান। ৯ মার্চ দুপুরে এটিকে দেখা যাওয়ার পর বন বিভাগের কর্মীরা ধরার চেষ্টা করছেন। ধরা পড়লে তার উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বন বিভাগ। সম্ভবত এই প্রাণীটি ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে কোন ভাবে চলে এসেছে বলে তারা মনে করছেন। কিছুদিন আগে সালানপুর ব্লকের মাইথন জলাধার সংলগ্ন শেষ গ্রাম ধাঙুড়ির কাছাকাছি এই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছিল বলে বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন। ৯ মার্চ দুপুরের দিকে এই প্রাণীটিকে কুলটি নিয়ামতপুরের ডেডি গ্রামে দেখা যায়। তারপর থেকেই এলাকার মানুষের ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়েছে প্রাণীটিকে ঘিরে। তবে কোথা থেকে একক এই প্রাণীটি এখানে এসে উপস্থিত হলো সে বিষয়ে বিশেষ কিছু এখনো জানা যায়নি। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে তৃণভোজী এই প্রাণী মানুষের কোন ক্ষতি করে না। আবার কিছুটা বড় চেহারার হওয়ায় শেয়াল বা হায়না জাতীয় প্রাণীও এর কোন ক্ষতি করতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে অত্যুৎসাহী হয়ে প্রাণীটির কোন ক্ষতি না করেন সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে বন বিভাগ। উল্লেখ্য, ডিভিসি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মাইথন ড্যাম সংলগ্ন হাইডেল এলাকায় হরিণ প্রতিপালনের বড়সড় ব্যবস্থা আছে। প্রথমে স্থানীয় মানুষজন মনে করেছিলেন কোনোভাবে সেখান থেকে কোন হরিণ বাইরে চলে এসেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে বন বিভাগের অনুমান গ্রামের ঝোপঝাড়ে ঘুরে বেড়ানো এই প্রাণীটি হরিণ নয়, নীল গাই।@প্রান্তভূমি
.

.
বিয়ে বাড়িতে বর-কনে পক্ষের মারপিটে মৃত্যু, পন্ড অনুষ্ঠান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষ এবং কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এক আত্মীয়ের মৃত্যু ঘটলো। অভিযোগ উঠেছে যে তাকে বরপক্ষের লোকেরা গুলি করে হত্যা করেছেন। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত একাধিকজন গুলি করার বিষয়টি উল্লেখ করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে ধারালো কোন অস্ত্রের আঘাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন। ঘটনা ৭ মার্চ রাতের। এদিন অনেক রাতে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ভামবে কলোনিতে বিয়ে উপলক্ষে বরাকর থেকে বরযাত্রীরা গিয়ে পৌঁছান। সে সময় দুর্গাপুরের কনে বাড়িতে ডান্স প্ল্যাটফর্মে একটি গান বাজছিল। বরপক্ষের লোকেরা সেই গান পরিবর্তন করতে বলেন। যদিও বর পক্ষের এই আবদার মেনে নেন নি কনে পক্ষের লোকেরা। এরপরই বচসা থেকে হাতাহাতি এমনকি লাঠালঠি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। প্যান্ডেল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। গোলমালের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত কনে বাড়ির আত্মীয় আর্টিস্ট বেদ (২০) আক্রান্ত হন এবং তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর এই ঘটনায় বিয়ে বাড়ির যাবতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। আজ আদালত তাদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এ প্রসঙ্গে কনের বাবা জাদুকর বেদ জানিয়েছেন তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তাদের আত্মীয় আর্টিস্ট তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাকে বরপক্ষের লোকেরা গুলি করে মেরেছেন। ঘটনার জেরে তার মেয়ের বিয়ে ভেস্তে যায়। বরাকর থেকে যাওয়া বরপক্ষের এক ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে বলেন তিনি সকলকে নিষেধ করেছিলেন মারপিট না করতে। কিন্তু তার কথা কেউ শোনেননি। তাদের সঙ্গেই ঝাড়খন্ড থেকে আসা ৫ ব্যক্তির মধ্যে কেউ হয়তো ওই যুবককে গুলি করেছেন বলে তার আশঙ্কা। সকলেই দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। যদিও এই বিষয়ে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ বলেছে ঘটনা একটি ঘটেছে, সে বিষয়ে পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে। গুলি চলেছে কিনা জানতে চাইলে ওসি নাসরিন সুলতানা কোন মন্তব্য করেন নি।@প্রান্তভূমি
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ৮৭ জন মহিলা রক্তদান করলেন, সফল হল উজ্জীবনের প্রয়াস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: বৃদ্ধাশ্রমের মহিলা আবাসিকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সকাল শুরু করে স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতি উজ্জীবন। সম্মানিত হন পুরুষ আবাসিকেরাও। তাদেরও শুভেচ্ছা জানানো হয়। ৮ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে রক্তদান সচেতনতা সম্পর্কিত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ৭০-এর অধিক মহিলা। এই পদযাত্রা দেশবন্ধু পার্ক থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় উজ্জীবন কার্যালয়ে। এরপর শুরু হয় অন্যান্য বছরের মতই মহিলা রক্তদান শিবির। সাথে ছিল আবৃত্তি সংগীত নৃত্য সহ দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের আকারে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট ভারোত্তোলক সীমা দত্ত চ্যাটার্জী। বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ডাক্তার অনন্যা মুখার্জি। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণীজনদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল। ছিলেন বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠনগুলির স্বেচ্ছাসেবকেরা। উজ্জীবনের মঞ্চ থেকে স্থানীয় মুষ্টিযোদ্ধা পূরবী কর্মকার, ফুটবল খেলোয়াড় রুপালী বাউরী সহ অভাবের সংসার থেকে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা শুক্লা ঘোষ, চন্দনা ঘোষকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মহিলা রক্তদান শিবিরের চতুর্থ বর্ষে এবার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন ৮৭ জন মহিলা। দেরি হওয়ায় অনেকে এদিন রক্ত দিতে না পেরে ফিরে যান। গত বছর মহিলা রক্তদাতার সংখ্যা ছিল ৭৩। প্রতিবছর এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিষয়টিতে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ায় উৎসাহিত উজ্জীবনের কর্মকর্তারা। রক্তদানকে উপলক্ষ করে মহিলাদের সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ছে বলে বিভিন্ন বক্তারা এদিন উল্লেখ করেন। এদিন অত্যন্ত হার্দিক বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সি এম ও এইচ অনন্যা মুখার্জি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরণ টেনে সামাজিক উদ্যোগে সকলকে সামিল হওয়ার আবেদন রাখেন। সীমা দত্ত চ্যাটার্জী বলেন শুধু নারী দিবস নয়, ৩৬৫ দিনই মহিলাদের দিন। কারণ নারী ছাড়া কিছুই চলবে না। তিনি বলেন আমাদের এগোনোর ব্যাপার নেই, আমরা ইতিমধ্যেই এগিয়ে আছি। পুরুষ নারী একে অপরের পরিপূরক মন্তব্য করে তিনি বলেন সমাজে নারী-পুরুষ সমান সমান। টিম উজ্জীবনের এই আয়োজন অত্যন্ত সুচারু এবং সুসংগঠিত ছিল। এই শিবিরকে সফল করার জন্য মাসাধিক কাল তারা নিবিড় পরিশ্রম করে গেছেন।@প্রান্তভূমি
.

.
রেল শহরে রাতের অতিথি বুনো শুয়োরের পাল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৭ মার্চ।।
চিত্তরঞ্জন রেল শহরে গভীর রাতের অতিথি এখন বুনো শুয়োরের পাল। শুনশান রাতে এইসব বুনো শুয়োর এক জঙ্গল থেকে আর এক জঙ্গলে যাতায়াত করছে পালের সব সদস্যকে নিয়ে। ৬ মার্চ রাত্রে এমনই এক পাল বুনো শুয়োরের দেখা মিলল কারখানা সংলগ্ন এলাকায়। এ বিষয়ে এক পশুপ্রেমী বলেন গভীর রাতে এবং শুনশান দুপুরে এরা খাবারের খোঁজে একদিক থেকে আর একদিকে যাতায়াত করে। চিত্তরঞ্জন রেল শহরে মানুষজনের সংখ্যা যত কমছে ততই প্রাকৃতিক গাছপালা বৃদ্ধির সঙ্গেই জীবজন্তুর সহজ গতিবিধিও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন কোন কারনে এদের সামনে পড়ে গেলে কোনরকম চিৎকার চেঁচামেচি বা দৌড় লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে এরা সাধারণত মানুষের কোন ক্ষতি করে না। তবে কোনভাবে এরা বিপদের সম্মুখীন হলে দলবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। সেজন্য কেউ যেন এদের উৎপাত না করেন সে বিষয়ে তিনি সকলের কাছে আবেদন রেখেছেন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বুনো শুয়োরের যথেষ্ট অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এরা প্রকাশ্যে খুব একটা বের হয় না, ঝোপ জঙ্গল এবং জলার ধারে খাবারের সন্ধানে দিন কাটিয়ে দেয়। চিত্তরঞ্জনে এদের দেখা পাওয়া যথেষ্টই প্রকৃতি-সহায়ক বলে তিনি উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
বিদেশে যাবে চিত্তরঞ্জনের রেল ইঞ্জিন::৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সামনের আর্থিক বছরে:: সিআরএমসি'র সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক জিএম-এর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মার্চ:: আন্তর্জাতিক বাজারে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে নতুন ধরনের অত্যাধুনিক ইঞ্জিন উৎপাদন করে সরবরাহ করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। এ বিষয়ে রেল বোর্ড ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে সিএলডব্লু'র জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার সিআরএমসি/এন এফ আই আর/ আইএনটিইউসি'র প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন বলে জানান শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। আজ, ৭ মার্চ এই প্রতিনিধি দল শ্রীকুমারের সাথে দেখা করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই চিত্তরঞ্জনের তৈরি রেল ইঞ্জিন বিদেশের বাজারে রপ্তানি করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এছাড়াও ব্যাটারি চালিত শান্টিং রেল ইঞ্জিন তৈরি করার ক্ষেত্রেও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে এদিন উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে সিআরএমসি'র সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন যে, যেকোনো ধরনের নতুন উদ্যোগকে এখানকার কর্মীরা সাদরে গ্রহণ করবেন বলে তারা জেনারেল ম্যানেজারকে আশ্বাস দিয়েছেন । কারণ তারা চান না উৎপাদনে বৈচিত্র্য না এনে সিএলডব্লু রুগ্ন হয়ে পড়ুক, কিংবা তার অবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দুস্তান কেবলসের মতো হোক। আজকের এই বৈঠকের মাধ্যমে জানা যায় যে, 2025- 26 আর্থিক বছরের জন্য ৭০০ রেল ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে দিয়েছে রেলবোর্ড। এরমধ্যে অন্তত ৬০০টি ইঞ্জিন চিত্তরঞ্জনেই তৈরি করতে হবে, তাহলে এখানকার কর্মীরা ৭০ শতাংশ ইনসেন্টিভ লাভ করবেন। কিন্তু তা না পারলে ইনসেনটিভ ৫০ শতাংশে স্থির থাকবে। এ বিষয়ে ইন্দ্রজিৎ বাবুরা জেনারেল ম্যানেজারকে বলেন চলতি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ৫৩৫টি ইঞ্জিন চিত্তরঞ্জনে উৎপাদিত হবে। সেখানে এত বেশি পরিমাণে বর্ধিত ইঞ্জিন উৎপাদন করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। কারণ এই বছর খানেকের মধ্যেই চিত্তরঞ্জনের প্রায় 800 কর্মী অবসর নিলেও তাদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেল ম্যানেজার তাদের জানিয়েছেন কর্মীদের আরো সক্রিয় হয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সম্পূর্ণ নিয়োজিত হতে হবে, এছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় নেই। এই বৈঠকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের বেশ কিছু ডাক্তারের খামখেয়ালী ব্যবহার নিয়ে কথা ওঠে। এক চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেই জেনারেল ম্যানেজার শ্রমিক নেতাদের জানিয়েছেন এরপর আর কোন অভিযোগ পেলে তিনি সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রেল বোর্ডে কড়া বার্তা পাঠাবেন। এদিন জেনারেল ম্যানেজার শ্রী কুমার ইন্দ্রজিৎ বাবুদের আশ্বাস দিয়ে বলেন খুব শীঘ্রই কেজি হাসপাতালে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক অত্যাধুনিক করা ও সিটি স্ক্যান মেশিন বসানো হবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও সম্পূর্ণ হাসপাতাল কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করার জন্য ১২০ টি এসি মেশিন লাগানো হচ্ছে বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন। এছাড়াও শহরের কমিউনিটি হলগুলি সংস্কারের দাবি জানালে জেনারেল ম্যানেজার ৫০ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে মোট দেড় কোটি টাকায় আপাতত তিনটি কমিউনিটি হলের আধুনিক সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন।@প্রান্তভূমি
চলন্ত বাইক থেকে গুলি, বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে ভরদুপুরে রোমহর্ষক কান্ড

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: ভরদুপুরে শুট আউটের ঘটনা এবার বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানা ঘেঁষা কানগোইয়ে। রূপনারায়ণপুরের দিক থেকে মিহিজামের দিকে চলে যাওয়া ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কানগোই এলাকার জেএমএম কার্যালয়ের পাশে ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জামতাড়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি ভোলা যাদবের ছোট ছেলে বিনয় যাদব (৪৪)। আত্মীয়তার সূত্রে বিনয় পুলিশ আধিকারিক প্রণয় সত্যমের ঘনিষ্ঠ। চলন্ত বাইকে পিছনের দিক থেকে বিনয়কে গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অত্যন্ত সঙ্গীন অবস্থায় বিনয় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পিঠের দিক থেকে পাঁজরে গুলি ঢুকে আটকে আছে। আজ দুপুর ২ টো নাগাদ বিনয় তার রয়্যাল এনফিল্ড বাইকে (জেএইচ০১ইএ১৫২২) চড়ে বাড়িতে খাবার খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুষ্কৃতীরা এ সময় বিনয়ের পিছু নেয় এবং গুলি ছুঁড়তে থাকে। গুলি খেয়ে বিনয় বাইক থেকে পড়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের দিকে পালিয়ে যায়। এদিকে রাস্তার উপরেই পড়ে থাকা বিনয়কে স্থানীয় লোকজন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বিনয় জানিয়েছেন একটি বাইকে দুই আরোহী পিছনের দিক থেকে তার চলন্ত বাইকে গুলি করে। দুষ্কৃতীদের তিনি চিনতে না পারলেও আশঙ্কা করছেন যে, দিন কয়েক আগে সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে কয়েকজনের বিবাদ হয়েছিল। সম্ভবত তারাই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মিহিজাম থানার ওসি বিবেকানন্দ দুবে এবং জামতাড়ার এসডিপিও বিকাশ কুমার লঙ্গুরি বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছেছেন এবং সবদিক খতিয়ে দেখছেন। পুলিশ সন্দেহভাজন এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়েছে। এদিকে গুরুতর জখম বিনয়কে প্রথমে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে থাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
দেখা করছেন না প্রিন্সিপাল, গেট টপকে ভেতরে গেলেন অভিভাকেরা

#প্রান্তভূমি ৬ মার্চ::
অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই হঠাৎ করে প্রায় তিন হাজার টাকা রি-এ্যডমিশন ফি বৃদ্ধি, বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের ওপর অতিরিক্ত দাম লিখে কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠলো একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল প্রাঙ্গণ। বিষয়গুলি নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা তো করেনই নি, উল্টে স্কুলের গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন এই অভিযোগে অভিভাবকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রোদের মধ্যে সকাল দশটা থেকে এক দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে দেখা না করায় শেষ পর্যন্ত অভিভাবকেরা স্কুলের গেট টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তেজনাকর হওয়ায় সেখানে ছুটে যায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। দুর্গাপুর বিধান নগরের এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর রি-এ্যডমিশন ফি প্রায় তিন হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুর পথে বইয়ের দাম অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। এর ফলে অনেক অভিভাবক অসুবিধায় পড়ছেন। বিশেষ করে যাদের একাধিক ছেলে-মেয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। এ বিষয়ে অভিভাবক বিউটি মণ্ডল, নবনীতা বোস সহ অন্যান্যরা বলেন তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মিটমাট চেয়েছিলেন। তারা লিখিত আবেদনপত্রও সঙ্গে এনেছিলেন। কিন্তু প্রিন্সিপাল ম্যাডাম কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে দেখা করছেন না। এই অভিযোগের পাশাপাশি তারা দেখান একটি বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের উপর ৪৮০ টাকা দাম লিখে কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বইটির প্রকৃত মুদ্রিত মূল্য অনেক কম। এইভাবে অভিভাবকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন। তাদের সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সরকারি মেলায় আগুন, পুড়ে ছাই একাধিক দোকান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: আগুন লাগার মরশুম শুরু হয়ে গেল আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় একাধিক স্টল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা দিয়ে। সরকারি উদ্যোগে ১ মার্চ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত এই মেলার বিস্তার। পোলো গ্রাউন্ডের এই মেলাতেই ৫ মার্চ দুপুরের দিকে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। পুড়ে নষ্ট হয় বেশ কিছু খাবারের দোকান এবং হাতে তৈরি বেত মাদুর কাঠের আসবাব ইত্যাদির দোকান। কিন্তু এত বড় উদ্যোগে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় হাওয়ার দাপটে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ভয়ংকর চেহারা নেয়। দুপুর ১: ১৫ নাগাদ এই ঘটনা ঘটলেও কম করে ৪০ মিনিট পর সেখানে দমকল পৌঁছায় বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। ততক্ষণে ছ'টি খাবারের দোকান এবং একটি আসবাবপত্রের দোকান আগুনে নষ্ট হয়। ব্যবসায়ীরা বলেছেন একটি খাবারের দোকান থেকে জ্বলন্ত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার সহ ওভেন বাইরে নিয়ে আসার সময়ই এই অঘটন ঘটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মেলার মাঠে থাকা অস্থায়ী জলের কল থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন উপস্থিত মানুষজন, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। এ সময় সহযোগিতা চেয়ে কার কাছে ব্যবসায়ীরা যাবেন সেই বিষয়টিও তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। নিরাপত্তা রক্ষীদেরও পাওয়া যায়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট পরে দমকল আসে কিন্তু ততক্ষণে ওইসব দোকানগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে কেন মেলার মাঠে সব সময়ের জন্য দমকল মোতায়েন করা হয়নি, সব দোকানেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দেয়া হলেও সেগুলি কেন কাজ করেনি। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেই মেলার মাঠে যান জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, মহাকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকেরা। তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
৭ মাসে ৭০০ অপরাধী জেলের ভিতর::জামতাড়া এখন সাইবার অপরাধীদের কাছেই আতঙ্ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ:: একসময়ে সাইবার অপরাধীদের স্বর্গ এখন তাদের কাছেই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন, গত সাত মাসে ৭০০'র বেশি সাইবার অপরাধে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই রয়ে গেছে জেলের ভেতরে। গুটিকয় মাত্র জামিন পেয়েছে। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া দেওঘর ক্রমশ সাইবার অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে আর পরিচিত হচ্ছে না বলে দাবি সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের। আজ ৫ মার্চ সাঁওতাল পরগনার আইজি ক্রান্তি কুমার জামতাড়ায় এসে এই কথাগুলি বললেন। তিনি বলেন ৭০০'র বেশি সাইবার অপরাধী গ্রেফতার হলেও অধিকাংশেরই জামানত না মেলা পুলিশের দক্ষতাকেই প্রমাণ করে। সাইবার অপরাধ নির্মূল করতে জামতাড়া, দেওঘরের পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়ার সুফল পুলিশ প্রশাসন পাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিন পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন আইজি। তিনি বলেন ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পুলিশ। কোনভাবেই একজন অপরাধীও যাতে ছাড়া না পায় সেজন্য পুলিশের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে সবচেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন সাইবার অপরাধীদের গড় হিসেবে চিহ্নিত জামতাড়াকে অনেকটাই নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তোলার যে সাহসী পদক্ষেপ পুলিশ করে চলেছে সেই বিষয়টির জন্য। যে কোন অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এখানে করে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
বেসামাল ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভাঙলো বিদ্যুতের খুঁটি, মৃত্যু চালকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক ট্রাক্টর চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের মধ্যস্থল বাদরাডি মোড়ের কাছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বাউরী (২০)। তার বাড়ি বারাবনি ব্লকের ছোটকর গ্রামে। জানা গেছে সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত জিতপুর-উত্তররামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কীর্তনশোলায় ময়রাপুকুর নামের একটি পুকুর কাটানো হচ্ছিল সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে। পুকুরের মাটি ট্রাক্টরে চাপিয়ে স্থানীয় ফাঁকা জমিতে ফেলা হচ্ছিল। আজ বিকেল চারটে নাগাদ সঞ্জয় ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তার পাশে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎবাহী তার সহ কংক্রিটের খুঁটি ভেঙে পড়ে। বাদরাডি মোড়ের কাছে একটি ক্রেশারের পাশে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ট্রাক্টর চালক সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান পঞ্চায়েতের প্রধানসহ অন্যান্য কর্মীরা। জানা গেছে ছোটকরের নৃপেন বাউরির পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সঞ্জয়। বিবাহিত সঞ্জয়ের একটি শিশুকন্যা আছে। স্থানীয় মানুষজন বাদরাডি মোড় অঞ্চলে জমায়েত হয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সিসিএস ভোট-কাণ্ড পৌঁছাল হাইকোর্ট পর্যন্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ মার্চ:: শেষ পর্যন্ত সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি বা সিসিএস-এর বিষয়টি পৌঁছে গেল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেও হঠাৎ করে নতুন পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে তার কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিসিএস পরিচালন সমিতি ও এখানকার স্টেক হোল্ডার গ্রাহকেরা। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন করে রাজ্যের অন্যতম সমৃদ্ধ এই আর্থিক সমবায়ের কাজকর্ম মসৃণ রাখার বিষয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তারই সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন তারা। এ বিষয়ে লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন তারা চাইছেন অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এখানে ভোট গ্রহণ করা হোক। চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের আর্থিক ভিত্তির এই প্রতিষ্ঠান সমস্ত রকম অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত হোক। অন্যদিকে সিআরএমসির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন ভোট হবেই, গ্রাহকেরা যাদের চাইবেন তারাই ক্ষমতায় আসবেন। উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সিসিএসের পরিচালন সমিতি নির্বাচিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার আগেই ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন স্থির হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত দিক বিবেচনা করে ভোট গ্রহণের দিন স্থির হলেও এবং ভোট নেওয়ার আগে মনোনয়নসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলেও হঠাৎ করে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে। তারপরেই এই সমবায়ের পরিচালনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আশঙ্কা করা হয় যে নির্বাচনের বাইরে গিয়ে পছন্দমত প্রশাসক বসিয়ে এই সমবায় পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও আপাতত এই সমবায়েরই দুই সিনিয়র অফিসারকে সর্বসম্মতিতে মনোনীত করে সিসিএস পরিচালনার কাজ চালানো হচ্ছে। যাতে সীল-মোহর দিয়েছেন কো-অপারেটিভ সার্কেল ইন্সপেক্টর অমৃতা ঘোষ। এখন সিসিএস পরিচালনার ভার ঋণ বিভাগের ও এস আশুরঞ্জন দে এবং কর্মী বিভাগের ও এস মহঃ ফয়জল সইদের ওপর।@প্রান্তভূমি
.

.
মাছ আনতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু নেতাজি কলোনির যুবকের:: মৃত্যু ঘিরে বড়ো অভিযোগ পরিবারের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ মার্চ:: নিজেই পিক আপ ভ্যান চালিয়ে নিয়মিত কলকাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ এনে চিত্তরঞ্জনের বাজারে সরবরাহ করতেন সোমনাথ প্রামানিক (২৯)। সালানপুর ব্লকের নেতাজি কলোনিতে বাবা-মা নিয়ে তার পরিবার। কিন্তু সেই মাছ আনতে গিয়েই প্রাণ গেল সোমনাথের। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর তিনটে নাগাদ দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত ভিরিঙ্গি মোড়ে তার গাড়ির সঙ্গে পুলিশের টহলদারি গাড়ির সংঘর্ষ হয় এবং তাতেই সোমনাথের মৃত্যু হয় বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। ঐদিন রাত বারোটার পর সোমনাথ গাড়ি নিয়ে নেতাজি কলোনি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর নাগাদ এই সংঘর্ষ হলেও ২৮ তারিখ দুপুর বারোটা নাগাদ সোমনাথের বোন সীমার কাছে ওয়ারিয়া পুলিশের ফোন আসে যে সোমনাথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি সালানপুর থানা সূত্রে তাদের জানানো হয়েছিল বলে সীমা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনা নিয়ে বড় অভিযোগ তুলেছেন সোমনাথের পরিজনেরা। তার বাবা বিজেন্দ্র প্রামানিক এবং বোন সীমা অভিযোগ করে বলেন পুলিশ তাদের ফোন করে ডাকলো কিন্তু তারা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলের দিকে তার দাদার দেহের ময়নাতদন্ত পুলিশ করিয়ে নিল। এমনকি পুলিশ তার দাদার পরিচয় পাওয়ার পরেও অজ্ঞাত পরিচয় দেহ হিসেবে ময়নাতদন্ত করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের টহলদারি গাড়ির সঙ্গে তার দাদার গাড়ির সংঘর্ষ হলেও পুলিশের টহলদারি গাড়ির কোন হদিস তাদের দেওয়া হয়নি জানিয়ে সীমা বলেন তার দাদার মৃত্যু রহস্যজনক। সেজন্যই তারা দ্বিতীয়বার দেহের ময়নাতদন্ত করানোর দাবি জানিয়ে এবং মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে চেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেলে আবেদন জানিয়েছেন। মৃত সোমনাথের বাবার অভিযোগ যে তার ছেলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য আছে । পুলিশ নিশ্চয়ই কিছু লুকনোর চেষ্টা করছে, না হলে তাদের জানানোর পরও কেন তারা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই দেহের ময়নাতদন্ত করিয়ে নিল পুলিশ। তবে, এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাফাই যে ময়নাতদন্তের জন্য সময়মতো পরিবারের সদস্যরা না আসায় সেটা করতে হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত তারা করাতে পারেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াই ময়নাতদন্ত করানো যায় যদি পুলিশ দায়িত্ব নেয় বলে উল্লেখ করেছেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মণ্ডল। তবে, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে মৃত সোমনাথের শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরে। স্ত্রীর সাথে বনিবনার অভাবে খোরপোষের মামলা চলছে। এই টানাপোড়েনে সেই বিষয়টির প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছে একটি মহল। এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে যে, সোমনাথের দেহ এখনও মর্গেই আছে। ২ মার্চ তার বাবা মা বোনের হাতে দেহ তুলে দেবে পুলিশ বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরের কেন্দ্রস্থলে আবার চোরের হানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ফেব্রুয়ারি:: তালাবন্ধ বাড়িতে চোরের হানা আবার। রূপনারায়ণপুরের জনবহুল এলাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি (২৭ ফেব্রুয়ারি রাত শেষে) বন্ধ বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে মনের আনন্দে লণ্ডভণ্ড করে যা পায় তাই নিয়ে চম্পট দেয় নির্বিঘ্নে। রূপনারায়ণপুর ইউথ ক্লাবের পাশে, নান্দনিক হলের পিছনে বাড়ি এলাকায় শুভ নামে জনপ্রিয় জয়দীপ সাহা পোদ্দারের। শুভবাবু জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মা-কে নিয়ে আসানসোলে যান। বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কাজের মেয়ে বাগানের গেট খুলে দেখে বাড়ির দরজার তালাগুলো জড়ো করে একজায়গায় রাখা। সাথে সাথেই সে ফোন করে শুভবাবুকে একথা জানায়। আসানসোল থেকে শুভবাবু তড়িঘড়ি এসে দেখেন ঘরে সব লণ্ডভণ্ড। তিনি জানান, আলামারি খোলা, সেখানে সোনার হার , দুল ইত্যাদি রাখা ছিল। এছাড়াও এদিক ওদিকে চার পাঁচ হাজার টাকা ছিল। সবই চোরের দল নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সম্ভবত বাড়ির পেছনে পাঁচিল ডিঙিয়ে চোর এসেছিল। আশেপাশে কিছু সি সি ক্যামেরা আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। @প্রান্তভূমি
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক মহকুমা স্তরে::সালানপুর ব্লকে বসছে ৫০১ জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়গুলি নিয়ে আজ মহাকুমাস্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সমস্ত বিডিও, কনভেনার, জয়েন্ট কনভেনার, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ, ফায়ার ব্রিগেড সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। পরীক্ষা ব্যবস্থা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁটিয়ে দেখা হয়। ৩ মার্চ সোমবার থেকে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। মূল বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ০১ঃ১৫ পর্যন্ত। যদিও ইনভিজিলেটরেরা সকাল পৌনে ন'টার মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। কোনভাবেই কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। এবার সালানপুর ব্লকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৫০১ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬০ এবং ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪১ জন । ব্লকে পরীক্ষায় বসছে আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনে ছেলে ৮১ , মেয়ে ৫৮; আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষায় বসছে ৫৮ জন মেয়ে, চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় বসছে ১০৪ জন মেয়ে, এছাড়া চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুলে পরীক্ষায় বসছে ১৬০ জন ছেলে।@প্রান্তভূমি
সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত বাবলু ইউপি থেকে পানাগড়ে এসে অল্পদিনেই হয়ে উঠেছিল 'বস'

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: অবশেষে গ্রেফতার বাবলু যাদব। রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তীর এই বাবলুর দিকেই। চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই মূল অভিযুক্ত বাবলুর খোঁজে ছিল কাঁকসা থানা তথা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। নিরন্তর খোঁজ চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিহার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা। গ্রেফতারের পর বাবলুকে ২৭ ফেব্রুয়ারি কাঁকসা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সাদা গাড়িতে থাকা বাবলুর আরো চার সঙ্গী এখনো বেপাত্তা। এদিকে ধৃত বাবলুর বিভিন্ন কর্মকান্ড ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। জানা গেছে বছর দশেক আগে সে উত্তর প্রদেশ থেকে পানাগড়ে এসেছিল। পানাগড়ের কাওয়ারি মার্কেট - যেখানে পুরনো গাড়ি কাটাই করে যন্ত্রাংশ পৃথক করার পর সেগুলিকে বিক্রি করা হয়, আবার গাড়ির বডি লোহার দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এখানেই এক ব্যক্তির দোকানে কর্মী হিসেবে সে নিযুক্ত হয়। কিন্তু এখানে কাজ করতে করতেই বাবলু নিজেই লোহার যন্ত্রাংশ কেনা বেচায় যুক্ত হয়ে পড়ে। কাটাই গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রির সাথে সাথে ছোট বড় গাড়ির স্প্রিং পাতির ব্যবসাতেও সে হাত পাকায়। এমনকি গাড়ির স্পেয়ার পার্টস কেনাবেচাতেও সে যুক্ত হয়। এই কারবারে থাকতে থাকতেই বাবলুর সাথে যোগাযোগ গড়ে ওঠে বাংলাদেশের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর সাথে। গাড়ির যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হতো বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ভিন রাজ্য থেকে একটি ট্রাক পানাগড়ে এনে পানাগড় বাইপাসের ধারে ফাঁকা জায়গায় কাটাই করার সময় বুদবুদ পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে বাবলু ও তার সঙ্গীরা। পরে আদালত তাদের জামিন দিয়ে দেয়। তার আগেই অবশ্য মাত্র কয়েক বছরে বাবলুর ব্যবসা বিরাট আকারে ফুলেফেঁপে ওঠে। সামান্য একজন দোকানের কর্মী থেকে সে পানাগড় কাওয়ারি মার্কেটের বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এ হেন বাবলু ২৩ ফেব্রুয়ারি সুতন্দ্রাদের গাড়িটিকে গভীর রাতে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ ওঠে। বাবলু নিজেই সেই গাড়ি চালাচ্ছিল এবং তাতে আরও চার সঙ্গী ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে । যদিও দুর্ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুটি গাড়ির রেষারেষিতে সুতন্দ্রার গাড়ি রাস্তার পাশে দোকানের জমিয়ে রাখা লোহার সামগ্রীতে ধাক্কা মারে এবং তাতেই সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়। কিন্তু পুলিশের এই মত মেনে নিতে পারেননি সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী দেবী। তিনি বরাবর অভিযোগ করতে থাকেন যে তার মেয়েকে উত্যক্ত করার ফলে সে ভয় পেয়ে যায় এবং গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়। সুতন্দ্রার সঙ্গে থাকা আরও তিন সঙ্গী আহত হন। তারা গয়ায় একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে চন্দননগর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। এখন দেখার ধৃত বাবলু যাদব পুলিশকে কি কথা বলে!
পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মৌমাছির আক্রমণে জখম বাবা ছেলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: মৌমাছির আক্রমণে গুরুতর জখম বাবা ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ। চিত্তরঞ্জন সেন্ট জোশেফস কনভেন্ট স্কুলের ছাত্র দিব্যাংশ শ্রীবাস্তবের দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষার আসন পড়েছে বিআরএস স্কুলে। সেখানেই আজ কেমিস্ট্রি পরীক্ষা দিয়ে বাবার সাথে বাইকে বাড়ি ফিরছিল সে। পথে ফতেপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় হঠাৎই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি তাদের আক্রমণ করে। মৌমাছির হুলের তীব্র যন্ত্রণায় বাইক থেকে তারা রাস্তায় পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন। এ সময়ও অগুন্তি মৌমাছি তাদের উপর হুল ফোটাতে থাকে। বিষয়টি লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষজন দ্রুত আগুন জ্বালিয়ে মৌমাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং চটের বস্তা দিয়ে তাদের ঢেকে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। ওই সময় পথ চলতি এক ব্যক্তি তার গাড়িতে করে দিব্যাংশ ও তার বাবাকে সেখান থেকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। দিব্যাংশের তুলনায় তার বাবার শারীরিক অস্বস্তি অনেক বেশি বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুর-গৌরাংডি রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ ফেব্রুয়ারি:: বহু প্রতীক্ষিত গৌরাংডি রোড সংস্কারের কাজ শুরু হলো আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এদিন এই সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান। শ্রী আরমান জানান রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা মোড় থেকে গৌরাংডি হাটতলা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার 150 মিটার দীর্ঘ রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ৫ কোটি 32 লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আইআরডিএফ তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ সড়ক যোজনার অন্তর্ভুক্ত এই রাস্তার কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্ব পরবর্তী পাঁচ বছর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বহন করবেন। রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পি এইচ ই যাতে জলের পাইপ বসানোর কাজ এই রাস্তার ধারে সম্পূর্ণ করে নেয় সেই বিষয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রী আরমান এদিন উল্লেখ করেন। এবার আর রাস্তা সংস্কারের কাজে কোন গড়িমসি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গেছে, তহবিল এসে গেছে; ফলে মানুষজন এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে যে অসুবিধা ভোগ করছিলেন তা থেকে তারা খুব শীঘ্রই রেহাই পাবেন।@প্রান্তভূমি
কুম্ভ-পথে আবার দুর্ঘটনা বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে, গুরুতর জখম ১৫ যাত্রী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৫ ফেব্রুয়ারি::
গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল বিকেল তিনটেয় , কিন্তু দেরি হতে হতে সেটাই পৌঁছে যায় রাত এগারোটায়। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পাহাড়পুর এলাকা থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস রওয়না দেয় প্রয়াগরাজ কুম্ভের উদ্দেশ্যে। সেই বাসটি আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তের চেকপোস্টে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারের পিছনে বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে। কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার ডুবুরডি চেকপোষ্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে । তীব্রগতির বাসটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারায় বাসের ১৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। কুলটি থানা ও চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ এবং কুলটি ট্রাফিক গার্ড তাদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাসের দুই যাত্রী রবীন কর এবং সমীর রায় জানিয়েছেন বাসের চালক এবং খালাসি দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র গতিতে চলতে শুরু করে এবং রাস্তার মধ্যে এর আগেই দুটি জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের নিষেধ না শুনেই অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চলছিল বলে তাদের অভিযোগ। শেষমেষ বাসের ব্রেক ফেল করে এবং দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারের পিছনে সেটি সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে বলে তারা উল্লেখ করেন। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
জাতীয় সড়কে ধাওয়া:: মৃত্যু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্ণধার যুবতীর:: পুলিশ বলছে রেষারেষির পরিনাম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ ফেব্রুয়ারি::
গভীর রাতে জাতীয় সড়কে মদ্যপ যুবকদের কটূক্তির হাত থেকে রেহাই পেতে গিয়ে নিজের জীবনটাই খোয়াতে হলো অত্যন্ত প্রতিভাবান এক শিল্পীকে। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী এই ঘটনাকে দুটি গাড়ির রেষারেষির পরিনাম বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেই তত্ত্ব মৃতার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মেনে নিতে পারছেন না। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার পর এই অঘটন ঘটেছে। চন্দননগরের বাসিন্দা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সেখানে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে। বুদবুদের আগে একটি পেট্রোল পাম্পে তাদের গাড়ি তেল ভরার পর আসানসোলের দিকে এগোতে থাকে। কিন্তু কয়েকজন যুবকের একটি সাদা গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাওয়া করতে থাকে। অভিযোগ যে সাদা গাড়ির যুবকেরা সুতন্দ্রার উদ্দেশ্যে কটূক্তি এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করতে থাকে। এই অবস্থায় তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে গিয়ে সুতন্দ্রের গাড়ি পানাগড়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। এরফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার ধারে একটি শৌচাগারে গিয়ে টক্কর মারার পর রাস্তার পাশে ব্যবসায়ীদের জমিয়ে রাখা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনার পরেই সাদা গাড়ির যুবক আরোহীরা তাদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর সুতন্দ্রাসহ ঐ গাড়ির অন্যান্য যাত্রীদের দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সুতন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাঁকসা থানায় পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন এই দুর্ঘটনার পিছনে কটূক্তি বা অন্য কোন বিষয় নেই, দুটি গাড়ির রেষারেষির কারণেই এই অঘটন ঘটেছে। কিন্তু কমিশনারের এই মতকে মেনে নিতে পারছেন না মৃতার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি। তিনি অভিযোগ তুলে বলেছেন অভিযুক্ত গাড়ির নম্বর থেকে তার মালিকের নাম পাওয়া গেল অথচ ১৮ ঘণ্টা পরও ২৪ তারিখ সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত ওই গাড়ির মালিক বা আরোহীদের কাউকেই আটক করতে পারলো না পুলিশ। এদিন বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়না তদন্তের পর মৃতার মা ও তার পরিজনেরা চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমান থেকে তারা দেহ নিয়ে কাঁকসা থানায় ফিরে আসেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তনুশ্রী দেবী অভিযোগ করেন তার মেয়ের মৃত্যু হল, গাড়িতে যারা তার সঙ্গী ছিল তারা আহত হল। কিন্তু, তাদের সকাল থেকে আটকে রেখেছিল পুলিশ, অন্যদিকে অভিযুক্তদের কাউকেই ধরা হলো না। পরে কাঁকসা থানা থেকে তনুশ্রী দেবী ও অন্যান্যদের পুলিশ বুঝিয়ে সুজিয়ে চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তনুশ্রী দেবীর সঙ্গে আরজিকর ঘটনায় মৃত চিকিৎসকের মা ফোনে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তনুশ্রী দেবী এদিন থানায় বলেন এতক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ অভিযুক্তদের কেন ধরতে পারল না সেই প্রশ্ন তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তিনি বলেন ৮ মাস আগে তার স্বামী মারা গেছেন, মেয়েই তাদের পরিবারের এখন একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। তার মেয়ে বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠানের জন্য যেতেন। সেইসব রাজ্যে কোথাও অসুবিধায় পড়তে হয়নি। কিন্তু নিজেরই রাজ্যে নিরাপত্তার অভাবে তার মেয়ের মৃত্যু হল। ভয়ংকর এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়সংকল্প হয়েছে বাংলা পক্ষ। তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।@প্রান্তভূমি
অবরোধ বাংলা-ঝাড়খন্ড রোডে:: দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে রূপনারায়ণপুরে আটক একাধিক ট্রাক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ ফেব্রুয়ারি:: মালবাহী ট্রাক থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে আবার রাস্তা অবরোধে সামিল হলেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দারা। আজ সকাল ৯ টা থেকে বহুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স সংলগ্ন ঝাড়খন্ড রোড। বাংলা-ঝাড়খন্ড যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত একাধিক ট্রাক রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অবরোধ উঠে যায়। ঝাড়খন্ড রোডের বাসিন্দারা এ বিষয়ে বলেন মাস দুয়েক আগে তারা এই অভিযোগ এনে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সে সময় কথা দেওয়া হয়েছিল এই রাস্তা দিয়ে দূষণ ছড়ানোর মত জিনিসপত্র নিয়ে ট্রাকের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। তারা বলেন প্রতিরাতেই পুরুলিয়া সহ ভিন জেলা থেকে বড় বড় ট্রাক ছাই মাটি স্ল্যাগ ইত্যাদি নিয়ে ঝাড়খন্ডে যায়। কিন্তু সেই সব সামগ্রী রাস্তায় যেমন পড়ে, তেমনই রাস্তার দুদিকের বাড়ি ঘরদোর ধুলোয় ঢেকে যায়। অবস্থা এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মাস দুয়েক আগে ছাই ভর্তি রাস্তা জল দিয়ে ধুতে হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। আজ সকালে একাধিক ট্রাক যখন ঝাড়খন্ডে মালপত্র নামিয়ে ফিরে আসছিল সেই সময় খালি ট্রাকগুলিকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিকের সঙ্গে বাসিন্দারা ট্রাকচালকদের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বললেও এই রাস্তায় ট্রাক চলাচল বন্ধের বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস না পাওয়ায় বাসিন্দারা ট্রাকগুলিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন জাতীয় সড়ক ধরে অন্য পথে এই ট্রাক গুলির যাতায়াত করার কথা, কিন্তু সেই পথে না গিয়ে লোকালয়ের মধ্য দিয়ে রূপনারায়ণপুর হয়ে ট্রাকগুলি ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছে - যার ফলে এলাকার মানুষ দূষণে অতিষ্ঠ হচ্ছেন। কোনভাবেই যাতে ঝাড়খন্ড রোড হয়ে এইসব ট্রাক চলাচল না করে তা দেখার অনুরোধ জানান তারা। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।@প্রান্তভূমি
পুলিশের দ্বারস্থ হিন্দুস্তান কেবলসের প্রাক্তন কর্মীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২১ ফেব্রুয়ারি::
বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার জন্য এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন হিন্দুস্তান কেবলস কারখানার প্রাক্তন কর্মীরা। সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি কেবলসের প্রাক্তন কর্মীরা পুলিশের সহায়তা দাবি করে লিখিত চিঠি তুলে দিয়েছেন ওসির হাতে। তাতে তারা উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী হিন্দুস্তান কেবলসের বহু কর্মী বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু তারা কেবলস কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য অত্যন্ত কম হারে পেনশন পাচ্ছেন । এখন এখানকার অবসৃত কর্মীরা মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পেনশন পান, কিন্তু বর্ধিত হারে সেই পেনশনের পরিমাণ দাঁড়াবে কম করেও ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এজন্য দুর্গাপুরের রিজিওনাল পিএফ কমিশনারের অফিসে নির্দিষ্ট তথ্য সম্বলিত নথিপত্র জমা করতে হবে । আর এখানেই গোলমাল দেখা দিয়েছে। কারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দুস্তান কেবলস কারখানায় এখন সাকুল্যে একজন স্থায়ী আধিকারিক (সিএমডি)'র সঙ্গে দুজন অস্থায়ী আধিকারিক কাজে নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যেই এক অস্থায়ী আধিকারিক পিএফ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত। কিন্তু অভিযোগ যে এই আধিকারিক দিনের পর দিন পিএফ অফিসে সেই নথি জমা দিচ্ছেন না - যে নথির ভিত্তিতে এখানকার প্রাক্তন কর্মীরা বর্ধিত হারে পেনশন পেতে পারেন। বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ৪১৯ জন কর্মী আবেদন করেছেন। তারা একাধিকবার হিন্দুস্তান কেবলসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সঠিক নথি জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, আবার দুর্গাপুরের প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসেও বারংবার তদারকি করেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই এগোয়নি। এই অবস্থায় পুনরায় ২০ ফেব্রুয়ারি ৬০-৭০ জন প্রাক্তন কর্মী হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ইউনিটের অফিসে গেলে সেখানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দেখা পান নি। এরপরই তারা রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছান এবং বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সহযোগিতা দাবি করেন। এদিকে পিএফ অফিস থেকেও হিন্দুস্তান কেবলসের সিএমডির কাছে চিঠি পাঠিয়ে সুনির্দিষ্ট নথি জমা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরের একটি চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে যে, হিন্দুস্তান কেবলস কর্তৃপক্ষ পিএফ অফিসে যে নথি জমা দিয়েছেন তা বহু পুরনো। সেটি ১৯৭৬-৭৭ সালের। কিন্তু ১৯৯৫-৯৬ সালের নথি জমা না দিলে বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার বিষয়টিকে স্থির করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বারংবার চিঠি চাপাটি হলেও হিন্দুস্তান কেবলসের সংশ্লিষ্ট সেই আধিকারিক পুরনো নথি পুনরায় জমা দেওয়া ছাড়া অন্য কোন অগ্রগতি ঘটাতে পারেন নি। এই অবস্থায় দ্রুত নথি জমার বিষয়টি যাতে সম্পন্ন হয় সেজন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ইউনিটের আধিকারিক আর এন ওঝা বলেন বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার বিষয়টি সম্বন্ধে তিনিও ওয়াকিবহাল কিন্তু এই সংস্থার জমিজমা, মামলা-মোকদ্দমার বিষয়গুলি তার এক্তিয়ারে আছে, পেনশনের বিষয়টি তিনি একেবারেই দেখেন না। শান্তিপূর্ণভাবে এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন।@প্রান্তভূমি
কুম্ভ-পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় চৌরঙ্গী মোড়ে মৃত ২, গুরুতর আহত ৬

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ফেব্রুয়ারি:: গাড়িতে প্রয়াগ রাজ কুম্ভে যাওয়ার পথে সালানপুর নিমতলার কাছে চৌরঙ্গী মোড়ে ভয়ানক দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। এছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন চার মহিলা সহ আরো ছজন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের এই চৌমাথা সবসময়ই দুর্ঘটনা প্রবণ। জানা গেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের অযোধ্যা গ্রাম থেকে দুই পরিবারের আট জন সদস্য একটি জাইলো গাড়িতে আগের রাতে রওনা দেন প্রয়াগরাজে কুম্ভ স্নানের উদ্দেশ্যে। গাড়িটি যখন চৌরঙ্গী মোড়ে এসে পৌঁছায় সেই সময় একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাতে ধাক্কা মারে, এই সংঘর্ষের চোটে জাইলো গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। পরপর এই ধাক্কায় গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীরা ভয়ানক জখম হন। সংঘর্ষের তীব্রতায় স্থানীয় মানুষজন সেখানে ছুটে যান, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও। এরপর তাদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান মৃত্যু হয়েছে শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫) এবং শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০)-এর। আহত হয়েছেন শান্তনু বাবুর স্ত্রী মনসাদেবী, পুত্র সৌরভ এবং পুত্রবধূ অনন্যা। এছাড়াও আহত হয়েছেন শৈলেন বাবুর স্ত্রী রুম্পাদেবী, তাদের আত্মীয় শিউলি কর্মকার এবং গাড়ির চালক সোমনাথ চক্রবর্তী। এদের মধ্যে শিউলির আঘাত অত্যন্ত গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জাইলো গাড়ির চালক সোমনাথ জানিয়েছেন তাদের গাড়ি ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। হঠাৎই একটি ট্রাক তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারলে গাড়িটি টাল সামলাতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারে ধাক্কা মারে, এর ফলেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তারা ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম থেকে রওয়না দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।@প্রান্তভূমি
ঠিকাদারদের বিপুল পাওনা বাকি::ঘোর অনিশ্চয়তায় জেলার জল প্রকল্প

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: সংকটের মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্প। জেলায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার যে কাজ চলছে তা এবার অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ ঠিকাদার তাদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার কারণে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন । আজ আসানসোলে ইসমাইল এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি অফিসে অল বেঙ্গল পি এইচ ই কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কার্স এ্যসোসিয়েশনের ব্যানারে ঠিকাদারেরা বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারকে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের তারা বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় 200'র বেশি ঠিকাদার জল জীবন মিশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তারা টাকা পাচ্ছেন না এবং বকেয়া টাকার পরিমান প্রায় 500 কোটি টাকা। টাকা না পাওয়ার ফলে ঠিকাদারদের অধীনে কর্মরত সহস্রাধিক কর্মীকে মাসিক বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন এই প্রকল্পে কর্মরত ঠিকাদারেরা ২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট মাস থেকে টাকা পাচ্ছেন না। আগের চালু কাজের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রাপ্য টাকাও বছর দুয়েক ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। এই চরম পরিস্থিতিতে কর্মীরা ধর্মঘটে নামলে পানীয় জল সরবরাহ চরম সংকটের মুখে পড়বে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্ব রয়েছে, কিন্তু ঠিকাদাররা তাদের প্রাপ্য অর্থ থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকার ফলে কাজের অগ্রগতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারা বলেন, কর্মীদের বেতন দেওয়া যেমন সম্ভব হচ্ছে না, সেই রকমই তাদের পিএফ, ই এস আই বাবদ অর্থও জমা করা যাচ্ছে না - ফলে সংকট ঘোরতর হচ্ছে। পানীয় জলের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা এই কাজ বন্ধ রাখতে চান না, কিন্তু অর্থ না পেলে কোন কিছুই যে করা সম্ভব নয় তা উল্লেখ করেন। তারা আরো বলেন, জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্ব থাকায় কোনভাবেই তারা রাজনৈতিক বক্তব্যে যেতে চান না। কিন্তু তাদের একটাই দাবি - প্রাপ্য অর্থ যেন দিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এক ঠিকাদার বলেন, রাস্তা খুঁড়ে জলের পাইপ বসানোর পরে ঠিকাদাররা সেই রাস্তা মেরামত করছেন কিন্তু এ বাবদ অর্থ তারা পাচ্ছেন না। ফলে নিজস্ব মূলধন সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে। এক কর্মী বলেন জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তাকে বলেছেন অর্থের অভাবে আর বেতন দেওয়া সম্ভব নয়, এই অবস্থায় সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাবেন বলে উল্লেখ করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে পি এইচ ই'র সহকারি ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুন্ডু বলেছেন ঠিকাদারদের পাওনা বকেয়া আছে। তবে কত টাকা সেই হিসাব অর্থবিভাগ বলতে পারবে। কি কারনে টাকা বকেয়া আছে সে সম্বন্ধেও তার স্পষ্ট ধারণা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে ঠিকাদার ও তাদের কর্মীরা ধর্মঘটে গেলে অবশ্যই পানীয় জল সরবরাহে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহলই। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ ৬৮ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে সন্দীপবাবু জানান। তিনি বলেন আরও সামান্য কিছু কাজ শেষ হলেই জেলার অন্তত চারটি ব্লকে পানীয় জল সরবরাহ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে । ঠিকাদারদের পাওনার বিষয়ে এর আগেও চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, আবারো জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়।@প্রান্তভূমি
১০ বছরের বালিকাকে পাশবিক অত্যাচার করে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: তরকারি রান্নার জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে সিম তুলতে গিয়েই মৃত্যু হল ১০ বছরের এক বালিকার। তাকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বছর চল্লিশের অভিযুক্তকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মদন ওরফে মানিক বাউরি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, বেশ কিছুদিন ধরেই সে ওই বালিকার প্রতি কুনজর দিয়েছিল। দুটি বিয়ে করলেও সংসারে তার অশান্তি লেগেই ছিল। প্রায়ই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় সে বাড়িতে গোলমাল বাধাতো। প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ভুনি বাউরি নামের এক মহিলাকে সে বিয়ে করে, তাদের দুটি সন্তানও আছে। কিন্তু স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সেও প্রায়ই বাপের বাড়িতে গিয়েই থাকতো। এই অবস্থায় বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে দশ বছরের প্রতিবেশী ওই বালিকার সঙ্গে সে কুকর্ম করে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অভিযুক্ত মদন পুলিশকে জানিয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে ওই বালিকা তাদের বাড়িতে সিম তুলতে এসেছিল। সে সময় মদন তাকে সিম পেড়ে দেয় এবং হাতে পাঁচটি টাকাও দেয়। এরপর বালিকাকে নিয়ে পাশেই একটি দোকানে গিয়ে তাকে কুড়কুড়ের প্যাকেট কিনে দেয়। ভুলিয়ে-ভালিয়ে এরপর বালিকাকে নিয়ে সে শুনশান পলাশ জঙ্গলে পৌঁছে যায়। এরপরই তার উপর পাশবিক অত্যাচার করে। কিন্তু এই কথা বালিকাটি পাড়ায় ফিরে অন্যদের জানিয়ে দেবে এই ভয় থেকে বালিকাটির খুলে নেওয়া পায়জামা দিয়েই তার গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। এবং দেহটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে সে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। এদিকে 16 ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ পলাশ জঙ্গল থেকে দেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু পরের দিন সকাল থেকে ক্ষুব্ধ মানুষজন নলা-দুমকা প্রধান রাস্তা অবরোধ করেন, স্থানীয় দোকানদানি বন্ধ করে দেন। তারা দাবি জানাতে থাকেন অবিলম্বে দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এবং ঘটনার তাৎপর্য মাথায় রেখে নলার এসডিপিও মনোজ কুমার মাহাতোর নেতৃত্বে পুলিশের চারটি পৃথক দল ঘটনার তদন্তে নামে। খোদ জামতাড়ার পুলিশ সুপার বিষয়টির নজরদারি করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্র মারফত অভিযুক্তের খোঁজ পেয়ে পুলিশ তাকে ফতেপুর থানার কেন্দুয়াটাঁড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মদনের বাড়ি জামতাড়া জেলার নলা থানা এলাকার ডাবর গ্রামে। জঘন্য এই ঘটনায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।@প্রান্তভূমি
কুয়ো থেকে দেহ উদ্ধার রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: ঝাড়খণ্ডের ফতেপুর থানা এলাকার শিমুলডাঙ্গা থেকে রূপনারায়ণপুরে কাজ করতে এসে মৃত্যু হল বছর ৩৮- এর সঞ্জিত মির্ধার। তিনি এখানে ঠিকাদারের অধীনে রাস্তার পাশে পাইপ বসানোর জন্য যেসব কাজকর্ম হচ্ছে তাতে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। আজ বিকেলে রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা সংলগ্ন বিরেন্দর সিংয়ের বাড়ির কুয়ো থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। সঞ্জিত এখানেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। জানা গেছে দিন তিনেক আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। চারিদিকে খোঁজখবর করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় গ্রাম থেকে তার স্ত্রী ফুলদেবী আজ রূপনারায়ণপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য এসেছিলেন। তার আগেই আজ সকালে ওই কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন সেখানে একটি দেহ ভেসে থাকতে দেখতে পান। এরপরই রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফুলে ফেঁপে ওঠা দেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একেবারে স্তম্ভিত হয়ে তার স্ত্রী বলেন সঞ্জিত রাতের দিকে চোখে কম দেখতেন। হয়তো কোন কারনে রাতের বেলায় কুয়ো থেকে জল তুলতে গিয়ে কিংবা কুয়োর পাড়ে বসতে গিয়ে তিনি কুয়োতে পড়ে গেছেন। কিন্তু সেটা কেউ বুঝতে পারেন নি। ঘটনার কথা জানতে পেরে তৃণমূল নেতা ভোলা সিং সেখানে যান এবং মৃতের পরিজনদের সাময়িক সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন প্রয়োজনীয় আরো সহযোগিতা তারা করবেন।@প্রান্তভূমি
রেল লাইন থেকে উদ্ধার বিবস্ত্র মহিলার দেহ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুর এবং কানগোইয়ের মাঝে রেললাইন থেকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র মধ্যবয়সী এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল আরপিএফ। মহিলার দেহে একাধিক ক্ষত দেখা গেছে। মুখ সহ শরীরের একাধিক অংশ
ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। রেল লাইনের পাশেই লাল- হলুদ শাড়ি, লাল ব্লাউজ এবং একটি ধুপের প্যাকেট পাওয়া গেছে। দেহটি পড়ে ছিল আসানসোল থেকে দিল্লির দিকে যাওয়া আপ লাইনে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ লোকাল ট্রেনের চালক দেহটি দেখে চিত্তরঞ্জন স্টেশন আরপিএফ পোস্টে সংবাদ দেন। এরপর সংবাদ যায় সীতারামপুর আরপিএফের কাছে। তারপর সীতারামপুর আরপিএফের এস আই নরেন্দ্র কুমার, হেড কনস্টেবল উমেশ কুমার ভগত, মিহিজাম থানার এসআই বিজন রাম, এ এস আই সোনালাল কিস্কু ডোমের সহযোগিতায় দেহটিকে রেললাইন থেকে সরিয়ে জামতাড়া জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান । লোকাল ট্রেনের চালক জানিয়েছিলেন যে 227 এবং 229 নম্বর খুঁটির মাঝে দেহটি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোন পরিচয় পত্র বা মোবাইল কিছুই পাওয়া না যাওয়ায় ওই মহিলার কোন পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।@প্রান্তভূমি
আর্ত চিৎকার করে যুবতী ঢুকল অপরিচিত রেল কোয়ার্টার্সে:: প্রতারণার নতুন ফাঁদ চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি তখন সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ১০। হঠাৎ করেই
চিত্তরঞ্জন ডি ভি গার্লস বিদ্যালয়ের দিকে ২ নম্বর রাস্তার শেষের দিকের এক রেল আবাসনে এক যুবতী দৌড়ে এসে বাগানের গেট খুলে সটান ভিতরে ঢুকে দরজা ঠক ঠক করে আড়ালে চলে যায়। রেলকর্মী ভদ্রলোক দরজা খুলে দেন। ভাবলেন পরিচিত কোন বন্ধু বান্ধব হবে। তারপরেই যুবতী ভিতরে ঢুকে গিয়ে আবাসিকের হাত ধরে বলে - আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে তাড়া করেছে। ঐ আবাসনে ভদ্রলোক একাই থাকেন। তিনি অপরিচিত যুবতীকে দেখে হকচকিয়ে গিয়ে বলেন - তুমি আগে বাইরে চল। তারপর কোনো রকমে যুবতীকে দরজার বাইরে বের করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এবং পাশের কোয়ার্টার্সে ফোন করে পড়শি দাদা বৌদিকে সব বলেন। গোলমাল আঁচ করে তারা তৎক্ষণাৎ বাইরে বেরিয়ে ঐ কোয়ার্টার্সে চলে আসেন। তখনও যুবতীটি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে দৌড়ে বেরিয়ে যায় এবং কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। অদূরেই একটি টাটা সুমো গাড়িও দাঁড়িয়ে ছিল, সেটিও তখন চলে যায়। এধরনের ঘটনায় সকলেই অবাক। কোয়ার্টার্সে ভদ্রলোক এখন একাই থাকেন। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন।
তিনি এরপর আর পি এফ অফিসে ফোন করলে দ্রুত আরপিএফ সেখানে পৌঁছে যায় এবং কোয়ার্টার্সের সি সি টি ভি ফুটেজের সব ছবি খতিয়ে দেখেন। সব দেখে শুনে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেয় আরপিএফ। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ঐ রেলকর্মী একটি বড় দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে আরপিএফ মনে করছে। এরপর তারা আশ্বাস দিয়ে বলেন, আর ভয়ের কিছু নেই। দুস্কৃতিদের তাঁরা খুঁজে বের করবেনই।@প্রান্তভূমি
ইঞ্জিন উৎপাদনে সর্বকালীন রেকর্ড চিত্তরঞ্জনের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ ফেব্রুয়ারি:: ইঞ্জিন উৎপাদনে সর্বকালীন রেকর্ড গড়লো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা গড়ে ওঠার ৭৫ বছরে এই প্রথম কোনো একটি আর্থিক বছরে 581 টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন উৎপাদন সম্ভব হল। চলতি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের এখনো ৪১ দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে এই পরিমাণ ইঞ্জিন উৎপাদন করে নজির গড়লো সিএলডব্লু। গত ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সর্বমোট ৫৮০ টি ইঞ্জিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই সংখ্যাকে অতিক্রম করে ৫৮১-তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হল। কারখানার জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে যে, কারখানা শুরুর পর থেকে কোনো একটি আর্থিক বছরে এখনো পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ ইঞ্জিন উৎপাদনের সংখ্যা। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই দক্ষতার জন্য টিম সিএলডব্লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থার মহাপ্রবন্ধক বিজয় কুমার।@প্রান্তভূমি
অদ্ভুত প্রতারণার শিকার কেবলস নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী::সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ ফেব্রুয়ারি:: বদলির চাকরি তাই চিত্তরঞ্জন ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু এখানকার ফ্রিজ ইনভার্টার কুলার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক সামগ্রি নিয়ে যাওয়ার অসুবিধা, তাই কম দামে বিক্রি করে দেবেন। এই বিষয়টি জানাতে দুপুরের দিকে হিন্দুস্তান কেবলস নিউমার্কেটে হাজির হন এক ব্যক্তি। পরনে তার খাকি প্যান্ট, আরপিএফের মত জুতো। যদিও জামাটি সাধারণ। নিজেকে আরপিএফ পরিচয় দিয়ে তিনি নিউমার্কেটের দীর্ঘদিনের এক ব্যবসায়ীকে বিষয়টি জানান। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যবসায়ী বলেন তার কাছে অত টাকা নেই, না হলে নিয়ে নিতেন। কথায় কথায় ওই আরপিএফ ব্যবসায়ীটির সঙ্গে ভাব জমান। এমনকি আশেপাশের দোকানদারদের সাথে এমন ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলেন যেন তারা কতদিনের পরিচিত। এইসব দেখে ওই ব্যবসায়ী নিশ্চিত হন যে কম দামে মূল্যবান জিনিস পাওয়া যাবে। শেষ পর্যন্ত একটি ফ্রিজ, ইনভার্টার এবং কুলার ১২ হাজার টাকায় দিয়ে দেবেন বলে ওই আরপিএফ বলেন। এরপরই ওই ব্যবসায়ী যোগাড় যন্ত্র করে নগদ টাকা আরপিএফের হাতে তুলে দেন। জিনিসপত্রগুলি হিন্দুস্তান কেবলস অফিসার্স কলোনি সংলগ্ন ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে গাড়িতে রাখা আছে বলে জানিয়ে সেখানে ওই ব্যবসায়ীকে যেতে বলেন আরপিএফ ব্যক্তিটি। এরপর ইলেকট্রিক স্কুটিতে চড়ে ওই আরপিএফ সেখান থেকে রওনা দেন। বলেন , তিন নম্বর গেটের ডিউটি থেকে এসেছেন, তাই ঝট করে সেখানে সই করেই তিনি ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসছেন। ভারি ভারি জিনিস আনতে হবে বলে ব্যবসায়ীটি তখন একটি ছোট গাড়ি ডেকে ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গিয়ে কারো দেখা পাননি। কোন গাড়িও দেখতে পাননি যার মধ্যে সেই সব জিনিসপত্র বোঝাই করা আছে বলে তাকে জানানো হয়েছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও সেই আরপিএফ বাসস্ট্যান্ডে না পৌঁছানোয় গতিক গোলমাল বলে বুঝতে পারেন ব্যবসায়ীটি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিউমার্কেটে ফিরে এসে অন্যদের বিষয়টি জানালে তারা ওই আরপিএফের খোঁজে চিত্তরঞ্জন তিন নম্বর গেটে আরপিএফ পোস্টে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গেলে তারা জানতে পারেন ওই নামে কোন আরপিএফ চিত্তরঞ্জনে নেই। কারো ট্রান্সফারও হয়নি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এরপর নিউমার্কেট সংলগ্ন হলুদকানালি সহ একাধিক জায়গায় ওই প্রতারকের সন্ধানে খোঁজ চালাতে থাকেন তারা। যদিও তার টিকিটি পর্যন্ত ছোঁয়া যায়নি। চেহারায় কিছুটা বেঁটে খাটো, মাথায় অল্প টাঁক সহ এই ব্যক্তির ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে নিউমার্কেটেরই অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন কিছুদিন আগে আরপিএফের পোশাক পরে এক যুবক তার কাছে হঠাৎই এসেছিল। বলেছিল তাদের সাহেব চিত্তরঞ্জন থেকে বদলি হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কিন্তু সাহেবের কাছে চল্লিশটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়ে গেছে, যেগুলি তিনি দিয়ে যেতে চান। সেগুলির দাম বাবদ শেষ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়, কিন্তু সিলিন্ডার হাতে পাওয়ার আগেই পয়সা মিটিয়ে দিতে হবে। এমন শর্তে ওই ব্যবসায়ী রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন আগে বৈধ কাগজপত্র, সিলিন্ডার নিজের চোখে দেখবেন তারপর ওই অর্থ তিনি দেবেন। এরপরই ওই ব্যবসায়ীকে জেমারিতে "যেখানে মাংস বিক্রির দোকান আছে তার কাছাকাছি একটি গোডাউনের" কথা বলা হয়, সেখানে গেলেই নাকি সিলিন্ডার দেখা যাবে; সেখানেই অর্থ দিতে হবে বলে জানানো হয়। ওই ব্যবসায়ী এরপর জেমারিতে নির্দিষ্ট জায়গায় গেলে কিছুই দেখতে পাননি। তার সঙ্গেই যাওয়া সেই আরপিএফ ব্যক্তিটি রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে কিছু জরুরী জিনিস কেনার অছিলায় গা ঢাকা দেয়। সেই ব্যক্তিটিই আবার নিউমার্কেটে এসে অন্য এক ব্যবসায়ীকে ঠকিয়ে গেল বলে তিনি মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
আসানসোল-কল্যাণেশ্বরী এসবিএসটিসি বাস চালু:: রাণীগঞ্জ মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্তও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ ফেব্রুয়ারি:: রাজ্যের অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র কল্যাণেশ্বরীতে যোগাযোগের জন্য এতদিন সরাসরি কোন সরকারি বাস পরিষেবা ছিল না। এবার সেই অভাব মিটলো। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসানসোল থেকে কল্যাণেশ্বরী এসবিএসটিসি বাস চলাচলের সূচনা হলো। বাসটি আসানসোল কালীপাহাড়ি থেকে সালানপুর দেন্দুয়া হয়ে কল্যাণেশ্বরী মাইথন পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এরফলে অপ্রচলিত এই রুটে নিয়মিত যাতায়াত সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন উদ্বোধক রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক এস পোন্নামবলম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, এসবিএসটিসি'র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল প্রমুখ। এদিন আরও একটি রুটে নতুন বাস পরিষেবা চালু করা হয়। সেটি হল আসানসোল থেকে রাণীগঞ্জ মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্ত। এদিন এসবিএসটিসি'র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল জানান রাজ্যে প্রায় ৭০০টি রুটে নিয়মিত এসবিএসটিসি'র বাস চলছে । এই রুট ১০০০ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে আসানসোল ও দুর্গাপুর কর্পোরেশন এলাকায় সরকারি বাস পরিষেবা আরও বাড়ানোর জন্য নতুন করে ১৫ টি বাস নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুভাষ বাবু।@প্রান্তভূমি
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ব্যথা নিরাময় বিভাগের সূচনা চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: আজকাল সামান্য ব্যথা হলেই ডাক্তারি পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ব্যথার উৎস এবং প্রকৃত নিরাময় না হলে সেই ব্যক্তির শারীরিক অসুবিধার সঙ্গেই মানসিক অশান্তি শুরু হয়। তাই যে কোনো ব্যথার প্রকৃত চিকিৎসা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যেই আজ আসানসোল জেলা হাসপাতালে সূচনা হলো ব্যথা নিরাময় বিভাগের। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস ও ডাক্তার অনন্যা মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সুপার ভাস্কর হাজরা সহ বহু চিকিৎসক নার্স এবং কর্মী। আপাতত প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার এই বিভাগটি খোলা থাকবে। এখানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী, ফিজিওথেরাপিস্ট, জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে একটি টিম কাজ করবে। তারা ব্যথার কারণ নির্দিষ্ট করে তার নিরাময়ের পরামর্শ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন শারীরিক কারণে ব্যথার পাশাপাশি মানসিক যন্ত্রণাতেও ব্যথার উদ্রেক হয়। তাই শরীরের যে কোনো ব্যথার উৎস আগে নির্ধারণ করতে হবে এবং তারপর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে তার নিরাময় করতে হবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যথা উপশমের এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা আসানসোল জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি চালু হচ্ছে হুগলি, চাঁচল, গার্ডেনরিচ, সিউড়ি, খড়গপুর এবং এম আর বাঙ্গুরে।@প্রান্তভূমি
বিধানসভায় গেল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পড়ুয়ারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ ফেব্রুয়ারি:: দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় (চিত্তরঞ্জন)-এর
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ১১ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গ আইনসভা তথা বিধানসভার অধিবেশন পরিদর্শন এবং শিক্ষামূলক ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সমন্বয়কারী অধ্যাপিকা সঞ্চিতা হাজরা এই পরিদর্শনের উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহন করেন। তিনি জানান যে এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য হলো, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের আইন প্রণয়নের বিষয়ে অভিজ্ঞতা প্রদান করা, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং শাসনব্যাবস্থা সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা। কিভাবে এটা সম্ভব হল জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এই পরিদর্শনের জন্য প্রথমে কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রোটোকল অনুসারে স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের সুপারিশ চিঠি বিধানসভার স্পীকারের কাছে পাঠানো হয় । সবদিক বিবেচনা করে স্পীকার অনুমতি দেন । এরপর 13 জন ছাত্র ছাত্রী এবং 3 জন বিভাগীয় অধ্যাপকের নাম নথিভুক্ত করা হয়। ঐ দিন সকলে বিধান সভার উদ্যেশ্যে রওনা দেন আসানসোল থেকে অগ্নিবীণা ট্রেন ধরে। সেদিন ছিল রাজ্য বাজেটের আগের দিন। কড়া নিরাপত্তায় সকলকে বিধান সভায় প্রবেশ করানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভায় রীতিমেনে প্রবেশ করেন মাননীয় স্পিকার। তার বক্তব্যের মাধ্যমে সে দিনের অধিবেশন শুরু হয়। তিনি প্রথমেই ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী প্রয়াত ডক্টর মনমোহন সিংয়ের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং তার জীবনীসহ ভারতের অর্থনীতি উদারনীতিকরণের অবদানের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার ভুয়সী প্রসংশা করেন। এরপর সরকার পক্ষের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য এবং বিরোধী পক্ষের শঙ্কর ঘোষ, নৌশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব তুলে ধরেন ও গভীর শোক প্রকাশ করেন। এরপর উপস্থিত সকলে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উদ্যেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় । সরাসরি অধিবেশন ও আইন বিভাগের কার্যাবলী প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরা অত্যন্ত খুশি । বিধানসভা পরিদর্শনের পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান মাননীয় রাজ্যপালের বাসভবন ও কার্যালয় রাজভবন দেখানো হয়, রাজ্যের সর্বোচ্চ বিচারালয় হাইকোর্ট ঘুরিয়ে দেখানো হয়। রানী ভিক্টোরিয়ার ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধও দেখানো হয়।সাথে উপরি পাওনা হিসাবে পাওয়া যায় ছাত্র ছাত্রীদের অত্যন্ত প্রিয় ক্রিকেট খেলা দেখার সুযোগ। ইডেন গার্ডেনে রঞ্জি ট্রফি দেখার সুযোগ হয় সেদিন। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতে পা রাখলো। ভ্রমণটির শেষে তারা প্রত্যেকেই খুশি। সমগ্র ভ্রমণটির তত্ত্বাবধান করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা সঞ্চিতা হাজরা, অধ্যাপক তীর্থ মন্ডল এবং অধ্যপক প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস। এই শিক্ষামূলক ভ্রমণটির ক্ষেত্রে সর্বত সহযোগিতা করেছেন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু, স্থানীয় বিধায়ক তথা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় এবং আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এনাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।@প্রান্তভূমি
রাধাকৃষ্ণ পল্লী:: পিঠাকিয়ারির নতুন পাড়া

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৩ ফেব্রুয়ারি::
জনপদ গড়ে উঠছিল ২০১০ সাল থেকেই, কিন্তু এতদিন নির্দিষ্ট কোন পরিচিতি ছিল না রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারির এই বসতি অঞ্চলটির। পিঠাকিয়ারি জল ট্যাংকি এবং জীবন বীমা অফিস সংলগ্ন এই পাড়া আজ থেকে নতুন নামে অভিহিত হল। প্রায় ২৫ টি বাড়ি নিয়ে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের নাম হলো রাধাকৃষ্ণ পল্লী। মূলত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়ে এখানে গড়ে উঠেছে পাড়াটি বলে জানালেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা সমাজকর্মী অসীম ঘোষ। তিনি বলেন পরিচিতির অভাবে এখানকার মানুষ জনের সঙ্গে যোগাযোগের অসুবিধা ঘটছিল। সেই অসুবিধা আজ মিটলো। এখানে যোগাযোগের রাস্তা, আলো, নর্দমার ব্যবস্থা আধুনিক মানের বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাড়াটির নামকরণের এই মুহূর্তে এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, দেবদাস চ্যাটার্জি, রানু রায়, অপর্ণা দাস, সন্তোষ চৌধুরী প্রমুখ। নিজেদের পাড়ার উপযুক্ত নামকরণ হওয়ায় অত্যন্ত খুশি বাসিন্দারা।@প্রান্তভূমি
৬১-তম মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলার সূচনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১১ ফেব্রুয়ারি।। দীনবন্ধু মণ্ডল::
শিল্পাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় মেলা শ্রী শ্রীশ্রী মা মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলার অনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে গেল আজ ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি শোভাযাত্রা মেলার প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে নাম সংকীর্তন সহযোগে মেলার নাটমঞ্চে এসে উপস্থিত হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশ নেন বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্যা বেবি মন্ডল, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের প্রতিনিধি ভোলা সিং, সমাজকর্মী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, ইসিএল প্রতিনিধি বিনোদ সিং প্রমুখ। ৮ দিনব্যাপী এই আয়োজনকে সফল করতে সকলের সাথে মিলেমিশে উদ্যোগী হয়েছেন মেলা কমিটির সভাপতি দীপক কুমার মাহাতা, সম্পাদক প্রশান্ত গোপাল ভান্ডারী, সহ-সম্পাদক গৌরাঙ্গ তেওয়ারি, কোষাধ্যক্ষ তাপস উকিল সহ তপন মাহাতা ও অন্যান্যরা। এদিন মেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয় । মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই থাকছে নানান অনুষ্ঠান। লীলা কীর্তন, সাহিত্য আসর, রাসলীলা গান, কুঞ্জ মিলন গান, নরনারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান শিবির, বাউল গান, কুইজ, আইনি সচেতনতা শিবির, সংগীতানুষ্ঠান সহ নানান আয়োজন এই মেলাকে বিভিন্ন দিনে সমৃদ্ধ করবে।@প্রান্তভূমি
নজর কাড়লো পরীক্ষাকেন্দ্রের গাইডলাইন ম্যাপ, ব্লকে মাধ্যমিক শুরু নির্বিঘ্নে, প্রথম দিন অনুপস্থিত ২৭, ফুল কলমে শুভেচ্ছা পরীক্ষার্থীদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি:: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন নির্বিঘ্নে শেষ হলো সালানপুর ব্লকে। তবে , প্রথম দিনেই পরীক্ষা দিতে এলো না ২৭ জন পরীক্ষার্থী। এদিন চিত্তরঞ্জনের একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলে নজর কাড়লো পরীক্ষা কক্ষের গাইডলাইন ম্যাপ। এই স্কুলের কর্মী কমল দাস এই ম্যাপ এঁকেছেন। ম্যাপটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে ঢোকার মুখেই পরীক্ষার্থীরা দেখে নিতে পারছে তাদের নির্দিষ্ট রুম কোন দিকে, একতলায় নাকি দোতলায় সবকিছুই। এর ফলে অত্যন্ত কম সময়ে তারা নিজেদের পরীক্ষার রুমে পৌঁছে যেতে পারছে। এবার কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলে পরীক্ষার্থী আছে ৩৬৬ জন মেয়ে। তাদের জলের বোতল, কলম এবং ফুল দিয়ে প্রথম দিন অভ্যর্থনা জানান চিত্তরঞ্জন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি তাপস ব্যানার্জি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি মিঠুন মন্ডল। হাজির ছিল পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিকেল টিম। সুশৃংখল ব্যবস্থাপনায় রেল সুরক্ষা বল ও চিত্তরঞ্জন পুলিশের সহযোগিতায় কোনরকম বিঘ্ন ছাড়াই পরীক্ষা শুরু হয়। অন্যদিকে আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুল এবং আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের বাইরে পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, আছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী পাল, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত প্রধান অপর্না দাস, শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায় সহ বিভিন্ন জন। তারা পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কলম, ফুল ও জলের বোতল তুলে দেন। যাতায়াত জনিত যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এবার আছড়া যজ্ঞেশ্বরে পরীক্ষার্থী ৩৭৫, রায় বলরামে 320 জন। এছাড়াও ব্লকের আরেকটি পরীক্ষা কেন্দ্র সালানপুর কালীতলায় কল্যাণেশ্বরী হাই স্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। সর্বত্রই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
পুকুর ভরাট রুখতে মহকুমা শাসকের তৎপরতা, নড়েচড়ে বসলেন সালানপুর বিএলএলআরও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ ফেব্রুয়ারি:: আসানসোল- চিত্তরঞ্জন প্রধান সড়কের দুই পাশে দেন্দুয়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্যে দুটি বড় পুকুর ভরাটের ঘটনায় নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। আজ আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের তৎপরতায় সালানপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ভরাট বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গেছে। ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আজকেই নোটিশ জারি করার বিষয়ে ভূমি দপ্তর কার্যকরী পদক্ষেপ করছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। দেন্দুয়া মোড় থেকে আসানসোলের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বাঁদিকে একটি পুকুরে পানিফলের চাষ হয়। বিপরীত দিকে আরও একটি বড় পুকুর আছে। দিন কয়েক ধরে এখানে পুকুরের ধারে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বলে পথচারীরা দেখতে পান। বিষয়টি নানা মাধ্যমে আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। এরপরই আজ পুকুর ভরাট বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা যায় । এ বিষয়ে মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন তিনি সংশ্লিষ্ট বি এল এল আর ও -কে অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বি এল এল আর ও তাকে জানিয়েছেন পুকুর ভরাটের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু কারা, কিভাবে এমন কাজে উদ্যোগী হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ভূমি দপ্তর। তবে আইন অনুযায়ী কোনভাবেই এইসব জলাশয় ভরাট করা যায় না বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে জনসভায় বাম নেতা আভাস রায়চৌধুরী বললেন -লুট রুখতে লড়াই একমাত্র পথ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ ফেব্রুয়ারি:: লড়াইয়ের মধ্যে যদি থাকা যায় তাহলে জয় নিশ্চিত - সেটা দেখিয়ে দিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় গোপন ব্যালটে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার ইউনিয়ন (সিটু)-র জয়। ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন রবীন্দ্র মঞ্চ সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত জনসভায় এই কথা বললেন বাম নেতা আভাস রায়চৌধুরী। তিনি বলেন উদার অর্থনীতির ফলে চোখের সামনে হিন্দুস্তান কেবলস মহাশ্মশান হয়ে গেছে, ধীরে ধীরে লুটেরার দল সিএলডব্লুকে গ্রাস করছে। সারাদেশে লুট চলছে - ব্যাংক, জমি, বন্দর, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায়; আর সবশেষে বীমা। আয়কর ছাড়ের প্রচার চলছে আর অন্যদিকে বিমায় ১০০% এফডিআই হয়ে গেল। নয়া উদারনীতির বিরুদ্ধে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে , মজদুর শক্তির কাছে শাসক শ্রেণীকে পরাস্ত হতেই হবে বলে এদিন তিনি মন্তব্য করেন। আভাস বাবু বলেন, ৪৪% মানুষের সমর্থন নিয়ে ভোটে জয় নিশ্চিত করলেই হবে না ১০০% মানুষের মন জয় করতে হবে। তিনি বলেন শাসকদল কখনোই চাইবে না লাল ঝান্ডা জয়ী হোক। এই রাজ্যে বামপন্থীরা ভোট পায় না, মানুষ তাদের ভোট দেন না - কিন্তু অন্য রাজ্যের মানুষ কি সত্যিই ভালো আছেন? এই প্রশ্ন তিনি ছুঁড়ে দেন। শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য ট্রেড ইউনিয়নের সংগ্রামই একমাত্র পথ বলে তিনি উল্লেখ করেন। শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ জীবনের স্বার্থে অবিলম্বে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার ডাক দেন আভাস বাবু। সিসিএস নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে এই সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত। তিনি বলেন, এত সহজে উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না; শ্রমিকদের অর্থের উপর কোনরকম আঘাত আসতে দেব না। এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আরএস চৌহান, এন বি সাহা। সভায় সংগীত পরিবেশন করেন সহযাত্রীর শিল্পীরা।@প্রান্তভূমি
সাবাড় হয়ে যাচ্ছে চিত্তরঞ্জনের হিলটপ:: নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অসংখ্য গাছ, ক্ষুব্ধ ভ্রমণার্থীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিলটপ থেকে শয়ে শয়ে গাছ কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ সেখানে প্রকৃতির মধ্যে ঘুরতে যাওয়া মানুষ জন। কারা কোন উদ্দেশ্যে এই গাছগুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে কোন রকম তথ্য না থাকলেও মনোরম এই পরিবেশকে এইভাবে গাছহীন করে দেওয়ার চেষ্টাকে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন তারা। হিলটপের চার ধারে অসংখ্য শাল শিশু সোনাঝুরি সহ বিভিন্ন গাছের সমাহার মানুষজনকে যে আনন্দ দিত তা যেন একলহমায় উধাও হয়ে গেছে। আজ হিলটপ প্রায় একটি নেড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখা গেছে বহু গাছের গুঁড়ি সহ উপড়ে নেওয়া হয়েছে, বহু গাছ গোড়া থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে; আবার বেশ কিছু গাছকে এমনভাবে মাঝামাঝি ছাঁটা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে সেগুলি আর কোনমতেই বেঁচে থাকতে পারবে না। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভ্রমণার্থীদের চোখে জল এনেছে। তারা বলছেন পরিবেশবান্ধব চিত্তরঞ্জন রেল শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য স্বর্ণ ময়ূরী পুরস্কার পেয়েছে। একাধিক বড়ো জলাশয়, হাজার হাজার গাছ এই শহরের গর্ব। কিন্তু আরপিএফ, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে হিলটপের মত এলাকা থেকে এসব গাছগুলি কাটা হচ্ছে তা নিয়ে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গাছ কাটা বা ছাঁটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বন বিভাগ নির্দিষ্ট করে দেয় কোন বেড়ের গাছ কতটা ছাঁটা যেতে পারে। শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন স্থল হিলটপ এইভাবে গাছহীন হয়ে পড়ায় এলাকার পরিবেশ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, গ্রীষ্মে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করছেন। তাছাড়া, এই অঞ্চল বহু পাখি, জীব জন্তুর নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছিল। সেসবও ধ্বংস হয়ে যাবে। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সংঘটিতভাবে বেশ কিছু মানুষ এসব গাছ কাটায় নিযুক্ত আছেন বলে ভ্রমণার্থীরা দেখতে পান। তারা আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রূপনারায়ণপুরস্থিত রেঞ্জ অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অনুপম খান জানার পরেই সরেজমিনে দেখার জন্য রেঞ্জ অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বন বিভাগের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও খোঁজখবর নেওয়া বা গাছ কাটা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে মহকুমা শাসকের বৈঠক::সালানপুর ব্লকে ৪টি কেন্দ্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ ফেব্রুয়ারি:: নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আজ, ৫ ফেব্রুয়ারি আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে মহাকুমা স্তরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এই বৈঠকে ডিআই, সমস্ত বিডিও, পুলিশ, ফায়ার, ফরেস্ট, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের পদস্থ আধিকারিকেরা অংশ নেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো সহ যাবতীয় বিষয়গুলিতে কোনভাবেই যাতে পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় না পড়ে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মহাকুমা শাসক। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলির প্রস্তুতির বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেন। এবার 10 ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। ১০ তারিখ সোমবার বাংলা, ১১ তারিখ মঙ্গলবার ইংরাজি, ১৫ তারিখ শনিবার গণিত, 17 তারিখ সোমবার ইতিহাস, ১৮ তারিখ মঙ্গলবার ভূগোল, ১৯ তারিখ বুধবার জীবনবিজ্ঞান, ২০ তারিখ বৃহস্পতিবার ভৌতবিজ্ঞান এবং ২২ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সালানপুর বিডিও রুশালি ক্লের বলেন ব্লকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি সবকটি বিভাগ পরীক্ষার দিন গুলিতে সক্রিয় থাকবে। তিনি বলেন ব্লকে চারটি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সেগুলি হল আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন (মূল কেন্দ্র), আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুল, সালানপুরের কল্যানেশ্বরী হাই স্কুল এবং চিত্তরঞ্জনের কস্তুরবা গান্ধি বিদ্যালয়। সালানপুর ব্লকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ১৩৭৩ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫৮৬ এবং মেয়ে ৭৮৭ জন। অর্থাৎ ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১ জন বেশি। পরীক্ষার সময় শিক্ষক সংগঠন পরীক্ষার্থীদের যে কোন অসুবিধায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের বরিষ্ঠ নেতা প্রাক্তন শিক্ষক অর্ধেন্দু রায়। তিনি বলেন প্রতিবছরই দেখা যায় কোন না কোন পরীক্ষার্থী ভুল কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হয় কিংবা রাস্তায় কোনোভাবে আটকে পড়ে । এসব ক্ষেত্রে দ্রুত তাদের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এবারও সেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অর্ধেন্দু বাবু। এছাড়াও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ফুল, জলের বোতল এবং কলম তুলে দেবেন বলে জানান সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি ভোলা সিং। প্রথম দিনসহ অন্যান্য দিনগুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে স্বেচ্ছা সেবকদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ আরমান।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু অলিম্পিয়ান তীরন্দাজ চিত্তরঞ্জন কর্মী সাগরের::২১ ফেব্রুয়ারি ছিল বিয়ে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ ফেব্রুয়ারি:: ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় তীরন্দাজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সাগর চোপড়া। এছাড়াও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় তিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম তীরন্দাজ। অত্যন্ত প্রতিভাবান এই খেলোয়াড় ছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী। থাকতেন চিত্তরঞ্জন রেল শহরের আবাসনে। ১ ফেব্রুয়ারি রাত্রে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হল। জানা গেছে এদিন মিহিজামের কুর্মিপাড়া এলাকার ডাক বাংলো সংলগ্ন অঞ্চলে ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিনি চিত্তরঞ্জনের কোয়ার্টার্সে ফিরছিলেন। সে সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষজন দুর্ঘটনার পরেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই রাতে সাগর তার নীল রঙের স্কুটি (নম্বর জে এইচ ২১ এম ১১৮৯) চড়ে কানগোইয়ের দিকে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে তার বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল। সেজন্য এক বন্ধুকে স্কুটিতে চড়িয়ে বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র বিলি করার জন্য বেরিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরেই তার বন্ধু সেখান থেকে চলে যান বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে সাগরের পরিবার। তারা বলেন অত্যন্ত মিশুকে প্রকৃতির সাগর পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল ছিলেন। তিনিই ছিলেন পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী যুবক। সাগরের পরিবার-পরিজন থাকেন উত্তরপ্রদেশ গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায়। এই ঘটনায় পুরো পরিবার চরম দুরবস্থার সম্মুখীন হল। এদিকে এই ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশ প্রশাসনের উপর তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন রূপনারায়ণপুরের দিক থেকে ঝাড়খন্ডে যাওয়ার ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে উঠেছে বেপরোয়া গতির যানবাহনের জন্য। কড়া হাতে তীব্রগতির গাড়ি-ঘোড়া নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা।@প্রান্তভূমি
ন্যাশনাল স্কুল গেমসে জাতীয় বিচারক রূপনারায়ণপুরের ঋত্বিকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ ফেব্রুয়ারি:: ক্রীড়া ক্ষেত্রে আসানসোল শিল্পাঞ্চল তথা রূপনারায়ণপুরকে গর্বিত করলেন ঋত্বিকা চৌধুরী। তিনি হাওড়া ডুমুরজোলা সাই কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ৬৮-তম ন্যাশনাল স্কুল গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় বিচারকের দায়িত্ব পালন করলেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। রূপনারায়ণপুর মহাবীর কলোনির মেয়ে ঋত্বিকা রিদমিক আর্টিস্ট্রি বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২৮ জানুয়ারি থেকে এই প্রতিযোগিতা চলছে, শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জিমনাস্টিকসের অনূর্ধ্ব ১৪-১৭-১৯ বিভাগে ছেলে এবং মেয়েরা এখানে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রূপনারায়ণপুরের গর্ব ঋত্বিকা সিনিয়র বিভাগের বিচারক হয়েছেন। এর আগে তিনি দুবার বাংলার প্রশিক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এবার জাতীয় বিচারকের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল তাকে। এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ঋত্বিকা বলেন অত্যন্ত উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতা চলছে। বাংলার দলও দক্ষতা দেখিয়ে নজর কেড়েছে একাধিক বিভাগে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে বাংলার দল 'টিম চ্যাম্পিয়নশিপ গোল্ড' অর্জন করেছে। ঋত্বিকার পিতা কুন্তল চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন মফঃস্বলের একটি অঞ্চল থেকে নিজের অদম্য জেদে যেভাবে ঋত্বিকা জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে তা অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। জাতীয় স্তর থেকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও যেন পৌঁছান এবং নিজের পারদর্শিতা দেখাতে পারেন সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেন কুন্তলবাবু।@প্রান্তভূমি
রাহুল হত্যাকাণ্ডে আল্লাডি থেকে ধৃত রণবিজয় সহ আরও এক, ফেরার অন্যরা:: উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: কানগোই রেল গেটের কাছে হাসিপাহাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তার ১০০ মিটারের মধ্যে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল রাহুল সিংকে। ৩০ জানুয়ারি রাতের সেই ঘটনায় আজ, ২ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ল রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত আল্লাডি এলাকার বাসিন্দা রাজপাল সিংয়ের ছেলে রণবিজয় সিং এবং মিহিজাম কুর্মিপাড়া পাইপ লাইন অঞ্চলের রামবাবু সাউয়ের ছেলে রাজেশ কুমার সাউ। ধৃত রাজেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ একটি দেশি পিস্তল এবং দুটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও রাহুলকে হত্যা করার পর তার স্কুটি গাড়িটিকে ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতিরা সেটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই হত্যাকাণ্ডে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োগ হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। উল্লেখ্য, ধৃত রণবিজয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত মালবহালের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ঠিকেদার বলরাম সিংয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিল। ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মী রাহুল সিং ওরফে লেফটির হত্যাকাণ্ডে মিহিজাম পুলিশ এ পর্যন্ত যে সাফল্য পেয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের কাছে মৃত রাহুলের বাবা, রাজেশ কুমার সিং লিখিত অভিযোগ (কেস নম্বর ১০/ ২৫) দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এই হত্যাকাণ্ডে মার্টিন, সুমিত সহ আরও কয়েকজন ছিল যারা এখন ফেরার। তবে রণবিজয় এবং রাজেশ ধরা পড়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত রাহুলের স্ত্রী শ্রেয়ার সাথে অভিযুক্তদের সম্পর্কের সন্দেহকে ঘিরে গোলমালের সূচনা হয়। অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা শ্রেয়ার সাথে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক যুবকের সাথে ফোনে দীর্ঘ কথোপকথন এবং টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় পুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনার দিন অভিযুক্তরা ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার লোভে ষড়যন্ত্র রচনা করে এবং রাহুলকে ফোন করে তার বাড়ি থেকে ডেকে গুলি করে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে ধৃতরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শীঘ্রই এই হত্যাকাণ্ডের যাবতীয় রহস্য মিহিজাম পুলিশ উন্মোচিত করবে বলে আশা প্রকাশ করছে।@প্রান্তভূমি
পাখি শুমারিতে চমক::বার্ণপুরের ভুতাবুড়িতে পাওয়া গেল দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে প্রথম ডুবডুবি'র সন্ধান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: এবারের শীতে পাখি শুমারি করতে গিয়ে যারপরনাই চমকে গেলেন দুর্গাপুর বন বিভাগ এবং উইংস-এর পর্যবেক্ষকেরা। দক্ষিণবঙ্গে এই প্রথম শীতের দেশ থেকে উপস্থিত হয়েছে অতি সুদৃশ্য কমন মার্গেনসার বা ডুবডুবি পাখি। এই শীতের আগে কোনদিনই দক্ষিণবঙ্গের কোথাওই এই পাখির সন্ধান পাওয়া যায় নি। এবার তার দেখা মিলেছে আসানসোল সংলগ্ন বার্নপুরের ভুতাবুড়িতে। যাকে পরিযায়ী পাখির আনাগোনায় অত্যন্ত নতুন সংযোজন এবং খুশির বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন উইংস-এর যুগ্ম সম্পাদক মনীশ কুমার চট্টোপাধ্যায়। এই পাখির দেখা পাওয়া অত্যন্ত চমকপ্রদ বলেই তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন এতদিন খুব বেশি হলে ৫-৬ টি ডুবডুবি শীতের সময় দেখা যেত তিস্তার আপার গাজোলডোবা অঞ্চলে। বেশি সংখ্যায় এদের উপস্থিতি পাওয়া যায় অরুণাচল প্রদেশ, আসামে। কিন্তু বাঁকুড়া পুরুলিয়া বর্ধমান বীরভূম মেদিনীপুর সম্বলিত দক্ষিণবঙ্গে কখনোই এই পাখির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সে দিক থেকে এবারের পাখি শুমারি তাদের খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্গাপুর বন বিভাগ এবং উইংস-এর পর্যবেক্ষকেরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি গুলিতে পরিযায়ী পাখি ও স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পাখিদের সংখ্যা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন। বার্ষিক এই পর্যবেক্ষণ জলাশয়গুলির পরিবেশগত অবস্থা এবং বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে একটি ধারণা পেতে সাহায্য করে। এ বছরও সেই পর্যবেক্ষণ চলাকালীন বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি যেগুলি দশকের পর দশক ধরে এইসব অঞ্চলে আসছে তাদের সন্ধান তারা পেয়েছেন। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে এবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সন্ধান তারা পেয়েছেন বার্ণপুর এলাকায় কমন মার্গেনসার বা ডুবডুবি পাখির উপস্থিতি। মনীশ বাবু বলেন এই পাখিটি বাংলায় এতটাই বিরল যে ইংরেজি থেকে বাংলায় এর নাম খুব একটা প্রচলিতই হয়নি। তবে আনন্দের এই সংবাদের সঙ্গেই তারা অশনি সংকেত দেখছেন চিত্তরঞ্জনের জলাশয় গুলিতে পরিযায়ী পাখির ক্রমশ কমতে থাকা সংখ্যায়। চিত্তরঞ্জন রেল শহরের জলাশয় গুলির মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা কর্নেল সিং পার্ক জলাশয়ের। প্রতিবছরই তার আগের বছরের তুলনায় এখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কম হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উইংস মনে করছে চিত্তরঞ্জনের জলাশয়গুলি এক সময় বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানায় ভরে ছিল। সে সময় এখানে আসা পরিযায়ী পাখিগুলি জলের নিচে থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারছিল না। ফলে তারা অন্যত্র চলে যেতে থাকে। পরিযায়ী পাখিরা সাধারণত তাদের পূর্ববর্তীদের পথ অনুসরণ করে শীতের দেশ থেকে পাড়ি দেয়। বেশ কয়েক বছর পরিযায়ী পাখিরা চিত্তরঞ্জনমুখী না হওয়ায় তাদের পরবর্তী বংশধরেরা এই জলাশয়ে আর আসছে না। বিষয়টিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন উইংসের যুগ্ম সম্পাদক মনীশবাবু। জলাভূমি সংরক্ষণ এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় আরো উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।@প্রান্তভূমি
ঝুঁকে টমেটো কিনতে গিয়ে টান বুক পকেটে:: মোবাইল সমেত আটকে গেল কিশোর-চোর:: আরও তিন সঙ্গী ঘাপটি মেরেছে চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: একে রবিবার, তাই আবার সরস্বতী পুজো সিজানোর বাজার - ফলে চিত্তরঞ্জন আমলাদহি সবজি মার্কেট ভিড়ে ভিড়াক্কার। সবজি বিক্রেতারা বাজার ছাড়িয়ে বাইরে মিলন মন্দিরের রাস্তাতেও পসরা নিয়ে বসেছেন। সেখানেই এক ক্রেতা সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঝুঁকে টমেটো কিনছিলেন। সে সময়ই বুক পকেটে থাকা মোবাইল ফোনে টান মারে তক্কে তক্কে থাকা এক কিশোর। কিন্তু মোবাইলটি পকেট থেকে বের করে নেওয়ার আগেই ওই কিশোরের হাত চেপে ধরেন ক্রেতা। সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় বাজারে। ছুটে আসেন ডিউটিরত চিত্তরঞ্জন থানার সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তাদের হাতেই ধৃত কিশোরকে তুলে দেন বাজারের লোকজন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বছর দশকের ঐ কিশোর জানায় সে নিয়ামতপুর সংলগ্ন চিনাকুড়ি থেকে আজ সকালে চিত্তরঞ্জনে আসে। আমলাদহি বাজারেই তার সঙ্গে আরও তিনজন এসেছে বলে সে জানায়। সিভিক ভলেন্টিয়াররা ঐ তিনজনের খোঁজে বাজারে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তবে ঘটনার পর তারা বলেন বারবার ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে ক্রেতারা যেন বুক পকেটে মোবাইল না রাখেন। রবিবারের বাজারে সতর্ক করে পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সচেতনতা প্রচারও করা হয়। যদিও এলাকার বাইরে থেকে আসা এইসব ছোট ছোট ছেলেদের চুরির কাজে লাগানো গ্যাং লিডারকে ধরার জন্য পুলিশের কাছে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
শতাধিক বছরের বহু কয়েন উদ্ধার সালানপুর ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েত এলাকায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: ব্রিটিশ আমলের বহু কয়েন উদ্ধার হল সালানপুর ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েত এলাকার পাহাড়পুর থেকে। এখানে আজ সকালে দত্তদের যৌথ পরিবারের একটি পুরনো বাড়ির ঢিবি থেকে এইসব কয়েন উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কয়েন গুলির মধ্যে ১৯১৪, ১৯১৯ সাল সহ বিভিন্ন সময়ের প্রায় ১০৯ টি কয়েন পুলিশ হেফাজতে নিতে পেরেছে।। এর মধ্যে বেশ কিছু এক রুপি, হাফ রুপি, চার আনার কয়েন আছে। প্রাথমিক অনুমান এগুলি সবই রুপোর তৈরি। আজ স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দত্ত রূপনারায়ণপুর পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ওই সব কয়েন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন, কিন্তু কয়েনগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে সেগুলি সবই পুলিশের কাছে তারা জমা করে দেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন ফাঁকা ওই জায়গায় স্থানীয় কয়েকজন ছেলে খেলাধুলা করছিল । সেই সময় মাটি খুঁড়লে কয়েনগুলি বেরিয়ে আসে। বাচ্চারা তার মধ্যে দু একটা নিয়ে স্থানীয় দোকানে জিনিস কিনতেও ছুটে যায়। এরপরই বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসে এবং সেগুলি রক্ষা করতে তৎপর হন। রূপনারায়ণপুর ওসি অরুনাভ ভট্টাচার্য এইসব কয়েন গুলিকে সযত্নে রেখে আপাতত মালখানায় জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ব্রিটিশ আমলের এই সব দুষ্প্রাপ্য কয়েন এই এলাকার ইতিহাসের সঙ্গী বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন। এগুলির আর্থিক মূল্যের চেয়েও ঐতিহাসিক গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি বলে তারা উল্লেখ করেন। বিষয়টি প্রান্তভূমির পক্ষ থেকে জানতে পেরে সালানপুর বিডিও রুশালি ক্লের বলেন ১০৯ টি রুপো এবং অন্যান্য ধাতুর কয়েন উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি রাতে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন। কয়েনগুলি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসন স্থির করবেন বলে বিডিও উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুরের বিডিও পাঞ্জাব-কন্যা আইএএস রুশালি ক্লের গুরুত্ব দিচ্ছেন জল সমস্যায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: সালানপুর ব্লক প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিক (বিডিও) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এলেন পাঞ্জাব কন্যা রুশালি ক্লের। ২০২৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার জেলা শাসকের থেকে দুই মাসের দায়িত্ব পেয়েছেন এই ব্লকের জন্য। স্বাধীনভাবে ব্লকের দায়িত্ব নিয়ে বিশেষ একটি সময়ের জন্য প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন আইএএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশির অঙ্গ বলে জানালেন তিনি। আদতে জলন্ধরের বাসিন্দা রশালি দেবীর বাড়িতে বাবা মা ও ভাই আছেন। বাবা ব্যবসা করেন, ছোট ভাই দিল্লির কাছে গুরুগ্রামে চাকরি করছেন। তিনি একান্ত আলাপচারিতায় প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে জানান সব কাজেই খামতি আছে, তাই সর্বদা উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অর্থ সঠিক মানুষ ঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা, দুয়ারে সরকারে উপভোক্তাদের পরিষেবা বন্টন ইত্যাদি বিষয়গুলি তিনি আগে দেখবেন বলে জানালেন। তবে ২০ জানুয়ারি কাজে যোগদানের পর এলাকার জল সমস্যার বিষয়টি তার বিশেষ ভাবে নজরে এসেছে। নির্ধারিত সরকারি সময় ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে না হলেও অন্তত প্রত্যেক গ্রামে জল পৌঁছাবার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। প্রায় নির্জল এলাকায় পানীয় জল সরবরাহই প্রাথমিক গুরুত্ব পাচ্ছে বলে তার কাছ থেকে জানা গেল। উল্লেখ্য, সালানপুরের আগের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসকে জেলায় বাংলার বাড়ি প্রকল্প পর্যবেক্ষণের বিশেষ দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। রোশালি দেবী সালানপুর ব্লকের তৃতীয় আইএএস অফিসার যারা বিডিওর দায়িত্ব ভার নিয়েছেন। এর আগে আইএএস আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর এবং এজাজ আহমেদ এই ব্লকের বিডিও হিসেবে কাজ করে গেছেন। শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কাছে রুশালি দেবী অবশ্যই এক অনুপ্রেরণা। তিনি পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চন্ডিগড় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। করোনার কঠিন সময়ে ঘর থেকেই সেই প্রস্তুতি চলতে থাকে। প্রথমবার না হলেও দ্বিতীয়বারের ইউপিএসসি পরীক্ষাতেই তিনি বাজিমাত করেন এবং বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস অধিকারী হন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও কেন আইএএস হওয়ার ইচ্ছা - সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন এই পেশায় মানুষের জন্য কাজ করার অনেক বেশি সুযোগ পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি মাজিস্ট্রেট তথা ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান। এরপর ২০ জানুয়ারি শিক্ষানবিশ হিসেবে সালানপুর ব্লকের বিডিওর দায়িত্ব নিয়ে আসেন। আপাতত দিন দশেকের কার্যকালের মধ্যেই তিনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন, দুয়ারে সরকার শিবির গুলিতে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন।@প্রান্তভূমি
রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া কুখ্যাত দুষ্কৃতি গ্যাংকে ধরলো রূপনারায়ণপুর পুলিশ:: গ্রেফতার বন্ধ ঘরে চুরির মূল মাথা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুর পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া কুখ্যাত দুষ্কৃতি গ্যাংকে নাটকীয়ভাবে পাকড়াও করলো পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্যের সক্রিয়তায় ধরা পড়ে যায় বন্ধ ঘরে চুরির অন্যতম মাথা নসিব খান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ হাতে পেয়ে যায় আরো দুই দুষ্কৃতি রাহুল হাঁড়ি ও বিশাল হাঁড়িকে। প্রত্যেকেরই বয়স ২০'র আশেপাশে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি এদের আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বলে রূপনারায়ণপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি রূপনারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত সাতটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওইসব বাড়িগুলি বন্ধ থাকা অবস্থায় রাতে চোরেদের নজরে পড়ে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ আকারে জমা পড়লেও বেশ কয়েকটি ঘটনার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই সব ঘটনার কিনারা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পুলিশকে। গতকাল ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে এইসব ঘটনার মাথা নসিব রূপনারায়ণপুরে একটি দোকানে চপ কিনছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে পৌঁছে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে বাজারের ভেতরে ঢুকে যায়। যদিও পিছু নেওয়া রূপনারায়ণপুর পুলিশ তাকে সেখানেই ধরে ফেলে। এরপর নসিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার আরও দুই সঙ্গী রাহুল এবং বিশালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নসিব স্বীকার করে যে, তারা ডিএভি স্কুলের পিছনে, মায়ের আশীর্বাদ লজের পিছনে, রূপনগরে, শ্রীগুরু পল্লীতে, শান্তশ্রীপল্লীতে এবং পিঠাকিয়ারির একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। চুরির মালপত্র এবং টাকা কড়ি বিশালের বাড়িতে রাখা হয় বলে পুলিশকে সে জানায়। নসিবের বাড়ি রূপনারায়ণপুর ইয়ুথ ক্লাব সংলগ্ন শনি মন্দির এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের এক সদস্য রূপনারায়ণপুরের একটি সিমেন্ট দোকানেও কাজ করেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এরা চারচাকা গাড়িতে রাতের বেলায় এসে নামতো দেশবন্ধু পার্ক হাসি পাহাড়ির মাঝে ফাঁকা মাঠে। সেখানে গাড়িটি রেখে হেঁটে তারা ইয়ুথ ক্লাব মঞ্চে এসে ঘুমোনোর ভান করতো। এরপর আগেই দেখে রাখা ফাঁকা বাড়ির উদ্দেশ্যে একে একে রওনা দিত। নির্দিষ্ট বাড়িটিতে পৌঁছে তারা একত্রে চুরি সংঘটিত করে সোজা পালিয়ে যেত হাসিপাহাড়ির মাঠে। তারপর গাড়িতে চেপে অন্যত্র চলে যেত। ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন এই চোরের দলকে ধরতে পেরে পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিন্ত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর তাদের হেফাজতে নিয়ে আরো তথ্য এবং চুরির মালপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুর স্টেশনে ট্রেনে আগুন, আতঙ্কে নেমে পড়লেন যাত্রীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১ ফেব্রুয়ারি :: আজ সকালে আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত সালানপুর স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখে তারা কামরা থেকে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসেন। প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। এ বিষয়ে এক প্রাতঃভ্রমণকারী স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু দাস বলেন - 6-25 নাগাদ 17005 হায়দ্রাবাদ থেকে রক্সৌল যাওয়ার ট্রেনটি যখন সালানপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উপর দিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন ট্রেনের যাত্রীরা প্রাত:ভ্রমণরত কয়েকজনকে বলতে থাকেন (অবশ্যই হিন্দি তে) দাদা, একটু ফোন করে জানিয়ে দিন ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখন ট্রেনটি ধীরে ধীরে চলছিল এবং এক সময় থেমে গেল। দেখলাম এ/সি বি-3 কোচের সবকটি চাকার উপরের অংশ থেকে প্রবল ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। ট্রেন থামিয়ে গার্ড সাহেব এগিয়ে গেলেন বি-3 কোচের দিকে। ট্রেন থামতেই যাত্রীরা ঐ কামরা ছেড়ে লাগেজ সহ নীচে নেমে আসেন। ফায়ার ডিস্টিংগ্যুইশার দিয়ে চাকাগুলিকে ঠান্ডা করার চেষ্টা হয়। পরে আসানসোল থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্টার ডাকা হয়। ট্রেনটি 7-20মিনিটের পর ও সালানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।@প্রান্তভূমি
হঠাৎই স্থগিত করা হল সিসিএসের নির্বাচন:: মাধ্যমিক পরীক্ষার দোহাই পুলিশের:: তীব্র প্রতিক্রিয়া চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের মাত্র 12 দিন আগে স্থগিত করে দেওয়া হলো সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিঃ'র নির্বাচন। চিত্তরঞ্জন শিল্পাঞ্চল তথা রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতের কারণ হিসেবে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও যেদিন এই ভোট গ্রহণের দিন ছিল সেই ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের কোন পরীক্ষা নেই। ১০ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলেও পরের দিন ১১ তারিখে পরীক্ষা নেওয়ার পর ১৫ তারিখে পরের পরীক্ষার দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা যাবে না ৩০ জানুয়ারি এই বিষয়টি চিত্তরঞ্জন থানার পক্ষ থেকে জানানো হলে আজ ৩১ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান রেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই নির্বাচন এখন স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবে আবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বা আদৌ নির্বাচন না করে প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এখানেই বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন প্রথম থেকে এই কো-অপারেটিভ সোসাইটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা লেবার ইউনিয়ন সমর্থকেরা। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেছেন একটি অশুভ শক্তি চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের অত্যন্ত ভরসার জায়গা তাদের "আর্থিক বন্ধু" সি সি এস-কে দখল করে নষ্ট করে দিতে চাইছে। তিনি বলেন হেরে যাওয়ার ভয়ে ঘুরপথে সিসিএসের দখল নিতে চাইছে বিরোধীপক্ষ। আজ নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানার পরেই তারা এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন । দ্রুত নির্বাচন করার দাবিতে তারা রেল কর্মী শেয়ার হোল্ডারদের নিয়ে গণ আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সিসিএস দখলের অন্যতম দাবিদার আইএনটিইউসি সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন তারাও ভোটের পক্ষে, তবে শেয়ার হোল্ডারদের প্রকৃত তথ্য যাচাই করেই যেন ভোট গ্রহণ হয়। সেই দাবি তারা জানিয়েছেন। এদিকে যার চিঠিকে উল্লেখ করে ভোট গ্রহণ শেষ মুহূর্তে স্থগিত করে দেওয়া হলো সেই চিত্তরঞ্জন থানার আইসি ইসমাইল আলি বলেন আইএনটিইউসি এবং আরও একটি ইউনিয়ন এই ভোট নিয়ে দশ দিন মাইক সহ প্রচারের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহে প্রচার এবং মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়টি চিত্তরঞ্জন পুলিশের পক্ষ থেকে কো-অপারেটিভ রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন তারা প্রচারের জন্য অনুমতি চেয়ে কোন আবেদন পুলিশের কাছে করেননি। এ বিষয়ে সি সি এস-এর সাধারণ সম্পাদক অসীম ব্যানার্জি বলেন আজ ৩১ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার আগেই অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ ঘোষ চিত্তরঞ্জনে এসে ভোট স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন। এদিকে 24 ফেব্রুয়ারি সিসিএসের বর্তমান পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে ভোট গ্রহণ না হলে এই কো-অপারেটিভ কিভাবে চলবে তা নিয়ে কোন দিশা নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বাইরে প্রচার ইত্যাদির বিষয়ে সিসিএস কর্তৃপক্ষ বলেন এই ভোট নিয়ে বাইরে প্রচার করা হয় না, রেল কর্মীদের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকে। সিসিএসের তরফ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে চিত্তরঞ্জন থানাকে জানানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, দীর্ঘ আলাপ আলোচনা বৈঠকের পর ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সিসিএসের নির্বাচনের জন্য। এর পর একের পর এক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চলতি ২৭, ২৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আজ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে আজকেই ১২ ফেব্রুয়ারির ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হল।@প্রান্তভূমি
উড়িষ্যা থেকে আসানসোলে ঢোকার পথে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ ৫ গ্রেফতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। আজ ৩১ জানুয়ারি ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) সন্দীপ কাররা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ২৩০ কেজি গাঁজা সহ ধরা পড়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। তারা হলো আসানসোল রেলপারের মহঃ ফারহান আহমেদ, মহম্মদ ফৈজি, কাইফি হুসেন এবং আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত চাঁদমারির কাঞ্চন যাদব ও সাগর যাদব। ডেপুটি কমিশনার শ্রী কাররা বলেন গোপন সূত্রে মাদক পাচারের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পরেই এডিপিসি ডিডি এবং সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ডিসেরগড় অঞ্চলে নাকা চেকিং শুরু করে। তারা ভোর পাঁচটা নাগাদ পুরুলিয়ার দিক থেকে দুটি গাড়িকে আসানসোলের দিকে আসতে দেখে আটক করে। পুলিশ দেখেই গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। এরপর মারুতি সুইফট ( ডব্লু বি ৩৮ এবি 1729 এবং বোলেরো পিকআপ ভ্যান (ডব্লু বি ৪৫ / ৪৯২৬ ) আটক করে ৫ অভিযুক্ত সহ 230 কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে উড়িষ্যা থেকে এই গাঁজা পুরুলিয়া হয়ে শিল্পাঞ্চলে আনা হচ্ছিল এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় সেগুলি পাচার করা হতো। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হবে।@প্রান্তভূমি
গভীর রাতে ফোন করে ডেকেছিল বন্ধুরা, সকালে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঝোপ থেকে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল রূপনারায়ণপুরের এক যুবক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: আজ সকালে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত দেশবন্ধু পার্ক এলাকা সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের হাসিপাহাড়ি রেল গেটের কাছে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্কের আবহ দেখা দিয়েছে। মিহিজাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সম্ভবত গতকাল ৩০ জানুয়ারি রাতে ওই যুবকের কানের নিচে গুলি করে হত্যা করার পর তাকে সেখানে ঝোপের আড়ালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। মৃতের নাম রাহুল ওরফে লেফটি সিং (২৫)। সে মিহিজাম কৃষ্ণনগর ৬ নম্বর রাস্তায় তার দিদিমা ও ভাইয়ের সাথে থাকতো। রাহুলের বাবা-মা থাকেন পাটনায়। রাহুল ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজে যুক্ত ছিল। জানা গেছে বছর পাঁচেক আগে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে শ্রেয়া সিং-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল, তাদের আড়াই বছরের এক সন্তান আছে। শ্রেয়ার বাপের বাড়ি কল্যাণগ্রামে । ঘটনার দিন গভীর রাতে রাহুলের বন্ধুরা তাকে ফোন করে ডাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন শ্রেয়া। এই ঘটনার দিন তিনেক আগে রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় অঞ্চলের বাসিন্দা সুমিতের সাথে রাহুলের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। সেই সময় সুমিত রাহুলকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল বলেও শ্রেয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। রাহুল তার বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে পড়ে বলে সে জানায়। রাহুলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তার দুই বন্ধুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই দুই বন্ধুও ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজ করতো। পুলিশ এদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল তথ্য প্রমান জোগাড় করছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামতাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিহিজাম ওসি বিবেকানন্দ দুবে বলেছেন পুলিশ এই ঘটনায় সমস্ত সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখছে, খুব দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।@প্রান্তভূমি
হঠাৎই বদলির নির্দেশ সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত শিটের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩১ জানুয়ারি::
কর্মীদের হতবাক করে হঠাৎই বদলির নির্দেশ এলো সালানপুর ব্লক পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের মুখ্য অধিকর্তা ডাক্তার সুব্রত শিটের। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শিটের এই বদলির নির্দেশ এসেছে ৩০ জানুয়ারি বিকেলে। ডাঃ শিটকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার সরিষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরিবর্তে সালানপুরে আসছেন কলকাতা স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিএমওএইচ পদমর্যাদার মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিনয় রায়। উল্লেখ্য, ২০১৪'র শেষ দিক থেকে টানা সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন ডাঃ শিট। নানা সময়ে তাকে নিয়ে বিতর্ক উঠলেও করোনার সময় তিনি যে পরিষেবা দিয়েছিলেন তা এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। বদলির নির্দেশ পেয়ে আজ ৩১ জানুয়ারি ডাঃ শিট বলেন, নির্দেশ এসেছে, পরবর্তী পদক্ষেপ দ্রুত স্থির করবেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ইন্সপেক্টরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কলকাতা পুলিশ::১০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারে সঠিক ইনপুট দিয়ে হিরো নরেন্দ্র সিংহ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জানুয়ারি:: ১০ কোটি টাকা মূল্যের ব্রাউন সুগার নিয়ে এক মাদক পাচারকারী ট্রেনে চড়েছিলেন। তাকে পশ্চিমবঙ্গের জিআরপি এবং আরপিএফের যৌথ দল গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু বিশাল পরিমাণ এই মাদক পাচারের সূত্র তারা পেয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিংহের কাছ থেকে। তারই দেওয়া নির্ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১৯ জানুয়ারি মালদা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কন্যাকুমারী- ডিব্রুগড় বিবেক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস থেকে মাদকসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টরের এই সহযোগিতার জন্য তাকে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার ভি সোলেমান নেসাকুমার তার সরকারি প্যাডে চিঠি লিখে প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছেন। এই প্রশংসাপত্র তিনি পাঠিয়েছেন পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজির কাছে। এবং আইজিকে তিনি অনুরোধ করেছেন যেন নরেন্দ্র সিংহকে এই প্রশংশপত্রের বিষয়টি মর্যাদার সঙ্গে জানানো হয়। সেই মতো শ্রী সিংহকে আজ আরপিএফ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবগত করেন। কলকাতা পুলিশের এসিপি ভি সোলেমান নেসাকুমার তার প্রশংসাপত্রে লিখেছেন এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারের বিষয়ে চিত্তরঞ্জন আরপিএফ সিআইবি ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিংহ যে ইনপুট তাদের দিয়েছিলেন তা অত্যন্ত কার্যকরী হয়। এজন্য তার সর্বোচ্চ প্রশংসা প্রাপ্য। যে নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার সঙ্গে ইন্সপেক্টর এই কাজ করেছেন তা মাদক পাচারকারীদের কাছে যথেষ্ট ভীতি জনক। ভবিষ্যতেও মাদক কারবারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে চিত্তরঞ্জন আরপিএফ কর্তৃপক্ষ সহযোগী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এই প্রশংসা চিত্তরঞ্জন আরপিএফ কর্তৃপক্ষের দক্ষতাকেই স্বীকৃতি দিল বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
সিপিআইএম জেলা কমিটির সম্পাদক আবার গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি::সালানপুর এরিয়া থেকে একমাত্র যুবনেতা আবীর ঘোষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জানুয়ারি:: সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হলেন গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি। এবার জেলা কমিটি থেকে অসীম ব্যানার্জিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি সালানপুর এরিয়া থেকে জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। এবার সালানপুর এরিয়ার যুব নেতা আবীর ঘোষকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই এরিয়া থেকে তিনিই একমাত্র জেলা কমিটির সদস্য রইলেন। অন্যদিকে বারাবনি এরিয়া থেকে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বাইসি মাড্ডি এবং তপন দাস। উল্লেখ্য, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৬-তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পানাগড়ে। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, বংশ গোপাল চৌধুরী, ফয়াজ আহমেদ খান এবং মীণাক্ষী মুখার্জি। সম্মেলনে সালানপুর ব্লকের চারজন মহিলা সহ ১৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি যোগ দেন। সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মোট ৩৪১ জন প্রতিনিধি। সমগ্র দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিআইএম দলের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা কি, সাধারণ মানুষ আন্দোলনের মধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টিকে দেখতে চান - এই বিষয়গুলি নিয়ে সম্মেলনে বিশদ আলোচনা হয়। সামনের 2026 বিধানসভা ভোটে মানুষের আকাঙ্ক্ষা যাতে মর্যাদা পায় সেজন্য বামপন্থীদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে সম্মেলনে বলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এবারের সম্মেলনে মোট ৫৭ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে মহঃ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরী, অমিয় পাত্র, অনাদি সাহু, জিয়াউল আলম, সৈয়দ হোসেন সহ একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল শ্রমজীবীদের ব্রিগেড সমাবেশ সফল করা, জেলা জুড়ে কয়লা বালি জমি লুটের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র করা সহ ১৬ টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ২৬-তম এই সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে 50 জন সদস্যের নতুন জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।@প্রান্তভূমি
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি সমেত তিন যুবক ঢুকে পড়ল চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্সে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৯ জানুয়ারি::
বেপরোয়া গতির একটি স্কুটি ৩ আরোহীসহ সোজা ঢুকে পড়ল ঘরের ভেতর। ভয়ংকর এই অঘটন ঘটেছে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে। এই ঘটনায় কোনক্রমে রেহাই পেয়েছে বাড়ির দুই শিশু পুত্র সহ অন্যান্যরা। জানা গেছে চিত্তরঞ্জনের হিল টপের দিক থেকে একটি স্কুটিতে থাকা তিন আরোহী দুরন্ত গতিতে ৩৩/ বি রাস্তার ২৬ / এ কোয়াটার্সের বাগানের গেট ভেঙে সোজা ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। ওই গাড়ির গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে তার আঘাতে ঘরের আসবাবপত্র ছিটকে পড়ে। ভেঙে যায় দরজার লোহার গেট। হতচকিত রেল কর্মী রাজীব কুমার সঙ্গে সঙ্গে তিন আরোহীর মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন, কিন্তু অন্য দুজন রাজীব বাবুর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের সঙ্গীকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্কুটি গাড়িটি রাজীব বাবুর কোয়ার্টার্সের ভেতরেই রয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি চিত্তরঞ্জন পুলিশে জানান। চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুটি গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া তিন যুবকের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় যারপরনাই আতঙ্কিত রাজীব বাবুর পরিবার। ২৮ জানুয়ারি রাত আটটা নাগাদ ঘটনার সময় কোয়ার্টার্সেই ছিলেন রাজীব বাবু, তার স্ত্রী নিধি এবং সাত ও তিন বছরের দুই শিশু পুত্র রৌনক ও রনিত। তীব্র গতির ওই স্কুটি ৩ আরোহীকে নিয়ে যেভাবে ঘরের ভেতর বাগানের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েছিল তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। যে স্কুটিতে চড়ে ওই তিন যুবক রাজীব বাবুর আবাসনে ঢুকে পড়েছিল সেই স্কুটি গাড়িটিও চুরি করা হয়েছিল বলে রাজীব বাবুর ঘনিষ্ঠরা আশঙ্কা করছেন। ক্রমশ ফাঁকা হতে থাকা চিত্তরঞ্জন রেল শহর এখন নিত্য দুষ্কৃতীদের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলে তারা মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
আদিবাসী ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা:: প্রথম হল খেরওয়াল বীর ড্রামাটিক ক্লাব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ জানুয়ারি:: আদিবাসী ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল যোগ দেয় , সেগুলি হল - জামগ্রাম মারাংবুরু রসিকা মহল, মার্শাল গায়ান গাঁওতা, খেরওয়াল বীর ড্রামাটি ক্লাব, মার্শাল গাঁওতা এবং আদিবাসী সুসৌর গাঁওতা। এগুলোর মধ্যে তিনটি বারাবনি, একটি দুর্গাপুর ও একটি সালানপুরের দল। প্রতিযোগিতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে খেরওয়াল বীর ড্রামাটিক ক্লাব জোনাল স্তরে বর্ধমানে যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক স্তরের আদিবাসী ভাষায় অনুষ্ঠিত ৩০-তম এই একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার শুরুতে প্রধান অতিথি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, সালানপুর বিডিও রশালি ক্লের, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই প্রতিযোগিতার আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রান্তভূমির সাংবাদিক দীনবন্ধু মন্ডলকে সালানপুর ব্লক বি সি ডব্লু ইন্সপেক্টর শুভাশিস মিশ্র বলেন আদিবাসী ভাষার উন্নয়ন এবং তার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন সুনীল চন্দ্র হাঁসদা, লক্ষীনারায়ণ হাঁসদা, বিজয় মুর্মু।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে চুরির অভিযোগে আরপিএফের হাতে গ্রেফতার ৪

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন শহরের গলফ গ্রাউন্ড এলাকা থেকে রেলের সম্পত্তি চুরির অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করলো আরপিএফ। তাদের বাড়ি সালানপুর ব্লকের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কালীপাথর ও ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে। ধৃতরা হল রাহুল কুমার, তারকেশ্বর মাহালি, অরূপ মাহাতো এবং রাহুল বাউরী। রেলওয়ে অ্যাক্ট তথা আরপিউপি'র অধীনে তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। চিত্তরঞ্জন সানসেট এভিনিউ এলাকা থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সম্পত্তিও উদ্ধার করেছে আরপিএফ। বাকি চুরি যাওয়া সামগ্রীর সন্ধানে তল্লাশি জারি আছে। জানা গেছে ৩ জানুয়ারি গলফ গ্রাউন্ড এলাকা থেকে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এরপর চিত্তরঞ্জন আরপিএফ টাউন পোস্ট ইন্সপেক্টর পঙ্কজ কুমার এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বে আরপিএফ তদন্তে নামে। বিভিন্ন তথ্য এবং সূত্রকে কাজে লাগিয়ে আজ ২৮ জানুয়ারি সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ঐ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান রূপনারায়ণপুরে:: প্রকাশ্যে ধূমপান করলেও জরিমানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ২৮।। জানুয়ারি::
তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ও প্রকাশ্যে প্রদর্শনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। আজ রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে এ বিষয়ে জেলা কনসালট্যান্ট রাজীব কুমার চৌধুরী ও সাইকোলজিস্ট মীণা দাস সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দোকানে দোকানে তল্লাশি চালান। সহযোগিতা করে রূপনারায়ণপুর পুলিশ। ১৮ বছরের নিচে ছেলে বা মেয়ে কাউকে তামাকজাত কোন প্রকার দ্রব্য বিক্রি না করা, গুটকা পান মশলা জাতীয় মাদকদ্রব্য বিক্রি না করা, কোন প্রকার মাদক জাতীয় দ্রব্য প্রকাশ্যে টাঙিয়ে না রাখার মত বিষয়গুলিতে দোকানদারদের সচেতন করার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়াও স্কুল সংলগ্ন এলাকার ১০০ মিটারের মধ্যে কোন দোকানেই কোন প্রকার তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এই অভিযান আছড়া হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকাতেও চালানো হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিয়েছে জানিয়ে তাদের বলা হয় কোনো দোকানদারকে অবৈধভাবে এইসব বিক্রি করতে দেখা গেলে আইনত তার শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এছাড়াও প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিষিদ্ধ বলেও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্য লোকালয়ে ধূমপানরত অবস্থায় ধরা পড়লে তার জরিমানা এবং শাস্তি দুইই হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই অভিযান যে আজ সকাল থেকে রূপনারায়ণপুর এলাকায় করা হবে তা আগামীকালই মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে অনেক বিক্রেতাই আজ দোকান খোলেননি, আর যারা খুলেছেন তারা আগেভাগেই তামাকজাত দ্রব্য, সিগারেট বিড়ি দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এরপরও অনেককেই সেই সব দ্রব্য আজ বিক্রি করতে দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা বলেন ক্ষতিকর এইসব জিনিস থেকে সমাজকে রক্ষা করার দায় প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও নিতে হবে। এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে বলে জানান রাজীববাবু।@প্রান্তভূমি
দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে জেলা শাসক এলেন সালানপুর ব্লকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: জেলা জুড়ে চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। শিবির গুলিতে নিজে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ নির্দেশ দিচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক এস পোন্নামবলম নিজে। আজ ২৭ জানুয়ারি তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত ফুলবেড়িয়া-বোলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মুক্তাইচন্ডী কমিউনিটি হলের শিবিরে। জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন)সঞ্জয় পাল, ডিপিআরডিও অনিমেষ কান্তি মান্না, সালানপুর বিডিও রুষালি ক্লের। শিবির পরিদর্শন করে জেলা শাসক সন্তুষ্ট বলে জানান। তবে তিনি নির্দেশ দেন যাতে শিবিরে জমা পড়া প্রতিটি আবেদন এদিনই যেন সিস্টেমে আপলোড করা হয়। যদিও এ বিষয়ে বিডিও শ্রীমতি ক্লের বলেন প্রতিটি শিবিরেই এমন নির্দেশ দেওয়া আছে, তা পালন করার বিষয়ে জেলাশাসক আরও একবার সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সালানপুর ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজনের সূচি আগেই জারি করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
গ্রামে দেশীয় ফলের গাছ লাগিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের::৫টি গ্রামে উন্নত ভারত অভিযান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি থেকেই এক অন্য অভিযান শুরু করলো চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়। এদিন থেকে স্থানীয় অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে কলেজ কর্তৃপক্ষ উন্নত ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশীয় ফলের গাছ লাগিয়ে এই এলাকার কার্বন নিঃসরণ কম করার অতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিল। এদিন সালানপুর ব্লকের সামডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লহাট গ্রামে কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের একটি দল পৌঁছে যায়। তারা "লহাট গ্রীন মিশন" নামের এই প্রকল্প সফল করার জন্য পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার সহযোগিতা নেন। এই মিশনে গ্রামের মানুষজনের পাশাপাশি কলেজের ৩২ জন এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক এবং ৬ জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা সরাসরি গাছ লাগানোয় নিযুক্ত হন। এইসব গাছ বেড়ে উঠে এলাকার বাতাসকে যেমন নির্মল রাখবে, তেমনই কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশীয় ফল এলাকার মানুষজনকে সমৃদ্ধি দেবে। ফলে ওইসব এলাকার বাস্তুতন্ত্র যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে। পরিবেশ সংরক্ষণের দীর্ঘমেয়াদি এই উদ্যোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করায় স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত খুশি। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এলাকার পাঁচটি গ্রামে বছরভর উন্নত ভারত অভিযানের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। এদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডক্টর আবুল হোসেন। কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকুন্ডু অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। কলেজের এনএসএস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর জ্যোতির্ময় বাগের তত্ত্বাবধানে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান উপস্থাপিত হয়।@প্রান্তভূমি
ড্রোন ক্যামেরা, এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কুখ্যাত ৬ দুষ্কৃতি গ্রেফতার:: হাজার হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে লুটেছে বহু কোটি টাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: সাইবার অপরাধীদের অত্যাধুনিক এক চক্রকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আয়ত্তে পেল পুলিশ। এক মাস ধরে এদের উপর নজরদারি রাখার ফলেই কোটি কোটি টাকা প্রতারণা চক্রের এই বিশাল গ্যাংকে ধরা সম্ভব হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল প্রযুক্তিগতভাবে এই সাইবার অপরাধীরা এতটাই উন্নত যে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমস্ত তথ্য নিজেদের দখলে নিয়ে যে কোনো ধরনের দুষ্কর্ম ঘটাতে সক্ষম। আপাতত এই চক্রের কাছ থেকে ১৪ টি মোবাইল ফোন, ২৩ টি সিম কার্ড, ১০ টি এটিএম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, দুটি চার চাকার গাড়ি, একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, একটি ড্রোন ক্যামেরা এবং নগদ ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অন্যান্য চক্রের সঙ্গে এদের তফাৎ এই যে এরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। এবং এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অত্যাধুনিক ড্রোন ক্যামেরা এই সাইবার দুষ্কৃতিদের নতুন দিক বলে পুলিশ মনে করছে। এই চক্র পিএম কিষান যোজনা, পিএম ফসল বীমা যোজনা, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যাংকের নামে নকল এ্যপ্লিকেশন তৈরি করত। এই অ্যাপ্লিকেশন এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের তারা পাঠিয়ে দিত। মধ্যে কেউ যদি এই এপ্লিকেশন তাদের মোবাইলে ডাউনলোড করত তখনই সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফোন হ্যাক হয়ে যেত। ফোন হ্যাক করার পাশাপাশি দুষ্কৃতিরা এসএমএস/ কল ফরওয়ার্ডিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক পাস বইয়ের যাবতীয় তথ্য, ওটিপি, জন্ম তারিখ পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। এমনই এক অত্যাধুনিক সাইবার চক্রের ছয় অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭ জানুয়ারি। তারা হল - মেহবুব আলম ওরফে ডিকে বস (২৫), শফিউদ্দিন আনসারী (২৮), আরিফ আনসারী ওরফে ডিকে বস (২৭) ; এই তিনজনের বাড়ি গিরিডি জেলার আহলিয়াপুর থানার অন্তর্গত বাঁকিকলা গ্রামে। এছাড়াও আছে ওই একই জেলার লক্ষণপুর গ্রামের জসিম আনসারী (30), গিরিডি জেলার গান্ডেয় থানা এলাকার মহুজোড়ি গ্রামের শেখ বিলাল ওরফে ডিকে বস (২৭) এবং জামতাড়া জেলার কারমাটার থানা এলাকার সিয়াটাঁড় গ্রামের অজয় মণ্ডল (২৮)। মজার ব্যাপার হলো এই ধরা পড়া ৬ অভিযুক্তের মধ্যে চারজনের ছদ্মনামই হল ডিকে বস। ছদ্মনাম ব্যবহার করেই এরা কাজ হাসিল করতো। এই সাইবার দুষ্কৃতিরা নকল এপ্লিকেশন তৈরি করে তার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণা করার পর সেই সব অ্যাপ্লিকেশন উঁচু দরে অন্য সাইবার চক্রের কাছে বিক্রি করে দিত। অন্যান্য সাইবার চক্রের কাছে এদের তৈরি নকল এপ্লিকেশন অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তল্লাশি চালানোর সময় এদের কাছ থেকে এরকমই 1০০ টিরও বেশি নকল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এমনকি একটি সেন্ট্রাল প্যানেলও পাওয়া যায়, যার সাহায্যে হাজার হাজার প্রতারিত গ্রাহকের এসএমএস দেখে নেওয়া যায়। ভয়ংকর এই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রায় ২৭০০ প্রতারিতের যাবতীয় তথ্য, তাদের ফোনের প্রায় আড়াই লাখ মেসেজ, যার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ওটিপি, ফোনপে লগইন ওটিপি, ব্যাংকিং লেনদেনের যাবতীয় তথ্য মজুত আছে। এদের তথ্যভাণ্ডার থেকে পুলিশ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০০০ গ্রাহক এবং কানাড়া ব্যাংকের ৫০০ গ্রাহকের তথ্য উদ্ধার করেছে। এইসব দুষ্কৃতিরা এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে এক প্রকার বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে । এরা ম্যালওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য চ্যাটজিবিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করত। এই চক্রের আরও তথ্য পাওয়ার জন্য জামতাড়া পুলিশ ঝাড়খন্ড সিআইডি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ভারতীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র (১৪সি)-র সহযোগিতা চেয়েছে। 14সি সমন্বয় পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ জানতে পেরেছে ভয়ংকর এই সাইবার চক্রের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় 415 টিরও বেশি মামলা রুজ হয়েছে, তাতে প্রায় ১১ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ আছে। এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে জামতাড়া সাইবার ক্রাইম থানা (কেস নম্বর ০৭ /২৫) মামলা রুজু করেছে।@প্রান্তভূমি
চোরের নিশানায় মন্দিরের দান পেটি:: গভীর রাতে তালা ভেঙে আবার চুরি রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ জানুয়ারি:: গভীর রাতে আবার রূপনারায়ণপুরে মন্দিরের দান পেটি ভেঙে টাকা চুরির ঘটনা ঘটলো। ২৫ জানুয়ারি রাত দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। রূপনারায়ণপুর রেলগেট সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড রোডে সৎসঙ্গ মন্দিরের পাশে অদ্বিতীয় ক্লাবের কালী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটেছে । ক্লাবের সম্পাদক স্বপন দাঁ বলেন সিসিটিভিতে রেল গেটের দিক থেকে রাত একটা পনেরো নাগাদ এক যুবককে মন্দিরের দিকে আসতে দেখা যায়। সম্ভবত সেই যুবকই এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন মন্দিরের কলাপসিবল গেট রাতে তালা বন্ধ করা থাকে। পাশেই ক্লাবের একটি ঘরে এক যুবক রাতে শুয়ে থাকেন। ঘটনার রাতে তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে মন্দিরের তালা ভেঙে দুষ্কৃতি ভেতরে ঢোকে এবং দুটি দান পেটি ভেঙ্গে তার ভেতরে থাকা সমস্ত টাকা কড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাব ঘরে শুয়ে থাকা যুবক বাইরে বেরিয়ে আসতে না পেরে বিষয়টি ফোনে তার বাড়ির লোককে জানান। বাড়ির লোক সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো আছে। এরপর তারাই দরজা খুলে তাকে বাইরে নিয়ে আসেন। চুরির বিষয়টি রূপনারায়ণপুর পুলিশে জানালে সকালেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। রূপনারায়ণপুর পুলিশ সমস্ত সূত্র কাজে লাগিয়ে চুরির কিনারা করতে উঠে পড়ে লেগেছে।@প্রান্তভূমি
খেলনা পিস্তল, ধার করা বাইকেই কামাল দুষ্কৃতিদের:: চিত্তরঞ্জনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য:: গ্রেফতার ৩ অভিযুক্তই

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জনে ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন দুষ্কৃতিই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। ধৃতদের মধ্যে কার্তিক ধীবরের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক ভয়ঙ্কর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা অপহরণ লুটপাট ছিনতাই এবং অস্ত্র আইনে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডে একাধিক অভিযোগ থাকায় সে পুলিশ প্রশাসনের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। ১৯ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জনের ঘটনার কিছুদিন আগেই রাঁচির একটি হোটেলে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে সে ধরা পড়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালে সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারির লস্কর হোটেলে কার্তিক ধরা পড়েছিল, অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ২০১৯ সালে চিত্তরঞ্জনের প্রভাস কুমারকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় কার্তিক জড়িত ছিল বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে তার বিরুদ্ধে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও ধুরন্ধর কার্তিক রেহাই পেয়ে যাচ্ছিল । তবে এবার আর তা সম্ভব হলো না। এদিকে চিত্তরঞ্জনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ১৯ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জনের নর্থ বাজারে মন্টু ঘোষের মিষ্টির দোকান বন্ধ করে রূপনারায়ণপুরের বাড়ি ফেরার পথে নর্থ ইলেকট্রিক অফিসের পিছনের রাস্তায় ছিনতাইবাজদের কবলে পড়েন জয়দেব চৌধুরী। তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তার মোবাইল, নগদ টাকা এবং অ্যাক্টিভা স্কুটি গাড়িটি ছিনতাই করে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় ২১ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জন সংলগ্ন কুশবেদিয়া থেকে রোহিত রামকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ গ্রেফতার করে। রোহিতকে আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই ঘটনায় যুক্ত আরও দুজনের হদিস পায় পুলিশ। ধরা পড়ে তারাও। তারা হলো কুশবেদিয়া ডাঙ্গালের কার্তিক ধীবর এবং মিহিজাম থানা এলাকার হিল রোডের বাসিন্দা গাড়িচালক অভিজিৎ দাস ওরফে গোলু। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত বাইকটি (টিভিএস অ্যাপাচে জে এইচ ২১জে/২০০৬) কানগোই থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে 19 জানুয়ারি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গোলু কানগোইয়ের বাসিন্দা সুভাষ মন্ডলের বাড়িতে যায় এবং সুভাষের বাইকটি তার মায়ের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে আসে। সেই বাইকটি উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুভাষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন জয়দেব চৌধুরীকে সেই রাতে তারা রাস্তায় আটকে ছিনতাই করল তা নিয়ে নানান মন্তব্য উঠে আসছিল। এ বিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে দুষ্কৃতিদের কাছে খবর ছিল যে জয়দেব নর্থ বাজারে তার একটি দোকান প্রায় তিন লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। সেই টাকা লুট করার জন্যই তারা মতলব এঁটেছিল। জয়দেবের মাথায় সেদিন যে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করা হয়েছিল সেটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জয়দেবের স্কুটি এবং দুষ্কৃতিদের খেলনা পিস্তল উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মিহিজাম হিল রোডের বাসিন্দা ধৃত গোলু স্থানীয় একাধিক পুলিশ অধিকারী এবং রাজনৈতিক নেতার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেছে।@প্রান্তভূমি